তৃতীয় দিনের খেলা শেষে পুরো ম্যাচ থেকেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন ছিটকে যাওয়ায় ভারত কার্যত পরিণত হয় দশ জনের দলে। তবে শক্তি কমে যাওয়ার পর আগের দিন ব্যাকফুটে থাকা ভারত তেতে উঠল। শক্ত ভিত পেয়েও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার। স্বাগতিক বোলারদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পর দুর্দান্ত এক শতকে ভারতকে ম্যাচে আরও এগিয়ে দিলেন ইয়াশাশভি জয়সওয়াল।
রাজকোট টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২ উইকেটে ১৯৬ রান। তাদের লিড ৩৩২ রানের। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা করেছিল ৪৪৫ রান।
ইংল্যান্ডে আগের দিন শেষ করেছিল ২ উইকেটে ২০৭ রানে। প্রায় ৬ গড়ে রান তুলে ভারতকে বেশ চাপেই ফেলে দিয়েছিল দলটি। রোহিত শর্মার দলের চাপের মাত্রা বেড়ে যায় পরে আরও, যখন বিসিসিআই নিশ্চিত করে যে পারিবারিক জরুরি দরকারে এই ম্যাচে আর খেলবেন না অশ্বিন। দ্বিতীয় দিনে জ্যাক ক্রাওলিকে আউট করে নবম বোলার হিসেবে লাল বলের ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখান অভিজ্ঞ এই স্পিনার।
আরও পড়ুন: জয়সওয়ালকে নিয়ে এত আলোচনা পছন্দ করছেন না গম্ভীর
এমন একজন বোলারকে হারানো ভারতের জন্য বড় ধাক্কাই। কারণ, তাদের সামনে যে উইকেটে সেট বেন ডাকেট আছেন ১৩৩ রানে। তবে চাপকে জয় করে ভারতের ফিরে আসার শুরুটা করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। তাকে রিভার্স সুইপে বাউন্ডারি পার করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন জো রুট। ইংলিশদের পথ হারানোর শুরুও সেখান থেকেই।
পরের ওভারে কুলদীপ যাদবের শিকার জনি বেয়ারস্টো। অফস্ট্যাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারিটি টার্ন নিয়ে এই ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে। অন্যপ্রান্তে ডাকেট তার গতিতেই রান তুলে আভাস দিচ্ছিলেন সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রুপান্তরের। তবে তার অসাধারণ ইনিংসের ইতি ঘটে বাজে এক শটে।
শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে কভারে ক্যাচ তুলে দেন। শেষ হয় তার ১৫১ বলে ১৫৩ রানের দুর্দান্ত পথচলা। এরপরও ইংল্যান্ডের আশা হয়ে ছিলেন বেন স্টোকস। ছিলেন ফিফটির পথে। তবে ৪১ রানে থাকতে তাকে থামান বুমরাহ।
চোখের পলকেই ৫ উইকেটে ২৯৯ রান থেকে ইংল্যান্ড এরপর অলআউট হয়ে যায় ৩১৯ রানেই। ৮৪ রানে ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ।
দ্বিতীয় দফায় ভারতের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি অবশ্য। জো রুটের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন প্রথন ইনিংসে সেঞ্চুরি করা রোহিত। ইংল্যান্ডের লড়াইয়ের কিছুটা সম্ভাবনা জেগেছিল, সেটা উবে যায় জওসওয়াল ও শুবমান গিলের ব্যাটে।
বিশেষ করে বললে জয়সওয়াল। প্রতিপক্ষ পেস ও স্পিন দুটিই এই তরুণ সামলেছেন অসামান্য দক্ষতায়। রক্ষণ ও আক্রমণের মিশেলে কাউকেই সুবিধা করতে দেননি। জেমস অ্যান্ডারসনের একটি ওভারে পরপর তিন বলে তার স্কোর ছিল ৬,৪,৪ - যা বলে দিচ্ছে কতোটা নিয়ন্ত্রণ ছিল তার ব্যাটিংয়ে।
আরও পড়ুন: সকালে জয়সওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরির পর, বুমরাহ’র ৬ উইকেট
টম হার্টলিকে ছক্কা মেরে ফিফটি করা জয়সওয়াল ব্যাট করে যান আপন গতিতে। তুলনামূলক ধীরলয়ের ব্যাটিংয়ে জুটি জমাতে সাহায্য করেন গিল। জুটির শতক ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিতেও পা রাখেন জয়সওয়াল।
প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়া মার্ক উডকে বাউন্ডারি মেরে শতক পূর্ণ করেন জয়সওয়াল, যা সিরিজে তার দ্বিতীয়৷ অন্যটি ছিল ডাবল সেঞ্চুরি৷ এই ইনিংসেও যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে আরেকটি বড় ইনিংসও অসম্ভব মনে হচ্ছিল না।
তবে সেঞ্চুরির একটু পরই পিঠে ব্যথা অনুভব করায় শেষ পর্যন্ত রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন জয়সওয়াল, তার আগে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় করেন ১০৩ রান।
শেষ বেলায় রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন রজত পাতিদার। দিনের বাকি অংশে আর বিপদ বাড়তে দেননি গিল (৬৫*) ও নাইটওয়াচম্যান কুলদীপ (৩*)।
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে