চলতি মৌসুমে মোহামেডান যেন রীতিমত উড়ছে। গেল বারের রানার্সআপরা এবার প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত হার দেখেনি। টানা সাত ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে সাদা-কালোরা। তাতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটা ধরে রেখেছে আলফাজ আহমেদের দল। অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে বসুন্ধরা। পেয়েছে টানা দুই জয়।
মুন্সীগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শুক্রবার রহমতগঞ্জকে ৩-১ গোলে হারিয়েছেc। অন্যদিকে ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় বসুন্ধরা ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে। তাতে পয়েন্ট টেবিলে এক ধাপ এগিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে বসুন্ধরা।
শেষ ম্যাচে ফেডারেশন কাপে আবাহনীর বিপক্ষে হেরে চাপে ছিল মোহামেডান। তার মধ্যে ফেডারেশন কাপে প্রতিপক্ষ রহতমতগঞ্জের বিপক্ষে শেষ দেখায় হারের ক্ষতটা টাটকাই থাকার কথা । তবে মাঠে সেগুলোর কোনো ছাপই যেন রাখেনি আলফাজ আহমেদের শীর্ষরা।
আরও পড়ুন
নেইমারকে দলে পেতে আশাবাদী সুয়ারেজ, নিরাশায় মায়মি কোচ |
যার শুরুটা প্রথমআর্ধের যোগ করা সময়ে রাজু আহমেদ জিসানের গোল দিয়ে। অবশ্য বিরতির আগেই রহমতগাঞ্জের সামনে সুযোগ ছিল ম্যাচে ফেরার। তবে নাবীব নেওয়াজ জীবনের নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন মোহামেডান গোলকিপার মোহাম্মদ সুজন। তাতে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহামেডান।
দ্বিতীয়ার্ধেও রহমতগঞ্জকে চেপে ধরে মোহামেডান। ৬৪ মিনিটের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চোট কাটিয়ে ফেরা মালির ফরোয়ার্ড সুলাইমান দিয়াবাতে। চার মিনিট বাদে সানডের গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরটাই নিজেদের হাতে নেয় মোহামেডান। শেষ দিকে আগের ম্যাচে ছয় গোল করা বোয়েটেং ফেরত দেন রহমতগঞ্জের হয়ে একটা গোল।
তাতে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। সাত ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে টেবিলের শীর্ষে। দুইয়ে থাকা রহমতগঞ্জের সাথে ব্যবধানটা দাঁড়িয়েছে ছয় পয়েন্টের।
অন্যদিকে কিংস অ্যারেনায় পিছিয়ে পড়েও বড় জয় পেয়েছে বসুন্ধরা। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে টুটুল আহমেদ বাদশার আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। সেই গোল ফেরেত দিতে বেশ লড়াই করতে হয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ৩২ মিনিটে তিয়াস দাসের লাল কার্ড পাল্টে দেয় ম্যাচের চিত্র।
আরও পড়ুন
ভিনি আরও বড় শাস্তি পাবেন, আশায় ছিলেন বার্সা ডিফেন্ডার |
প্রথমআর্ধে কিংসকে আটকে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধেও আর তা পেরে উঠেনি ফকিরেরফুল। ৬৯ মিনিটে জনাথন ফার্নান্দেসের গোলে সমতায় ফেরে কিংস, তিন মিনিট বাদে কিংসকে এগিয়ে দেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ৭৫ মিনিটে তিন নম্বর গোলটা আসে রফিক ইসলামের কাছ থেকে আর ৮৩ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান রাকিব হোসাইন।
এই জয়ে সাত ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ থাকা আবাহনী অবশ্য খেলেছে এক ম্যাচ কম।
দিনের অন্য ম্যাচে পুলিশ এফসি ১-১ গোলে ড্র করেছে ফর্টিসের সাথে। আর ঢাকা ওয়ান্ডার্সকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছে গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় আছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের ফুটবলাররা। তাদের মধ্যে অন্যতম সাফ জয়ী দলের সদস্য মাতসুশিমা সুমাইয়া এনেছেন গুরুতর অভিযোগ - সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি পাচ্ছেন হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি। এর প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। যারা এসব কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাবে দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা।
ঘটনার সুত্রপাত বাটলারের অধীনে আর খেলতে না চাওয়ার হুমকি দিয়ে জাতীয় দলের ১৮ ফুটবলারের দেওয়া এক চিঠিকে কেন্দ্র করে। ইংরেজিতে লেখা সেই চিঠিতে তারা বাফুফেকে সাফ জানিয়ে দেন, বাটলার কোচ থাকলে তারা আর জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না। প্রয়োজনে নেবেন গণ অবসরও।
চিঠিটি ইংরেজিতে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এটা কার লেখা বা কে খেলোয়াড়দের লিখে দিয়েছেন। সুমাইয়া জাপানে জন্ম নেওয়া ও সেখানেই বেড়ে ওঠায় ধারণা করা হচ্ছিল তিনিই লিখেছেন চিঠিটি। তিনি নিজেও পরে স্বীকার করেন যে, ওই চিঠিটি তারই লেখা।
পুরো বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতের মাঝেই বিস্ফোরক এক খবর জানান সুমাইয়া। নিজের ফেসবুক পেজে বিশাল এক পোস্ট দিয়ে জানান, তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
“আসসালামু আলাইকুম। আমার নাম মাতসুশিমা সুমাইয়া। আমি বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের একজন খেলোয়াড়। ইন্টার স্কুলে খেলা থেকে শুরু করে মালদ্বীপে লীগ জেতা এবং বাংলাদেশের হয়ে সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ জেতা-এই যাত্রাটা আমার কাছে বিশ্রী ছিল। আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলাম ফুটবল খেলার জন্য, বিশ্বাস করেছিলাম যে আমার দেশ আমার পাশে থাকবে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। একজন ক্রীড়াবিদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কেউ সত্যিই চিন্তা করে না। আমার এবং দলের সহকর্মীদের জন্য আমরা যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, তা নিয়ে ইংরেজিতে চিঠি লেখার সর্বনিম্ন ক্ষমতা আমার আছে। কয়েকদিন ধরে, আমি অগণিত প্রাণহানি ও ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি শব্দগুলি আমাকে এমনভাবে ধ্বংস করেছে যা আমি কল্পনাও করিনি। আমি জানি না, এই আঘাত থেকে সারতে আমার কত সময় লাগবে, কিন্তু আমি জানি, যে কাউকে তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করার জন্য এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।”
মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে বাফুফে এই ঘটনার নিন্দা জানায়। “বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় মাতসুশিমা সুমায়াকে লক্ষ্য করে হুমকি ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানায়। কোনও অ্যাথলেটেরই তার নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এমন আচরণের মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়। বাফুফে তার খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা দিতে এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, কোচ বাটলারের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে বাফুফে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার তাদের সেই প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে। চলমান এসব ঘটনার মধ্যেও বাটলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। অনুশীলনও করাচ্ছেন জুনিয়র ফুটবলারদের।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ হতে ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ ঘোষণা করার প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী চলছে নানা আয়োজন। তারই একটি হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডাররেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং সিরাজগঞ্জ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায়।
গত ৩১ জানুয়ারি 'সিরাজগঞ্জ ফুটবল উৎসব' অনুষ্ঠিত হয়। সেই ফুটবল উৎসবে যমুনার চর একাদশ ও কাওয়াকোলা চর একাদশের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ২-১ গোলে জয় লাভ করে যমুনার চর একাদশ।
ফাইনালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও সভাপতি, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি রুমানা মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব সাইদূর রহমান বাচ্চু, সদস্য বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি।
উৎসবের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-এর কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি কামরুল হাসান হিলটন।
নিজেকে এর আগেও নানা সময়ে সেরাদের কাতারে সবার ওপরেই রেখেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। কখনও যুগের সেরা, কখনও আবার শেষ ২০ বছরের সেরা। সবশেষ নিজেকেই সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে দাবি করেছে পর্তুগাল কিংবদন্তি। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে অনেক সেরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা আছে যার, সেই কার্লো আনচেলত্তিও এতে একমত।
সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় কে, যুগে যুগে এই বিতর্কে এসেছে অনেক নামই। তবে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয় দুই কিংবন্তি পেলে ও ম্যারাডোনার নাম। আর এই যুগে এসে সেই তালিকায় জোরেশোরেই নিয়ে যুক্ত হয়েছে লিওনেল মেসির নাম। তিনজনই জিতেছেন বিশ্বকাপ। রোনালদো বিশ্বকাপের স্বাদ না পেলেও, জিতেছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হওয়ার পাশাপাশি অফিশিয়ালি ছেলেদের ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিকও সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে রোনালদো তাই নিজেকে স্বীকৃতি দিয়েছেন সর্বকালের সেরা হিসেবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনলচেলত্তি জানান তার মতামত। “ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোই কি সর্বকালের সেরা? আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, হ্যাঁ, তিনিই সেরা। কারণ, আমার কাছে মনে হয় তিনি একটু যুগকে নিজের করে নিয়েছেন।”
সম্প্রতি স্প্যানিশ সাংবাদিক এদু এগুরেইরার সাথে সাক্ষাৎকারে নিজেকে সর্বকালের সেরা মানার কারণ তুলে ধরেন রোনালদো। “একদম মন থেকেই বলছি। আমি আমার থেকে ভালো কাউকে দেখিনি ফুটবলে। আপনি মেসি, পেলে কিংবা ম্যারাডোনাকে এগিয়ে রাখতে পারেন আমি সেটাকে সম্মান করি। তবে পরিসংখ্যান মিথ্যা বলে না। তাই আমার মনে হয় না অহংকার করার দরকার আছে। তবে এটা মেনে নেওয়ার মধ্যে লজ্জা নেই। আমি ফুটবল ইতিহাসের সেরা গোল স্কোরার।”
সর্বকালের বিতর্কের পাশাপাশি রোনালদোর নাম আসলেই সেখানে চলে আসে মেসির নাম। আর্জেন্টিনার এই তারকার বিপক্ষে একটা লম্বা সময়ে স্প্যানিশ ফুটবলে লড়েছেন সরাসরি। গোলের পাশাপাশি নানা রেকর্ডে দুজন দীর্ঘ সময় ধরেই সমান সমান্ন লড়াই করে গেছেন। ফলে নানা সময়ে এসেছে তাদের মাঝে বৈরিতার খবর।
তবে এদু এগুরেইরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো জানিয়েছেন ভিন্ন কিছুই। “লিও মেসির সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি একবার পুরষ্কার অনুষ্ঠানে তাকে ইংরেজিতে অনুবাদও করে দিয়েছিলাম। আমাদের সময়টা দারুণ ছিল। এটা একটা স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, আমরা ভালোভাবেই মিশতে পারতাম। মনে হয় না সামনে আর এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে।”
রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায় শেষে ইতালি, ইংল্যান্ড ঘুরে রোনালদো এখন আছেন সৌদি আরবে। খেলছেন আল নাসরের হয়ে। আর বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে গিয়ে দুই বছর খেলার পর মেসি এখন আছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।
লেগানেসের বিপক্ষে কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালের আগে চোটের যেন মিছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। দিনের শুরুতে ডেভিড আলাবা ছিটকে যাওয়ার পর কার্লো আনচেলত্তি দিয়েছেন আরও বড় দুঃসংবাদ। ভিন্ন ভিন্ন চোটে এই ম্যাচ খেলতে পারবেন না ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে ও মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম।
রিয়ালের জন্য এই দুজনের চোট বিশাল এক ধাক্কাই। কারণ, উভয়ই চলতি মৌসুমে আছেন দারুণ ছন্দে। ৩৩ ম্যাচে ২১ গোল করেছেন এমবাপে। আর ২১ বছর বয়সী বেলিংহাম ৩০ ম্যাচে জালের দেখা পেয়েছেন ১০ বার। আগে থেকেই মূল দলের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মাঠের বাইরে থাকায় তাদের দুজনের না থাকাটা লেগানেসের বিপক্ষে সমস্যায় ফেলতে পারে রিয়ালকে।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি অবশ্য বলেছেন, এমবাপে বা বেলিংহামের চোট খুব গুরুতর নয়। “বেলিংহামের শেষ ম্যাচে আঘাত পেয়েছে, তাকে পাওয়া যাবে না। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে সেরে ওঠার জন্য অতিরিক্ত একটা দিন দেওয়া হয়েছে, তবে আগামীকালের জন্য সে প্রস্তুত থাকবে। এমবাপে আজকে অনুশীলনে অংশ নিয়েছে। তার পায়ে চোট রয়েছে। আজ স্বাভাবিকভাবে অনুশীলন করলেও আগামীকাল খেলার মত অবস্থায় নেই সে।”
এমবাপে ও বেলিংহামের চোটের ফলে লেগানেসের বিপক্ষে খর্বশক্তির দল নিয়েই মাঠে নামতে হবে রিয়ালকে। আলাবা বাম পায়ে অ্যাডাক্টর চোটের শিকার হয়েছে কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন।
আর আগে থেকেই চোটের লম্বা তালিকায় আছেন তিন ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার, দানি কারভাহাল, এদের মিলিতাও ও মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ছিলেন মাঠের বাইরে। বহুল প্রতীক্ষিত প্রত্যাবর্তনের পর খেলেছেন কয়েকটি ম্যাচ। ডেভিড আলাবা যখনই নিজেকে একটু একটু করে ফিরে পাচ্ছিলেন, চোট আরও একবার তাকে থাবা বসিয়েছে। বাম পায়ে অ্যাডাক্টর চোটের শিকার হয়েছেন অস্ট্রিয়া অধিনায়ক, যা তাকে নিশ্চিতভাবেই ছিটকে দিয়েছে রিয়ালের পরবর্তী ম্যাচ থেকে।
রিয়াল এক বিবৃত্তিতে মঙ্গলবার জানায় আলাবার চোটের খবর। কবে ফিরবেন, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দুই থেকে তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে।
এসিএল চোটের শিকার হয়ে আলাবাকে মোট ৩৯৯ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল। গত ১৯ জানুয়ারি লা লিগায় লাস পালমাসের বিপক্ষে বদলি নেমে এরপর ফেরেন। বদলি হিসেবে নেমে খেলেছেন আরও তিনটি ম্যাচ। এরপরই আবার পেয়েছেন চোট সেই একই পায়ে, যেখানে ছিল এসিএল চোটও।
ফলে চলতি সপ্তাহে লেগানেসের বিপক্ষে কোপা কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই আলাবা নিশ্চিতভাবেই মিস করছেন। অভিজ্ঞ এই সেন্টার ব্যাককে ছাড়া রিয়ালকে খেলতে হবে আগামী রোববার লা লিগার মাদ্রিদ ডার্বিও। এছাড়া আরও মিস করতে পারেন একটি লা লিগা ও ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউটের প্লে-অফের ম্যাচও।
মৌসুমের এই সময়ে আলাবার চোট কার্লো আনচেলত্তির জন্য মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে। কারণ, সম্প্রতি চোট পেয়ে প্রায় তিন সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন আরেক সেন্টার ব্যাক আন্টোনিও রুডিগার। আর এসিএল চোট পেয়ে আগে থেকেই মাঠের বাইরে আছেন এদের মিলিতাও। ফলে এই মাসের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে আবারও ডিফেন্ডার হিসেবে খেলতে হতে পারে ফরাসি মিডফিল্ডার অহেলিয়া চুয়ামেনিকে।