ব্র্যান্ডন নাকাশিমাকে হারিয়ে জাপান ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠেছেন কার্লোস আলকারাজ। জাপানের টোকিওতে আজ টেনিসের বিশ্বের নম্বর ওয়ান তারকার কাছে ৬-২ ও ৬-৪ সেটে পরাজিত হয়েছেন এই আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড়। আগামী সোমবার ফাইনালের টিকিটের লড়াইয়ে নরওয়েজিয়ান ক্যাসপার রুদের মুখোমুখি হবেন আলকারাজ।
আরও পড়ুন
‘সিনারের উচ্চারণ হিটলারের মতো’, গানের লিরিক নিয়ে তোলপাড় |
![]() |
জাপান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েছিলেন আলকারাজ। শেষ চারের পথে নিজেকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, তাতে প্রথমের ভয় অনেকটাই উবে গেছে। ম্যাচ শেষে সেটাই জানালেন বিশ্বের নম্বর ওয়ান টেনিস তারকা।
আলকারাজ বলেছেন,
“মিথ্যা বলব না, আমি মনে করি আজ অবিশ্বাস্য খেলেছি। আমি অনুভব করছিলাম যে কোর্টে আমি সবকিছু করতে পারব, প্রতিটি শট খেলতে পারব।”
আরও পড়ুন
সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে দেশ ছাড়া জোকোভিচ |
![]() |
অথচ গত সপ্তাহেও নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন আলকারাজ। ইনজুরি নিয়ে বলেছিলেন,
“সত্যি বলতে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যখন আমি ইনজুরিতে পড়ি, আমি খুবই খারাপ অনুভব করেছিলাম।”
সম্প্রতি ইয়ানিক সিনারকে হারিয়ে নিজের দ্বিতীয় ইউএস ওপেন জেতেন আলকারাজ। জাপান ওপেনেও সেই ধারাকে ধরে রেখেছেন ২২ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তারকা।
No posts available.
থামার সময় বোধহয় চলেই এল। বয়স আর চোটের সঙ্গে লড়াই করে কেবল মনের জোরেই টিকে আছেন। তবে আর কত? এ বছরের সবক’টি গ্র্যান্ড স্ল্যামে তারুণের্য কাছে হার মানতে হয়েছে। এবার তো চোটর্জজর নোভাক জোবোভিচকে হারিয়ে ইতিহাসেই নাম লিখলেন ফরাসি ভ্যালেন্টিন ভাশারো।
সাংহাই মাস্টার্সের সেমিফাইনালে আজ জোবোভিচকে ৩-৬, ৪-৬ সেটে হারিয়েছেন ভ্যালেন্টিন ভাশারো। র্যাঙ্কিংয়ে ২০৪ নম্বরে থাকা এই খেলোয়াড় ইতিহাসের সর্বোনিম্ন র্যাঙ্কিংয়ে থেকে এটিপি মাস্টার্স ১০০০ ফাইনালে উঠলেন।
ফাইনালে ২৬ বছর বয়সী ভাশারোর প্রতিপক্ষ হতে পারে তাঁর চাচাতো ভাই আর্থার রিন্ডারনেক অথবা রাশানা দানিল মেদভেদেভ।
জোকোভিচকে হারিয়ে একেবারে বাকরুদ্ধই হয়ে যান ভাশারো। রেকর্ড ২৪বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর বিপক্ষে জয় পেয়ে মনে হচ্ছিল বুঝি স্বপ্ন দেখছেন তিনি। জয়ের পর আবেগঘন কণ্ঠে ফরাসি খেলোয়াড় বলেন,
‘শরীরে চিমটি কেটে দেখতে ইচ্ছে করছে—এটা কি সত্যি? কোর্টের অপর পাশে নোভাক জোকোভিচের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া—এটা আমার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এই মুহূর্তে কত রকমের অনুভূতি যে কাজ করছে!’
পুরো টুর্নামেন্টেই ইনজুরির সঙ্গে লড়ছিলেন জোকোভিচ। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে আগের ম্যাচগুলোতে বমিও করতে দেখা গেছে সার্বিয়ান কিংবদন্তিকে। সেমিফাইনালেও পুরনো সমস্যা ফিরে আসে। একাধিকবার চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী জোকোকে।
তবুও শরীরের সঙ্গে লড়াই করে দ্বিতীয় সেট পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে যান জোকোভিচ। দ্বিতীয় সেটে দর্শকদের আশার আলো দেখিয়ে জোকোভিচ ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়েও যান। মনে হচ্ছিল হয়তো নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ফিরছেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেখান থেকেই ভাশারো টানা তিনটি গেম জিতে ম্যাচটা নিজের করে নেন।
ম্যাচ শেষে ভাশারোকে প্রশংসায় ভাসান জোকোভিচ।
‘আমি ভ্যালেন্টিনকে অভিনন্দন জানাই—তার প্রথম মাস্টার্স ফাইনালে উঠাটা একটা দারুণ গল্প। কোয়ালিফায়ার থেকে উঠে এসে এতদূর আসাটা বিস্ময়কর। আমি তাকে নেটের কাছে বলেছি, তার মানসিকতা ও খেলার ধরণ অসাধারণ ছিল। আজকের ম্যাচটা ওর প্রাপ্য ছিল। আমি ওকে ফাইনালের জন্য শুভকামনা জানাই।”
দুর্দান্ত এই জয়ের পর প্রথমবারের মতো বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ১০০-র মধ্যে প্রবেশ করবেন ভাশারো। কোয়ার্টার ফাইনালে হোলগার রুনেকে হারানোর পর থেকেই এই অর্জনের পথ খুলে যায়। আর সাংহাই মাস্টার্সে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে লাইভ র্যাঙ্কিংয়ে এক লাফে ১৪৬ ধাপ এগিয়ে এখন উঠে এসেছেন ৫৮ নম্বরে।
একটু পরিশ্রম হয়েছে, এই যা। তা না হয় স্টেডিয়ামে আগত দশর্কদের অজানা ছিল না আরিনা সাবালেঙ্কার ভোজবাজি। প্রতিপক্ষে হয়তো একটু বাজিয়ে দেখবেন, নিজেও নেবেন লম্বা একটা দম-এরপরই তো দেখাবেন আসল খেল।
উহান ওপেনে আজ সেটাই হয়েছিল। যদিও ম্যাচ প্রথম সেট থেকেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন ২০২৫ গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী বেলারুশ নন্দিনী। রেবেকা শ্রামকোভাবকে ৪-৬, ৬-৩, ৬-১ ব্যবধানে পরাজিত করে প্রতিযোগীতার তৃতীয় রাউন্ডে ওঠেছেন টেনিসের নম্বর ওয়ান তারকা সাবালেঙ্কা।
এ জয়ে টুর্নামেন্টে টানা ১৮ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়লেন সাবালেঙ্কা। ২০১৮ সাল থেকে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচে পরাজিত হননি তিনি। উহান ওপেনের ইতিহাসে সাবালেঙ্কা এখন পর্যন্ত তিনটি শিরোপা জিতেছেন।
সাবালেঙ্কার পরবর্তী প্রতিপক্ষ হিসেবে লিউডমিলা সামসোনোভা। তার আগে আজ গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানতাম লম্বা বিরতির পর রিদমে ফেরাটা এতটা সহজ হবে না। আনন্দিত যে দ্বিতীয় সেটেই আমি নিজেকে ফিরে পেয়েছি। সত্যিকার অর্থে আমি সেরাটা উপহার দিয়েছি।’
প্রতিপক্ষ রেবেকাকে নিয়ে তার মন্তব্য, ‘ও (রেবেকা) অবিশ্বাস্য খেলেছে। বিশেষ করে প্রথম সেটে। এর চেয়ে (৪-৬) আমি ভিালো রেজাল্ট করতে পারতাম না আমি।’
উহান ওপেনে তিন বারের চ্যাম্পিয়ন সাবালেঙ্কা। যখন বেলারুশ নন্দিনীকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘উহানের কন্যা’ উপাধি পাওয়ায় কেমন লাগে’, জবাবে তিনি বলেন- ‘‘প্রথমে আমাকে বলা হতো ‘চায়নার কন্যা’, তারপর ‘ফ্রাইড রাইসের রানী’— কারণ আমি এই খাবারটা খুব পছন্দ করি।’’
সাবালেঙ্কা যোগ করেন, “এরপর আমি (চীনের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বরে থাকা)ঝেং চিনওয়েনের সঙ্গে কথা বলি, ওরা আসলে আমাকে বলে ‘বাঘিনী’। এতসব ডাকনাম যে, গুনে রাখা মুশকিল!”
বেইজিং ওপেনের ফাইনালে উঠলেন ইয়ানিক সিনার। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ডি মিনরকে ৬-৩, ৪-৬, ৬-২ সেটে হারিয়েছেন বিশ্বের দুই নম্বর টেনিস তারকা । প্রায় আড়াই ঘণ্টার লড়াই শেষে ফাইনাল নিশ্চিত করলেন তিনি। ডি মিনরের বিপক্ষে এটি ছিল সিনারের ১১তম ম্যাচ। পূর্বের মতো এবারও জয় নিয়ে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখলেন তিনি। পুরো ম্যাচে ১২টি ব্রেক পয়েন্টের মধ্যে ১১টিই বাঁচান সিনার, ৭টির মধ্যে ৩টিতে ব্রেক জিতে নেন এই তারকা।
প্রথম সেটে ছয় নম্বর গেমে ব্রেক নিয়ে ৪-২ এগিয়ে যান সিনার। সপ্তম গেমে দুটি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচিয়ে ৫-৩ এ লিড নেন এবং শেষ পর্যন্ত সেট জেতেন ৬-৩ গেমে। দ্বিতীয় সেটে লড়াই জমে ওঠে। কয়েকবার সুযোগ পেলেও ব্রেক নিতে ব্যর্থ হন সিনার। শেষ পর্যন্ত ৬-৪ গেমে সেট জিতে নেন ডি মিনর। ফলে ম্যাচ গড়ায় তৃতীয় সেটে। শেষ সেটে শুরু থেকেই দাপট দেখান সিনার। প্রথম গেমে ব্রেকের পর টানা ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬-২ গেমে জয় নিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেন এই ইতালিয়ান তারকা।
শিরোপার লড়াইয়ে সিনারের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ লেয়ারনেন টিয়েন অথবা দানিয়েল মেদভেদেভ।
বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজ জাপান ওপেনের ফাইনালে পৌঁছে গেলেন। সেমিফাইনালে আজ দারুণ প্রত্যাবর্তনে ক্যাসপার রুডকে ৩-৬, ৬-৩, ৬-৪ সেটে জয় পেয়েছেন স্প্যানিশ তারকা।
প্রথম সেটে ক্যাসপার রুড দুর্দান্ত দৃঢ়তায় আলকারাজকে পরাস্ত করেন। তবে দ্বিতীয় সেটেই আলকারাজ দেখিয়ে দেন কেন তিনি বিশ্বের নাম্বার ওয়ান। প্রথম সেটে হারের ধাক্কা সামলে ছয়বারের গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী আলকারাজ পরের সেটে সহজেই জয় পান।
তৃতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন রুড। তবে স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রেখে শেষ পর্যন্ত ৬-৪ গেমে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেন আলকারাজ। ফাইনালে আগামীকাল সাবেক টোকিও চ্যাম্পিয়ন টেলর ফ্রিটজের মুখোমুখি হবেন ২২ বছর বয়সী টেনিস তারকা।
আরও পড়ুন
বহুমুখী সমস্যায় টিটির এসএ গেমসের ক্যাম্প |
![]() |
ম্যাচ শেষে প্রথম সেটে অনেক সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার কথা বলেন আলকারাজ, ‘প্রথম সেটে আমার অনেক সুযোগ ছিল। যদি ভুল না করে থাকি তবে আমার চারটি ব্রেক পয়েন্ট ছিল। আসলে বিষয়টা ছোট ছোট বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তাই আমি প্রথম সেটের চেয়ে বেশি ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি। আমি নিজের ওপর একটু বিরক্ত ছিলাম, তাই আবার আনন্দ নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি এবং ইতিবাচক চিন্তা করতে শুরু করি।’
এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে আমেরিকাব নাকাশিমাকে ৬-২, ৬-৪ সেটে উড়িয়ে সেমি নিশ্চিত করেন আলকারাজ। অবশ্য টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডেই চোটে পড়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে এসে এবার শিরোপা জেতা থেকে মাত্র এক কদম দূরে আছেন এই স্প্যানিশ।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৪তম আসর। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া ফেডারেশনগুলোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। রেসে কিছুটা পিছিয়ে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস (টিটি) ফেডারেশন।
২২ জন খেলোয়াড় নিয়ে চলছে টিটির এসএ গেমসের ক্যাম্প। সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে অক্টোবর মাসে তিন প্রতিযোগিতায় খেলবে টিটির খেলোয়াড়েরা, যার অন্যতম ইউথ এশিয়ান গেমস।
নভেম্বরে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস ছাড়াও আছে ফেডারেশন কাপ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন লিগ। পরের মাসে সিনিয়র ও জুনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ফেডারেশন। জানুয়ারিতে পাকিস্তান যাবে ৮ সদস্যের নারী ও পুরুষ টিটি দল।
আরও পড়ুন
নিজেই নিজের প্রশংসা করলেন আলকারাজ |
![]() |
গত ৩ আগস্ট ২৫ বছর বয়সি থাইল্যান্ডের প্যাটারাথ্রোর্ন পাসারাকে হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় ফেডারেশন। যদিও নারী দলের অন্যতম খেলোয়াড় সোনাম সুলতানা সোমার ক্যারিয়ার প্রায় দুই দশকের। নারী-পুরুষ মিলিয়ে অনেক খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারই এই থাই কোচের বয়সের কাছাকাছি।
২৫ বছর বয়সি কোচের অধীনে দুই মাসের মতো প্রাকটিস করেছেন টিটির ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়েরা। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের মতে তার চেয়ে আরও ভাল কোচ আনা যেতো। কথা ছিল, দুই মাস পর সন্তোষজনক হলে থাইল্যান্ডের কোচের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে টিটি ফেডারেশন। তবে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়ছেন পাসারা।
থাই কোচ যাওয়ার পর নতুন কোচ কবে আসবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সনেট জানিয়েছেন কিছু পরিকল্পনার কথা। ভারত থেকে কাউকে আনার কথা বলা হলেও কবে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি। কোচ নিয়ে সমস্যা সহসা কাটছে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
‘সিনারের উচ্চারণ হিটলারের মতো’, গানের লিরিক নিয়ে তোলপাড় |
![]() |
সমস্যা আছে খেলোয়াড়দের খাবার নিয়েও। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে বাজেট আছে এসএ গেমসের জন্য। খেলোয়াড়দের খাবারের জন্য প্রতিদিন তারা দিচ্ছে ৭৫০ টাকা; সেই সঙ্গে ৩৫০ টাকা দৈনিক পকেট মানি। তবে ক্যাম্পের খেলোয়াড়েরা পাচ্ছেন ৫০০ টাকা করে মাত্র।
বাকি ৬০০ টাকা ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স বাবদ কাটা হয় বলেই ফেডারেশন থেকে খেলোয়াড়দের নাকি জানানো হয়। যদিও এই বাবদ কাটার কথা ২৫ শতাংশ করে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্যা,
'সাপ্লিমেন্ট এবং কিছু নাস্তা বাবদ বাকি টাকা খরচ হয়। ওই খরচের পর বাড়তি কোনো টাকা থাকে না।'
প্রশ্ন থাকছে— তিন বেলা প্রধান মিলের চেয়ে কি তবে নাস্তা ও সাপ্লিমেন্টের খরচ বেশি?
আরও পড়ুন
সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে দেশ ছাড়া জোকোভিচ |
![]() |
ফেডারেশন থেকে টাকা না দিয়ে শুরুর দিকে এনএসসির ক্যান্টিন থেকে খাবার আনা হতো। খাবারের মান ততটা ভাল না হওয়ায় তাতে আপত্তি জানান খেলোয়াড়েরাই। পরে প্রত্যেককে টাকা দেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫০০ টাকা দিয়ে হোটেল থেকে তিন বেলার খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন কেউ কেউ। এতে খেলোয়াড়দের পুষ্টির বিষয়টিও অবহেলিত থাকছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
টিটির প্রাকটিস চলছে পল্টনের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ উডেন ফ্লোর ইনডোরে। সেখানে পুরাতন সমস্যা আবহাওয়া। দীর্ঘদিন ধরে এসি বিকল। অনুশীলনে যে কারণে সমস্যায় ভোগেন টিটির খেলোয়াড়েরা। জানা যায় আগস্টের তীব্র গরমে আবহাওয়ার দিকে তাকিয়ে করতে হতো অনুশীলন। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকত তবেই হতো অনুশীলন।
এসি নিয়ে গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট কাপের খেলাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়েরা এগিয়ে আসায় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন
ফেদেরারের রেকর্ড ভাঙতে প্রস্তুত ‘ভয়ঙ্কর’ আলকারাজ |
![]() |
উডেন ফ্লোরের এসি বিকল নিয়ে নিউজ হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। শনিবার কথা হয় টিটির তারকা খেলোয়াড় সোনাম সুলতানা সোমার সঙ্গে। তিনি বলেন,
'এমন আবহাওয়ায় সত্যি প্রাকটিস করা কঠিন। আগে তো তাও জিমনেশিয়ামে ভেন্টিলেটর ছিল। এখন এসিও নেই, নেই ভেন্টিলেটর। এসির ব্যবস্থা না করলেও অন্তত ভেন্টিলেটর করে দেওয়া হোক।'
ক্যাম্পে থাকা টিটির খেলোয়াড় সামান্তা তুশী বলেন, 'অনেক গরম। প্রাকটিস করতে কষ্ট হয়। শরীরে এনার্জি থাকে না। তারপরও চেষ্টা করছি মানিয়ে নেওয়ার।' মেয়েদের জাতীয় র্যাঙ্কিংয়ে চারে থাকা তুশী ইতিহাস বিষয়ে পড়াশোনা করছেন ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ে। এছাড়া আনসার-ভিডিপিতে চুক্তিভিত্তিক খেলেন তিনি। পাশাপাশি বাচ্চাদের টিটি খেলা শেখানোর নেশা তুশীর। তা থেকে আহামরি কোনো আয় না হলেও খেলার প্রতি ভালবাসা থেকেই এটি করেন বলে জানান।
আরও পড়ুন
ব্লকবাস্টার ফাইনালে সিনারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ |
![]() |
আবার প্রফেশনালি চাকরি করেন টিটির আরেক তারকা খেলোয়াড় জাভেদ আহমেদ। ২০১৩ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলছেন, খেলার পাশাপাশি এখন চাকরি করছেন। ক্যাম্পের দুই সেশন অনুশীলনের মধ্যে সকালে আসেন, তবে বিকেলে আসতে পারেন না চাকরির কারণে। তিন চার মাসের এই ক্যাম্পের জন্য চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি সময় দিতে পারছেন না। শনিবার টি-স্পোর্টসকে বলেন,
'আমাদের দিক থেকেও বলব কমতি আছে। ক্যাম্পটা গোছানো থাকলে ভালো হতো। মনে করি জাতীয় দলের শুধু ৮জনকে নিয়ে আলাদা ফোকাস করা উচিত।'
জাভেদরা সব সামলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের প্রতি যেন ফোকাস নেই সংশ্লিষ্টদের। সেই আক্ষেপও লুকাননি,
'প্রচন্ড গরম এখানে। টেবিল টেনিসকে ভালবাসি বলেই খেলি। এখানে তো পাওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেটের মতো আর্থিক দিক দিয়ে পাওয়ার কিছু নেই। তারপরও এই গরম সহ্য করে খেলছি।'
আরও পড়ুন
এই সিনারই টেনিস ছেড়ে দেওয়ার কথা দেন মা-বাবাকে |
![]() |
উডেন ফ্লোর জিমনেশিয়ামের এসি নতুন করে সাজাতে এনএসসির কাছে বাজেট চেয়ে চিঠি দিয়েছে টিটি ফেডারেশন।
বিষয়টি নিয়ে রোববার কথা হয় এনএসসির নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে। এসি বিকলের বিষয়ে তিনি শিগগির পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান,
'আমার কাছে মনে হয় না একসঙ্গে এতগুলো এসি নষ্ট হতে পারে। একেকটির একেকরকম ত্রুটি থাকতে পারে। হয়ত রিপেয়ার করলে ঠিক হয়ে যাবে। এটা আমার মাথায় আছে।'