৯০০ গোল আর ৩৯ এর ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো… মুখে বয়সের ছাপ আর চল্লিশ ডাকছে… লাখ খানেক মিনিট ফুটবল মাঠেই কাটিয়ে রোনালদো দেখলেন নামের সঙ্গে ইতিহাস গড়া ৯০০ গোল…
মুষ্টিবন্ধ করে জানানো, সেরা হতেই আসা… সামান্য দৌড়ে সেই ভূবন ভোলানো লাফ… আচ্ছা বলুন তো দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশিবার উদযাপনের সাক্ষী হয়ে কোন সেলিব্রেশন লোকে করেছে? ‘সিউউউউই’ তো? ৯০০তম গোলের মঞ্চে অবশ্য উদযাপনে আবেগময় হয়ে গিয়েছিলেন ৫ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই তারকা। দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে চেষ্টা করেছেন নিজেকে সংযত রাখার, ৯০০ গোল হয়ে গেছে, সেটা যেন তারও বিশ্বাস হতে চাচ্ছিল না।
সেটা খুব স্বাভাবিক বৈকি। ২০০২ সালের ৭ অক্টোবর পেশাদার ক্যারিয়ারের প্রথম গোলটা যখন করেছিলেন রোনালদো, তিনি নিজেই কী ভেবছিলেন, দুনিয়া জোড়া বিখ্যাত সাত নম্বর জার্সি গায়ে করে ফেলবেন ৯০০ গোল! রোনালদো নিজে হয়তো ঠিকই ভেবেছিলেন, বিশ্বাসটাও রেখেছিলেন… না হয় মাদেইরা থেকে বিশ্ব ফুটবল শাসন, কী করে সম্ভব? রুপকথা গল্পেও তো এমনটা হওয়ার নয়।
স্পোর্টিংয়ে শুরু, ক্লাবটার হয়ে ৫টা গোল। ম্যান ইউনাইডে দুই দফায় গোল করেছেন দেড়শ থেকে ৫ কম। ‘থিয়েটার অব ড্রিমসের’ নক্ষত্র সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দেখালেন নিজেই এক সুবিশাল আকাশ। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের নামের সাথে সাড়ে ৪০০ গোল। য়্যুভেন্তাসে ১০১ গোলের সাথে বর্তমাম ক্লাব আল নাসরের হয়ে ৬৮। জাতীয় দলের রেকর্ড ১৩১। রেকর্ড গড়া ৯০০তম গোলটাও পর্তুগালের হয়েই।
চারশ গোল পেলেই ফুটবলের অনেক নামী ফরোয়ার্ডের ক্যারিয়ার বর্তে যায়। বয়স যতো বেশি রোনালদো যেনো ততো আগুনে। ৩০ এর আগে ৪৬৩ গোল করা রোনালদো ৩০ পেরিয়ে ৯ বছরে করেছেন ৪৩৭ গোল।
১৭ বছর, ৮ মাস, ৩ দিন বয়সে প্রথম গোল করা রোনালদো নামের সঙ্গে এখন থেকে নিয়ে ঘুরবেন ৯০০ গোল। তবে আপনার মন খারাপের কিচ্ছুটি নেই, ক্রিস্তিয়ানো নামছেন না। নিজেই জানিয়েছেন, ৯০০ তার প্রাথমিক লক্ষ্য। এক হাজার গোল করেই থামতে চান।
এমনিতে ঠোঁটকাটা রোনালদো মজার ছলে আগে জানিয়েও রেখেছিলেন, লোকদের নিয়ে একটু ভাবেন না। নিজের সব গোলের ভিডিও আছে বলে প্রমাণও আছে তার শ্রেষ্ঠত্বের। এটা বলার কারণ, দুই কিংবদন্তি পেলে-রোমারিও নিজেদের হাজারের ওপর গোল আছে দাবি করলেও তার পক্ষে অফিশিয়াল প্রমাণ নেই। তবে রোনালদোর আছে, প্রথম থেকে ৯০০, প্রতিটি গোল, প্রতিটি উদযাপনের ভিডিও রয়েছে।
স্রেফ বিশ্বাসের জোরেই রোনালদো হয়ে উঠছেন পুরো ফুটবল দুনিয়ার আইডল। আগামীকাল নিয়ে ভাবনা না, প্রতিদিনই তাই নতুন শুরু রোনালদোর। ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাওয়ার কথাও বলে রেখেছেন, তবে সে দিনটা এখনো দূরেই।
ধরুন কোনো তরুণ ফুটবলার আজ থেকে খেলা শুরু করলো… আর রোনালদো আর কখনও কোনো গোল করলেন না তার ক্যারিয়ারে। তবে সেই তরুণ ফুটবলারের ১৮ মৌসুম ধরে টানা ৫০ টা করে গোল করতে পারলেই কেবল পারবে রোনালদোকে স্পর্শ করতে…
গোল হিমালয়ে চড়ে রোনালদো দেখলেন এই চূড়ায় তিনি একাই… অনেকটা নিজের প্রচন্ড বিশ্বাসের জোরের মতো…
লাখ খানেক মিনিট, গোটা ত্রিশেক ট্রফি, ৯০০ গোল, সহস্র রেকর্ড… এক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো দস সান্তোস অ্যাভেইরো বলেই হয়তো… কি এক মানুষরে… ৯০০ ছুঁয়ে যার চোখ হাজারে…
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৩০ পিএম
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:২৭ পিএম
আন্তর্জাতিক বিরতিতে ভুটানের সাথে চলতি মাসেই দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। উদ্দেশ্য ছিল ভুটানকে দুই ম্যাচে হারিয়ে নিজেদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করা। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা। ভুটানের সাথে প্রথম ম্যাচ জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচ হার দেখেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। এতে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়েও পড়েছে প্রভাব। দুই ধাপ পিছিয়ে ফিফার সেপ্টেম্বর মাসের র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৪ থেকে ১৮৬ তে নেমে গেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এমন উল্টোপথে যাত্রা হলেও খুব একটা নড়াচড়া নেই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে। যথারীতি সবার ওপরের এক নম্বর জায়গাটা পাকাপোক্ত রেখেছে আর্জেন্টিনা। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার সাথে ম্যাচ হেরে যাওয়ার খেসারত আলবিসেলেস্তেদের দিতে হয়েছে পয়েন্ট হারিয়ে । ১৯০১ থেকে ১৮৮৯ তে নেমে এসেছে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট।
দুই নম্বর অবস্থান ফ্রান্সের, তিন ও চার নম্বরে আছে যথাক্রমে স্পেন ও ইংল্যান্ড। আর পাঁচ নম্বরে অবস্থান ব্রাজিলের। প্যারাগুয়ের সাথে হারায় র্যাঙ্কিংয়ে পেছনে না গেলেও ব্রাজিলকেও হারাতে হয়েছে পয়েন্ট। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল আছে ৮ নম্বরে।
সেপ্টেম্বর মাসের হালনাগাদে সবচেয়ে বড় লাফটা দিয়েছে ব্রুনেই। ১০ ধাপ এগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির বর্তমান অবস্থান ১৮৩ তে। আর সবচেয়ে বেশি পিছিয়েছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার। ১০ ধাপ পিছিয়ে কাতারের অবস্থান ৪৪ নম্বরে।
এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে জাপান। দুই ধাপ এগিয়ে তাদের অবস্থান ১৬-তে।
ম্যাচ শুরুর আগে একটা পরিসংখ্যান বেশ নজর কেড়েছিল বিশ্লেষকদের মাঝে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জিরোনার সব ফুটবলার মিলিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে ৬৫ ম্যাচ, যেই অভিজ্ঞতা কিনা আছে পিএসজির মার্কো অ্যাসেনসিওর একারই। এর কারণ অবশ্য জিরোনা প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে আসাটা। তাদের ফুবলারদের এই ৬৫ ম্যাচের অভিজ্ঞতাও হয়েছে ভিন্ন ক্লাবের হয়ে। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে পিছিয়ে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পিএসজির কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে তারা। শেষ মূহর্তে ম্যাচ হারলেও জিরোনা জিতে নিয়েছে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের মন।
ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও তারা জিরোনার রক্ষণ টলাতে পারেনি। ম্যাচের একেবারে শেষ মূহর্তে জিরোনা গোলকিপার পাওলো গাযানিগার ভুলে গোল হজম করেছে তারা। তাতে পুরো ম্যাচের কঠিন পরিশ্রমটাই যেন বৃথা গেল দলটার।
অবশ্য পয়েন্ট না পেলেও জিরোনা ঠিকই প্রশংসা কুড়িয়েছেন পিএসজি কোচ এনরিকের। স্প্যানিশ ক্লাবটার বিপক্ষে খেলা কতটা কঠিন সেটাই ম্যাচ শেষে শুনিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। “আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে ছিলাম, তবে রক্ষণে তারা আমাদের আটকে দিয়েছিল বারবারই। খুবই কঠিন ছিল তাদের বিপক্ষে খেলা। সম্মান রেখেই ম্যাচে শেষে ওদের কোচকে বলেছি তাদের বিপক্ষে খেলা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার চেয়েও কষ্টকর।”
সব মিলিয়ে এদিন ৬৪ ভাগ বলের দখল আর ২৬ শট নিয়েও গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে পিএসজিকে শেষ মূহর্ত পর্যন্ত। অবশ্য এর মধ্যে তারা অন টার্গেটে শট রাখতে পেরেছে মোটে পাঁচটা। যার বড় কৃতিত্বই জিরোনার। দলের এমন পারফরম্যান্সে গর্বিত জিরোনা কোচ মিচেল।
ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের ভাসিয়েছেন প্রশংসায়, “ড্রেসিংরুমে ফুটবলাররা এখন কিছুটা হতাশ। তবে আমি ওদের বলেছি যেই পারফরম্যান্স দেখিয়েছি আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করা উচিত। পিএসজি আমাদের চাপে রেখেছিল, গাযানিগা বেশ কিছু ভালো সেইভ দিয়েছিল। যার মধ্যে দুই তিনটা গোলও হতে পারতো। জয়টা তাদের প্রাপ্য ছিল, তবে আমরা যেই পরিশ্রম করেছি তা নিয়ে নিজেদের গর্ব করা উচিত।”
বুধবার রাতে জয় পেয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, সেল্টিক এবং স্পার্তা প্রাগও। সর্বশেষ আসরের ফাইনাল খেলা ডর্টমুন্ড ৩-০ গোলে হারিয়েছে ক্লাব ব্রাগাকে। সেল্টিক নিজেদের মাঠে স্লভোন ব্রাতিসলাভাকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-১ গোলে। সালজবুর্গের বিপক্ষে স্পার্তার জয় ৩-০ ব্যবধানে। আর বোলোনিয়া গোলশূন্য ড্র করেছে শাখতারের সাথে।
ইতিহাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুটা এবার ঠিকঠাক হলো না ম্যানচেস্টার সিটির। অবশ্য এর পুরো কৃতিত্বই দিতে হবে ইন্তার মিলানকে। সিমনে ইনজাগির দল ম্যাচজুড়েই রক্ষণে ছিল বেশ সাবলীল। অনেকটা গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দেখানো পথেই হেঁটেছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। তাতে তারা বেশ সফলও। উড়ন্ত সিটিকে তাদের ঘরের মাঠেই আটকে দিয়েছে গোল শূন্য ড্র-তে।
দুই দলের শেষবার দেখা হয়েছে ইস্তানবুলে ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। ৪৬৬ দিন পর ইউরোপিয়ান দুই সেরা দল আর সেরা কোচের লড়াই ছিল কিছুটা ধীরগতিরই। যার কারণ ইন্তারের রক্ষণাত্মক মনোভাব। সিটি বলের দখল কিংবা আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের দেখা পায়নি। ৪ ম্যাচে ৯ গোল করা হলান্ড এদিন আটকে গেছেন আকেরবি-বাস্তোনিদের রক্ষণের সামনে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পেপ গার্দিওলার অধীনে সিটি ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনো গোল করতে পারেনি। তাই ম্যাচ শেষে টিনএনটি স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে ইন্তারকে গার্দিওলা দিয়েছেন পুরো কৃতিত্বই, “আমরা খুবই ভালো খেলেছি, এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই ফাইনাল থেকেও। আমার দলের ওপর ভরসা আছে, খুবই দারুণ একটা দল। ইন্তার রক্ষণে ছিল দুর্দান্ত। ডিফেন্সে আর ট্রাঞ্জিশনে তারা সেরা ছিল।”
অন্যদিকে ইন্তার কোচ ইনজাগিও সন্তুষ্ট ইতিহাদ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারায়, “দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে ছেলেরা। ওদের বলেছি তোমারা ভালো করেছো। যেমনটা বলেছি তারা তেমনটাই খেলছে। সবাই জানি সিটি কতটা শক্তিশালী, তাদের আটকাতে আমাদের সেরা একটা ম্যাচ খেলতে হতো। যেটা আমরা করেছি। আমরা কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছি আবার একসাথে তাদের রুখতে ডিফেন্সও করেছি।”
এদিন সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি ৬০ ভাগ বলই রেখেছিল তাদের কাছে। অন টার্গেট শটেও এগিয়ে ছিল গার্দিওলার দল। সব মিলিয়ে ৫টি অন টার্গেট শট নিয়েছিল তারা। অন্যদিকে ইন্তারও কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল। তারা সব মিলিয়ে সিটির গোলপোস্টে শট রাখতে পেরেছিল ৪টি।
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে