১২ জুলাই ২০২৫, ৯:২৫ পিএম
একটি চোট কীভাবে ভাগ্য বদলে দিতে পারে, সেটা এই মুহূর্তে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনের চেয়ে ভালো আর কেইবা বলতে পারবেন! গত মৌসুমে চোট পাওয়ার আগে যিনি ছিলেন বার্সেলোনার প্রথম গোলকিপার, সেই তাকেই কিনা এখন ক্লাব তিন নম্বর গোলরক্ষক হিসেবে বিবেচনা করছে! বিস্ময়ের ব্যাপার হল, এটা জেনেও বার্সেলোনা ছাড়ার চিন্তা নেই এই জার্মানের!
সম্প্রতি এস্পানিয়ল থেকে হুয়ান গার্সিয়ার আগমনের পর টের স্টেগেনের বার্সেলোনায় ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যায়। সাথে যোগ হয় ওয়েজেসিয়েচ সেজনির ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন।
আরও পড়ুন
দেম্বেলের হাতেই ব্যালন ডি’অর দেখতে চান বেল |
![]() |
ফলে এটা প্রায় নিশ্চিত যে, আগামী মৌসুমে টের স্টেগেনকে ব্যাকআপ হিসেবেও দেখছে না বার্সেলোনা। বিষয়টি নিয়ে জার্মান এই গোলকিপার নাকি ইতোমধ্যেই হ্যান্সি ফ্লিকের সঙ্গে দেখা করেছেন, খবর কোপে-এর। আর সেখানে তাকে জানানো হয়েছে যে, তিনি এখন আর দলে এক নম্বর গোলরক্ষক নন, এমনকি দ্বিতীয় পছন্দও নন।
ফলে জোর পাচ্ছে টের স্টেগেনের ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার গুজব। তবে স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কার সহকারী সম্পাদক হুয়ান ইগনাসিও গার্সিয়া-ওচোয়া দাবি করছেন, অভিজ্ঞ এই গোলকিপার কোথাও যাচ্ছেন না।
তার মতে, টের স্টেগেন এখনও বিশ্বাস করেন যে, তিনি আবার মূল গোলকিপার হবেন। আর তিনি কেবল তখনই ক্লাব ছাড়বেন, যখন বার্সেলোনা তার চুক্তি বাতিল করবে, যা আবার এই মুহূর্তে একেবারেই সম্ভব নয়। কারণ বার্সেলোনার আর্থিক অবস্থা ভালো নয়।
আরও পড়ুন
অবিশ্বাস্য গরমে খেলে ‘মাথা ঘুরছিল’ এনজোর |
![]() |
উল্লেখ্য, গত মৌসুমের শুরুর দিকে এসিএল চোটের শিকার হয়ে ছিটকে যান টের স্টেগেন। তার জায়গায় অস্থায়ীভাবে ক্লাবে যোগ দিয়ে বাজিমাত করেন সেজনি, জেতেন ঘরোয়া ট্রেবল। চোট কাটিয়ে ফেরার পরও তাই বড় ম্যাচে বেঞ্চেই থাকতে হয়েছে টের স্টেগেনকে।
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২০ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে
টানা খেলার মাঝে বিশ্রাম নিয়ে ফিফার সাথে বৈঠকে জয় হল ফুটবলারদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করা বিশ্বব্যাপী খেলোয়াড় ইউনিয়নগুলোর। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও খেলোয়াড় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে নিউইয়র্কে হওয়া বৈঠকে ফুটবলারদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মৌসুম শেষের পর বাধ্যতামূলক বিশ্রামের মত গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত বিষয়টি।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব মৌসুমে শেষের পর গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় ৩২ দল নিয়ে নতুন ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্তে ফিফার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা হয়। সেই প্রেক্ষিতে ফিফা ও খেলোয়াড় ইউনিয়নগুলোর মধ্যে শনিবারের আলোচনায় ঐকমত্য হন এই মর্মে যে, খেলোয়াড়দের সুরক্ষায় কিছু বাধ্যতামূলক নিয়ম প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন
জোড়া গোলে এমএলএসে মেসির নতুন রেকর্ড |
![]() |
বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – প্রতিটি ম্যাচের মাঝে কমপক্ষে তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার বিরতি দিতে হবে, প্রতি মৌসুম শেষের পর খেলোয়াড়দের অন্তত তিন সপ্তাহ ২১ দিনের পূর্ণ বিশ্রাম দিতে হবে এবং সপ্তাহে একদিন সম্পূর্ণ বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখতে হবে (শর্তসাপেক্ষে)।
২০২৪ সালের জুনে ফিফপ্রো (বিশ্ব খেলোয়াড় ইউনিয়ন), ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের খেলোয়াড় ইউনিয়ন মিলে ফিফার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মামলা করে, যেখানে তাদের অভিযোগ ছিল, ফিফা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে ফুটবলের প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করেছেন। সেখানে কারণ হিসেবে দেখানো হয়, খেলোয়াড়দের সাথে কোনো পরামর্শ না করেই ফিফাত বিশ্বকাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপের সময়সূচি ঠিক করার দিকটি।
এরপর চলমান ক্লাব কাপের ঠিক আগে ফিফপ্রো দাবি জানায়, প্রতি মৌসুম শেষে খেলোয়াড়দের অবশ্যই চার সপ্তাহের বাধ্যতামূলক বিশ্রাম দিতে হবে। সবশেষ ইউনিয়নগুলোর সাথে আলোচনার পর ফিফা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ফুটবলের পঞ্জিকাবর্ষের মধ্যে একটা ভারসাম্য আনা দরকার। তাছাড়া ভবিষ্যতে খেলোয়াড়-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে ফিফার কাউন্সিল মিটিংয়ে খেলোয়াড় ইউনিয়নগুলোর প্রতিনিধি রাখার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ফিফা।
মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) লিওনেল মেসির মাঠে নামা মানেই যেন নতুন রেকর্ডের মঞ্চ। গত শনিবার নাশভিল এসসির বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির জয়ের ম্যাচে জোড়া গোল করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা, যা ছিল টানা পাঁচ ম্যাচে তার দুই বা তার বেশি গোলের রেকর্ড।
মেসির যাদুতে নাশভিলকে ২-১ ব্যবধানে জেতে মায়ামি, যা ছিল তাদের লিগে টানা পঞ্চম জয়। ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি ১৬ ম্যাচে ১৬ গোল করেছেন যা নাশভিলের স্যাম সারিজের সঙ্গে যৌথভাবে এবার এমএলএসে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন
তৃতীয় গোলকিপার হয়েও বার্সেলোনায় থাকতে চান টের স্টেগেন! |
![]() |
১৭তম মিনিটে বাঁ-পায়ের নিচু শটে দারুণ ফ্রি-কিক থেকে জাল খুঁজে নেন মেসি। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৬৯তম ফ্রি-কিক গোল, আর মায়ামির জার্সিতে ষষ্ঠ। এরপর ৬২তম মিনিট ভুল পাস থেকে বল কেড়ে নিয়ে নাশভিল গোলকিপারকে কাটিয়ে ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের জয়সূচক গোলটি করেন মেসি।
এর আগে বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা টানা ছয় ম্যাচে দুই বা তার বেশি গোল করেছিলেন সেই ২০১২ সালে, বার্সেলোনার হয়ে। মায়ামির হয়ে সেই রেকর্ড স্পর্শ করার খুব কাছাকাছি এখন তিনি। আর সব মিলিয়ে এমএলএসে টানা ছয় ম্যাচে গোল করেছেন মেসি। গত মৌসুমে রেকর্ড গড়েছিলেন টানা ৭ ম্যাচ গোলের।
এই জয়ের পর মেসির দল এখন ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন ও সিনসিনাতির চেয়ে ৫ পয়েন্ট পেছনে আছে। তবে তাদের হাতে রয়েছে তিনটি বাড়তি ম্যাচ, যা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
চলতি মৌসুমে পিএসজির দুর্দান্ত পথচলায় সবাই কমবেশি অবদান রাখলেও উসমান দেম্বেলেই আছেন পাদপ্রদীপের আলোয়। ক্যারিয়ার সেরা মৌসুমে দলের ট্রেবল জয়ের পর ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনায় সবচেয়ে উজ্জ্বল যে তিনিই। আর এই কারণেই সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা গ্যারেথ বেল মনে করেন, ব্যালন ডি’অর দেম্বেলেরই পাওয়া উচিত এবার।
বার্সেলোনায় মাঝে প্রায় হারিয়ে যেতে বসা দেম্বেলে ২০২৪-২৫ মৌসুমে যেন উড়ছেন। পিএসজির লিগ ওয়ান, লিগ কাপ, কোপা দ্য ফ্রাঁস ও বহু প্রতীক্ষিত প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতায় সামনে থেকে রেখেছেন অবদান। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে যাওয়ার ক্ষেত্রেও রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ৫৩ ম্যাচে করেছেন ৩৫ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট।
আরও পড়ুন
অবিশ্বাস্য গরমে খেলে ‘মাথা ঘুরছিল’ এনজোর |
![]() |
ইএসপিএনের এক অনুষ্ঠানে সম্ভাব্য ব্যালন ডি’অর জয়ী হিসেবে তাই দেম্বেলেকেই এগিয়ে রেখেছেন বেল।
“আমি মনে করি সেই লড়াইয়ে এগিয়ে আছে। এখানে আরেকটা ব্যাপার হলো, তার দল কী জিতেছে, সেটাও কিন্তু দেখতে হবে। লোকেরা অনেক সময় শুধু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়েই মেতে থাকে, কিন্তু আপনি যফি ট্রফিও জিততে পারেন… বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ঘরোয়া ট্রেবল, সাথে তারা যদি ক্লাব বিশ্বকাপও জেতে, তাহলে আমি তো দেম্বেলে ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাচ্ছি না।”
শুধু বেলই নন, অনেকেই এবার ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইয়ে দেম্বেলের ধারেকাছেও কাউকে দেখছেন না। লুইস এনরিকের কোচিংয়ে বদলে যাওয়া এই ফরাসি ফরোয়ার্ড নিজেকে এই মৌসুমে মেলে ধরছেন নতুন করে। পিএসজির এই দলের কান্ডারিও বলা যায় তাকে। আক্রমণভাগে তার উপস্থিতি প্রতিপক্ষকে ফেলে দিচ্ছে বাড়তি চিন্তায়।
আরও পড়ুন
‘তারকা নয়, দলগত পারফরম্যান্সই পিএসজির শক্তি’ |
![]() |
সব মিলিয়ে বেলের কাছে তাই দেম্বেলেই ফেভারিট।
“সে শুধু ব্যক্তিগত নৈপুণ্যই দেখায়নি, দলকে শিরোপাও এনে দিয়েছে। তাই আমার মতে ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে অন্যদের চেয়ে সে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে আছে।”
তীব্র গরমের মধ্যে খেলা চলার কারণে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এবার চেলসির মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার আবহাওয়াকে ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন। আর্জেন্টাইন তারকা এও বলেছেন, গরমে তার মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার দশা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপের ভেন্যুতে মাত্রাতিরিক্ত গরম নিয়ে অনেক খেলোয়াড় ও কোচই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিছু ম্যাচ চলাকালীন তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যায়। তেমনই এক ভেন্যু মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলার সময় তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই ম্যাচে এক পর্যায়ে মাঠেই শুয়ে পড়তে বাধ্য হন এনজো।
আরও পড়ুন
‘তারকা নয়, দলগত পারফরম্যান্সই পিএসজির শক্তি’ |
![]() |
পিএসজির বিপক্ষে ফাইনালের আগে প্রতিকূল আবহাওয়াতে খেলা নিয়ে চিন্তার কথা বলেন এনজো।
“সত্যি কথা বলতে কী, এখানে গরমটা অবিশ্বাস্য। খেলতে গিয়ে একটা সময়ে আমার মাথা ঘুরে যাচ্ছিল। আমি মাঠেই শুয়ে পড়ি, কারণ অনেক ক্লান্ত লাগছিল। এই তাপমাত্রায় খেলা খুবই বিপজ্জনক। আর এটা শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই নয়, দর্শকদের জন্যও। এমন হলে খেলাটার গতি থাকে না, মজা চলে যায়, খেলা ধীরগতির হয়ে যায়।”
সম্প্রতি গ্লোবাল খেলোয়াড় ইউনিয়ন ফিফপ্রো জানিয়েছে, ক্লাব বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচের সময় তাদের স্কেলে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল, যা ফুটবল ম্যাচের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত। অন্যদিকে ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গারও স্বীকার করেছেন, অতিরিক্ত গরম খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সকেও প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন
রিয়ালে সফল হবেন আলোনসো, মনে করেন বেল |
![]() |
উল্লেখ্য, ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে এই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে জুন-জুলাই মাসে, যখন তিন দেশেই গ্রীষ্মের তীব্র গরম থাকবে। সেই চিন্তা থেকে ফিফা চিন্তা করছে আটলান্টা, ডালাস, লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টনের মতো ছাদযুক্ত স্টেডিয়ামে কিছু ম্যাচ আয়োজনের কথা।
আর এনজোর মতে, বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যু বদল না হলে খেলোয়াড়দের শারীরিক ঝুঁকি অনেক বাড়বে।
“আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, কিন্তু আমাদেরও শরীর আছে। গরমের মধ্যে দৌড়ানো, ছোটাছুটি করা, খেলাটাকে উপভোগ করা… যাই বলুন, সবই কঠিন হয়ে যায়। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে তাই বিষয়টা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।”
তারকার হাট বসিয়েও মৌসুমের পর মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই। সেই পিএসজিই কিনা গত মৌসুম থেকে সাদামাটা একটি দল নিয়েও হয়ে গেছে ইউরোপ সেরা, হাতছানি এখন ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়া ‘কোয়াড্রপল’ জেতার। কোচ লুইস এনরিকে মনে করেন, দল হিসেবে খেলাটাই তাদের মূল শক্তির জায়গা।
২০২৪-২৫ মৌসুমে ট্রেবল জেতা পিএসজি নিজেদেফ ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মাত্র এক মাস বাদে এখন চলে গেছে আরেকটি শিরোপার মঞ্চে। এবারই প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপ খেলা দলটি ফাইনালে চেলসিকে হারাতে পারলে চার বছরের জন্য হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্লাবও। অথচ এমন পারফরম্যান্স করা একটি দল কিনা মেসি-নেইমার-এমবাপেদের নিয়েও পারেনি ঘরোয়া লিগের বাইরে তেমন কিছু করতে।
আরও পড়ুন
গোলবন্যায় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু বাংলাদেশের |
![]() |
চেলসির বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে পিএসজি কোচ জানালেন, তারকা নির্ভর না থাকাটাই তাদের এগিয়ে রেখেছে।
“আমি নিজেও কোনো তারকা নই। আমি শুধু আমার কাজটাকেই ভালোবাসি, বিশেষ করে যখন কঠিন সময় আসে। জয়ী হলে সেটা তো অবশ্যই ভালো লাগে, কারণ আমরা যখন জিতে যাই, আমাদের সমর্থকদের মুখে সেটা হাসি ফোটায়। তবে সমালোচনার সময়গুলোতে আমি নিজেকে আরও দৃঢ়ভাবে গড়ে তুলতে পেরেছি।”
আধুনিক কোচদের মধ্যে অন্যতম সেরা এনরিকে পিএসজির আগে ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়েও স্বাদ পান ট্রেবল জয়ের। তবে সেই দলে ছিলেন মেসি-নেইমাররা। সেই তুলনায় এই পিএসজি দলে তারকা বলতে আছেন দেম্বেলে-হাকিমিরা।
এই মৌসুমকে তাই বার্সেলোনা অধ্যায়ের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন এনরিকে।
“হয়তো এটাই আমার ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম হতে যাচ্ছে। তবে এখনো একটা ফাইনাল বাকি আছে। সেটা জেতার পরই বলা যাবে যে আমরা ঠিক কতটা সফল।”
আরও পড়ুন
রিয়ালে সফল হবেন আলোনসো, মনে করেন বেল |
![]() |
তারকা খেলোয়াদের বিদায়ের পর এনরিকে পিএসজি দল গড়েছেন একঝাঁক উদ্যমী ও দলের প্রতি নিবেদিত ফুটবলারদের নিয়ে। সাফল্যের কারণ হিসেবে সেটাকেই সামনে আনলেন তিনি।
“আমরা এমন একটা দল হতে চাই, যেখানে ১১ জন নয়, ১৩ বা ১৫ জন তারকা থাকতে পারে। কিন্তু সেই তারকারা খেলবে দলের জন্য। দল হিসেবেই আমাদের জ্বলে উঠতে হবে।”