১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২:০৬ এম
এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচকে ছাপিয়ে শুধু একটা্ আলাপ…পাকিস্তানের পেস ত্রয়ীর চোখে চোখ রেখে খেলে যাবেন এমন ব্যাটসম্যান কই? বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া আফ্রিদি, রউফ, নাসিমে টগবগে আত্মবিশ্বাসী ক্যাপ্টেন বাবর আজম। প্রতিপক্ষ মনে করিয়ে দিলেন, কিছুটা চাপে রাখার চেস্টা করলেন কেমন করে ২২ গজে আগুন ঝড়ায় পাক পেসাররা।
দুর্বার গতি আর নিখুঁত সুইং। এশিয়া কাপের তিন ম্যাচেই প্রতিপক্ষের ২৩টা উইকেট ভাগ বাটোয়ারা করেছেন এই তিনে। এই পেস ব্যাটারির সামনে ভারতের টপ অর্ডার বরাবরই খাবি খায়। সেই অপারগতার দেয়াল এশিয়া কাপের এ আসরেও ভাঙ্গতে পারেনি রোহিত, কোহলিরা। এক শাহিন শাহই যেন পন করে নামেন এই উইকেটগুলো তার চাই ই চাই। আর অসহায়ের মতো শাহিনের খায়েস মেটানো ছাড়া নিরুপায় ওয়ার্ল্ড ক্লাস ভারতীয় টপ অর্ডার।
আরও পড়ুন: রোহিত নাকি বাবর, শেষ হাসি কার?
মাদার অফ অল ব্যাটলের আগে বাবরের এমন হুঙ্কার বা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার চেস্টা যে শুধুই কথার কথা বা বাড়াবাড়ি রকমের আত্মবিশ্বাস নয় সেটার প্রমাণ ক্ষোদ শুভমান গিল। পাকিস্তানের আগুনে গতির তিন ফাস্ট বোলারকে খেলতে কতখানি চাপ সেটা রাখঢাক না রেখেই জানিয়েছেন হালের সেনসেশান ব্যাটসম্যান।
যে কোন ইভেন্টে পাকিস্তানের সাথে ভারতের ট্র্যাক রেকর্ড বরাবরই ভাল। সেখানে টিম ইন্ডিয়ার ট্রাম কার্ড মূলত বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানরাই। এখন হিসেব আলাদা। ম্যাচে নামতেই বাইশ গজের প্রতিটা মুহূর্ত যেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ পাকিস্তানের বোলারদের কাছে। ক্ষেপাটে, পাগলাটে ম্যাচের শুরু থেকেই।
মাত্র ২৯ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ার। এরই মধ্যে শুভমানকে নিয়ে হইহই রইরই ক্রিকেট দুনিয়ায়। কিন্তু মারকুটে এই ব্যাটারসম্যানও চলতি এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দেখায় কিছুই করতে পারেননি। ৩২ বলে ১০ রান। আর ক ঘন্টা বাদেই আবারো আফ্রিদি, রউফ,নাসিমদের বিরুদ্ধে নামতে হবে গিলদের। এর আগে শুভমান স্বীকার করে নিলেন পাক পেস ত্রয়ীকে সামলানো বড়ই চাপের।
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৫:১৮ পিএম
নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সফল পেসারদের একজন তিনি। টেস্টে দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীও টিম সাউদি। তবে মেঘে মেঘে তো বেলা কম হলো না। বয়স হচ্ছে, ধার কমছে বোলিংয়ে। তাই লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। বিদায় বেলায় তার আক্ষেপ, বড্ড মিস করবেন সেরা ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটকে, যা তাকে উপহার দিয়েছেন দুর্দান্ত কিছু ম্যাচ, স্পেল ও মুহূর্তের।
এক বছরের ব্যবধানে সাদা বলের দুটি বিশ্বকাপ খেলা এবং ভারতে ঐতিহাসিক ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়ের পরই এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর জন্য সঠিক সময় বলে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন সাউদি। আর এই কারণেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে এই ফরম্যাটে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন ডানহাতি এই পেসার।
টেস্ট ক্রিকেটের কোন দিকটি বিশেষ করে মিস করবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে সাউদি অনেকটাই আবেগি হয়ে গেলেন যেন।
“আমি সবকিছুই মিস করতে যাচ্ছি। টেস্ট ক্রিকেটের মত কিছুই হয় না। আমি মনে করি, প্রথম দিনে মাঠে নামার যে প্রাণশক্তি, এটা এমন একটা অনুভূতি যা আমি অবশ্যই মিস করব। যারা টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে, শুধু তারাই বুঝতে পারবে যে ড্রেসিংরুমের আবহে প্রথম দিনের প্রাণশক্তি বলতে আমি ঠিক কী বোঝাতে চাইছি। সব কিছু নিয়েই একটা অনিশ্চয়তায় থাকা, অপেক্ষা করার ব্যাপারটাই আলাদা। এমন অনেক কিছুই আছে যা আপনি মিস করবেন। তবে সবকিছুরই একটা শেষ থাকে। দেশের হয়ে ১০৪টি টেস্ট খেলতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আশা করি আরও কয়েকটা খেলতে পারব।”
সাউদি আরও বলেছেন, তিনি ভারত সফরের সময়ই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। এরপর কোচ গ্যারি স্টেডের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তার শেষ তিনটি টেস্ট হবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজ। ভারতকে সিরিজ হারানোর পর ইংলিশদের বিপক্ষেও সিরিজ জিততে পারলে নিউজিল্যান্ডের সামনে সুযোগ থাকবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইলালে খেলার। আর সেখানে কিউইরা জায়গা করে নিলে সাউদি সেখানে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই নেপিয়ারে ২০০৮ সালে সাউদির টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। ওই ম্যাচে দল হারলেও তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। বল হাতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৯ ছক্কায় খেলেন মাত্র ৪০ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।
টেস্টে ১৯৭ ইনিংসে ২৯.৮৮ গড়ে ৩৮৫টি উইকেট নিয়েছেন সাউদি। পাঁচ উইকেট ইনিংসে ১৫ বার। আর ম্যাচে দশ উইকেট একবার।
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান । ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল রিজওয়ানের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রানে থামে তারা।
বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচটি নেমে আসে ৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। পুরোদমে ঝড়ো ইনিংস চলছিল দলটার। তবে ৩ ওভারের মাঝেই ২ ওপেনারকে ফেরান হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
এরপর কাজের কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ১৯ বলে খেলেন ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে সঙ্গ মার্কাস স্টোইনিস। ৭ বলে করেন ২১। ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডে ওঠে ৯৩ রান।
৪২ বলে ৯৪ রানের লক্ষ্যটা পাকিস্তানের জন্য হয়ে পড়ে কঠিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রিজওয়ানরা পড়েন আরো চাপে। পাকিস্তানের ইনিংসে হাসিবুল্লাহ খানের ১২, আব্বাস আফ্রিদির ২০ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ১১ ছাড়া বাকি সবার রান এক অঙ্কের ঘরে।
৭ ওভারেই ৯ উইকেট হারিয়ে দল থামে ৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি উইকেট নেন দুই পেসার জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ টি ও স্পেন্সার জনসন নেন ১ টি উইকেট।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
২৯ রানের এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া: ৯৪/৪ (৭); (গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৩(১৯), মার্কাস স্টয়নিস ২১(৭)
আব্বাস আফ্রিদি ২/৯, হারিস রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৬৪/৯ (৭); আব্বাস আফ্রিদি ২০*(১০), হাসিবউল্লাহ খান ১২(৮)
নাথান অ্যালিস ৩/৯, জাভিয়ের বার্টলেট ৩/১৩
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
২০ দিন আগে