৩১ অক্টোবর ২০২৪, ৩:৫২ পিএম
কাঠমান্ডু থেকে শিরোপা নিয়ে ফেরা নারী ফুটবল দলের জন্য এটা দ্বিতীয়বার। ২০২২ সালের সেই স্মৃতি আবারও ফিরে এলো! সেবার হেড কোচ ছিলেন গোলাম রাব্বানী ছোটন, এবার পিটার বাটলার নামের এক বিদেশি। দুপুর আড়াইটায় শিরোপাজয়ী দলটি দেশের মাটি স্পর্শ করে। এরপর কোচ-ক্যাপ্টেনকে সামনে রেখে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে আসে গোটা দল।
বিমানবন্দরে তীব্র গরম ও রোদ উপেক্ষা করে সংবাদ মাধ্যমের কর্মী ও সমর্থকরা সকাল থেকে অপেক্ষায় ছিল। কোচ ও খেলোয়াড়দের শিরোপা হাতে বেরিয়ে আসতে দেখে তীব্র হুড়োহুড়ি বেঁধে যায় বিমানবন্দরের সামনের অংশে। ছোট্ট একটা ডায়াসে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে টিভি-অনলাইনের মাইক্রোফোনের পাহাড়ের পেছনে দেখা যাচ্ছিল না সাবিনা-রিতুপর্ণাদের।
কোচ পিটার বাটলার সবার আগে কথা বলেছেন, জানিয়েছেন দলের সাফল্যের পেছনের কথা- “২৩ জন ফুটবলারের সবাই ভাল খেলেছে। কেউ একজনের ওপর ভিত্তি করে এই সাফল্য আসেনি। চাপ ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে, আমরা সেই চাপ জয় করে শিরোপা ধরে রেখেছি। হেডকোচ হিসেবে আমার কাছে এটা বড় এক চ্যালেঞ্জ ছিল, আমি সেটা জিতেছি”।
কোচ সেটা দাবি করতেই পারেন। দলে সিনিয়র-জুনিয়র বিভক্তি ছিল, সেটা এড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে অধিনায়ক সাবিনার অবদানও কম নয়। তাঁর নেতৃত্বগুণ প্রকাশ পেয়েছে মাঠে, দেশে ফিরে তিনি জানিয়েছেন তাঁর অনুভূতি, “দ্বিতীয়বারের মত সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কিন্তু প্রথমবারের মতই একই রকম আনন্দ পাচ্ছি। আমরা মেয়েরা কঠোর পরিশ্রম করেছি- তার ফল পেয়েছি। মাঠে আমরা সবাই একই তালে ফুটবল খেলতে পেরেছি”।
গোলবারে রুপ্না চাকমা ছিলেন অনন্য, মাত্র চারটি গোল হজম করেছেন ছোট-খাট এই কিপার। মিডফিল্ডে রিতুপর্ণা রীতিমত আলো ছড়িয়েছেন, হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা। দেশবাসীর কাছে দোয়া চান এই দুই ফুটবলার।
এরপর এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে যায় বাংলাদেশ দলের বহর, যেখানে ছাদখোলা বাসে বাফুফে ভবনের দিকে যাবে চ্যাম্পিয়নরা।
বাস রুট: বিমানবন্দর> এক্সপ্রেসওয়ে> এফডিসি>সাত রাস্তার মোড়> মগবাজার ফ্লাইওভার> কাকরাইল> পল্টন> নটরডেম কলেজ> শাপলা চত্বর> বাফুফে ভবনে
১ জানুয়ারি ২০২৫, ৬:৪৯ পিএম
মাঠের পারফরম্যান্সে মৌসুমের মাঝপথে বার্সেলোনা খেই হারিয়েছে। মাঠের বাইরে দলটির অবস্থা আরও বেহাল। দানি ওলমোকে নতুন করে রেজিস্টার করা নিয়ে রীতিমত খাবি খাচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। সমাধানের পথ হায়তরর যেন কুল-কিনারা করতে পারছে না বার্সেলোনা বোর্ড। তাতে ৫৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে গ্রীষ্মে দলে যুক্ত করা দানি ওলমো শীতকালীন দলবদল আসতেই তৈরি হয়েছে দল ছাড়ার শঙ্কা।
গেল কয়েক বছর থেকেই আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বার্সেলোনা। বিশেষ করে ফুটবলারদের বেতন কাঠামোর হিসেব নিকেশ মেলানোটাই ক্লাবটির জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হয়ে পড়েছে। লা লিগার বেধে দেওয়া বেতন কাঠামোর সাথে সামাঞ্জস্য টানতে প্রতি বছরই নতুন নতুন কৌশল বের করতে হচ্ছে তাদের। গেল গ্রীষ্মে ওলমোকে দলে টানার পরও সেই একই কারণে রেজিস্টার করতে বিপাকে পড়ে বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন
ওলমোকে দলে যুক্ত করতে নতুন বুদ্ধি বার্সার |
সে যাত্রায় আন্দ্রেয়াস ক্রিশ্চেনসেনের ইনজুরির কারণে লা লিগার নিয়মের সুবিধা নিয়ে স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে রেজিস্ট্রেশন করানো গিয়েছিল। তবে এবার আর তা হচ্ছে না। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ক্রিশ্চেনসেন। তাতে বেতন কাঠামোর ঘাটতি দেখিয়ে এ বেলায় ওলমোর রেজিস্ট্রেশনে বাধ সেধেছে স্প্যানিশ আদালাত। তাও সেটা একবার না বার্সেলোনার করা আবেদন দুই বারই খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
নাইকির সাথে নতুন চুক্তি সেই সাথে নু-ক্যাম্পে ভিআইপি বক্সের স্বত্ব বিক্রি করে বার্সেলোনা সমাধান টানার চেষ্টা করেছে। তবে তাদের দেওয়া নথি-পত্র আদালতে টেকেনি। তাতে ওলমোর চুক্তি অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে না পারায় ওলমো এখন ফ্রি এজেন্ট। চাইলেই ২৬ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার যোগ দিতে পারবেন অন্য কোনো দলে। কারণ, ১ জানুয়ারিতেই লা লিগা বার্সেলোনার নিবন্ধিত খেলোয়াড় তালিকা থেকে কেটে দিয়েছে ওলমোর নাম।
অবশ্য স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে ওলমো ছাড়ছেন না দল। বার্সেলোনা তাকে আশ্বস্ত করেছে সমাধান খুঁজে বের করার। এএস বলছে, আতলেতিকো মাদ্রিদ নাকি ওলমোকে দলে টানতে আগ্রহ দেখিয়েছে। যদিও স্প্যানিশ ফুটবলার এখনই দল ছাড়ার চিন্তা ভাবনা করছেন না বলে একই রিপোর্টে ইঙ্গিত দিয়েছে আস। অবস্থা বিবেচনায় ওলমোকে দলে যুক্ত করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বার্সেলোনাকে বের করতে হবে নতুন উপায়।
আরও পড়ুন
সুযোগ তৈরিও বেশি, সুযোগ মিসও বেশি বার্সার |
গ্রীষ্মে ৬০ মিলিয়ন ইউরোতে আরবি লাইপজিগ থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন ওলমো। এই সময়ে খেলেছেন ১৫ ম্যাচ। ছয় গোলের পাশাপাশি করেছেন এক অ্যাসিস্ট।
অনেক আশা নিয়েই রুবেন আমোরিমকে নিয়োগ দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে তার হাত ধরে বছরের শেষটা ভীষণ বাজেভাবেই হয়েছে দলটির। প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে চলে গেছে প্রায় শেষের দিকে। নতুন বছরে কি আলোর দেখা পাবে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটি? আমোরিম ২০২৫ সাল নিয়ে বেশ আশাবাদী। পর্তুগিজ কোচের বিশ্বাস, নতুন বছরে ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।
২০২৪ সালে নিজেদের শেষ ম্যাচে গত সোমবার প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে আমোরিমের দল হেরে যায় ২-০ গোলে। এর মধ্য দিয়ে এক লিগে এক মাসে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত পাঁচ ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পায় ইউনাইটেড। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজেদের শেষ আট ম্যাচের ছয়টিতেই হেরেছে দলটি।
তবে নতুন বছরের প্রাক্কালে ক্লাবের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি বার্তায় আমোরিম দিয়েছেন নতুন দিনের বার্তা। “আমি জানি আমরা যেখানে থাকতে চাই, সেখানে যেতে হলে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তবে আমি ২০২৫ সালে আমরা একসাথে কোথায় যেতে পারি, তা নিয়ে আমি বেশ রোমাঞ্চিত।”
আরও পড়ুন
ম্যানচেস্টার লাল ও না নীল ও না ম্যানচেস্টারে এখন অন্ধকার |
গত অক্টোবরে এরিক টেন হাগের জায়গায় কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান আমোরিম। এর পেছনে ছিল স্পোর্টিং সিপির হয়ে তার দুর্দান্ত কাজ। তবে ইউনাইটেডের বেহাল দশা কাটেনি তার আসার পরও। একের পর এক বাজে পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে দলটি রেলিগেশন জোন থেকে মাত্র সাত পয়েন্ট ওপরে রয়েছে।
আমোরিমের আশা, খুব দ্রুতই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠবে তার দল। তবে সেখানেই রেখেছেন একটা কিন্তু। “আমি মনে করি খেলোয়াড়রা সব কিছু হারিয়ে ফেলছে। ছোট ছোট কিছু ব্যাপার আছে, সেগুলো নিয়ে আমরা অনুশীলনে কাজ করার চেষ্টা করি। একটি গোল হজমের পরই আমরা খেই হারিয়ে ফেলি, কারণ আমাদের বেস নেই। আমাদের কাছে কঠিন মুহুর্তগুলো মোকাবেলা করার জন্য বেস তৈরি করার সময় নেই। তাই এই মুহুর্তে এটি সত্যিই কঠিন।”
নতুন বছরের শুরুটা ইউনাইটেডের জন্য হতে যাচ্ছে সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠিনভাবেই। আগামী রবিবার আমোরিমের দলের প্রতিপক্ষ প্রিমিয়ার লিগে সবার ওপরে থাকা লিভারপুল, যারা আছে দুর্দান্ত ছন্দে।
আরও পড়ুন
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অনুশীলন ক্যাম্পে বাংলাদেশের ৩ ক্ষুদে ফুটবলার |
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাতাসে ভাসছিল গুঞ্জন, লিভারপুল ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে এই জানুয়ারির দলবদলে দলে টানতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। সেই লক্ষ্যে একটা প্রস্তাব তারা দিলেও সেটা সাথেই সাথে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি, খবর এখন এমনটাই। তবে এবার না পারলেও হাল ছাড়তে নারাজ রিয়াল। আগামী গ্রীষ্মের দলবদলে আর্নল্ডকে নেওয়ার জন্য এখন থেকেই নাকি চেষ্টা চালিয়ে যাবে ক্লাবটি।
আগামী জুনে লিভারপুলের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আর্নল্ডের। ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় ১ জানুয়ারি থেকেই তার সাথে কথা বলতে পারবে অন্য ক্লাবগুলো। সেই সুযোগটাই নিতে চাচ্ছে রিয়াল। শীতকালীন দলবদলে প্রাথমিকভাবে তাকে নিতে ব্যর্থ হলেও তাই আলোচনা চলবে পরের দলবদলে আর্নল্ডকে নিজেদের ডেরায় নিয়ে আসার।
ক্লাব ফুটবলের দলবদল নিয়ে বরাবরই তথ্যের জন্য নির্ভরযোগ্য সূত্র হিসেবে বিবেচিত ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমারোও দিয়েছেন একই খবর। ইউরোস্পোর্টে তিনি লিখেছেন, খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে আর্নল্ডের সাথে ট্রান্সফার নিয়ে আলোচনা করবে রিয়াল। উল্লেখ্য, আগামী জুলাইয়ে লা লিগার দলটিতে তিনি যোগ দিলে সেক্ষেত্রে সেটা হবে ‘ফ্রি এজেন্ট’ হিসেবে।
প্রতিবেদনে ফাব্রিজিও আরও লিখেছেন, জানুয়ারির দলবদলে রিয়ালের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার কারণে লিভারপুলের সাথে 'কোনো সমস্যা নেই' ২৬ বছর বয়সী আর্নল্ডের।
রিয়ালের এই দলবদলেই আর্নল্ডকে দলে টানার তাড়া ছিল মূলত রক্ষণভাগের চোটের কারণে। এসিএল চোটের কারণে এই মৌসুমের শুরুতেই ছিটকে গেছেন দুই ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল ও এদের মিলিতাও। আরেক সেন্টার-ব্যাক ডেভিড আলাবা একই চোট পেয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে মাঠের বাইরে আছেন।
২০২৫ সালের শুরুর ঠিক আগে দুঃসংবাদ পেতে হয়েছে ওয়েইন রুনিকে। বছরের শেষ দিনে সাবেক ইংল্যান্ড স্ট্রাইকারকে প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে দ্বিতীয় বিভাগের দল প্লাইমাউথ আর্গিল।
রুনি গত মে মাসে প্লাইমাউথে তিন বছরের চুক্তিতে যোগ দেন। তার কোচিংয়ে এই মৌসুমে ভালো অবস্থানে ছিল না ক্লাবটি। প্রতিপক্ষের মাঠে পারেনি একটি ম্যাচও জিততে। ২৩ ম্যাচে মাত্র ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চলে গেছে টেবিলের তলানির দিকে।
আরও পড়ুন
ফাইনালে গেলেও মন ভরাতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড |
ছাঁটাই হওয়ার আগে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা সব মিলিয়ে ২৫টি ম্যাচে প্লাইমাউথের ডাগআউটে ছিলেন। কোচিং ক্যারিয়ারে শুরু থেকেই কঠিন সময় পার করা রুনি এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে বার্মিংহাম সিটির প্রধান কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। এবারও টিকতে পারলেন না বেশি সময়।
৩৯ বছর বয়সী রুনি এর আগে ডার্বি কাউন্টি এবং মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল ডিসি ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন।
লা লিগায় বিরতি থাকায় খেলোয়াড়রা আছেন ছুটিতে। তবে ২০২৪ সালের শেষ দিনের শেষ ঘন্টা পর্যন্ত মাঠের বাইরে কঠিন সময়ই পার করতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। দানি ওলমোকে স্থায়ীভাবে নিবন্ধন করার ক্লাবটির শেষ প্রচেষ্টাও বাতিল করে দিয়েছে লা লিগা কতৃপক্ষ। শেষ সময়ে নাটকীয় কিছু ঘটলে তাই এই জানুয়ারিতেই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের ক্লাব ছাড়ার সম্ভাবনা তাতে বেড়ে গেছে অনেকটাই।
স্প্যানিশ সময় ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত বার্সেলোনার সামনে সুযোগ ছিল ওলমো ও পাউ ভিক্টরের স্থায়ী নিবন্ধনের আবেদনের সুযোগ। আইনি লড়াই সামলে ও ক্লাবের সম্পত্তি বিক্রি করে শেষ দিনে সেই আবেদনপত্র পাঠিয়েও দিয়েছিল ক্লাবটি।
তবে তাদের হতাশ করে রাত ১২টার কিছু সময় আগে বিবৃতি দিয়ে জানায় নেতিবাচক খবর।
“লা লিগার অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বিধি অনুসারে, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে যেকোনো খেলোয়াড়কে নিবন্ধন করতে বার্সেলোনা এমন কোনো বিকল্প উপায় উপস্থাপন করেনি, যা তাদের নিবন্ধনের জন্য অনুমতি দেবে।”
এর দুই ঘন্টা বাদে ১ জানুয়ারির শুরুতে বার্সেলোনা দেয় পাল্টা বিবৃতি। “দানি ওলমো ও পাউ ভিক্টরের একটি নতুন নিবন্ধনের জন্য স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে আবেদন করেছে বার্সেলোনা, প্রক্রিয়া চলছে।”
লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, একটি বছর শেষ হওয়ার আগেই অস্থায়ী সব নিবন্ধনকে স্থায়ী করতেই হবে। আর সেটা না করতে পারলে কাজটা বেশ কঠিনই হয়ে যাবে। কারণ, স্প্যানিশ শীর্ষ লিগে এক খেলোয়াড়কে এক মৌসুমে দুইবার নিবন্ধন করার সুযোগ নেই।
আর এসব জটিলতার মাঝেই দানি ওলমোর এজেন্ট অ্যান্ডি বারা জানি এক সাক্ষাৎকারে জানান তাদের শেষ অবস্থান। “দানি বার্সেলোনায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ সে বার্সার হয়ে খেলতে চায়। আমরা অন্য কোনো বিকল্প বিবেচনা করছি না। দানি বার্সেলোনার হয়ে খেলতে চায়।”
ওলমো ও ফরোয়ার্ড ভিক্টরকে রেজিস্টার করার জন্য সংস্কার করা ক্যাম্প নউ স্টেডিয়ামে ভিআইপি আসন ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বিক্রি করার জন্য একটি চুক্তি করেছে বলে খবরে এসেছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে যে, বার্সেলোনা বছরের শেষের সময়সীমা মিস করলেও লা লিগার সাথে অন্তত ওলমোর নিবন্ধিত করার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর এখনও আশাবাদী।
কাতালান সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, শেষ পর্যন্ত যদি ওলমো স্থায়ীভাবে নিবন্ধিত না হন, তাহলে বার্সেলোনাকে তার চুক্তির সম্পূর্ণ বেতনের অর্থ ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া তার সাবেক ক্লাব লাইপজিগকেও দিতে হবে ট্রান্সফার ফি-এর ৪৮ মিলিয়ন ইউরো।
গুঞ্জন রয়েছে, ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় কিছু ক্লাব ওলমোর পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এর মধ্যে আলোচনায় বেশি আসছে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর নাম, যেখানে রয়েছে আর্সেনাল, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।