রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগেও খ্যাতি পেয়েছিলেন, তবে সেটা কোনোভাবেই ছিল না কিংবদন্তি সমতুল্য। স্প্যানিশ ক্লাবে শুরুটাও ছিল মলিন। তবে লুকা মদ্রিচ যখন রিয়াল ছাড়ার ঘোষণা দিলেন, তখন তিনি কেবল ক্লাবেরই নন, হয়ে গেছেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদেরই একজন। ক্রোয়াট তারকা যে এমন সম্মানের প্রাপ্য, সেটা ফুটে উঠেছে তার সাবেক কোচ জিনেদিন জিদান ও দুই সতীর্থ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও কিলিয়ান এমবাপের স্তুতিতে।
২০১২ সালে জোসে মরিনিয়োর ইচ্ছায় যখন টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়ালে আসেন মদ্রিচ, তখন মিডফিল্ডে ছিলেন সেরা ছন্দের মেসুত ওজিল, কাকা, জাবি আলোনসো, সামি খেদিরারা। তবে সময়ের সাথে সাথে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করার পাশাপাশি রিয়ালের মাঝমাঠের কাণ্ডারি হয়ে ওঠেন তিনি। বলা যায়, গত এক যুগে রিয়ালের মিডফিল্ড ইঞ্জিন ছিলেন মদ্রিচই। এই মৌসুম শেষে ক্লাবটি ছাড়ার আগে তাই নামের পাশে রয়েছে সফল এক ক্যারিয়ার।
কোচ হিসেবে মদ্রিচকে খুব কাছ থেকে জিদান নিজেও ইতিহাসের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন। একবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলারকে তিনি জানিয়েছেন বিশেষ প্রশংসাই।
“আমি যখন কোচ হিসেবে কাজ শুরু করলাম, তখন দেখলাম নম্বর ১০ খুব একটা আকর্ষণীয় নয়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, এই জার্সির একটা ভার আছে। তাই আমি ড্রেসিংরুমে সবার কাছে জানতে চাইলাম, ১০ নম্বর জার্সি সেই পেতে পারে, যাকে তোমাদের কাছে মনে হয় যে সে ভুল করতে পারে না, কঠিন মুহূর্তে তোমরা যাকে পাস দিতে চাও। কথা শেষ করার পর দেখলাম সবাই মদ্রিচের দিকে তাকিয়ে আছে। ধন্যবাদ আর শুভকামনা লুকিতা!”
মদ্রিচের রিয়ালের আগমনের একদম প্রথম দিন থেকেই তাকে দেখেছেন রোনালদো। একসাথে দুজনে জিতেছে অসংখ্য শিরোপা। পর্তুগাল তারকার অনেক গোলে সরাসরি অবদান ছিল মদ্রিচের। সাবেক সতীর্থকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আল নাসর ফরোয়ার্ডও।
“সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ, লুকিতা। এই ক্লাবের হয়ে তোমার সাথে খেলা, দুর্দান্ত সব মুহূর্ত ভাগাভাগি করাটা আমার জন্য সম্মানজনক ছিল। আগামী দিনের জন্য তোমার প্রতি শুভকামনা রইল।”
জিদান ও রোনালদোর তুলনায় মদ্রিচের সাথে এক ক্লাবে কম সময়ই পার করেছেন এমবাপে। গত মৌসুমে তিনি যখন রিয়ালে নাম লেখান, তখন আলোচনায় ছিল জার্সি নম্বর ১০, যা তার পছন্দের। তবে স্প্যানিশ ক্লাবটিতে অনেক আগে থেকেই যে এটি মদ্রিচের দখলে। তাই এমবাপে খেলছেন ৯ নম্বর জার্সিতে। তবে এসব ছাপিয়ে স্রেফ এক মৌসুমেই তিনিও মুগ্ধ হয়েছেন কাছ থেকে প্রতিভাবান এই মিডফিল্ডারকে দেখে।
মদ্রিদকে নিয়ে তাই বড় এক পোস্টই করেছেন ফরাসি তারকা।
“এই মৌসুমে তোমার সাথে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়া ছিল আমার জন্য সত্যিকারের এক সৌভাগ্যের ব্যাপার। ‘গ্রেটনেস’ কাকে বলে, সেটা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। মদ্রিচ কেবল সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজনই নন, তিনি অসাধারণ মানসিকতার একজন মানুষও। তিনি বিশ্বের সেরা ক্লাবে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইতিহাস রচনা করেছেন এবং সম্ভাব্য সবকিছু অর্জন করেছেন। তবে তিনি আরও একটি মূল্যবান জিনিস অর্জন করেছেন, তা হল পুরো বিশ্বের সম্মান ও প্রশংসা। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ কিংবদন্তি।”
রিয়ালের জার্সিতে ৫৯০টি ম্যাচ খেলেছেন মদ্রিচ। জিতেছেন মোট ২৮টি শিরোপা, যার মধ্যে রয়েছে ৬টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৪টি লা লিগা। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ের রেকর্ড তারই। আগামী শনিবার রিয়ালের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলবেন মাঝমাঠের এই শিল্পী।
২ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৯ এম
১ আগস্ট ২০২৫, ১:০৪ পিএম
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে লিওনেল মেসির সাথে খেলার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে রদ্রিগো দে পলের। একসাথে জিতেছেন বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকার শিরোপা। এরপরও ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের সাথে আরও বেশি বেশি খেলার তাগিদ অনুভব করেছেন অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার। আর এই কারণেই মেসিকে অনুসরণ করে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন বলেই স্বীকারোক্তি দে পলের।
৩১ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন তারকা আতলেতিকো মাদ্রিদ ছেড়ে সম্প্রতি মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন ধারের চুক্তিতে। দুই বছর আগে থেকেই এই ক্লাবটিতে খেলছেন মেসি, যার যাথে দে পলের রয়েছে দারুণ বন্ধুত্ব। জাতীয় দলে খেলার সময় মাঠে ও মাঠের বাইরে সব জায়গায় দুজনকে একসাথেই দেখা যায় বেশি।
শুক্রবার মায়ামিতে নিজের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দে পল অকপটেই জানালেন, মেসির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
“জাতীয় দলে খেলার জন্য যখনই আমরা একসাথে হই, প্রতিটি মুহূর্ত অসাধারণ কাটে। কিন্তু সেটা খুব অল্প সময়েই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু আমি সবসময় চেয়েছি সেরাদের সাথেই নিয়মিত একসাথে খেলতে, আর সেরা খেলোয়াড় তো এখানেই খেলে।”
ইউরোপিয়ান লিগে লম্বা সময় ধরে খেলা দে পল গত মৌসুমেও আতলেতিকোর হয়ে খেলেছেন বেশ ভালো। এরপরও করেছেন ঠিকানা বদল। মায়ামিতে তার চুক্তি আপাতত ২০২৫ এমএলএস মৌসুম পর্যন্ত ধারে। তবে চুক্তিতে তাকে স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে দলটির সামনে, যা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়তে পারে।
মূলত মেসি মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দে পল নজর রাখছিলেন এমএলএসে। নিজের ব্যস্ত সূচির মাঝেও সুযোগ পেলে ম্যাচ দেখতেন। আর সেখান থেকে আগ্রহ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। “ইউরোপের সেরা লিগগুলোতে খেলার অভিজ্ঞতা আমার জন্য দারুণ ছিল। তবে আমি নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নিতে চেয়েছি, আর চেয়েছি নতুন কিছু শিখতে। এমএলএস এখন উন্নতির পথে রয়েছে, আর আমি এই পথচলার অংশ হতে চাই।”
দে পল ইতোমধ্যেই মায়ামিতে নিজের অভিষেক সেরে ফেলেছেন। গত বুধবার লিগস কাপে আতলাসের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পাওয়া ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি।
তিনি ক্লাব ছাড়তে পারেন, অন্তত এই সময়ে, এমন কোনো গুঞ্জন ছিল না। তবে চমকের জন্ম দিয়েই টটেনহ্যাম হটস্পার ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ক্লাবটির অধিনায়ক সন হিউং-মিন। এই গ্রীষ্মেই ইংলিশ ঠিকানা বদল করবেন বলে নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ান তারকা, যা বলতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি।
শনিবার (২৯ জুলাই) সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে সন টটেনহ্যামের সাথে দীর্ঘ ১০ বছরের সম্পর্ক শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৫ সালে জার্মানির লেভারকুসেন থেকে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিতে যোগ দিয়ে সময়ের পরিক্রমায় তিনি হয়ে গেছেন ক্লাব কিংবদন্তি।
আর তাই স্পার্স-দের ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর সংবাদ সম্মেলন মোটেও সহজ হয়নি ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের জন্য।
“আমি এই গ্রীষ্মেই ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বলার অপেক্ষা রাখে না এটাই আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি। একটা ক্লাবে ১০ বছর থাকা, প্রতিদিন নিজের সেরাটা দেওয়া অনেক বড় ব্যাপার। আমার কাছে মনে হয় এই সময়ে আমি শতভাগ উজাড় করে দিতে পেরেছি। এই ক্লাবে আমি শুধু একজন খেলোয়াড় হয়েই থাকিনি, মানুষ হিসেবেও এখানে অনেক কিছু শিখেছি। আমি কৃতজ্ঞ হৃদয়েই বিদায় নিচ্ছি।”
সনের সঙ্গে টটেনন্যামের চুক্তি রয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। তবে চুক্তি নবায়ন না করায় তার আগেই ক্লাব ছাড়ছেন সন। যদিও পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি তিনি, তবে সেটা প্রিমিয়ার লিগ বা ইউরোপের কোনো ক্লাব হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত কমই। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি তার সাথে যোগাযোগ করেছে।
টটেনহ্যামের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সন ক্লাবটির হয়ে ৪৫৪ ম্যাচে ১৭৩ গোল করেছেন। ১৭ বছর পর দলটির প্রথম শিরোপা জেতায় অবদান রেখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ইউরোপা লিগ জয়ে। ব্যক্তিগত অর্জনের মধ্যে রয়েছে ২০২১-২২ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুট জয়।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী রোববার সিউলে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রাক-মৌসুম ম্যাচে সন শেষবারের মতো টটেনহ্যামের জার্সি গায়ে দিতে পারেন সন।
নতুন মৌসুমে লা লিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে দেওয়ার আবেদনে ব্যর্থই হল রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ায় অতিরিক্ত বিশ্রামের আবেদন করেছিল ক্লাবটি, যা খারিজ করে দিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)।
এর ফলে রিয়ালকে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই শুরু করতে হবে নতুন মৌসুম। ১৯ আগস্ট ঘরের মাঠে ওসাসুনার বিপক্ষে মাঠে নামবে লস ব্লাঙ্কোসরা।
স্পেনের স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইউরোপা প্রেস জানিয়েছে, আরএফইএফের একক বিচারককের মতে লিগ সূচিতে কোনো পরিবর্তন আনার একমাত্র যুক্তি হতে পারে ‘ফোর্স মেজর’ বা অপ্রতিরোধ্য পরিস্থিতি যা এড়ানো অসম্ভব। তবে সূচি বদলে রিয়ালের করা আবেদন এমন কোনো পরিস্থিতির আওতায় পড়ে না।
উল্লেখ্য, জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেয় রিয়াল, যেখানে ৯ জুলাই সেমিফাইনালে তাদের পথচলা থামে পিএসজির কাছে হেরে। এরপরই জাবি আলোনসোর দল বাড়তি আরও কিছুদিন বিশ্রাম ও প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির সুযোগ চেয়ে আবেদন করে, যেখানে বলা হয় যেন লা লিগার সূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
নিজেদের আবেদনের স্বপক্ষে রিয়াল দাবি করেছিল, তাদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ ক্লাব ওসাসুনাও এই সূচি পেছানোর ব্যাপারে সম্মত। তবে আরএফইএফ জানায়, ওসাসুনার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অন্যদিকে ক্লাব বিশ্বকাপ চলাকালীন ও টুর্নামেন্ট শেষে রিয়ালের সূচি পেছানোর আবেদনের কড়া সমালোচনা করেন হাভিয়ের তেবাস। লা লিগা সভাপতি বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। এও বলেন, ক্লাব বিশ্বকাপ খেলে রিয়াল যা আয় করেছে, সেই তুলনায় একটু কম বিশ্রাম পাওয়া খুব বড় সমস্যা হওয়ার কথা না।
প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের আনন্দ উদযাপনে পিএসজি সমর্থকরা মেতে উঠেছিলেন বাধভাঙ্গা উল্লাসে। তবে সেটা বেশ কিছু জায়গায় সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় সমর্থকদের অশোভন আচরণের দায়ে ফরাসি ক্লাবটিকে বিশাল জরিমানাই দিয়েছে ইউয়েফা। প্রায় দেড় লাখ ইউরোর জরিমানা দিতে হবে পিএসজিকে।
গত মে মাসের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে পিএসজি। এই ম্যাচ চলাকালে কিছু পিএসজি সমর্থক 'ইউয়েফা মাফিয়া' লেখা একটি ব্যানার ও এর পাশে শূকরের ছবিও প্রদর্শন করেন। এর মাধ্যমে তারা ইউয়েফার কার্যক্রমকেই মূলত কটাক্ষ করেন। এখানে চমক জাগানিয়া ব্যাপার হল, ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের প্রেসিডেন্ট নাসের আল-খেলাইফি নিজেই আবার ইউয়েফার নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং এই মূহুর্তে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টও।
সেই ফাইনালে নানা ঘটনা বিশ্লেষণ করে ইউয়েফার ডিসিপ্লিনারি প্যানেল ছয়টি ভিন্ন অভিযোগে পিএসজির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল : ইউয়েফার প্রতি অশালীন বার্তা পরিবেশন, ইউয়েফাকে অসম্মান করা, সমর্থকদের মাঠে ঢুকে পড়া, আতশবাজি ফাটানো ও ঘাস তুলে নেওয়ার মাধ্যমে মাঠের ক্ষতিসাধন।
শাস্তি হিসেবে মাঠে ঢুকে পড়া ও আতশবাজি ফাটানোর জন্য ১ লাখ ইউরো, ‘ইউয়েফা মাফিয়া’ লেখা ব্যানার প্রদর্শনের জন্য ১০ হাজার ইউরো, মাঠের ক্ষতিসাধনের জন্য ৮ হাজার ইউরো সহ মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে পিএসজিকে।
শুধু জরিমানাই নয়, পিএসজির সমর্থকদের জন্য একটি অ্যাওয়ে ম্যাচে টিকিট বিক্রির নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে। তবে সেটা আগামী দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।
এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে দলকে জয় উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তাঁর দুই অ্যাসিস্টে মেক্সিকান ক্লাব অ্যাটলাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। আর এই জয়ে লিগস কাপে পথচলা শুরু হল যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির। সবচে বড় কথা জুলাই জুড়ে নিজের অসাধারণ ফর্ম অব্যাহত রাখলেন মেসি। মেজর লিগ সকারে এ মাসে তিনি করেছেন ৮ গোল, পাঁচটি অ্যাসিষ্ট, যেকারণে ইতিমধ্যে মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে মেসির হাতে। এখন উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ৩৬ ক্লাবের এই প্রতিযোগিতায় জয়ে মৌসুম শুরু হল মায়ামির।
ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন গোল হয়নি! ম্যাচের প্রথম গোলটি হয় ৫৮ মিনিটে। সেগোভিয়ারের করা গোলে এসিস্ট করেছিলেন মেসিই। ৮২ মিনিটে লোজানোর গোলে সমতায় ফেরে অ্যাটলাস। ইনজুরি সময়ে মেসির পাস থেকে গোল করে জয় এনে দেন মার্সেলো ভিগান্ট। যদিও অফসাইডের পতাকা উঠেছিল, তবে ভিএআরে বৈধ বলে বিবেচিত হয় গোলটি!
শেষ মূর্হুর্তে জয়সূচক গোল পাওয়ার পর মেসির সাথে আনন্দে মেতে ওঠেন প্রথমবার খেলতে নামা রদ্রিগো ডি পল। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ডি পল গত সপ্তাহে মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন। মেসি ও ডি পল একসাথে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন ৬২ ম্যাচ।
এই ম্যাচে দারুণ কিছু সেভ করেন মায়ামি গোলরক্ষক রিওস নোভো। লুইস সুয়ারেজের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
লিগস কাপে অদ্ভূত এক নিয়ম আছে, কোন ম্যাচই ড্র হতে পারবে না। ড্র ম্যাচের নিস্পত্তি হবে টাইব্রেকারে। এখানে মেজর লিগ সকারের ক্লাব ৩ টি ম্যাচ খেলবে মেক্সিকোর লিগা এমএক্স’র তিনটি দলের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচের পর গ্রুপ পর্বে আরও দু’টি ম্যাচ বাকি থাকলো ইন্টার মায়ামির।
১০ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে