বছরের শেষটা খুব একটা মন্দ হয়নি, লা লিগা বিরতিতে যাওয়ার আগে রিয়াল মাদ্রিদের প্রেক্ষিতে এমনটা বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। আর প্রেক্ষাপটে যদি বার্সেলোনার তুলনা আনা হয়, তাহলে তো কথাই নেই! বার্সেলোনা যেখানে সাত ম্যাচে সর্বহারা হয়ে নেমে গেছে পয়েন্ট টেবিলের তিনে, সেখানে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আতলেতিকোর পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র এক, দুই দল খেলেছেও একটি করে ম্যাচ কম। কিন্তু নতুন বছর ২০২৫ এ পা রাখার আগ মুহূর্তে আবার ঘুরে ফিরে আসছে পুরোনো আলাপ–শীতে নতুন কোনো মুখ আসবে কী?
আগের মৌসুমে পুরো বছরজুড়ে জোড়াতালি দিয়ে ব্যাকলাইন সাজিয়েছিলেন আনচেলত্তি। ছিলেন না কোর্তোয়া, মিলিতাও, আলাবার কেউই। ভিনিসিয়ুস ভুগেছেন একটা লম্বা সময়ের ইনজুরিতে। তারপরও লা লিগা, সুপারকোপা আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা কেউ আটকাতে পারেনি। এবারের ক্যাম্পেইনের গল্পটা ভিন্ন। টনি ক্রুস অবসর নেওয়ায় সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের হোল্ডিং রোলটাতে কাউকে সাইন করায়নি মাদ্রিদ বোর্ড। তার ওপর উলটো আবার এসিএল ইনজুরিতে পড়েছেন মিলিতাও, এসিএল ইনজুরিতে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে চমৎকার এক মৌসুম কাটানো দানি কারভাহালেরও। চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় ম্যাচে তিন হার, লিগে বার্সার কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার আর বিলবাওর কাছে নতি স্বীকার–এসব ঘটনার পর আনচেলত্তি যেমন চাপ বোধ করেছেন, তেমনি মাদ্রিদের ইনজুরিপ্রবণ স্কোয়াডে নতুন সাইনিং ভেড়ানোর ব্যাপারে একটা তোরজোড় শোনা গেছে। কিন্তু স্প্যানিশ গণমাধ্যম এএস জানাচ্ছে, মাদ্রিদ ভক্তরা শীতকালে নতুন কোনো সাইনিংয়ের ব্যাপারে আশা করে বসে থাকলে বরং হতাশই হবেন।
আরও পড়ুন
রিয়ালের হয়ে শিরোপা জেতা সবচেয়ে সহজ কাজ: আনচেলত্তি |
মাদ্রিদ সবশেষ শীতকালের দলবদলে ভিড়িয়েছিল ব্রাহিম দিয়াজকে, সেটা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ এর জানুয়ারিতে সেটা ছয় বছরের পুরোনো ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে। শীতের সময়ে ট্রান্সফার মার্কেট বোঝাটাও কঠিন, তাই দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের কথা ভেবে মাদ্রিদের সর্বেসর্বা ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ নতুন সাইনিংয়ের ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখাননি। এবারও একের পর এক ইনজুরির ভিড়ে দলবদলে সক্রিয় হওয়ার গুঞ্জন উঠলে তিনিই সাফ জানিয়ে দেন, জানুয়ারিতে নতুন কোনো মুখ দেখা যাবে না মাদ্রিদ শিবিরে।
তবে এর পেছনে যৌক্তিক কারণও আছে রিয়াল মাদ্রিদের। ডেভিড আলাবার সেরে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং স্প্যানিশ গণমাধ্যম রেলেভোর ভাষ্যনুযায়ী, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই পূর্ণ দমে ম্যাচ খেলতে পারবেন তিনি। মাদ্রিদের জন্য তাদের ব্যাকলাইনে অবশ্য বড় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে এসেছেন তাদের কাসতিয়া গ্র্যাজুয়েট রাউল আসেনসিও। তার উপস্থিতি, ইমপ্যাক্ট বিচার করে জানুয়ারিতে নতুন কোনো সেন্টার ব্যাকের দিকে ঝোঁকার ইচ্ছা নেই লস মেরেঙ্গেসদের, জানাচ্ছে এএস। তাছাড়াও আলফনসো ডেভিসকে পরবর্তী মৌসুমের গ্রীষ্ম থেকে পাওয়ার ব্যাপারে মাদ্রিদের আশার পারদ অনেক তুঙ্গে। বোর্ডের ধারণা, মাদ্রিদকে দেওয়া ‘জেন্টলম্যানস এগ্রিমেন্ট’ রক্ষা করবেন তিনি।
মাদ্রিদের এখন সকল মনোযোগ তাই পরবর্তী মৌসুম, অর্থাৎ ২০২৫-২৬ এর গ্রীষ্মের ট্রান্সফার উইন্ডোকে ঘিরে। এবং সেখানে মাদ্রিদের চিন্তা, ধ্যান ধারণা দুটো পজিশন ঘিরে। একজন নতুন রাইট ব্যাক ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার সাইন করানো।
নতুন রাইট ব্যাক রোলে এক ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার আরনল্ডকে ছাড়া আর কারো কথা ভাবতে পারছে না মাদ্রিদ বোর্ড। ২৬ বছর বয়সী এই লিভারপুল রাইট ব্যাককে এরই মধ্যে কয়েকবার নতুন চুক্তি সই করার প্রস্তাব দিয়েছে লিভারপুল, যার সবগুলোই প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রেন্ট। আর জুড বেলিংহামের সঙ্গে ভালো সখ্যতা আছে ট্রেন্টের, সেটাও রিয়ালের জন্য বড় অ্যাডভানটেজ। সবকিছু ঠিক থাকলে অল রেডদের লাল ছেড়ে লস মেরেঙ্গেসদের সাদা কালোতে ট্রেন্টকে দেখাটা অসম্ভব কিছু নয়।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস জাদুতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা রিয়ালের |
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের রোলের জন্য মাদ্রিদের রাডারে আছেন সান সেবাস্তিয়ানের মার্টিন জুবিমেন্দি, যিনি গত গ্রীষ্মেই লিভারপুলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে থেকে গেছেন রিয়াল সোসিয়েদাদে। আছেন পিএসজির পর্তুগিজ তারকা ভিতিনিয়াও, তবে এখনো কারো প্রতি মনস্থির করেনি মাদ্রিদ বোর্ড। আলেইক্স গার্সিয়ার নামও শোনা গেছে কয়েকবার, কিন্তু মিডফিল্ডের ঘাটতি মেটাতে কার দিকে নজর দিবে রিয়াল মাদ্রিদ, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কয়েকদিন, কিংবা মাস
৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৩:৫৭ পিএম
৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২:৪০ পিএম
৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১:৩৩ পিএম
দানি ওলমো ও পাও ভিক্তরকে রেজিস্ট্রেশন করানো নিয়ে রীতিমত নাটক চলছে বার্সেলোনায়। দুইবার আদালতের কাছে আবেদন করেও দুই ফুটবলারকে দলের সাথে রেজিস্টার করতে পারেনি কাতালান ক্লাবটিতে। তাতে অন্য ফুটবলারদের কাছে বার্তাটা ভালো যায়নি বলেই মনে করছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া, বরং কাতালান ক্লাবটিতে আসতে ফুটবলাররা এখন দ্বিতীয়বার ভাববে বলেই দাবি করেছেন তিনি।
বেতন কাঠামোর সামাঞ্জস্য আনতেই মূলত বার্সেলোনা বিপাকে পড়ছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই সমাধানটা করতে হতো তাদের। নাইকির সাথে নতুন চিক্তির সাথে ক্যাম্প ন্যু-তে ভিআইপি বক্সের স্বত্ব বিক্রি করেও সেই হিসেব মিলাতে পারেনি তারা। তাতে বার্সার দেওয়া নথি-পত্র খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
ফলাফল দুর্দান্ত ফর্মে থেকেও মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে ওলমোকে। শৈশবের ক্লাবে ফেরার ছয় মাসের মধ্যে তাই ওলমো দেখছেন রুঢ় বাস্তবতা। সেটা অনুভব করতে পারছেন সতীর্থ রাফিনিয়া। তার এই পরিস্থিতি অন্যদেরও বার্সেলোনায় আসার পথে বাধা তৈরি করতে পারে। স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্যই করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া।
“এটা অন্যদের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে। এটাই বাস্তবতা। এমি মিথ্যা বলতে চাই না, আমার সাথে তা যায় না। তবে সত্যিটা হচ্ছে ফুটবলার হিসেবে আমি ওদের পরিস্থিতি দেখার পর এই ক্লাবে আসতে নিশ্চিতভাবেই দ্বিতীয়বার ভাববে।”
পরিস্থিতি ঘোলাটে হলেও সমাধানটা তাড়াতাড়ি মিলুক সেটাই চাওয়া রাফিনিয়ার, “তাদের জন্য পরিস্থিতিটা কঠিন। ফুটবলার হিসেবে এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা কখনো যায়নি। তারা জানে না খেলতে পারবে নাকি পারবে না। আমরা চাই পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি বদলাক আর তারা আবারও মাঠে ফিরুক।”
অবশ্য রেজিস্টার করতে না পারলেও স্প্যানিশ সুপার কাপে দলের সাথে সৌদি আরবে গেছেন ওলমো ও ভিক্তর। আতলেতিকো বিলবাওয়ের সাথে তাই বুধবারের ম্যাচটা তাদের দেখতে হবে গ্যালারিতে বসেই।
খেলাধূলা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না বিশ্বের সেরা ধনী ইলন মাস্ক। অবশ্য সেটা তার কাজও না। তবে এবার তার বাবা এরল মাস্ক দিয়েছেন ভিন্ন ইঙ্গিত। সরাসরি ক্লাব কেনার দিকেই নজর দিয়েছেন তিনি। তাও সেটা যেন তেন ক্লাব না! তার ছেলে প্রিমিয়ার লিগ জায়ান্ট লিভারপুলকে কিনতে আগ্রহী বলেই মন্তব্য করেছেন এরল মাস্ক।
লিভারপুলের বর্তমান মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের খেলাধুলাভিত্তিক বহুমুখী প্রতিষ্ঠান ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপের কাছে। ২০১০ সালে লিভারপুল কিনে নেয় তারা। তবে গেল কয়েক বছর ক্লাবে বিনিয়োগ কম করায় সমর্থকদের একাংশের ক্ষোভ জন্মেছে। তাই নতুন বিনিয়োগকারী খোঁজে ফেনওয়ে কর্তারা। সেই জের ধরে ইলন মাস্কের বাবার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে লিভারপুল কেনার সুযোগ আসলে তার ছেলে কিনবে কিনা।
আরও পড়ুন
উড়তে থাকা লিভারপুলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে রঙ হারানো ইউনাইটেড? |
যেখানে তিনি উত্তরটা দিয়েছেন ইতিবাচকভাবেই, “আমার এটা নিয়ে মন্তব্য করা উচিত না, তাহলে তারা দাম বাড়িয়ে দিবে। এরপর অবশ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর ছেলে আসলেই লিভারপুল কিনতে চায় কি না? এরলের উত্তরে বলেন, “হ্যাঁ, কেন নয়? তার মানে এই নয় যে সে এটা কিনতে যাচ্ছে। সে কেন কে না তা চাইবে, আমিও চাই।”
এরল একই সাক্ষাৎকারে ব্যখ্যা করেছেন লিভারপুলের প্রতি আগ্রহের কারণ, “ওর নানির জন্ম লিভারপুলে। এছাড়া আমাদের অনেক আত্মীয় আছে সেখানে। আমরা সৌভাগ্যবান যে বিটলসের ( ব্যান্ড সদস্যদের) সঙ্গে ভালো পরিচয় ছিল। ওরা আমাদের পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গেই বড় হয়েছে। তাই লিভারপুলের সঙ্গে আমাদের আগে থেকেই সংযোগটা আছে।”
গেল বছরের ফোর্বাসের তথ্য অনুযায়ী লিভারপুল বিশ্বের চতুর্থ দামি ক্লাব। ক্লাবটির মূল্য ৪.৩ বিলিয়ন পাউন্ডস। যা ইলন মাস্কের সম্পদের মোটে ১ শতাংশ। সব মিলিয়ে বর্তমানে ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ৩৪৩ বিলিয়ন পাউন্ড।
খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের শিরোপাটা উঁচিয়ে ধরার পর কোচ হিসেবেও ফরাসিদের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। আরেকটা বিশ্বকাপে ফ্রান্সের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ইতি টানতে চান জাতীয় দলের অধ্যায়েরও। সেই ঘোষণাটাই দিয়ে দিলেন ফ্রেঞ্চ কোচ দিদেয়ের দেশঁ। ২০২৬ বিশ্বকাপ দিয়ে ছাড়তে যাচ্ছেন ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব।
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডাতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপই যে ফ্রান্সের ডাগআউটে দেশঁর শেষ হতে যাচ্ছে সে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল আগে থেকেই। সম্প্রতি টিএফ১-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেটাই নিশ্চিত করেছেন দেশঁ।
আরও পড়ুন
ত্রিশের আগেই ফুটবলকে বিদায় বললেন জিদানের বড় ছেলে এনজো |
“২০২৬ বিশ্বকাপ শেষে আমি বিদায় নিবো। আমার দিক থেকে আমি এটা নিয়ে পরিষ্কার । সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফ্রান্সকে ধরে রাখতে সবসময়ই সমান প্রত্যাশা ও একাগ্রতা নিয়ে আমি কাজ করে গেছি। আমার মনে হয় ’২৬ বিশ্বকাপ দায়িত্ব ছাড়ার জন্যে একটা ভালো সময় হতে পারে। আজ নয়তো কাল থামতে তো হবেই, এরপরেও জীবনের আরও অনেকটুকু বাকি আছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার ফ্রান্সকে শীর্ষ পর্যায়ে রাখা যেটা তারা অনেক বছর ধরেই আছে।”
২০১২ ইউরোতে ফ্রান্সের ভরাডুবির পর দায়িত্ব নিয়ে দলটাকে বদলে দেন দেশঁ। ২০১৪ বিশ্বকাপে তার দল বাদ পড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে ২০১৬ তে ঘরের মাঠের ইউরোতে দলকে নিয়ে যান ফাইনালে। ২০১৮ বিশ্বকাপের শিরোপাটাও আসে এই দেশঁর অধীনেই। ২০২১ সালে তার কোচিংয়ে ফরাসিরা ঘরে তোলে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা। ফ্রান্সের আধিপত্য চলে ২০২২ বিশ্বকাপেও। কাতারে তারা খেলে ব্যাক টু ব্যাক ফাইনাল। তবে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন ভেস্তে যায় তাদের।
এখন পর্যন্ত দেশঁর অধীনে ফ্রান্স ম্যাচ খেলেছে ১৬৫ টি। যা দেশটির ইতিহাসে কোনো কোচের জন্য সর্বোচ্চ ম্যাচ। সময়ের কিংবা শিরোপা জয়ের দিক থেকেও অন্য সবাইকে পেছনে ফেলেছেন ৫৬ বছর বয়সী দেশঁ। গড়েছেন অনন্য এক রেকর্ডও। তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফুটবলার ও কোচ দুই জায়গা থেকেই বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
অবসরের পর জিদানের সাথে একই দলে খেলার আশায় ক্রুস |
তার বিদায়ে শোনা যাচ্ছে নতুন কোচ হিসেবে ফ্রান্সে নাম লেখাবেন জিনেদিন জিদান। রিয়ালকে টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো জিদান লম্বা সময় ধরেই অপেক্ষায় আছেন জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার। ফরাসি গণমাধ্যমগুলোর দাবি জিদানের স্বপ্ন বাস্তবতায় রূপ নিতে অপেক্ষা করতে হবে আরও বছর দেড়েক।
মরুর বুকে আছেন নেইমার আর মার্কিন মুল্লুকে বন্ধু লিওনেল মেসি। গুগল দেখাচ্ছে দুই দেশের মাঝে ১২,৪৩৭ কিলোমিটারের দুরত্ব। এবার সেটা কমিয়ে আনার ইশারাটা দিলেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। ইঙ্গিত দিলেন এমএসএন (মেসি, সুয়ারেজ, নেইমার) ত্রয়ীর পুনর্মিলনীর। তাতে ফুটবল সমর্থকরা রীতিমত ভাসছে রোমাঞ্চে।
বার্সেলোনায় এই ত্রয়ী একসাথে পেয়েছেন কত সাফল্য। ছড়িয়েছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি। তবে ২০১৭ সালে নেইমার যান পিএসজিতে। তাতে ভাঙে ভয়ংকর এই ত্রয়ী। মাঝে মেসি পিএসজিতে গেলে আবারও মিলন হয় দুই বন্ধুর। তবে ত্রয়ীর পূর্ণতা মেলেনি লুইস সুয়ারেজের অভাবে।
বর্তমানে অবশ্য পাল্টে গেছে চিত্র। মেসি ও সুয়ারেজ একসাথেই খেলছেন এমএলএসে ইন্টার মায়ামির হয়ে। অভাবটা এখন নেইমারের। ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের ঠিকানা এখন আল হিলালে। তবে দূরত্ব ঘুচিয়ে তিনজন আবারও এক সাথে হতে পারেন বলেই সিএনএনের সাথে সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন নেইমার।
আরও পড়ুন
চোটের মাঝেই খুশির খবর পেলেন নেইমার |
“মেসি ও সুয়ারেজের সাথে খেলাটা হবে দারুণ ব্যপার। তারা আমার বন্ধু, নিয়মিতই আমাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়। এটা বেশ আকর্ষণীয় হবে তিনজন আবারও এক সাথে হতে পারলে। আমি আল হিলালে খুশি আছি, তবে ফুটবলে যে কোনো কিছুই হতে পারে।”
২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ছয় মৌসুম পিএসজিতে কাটিয়ে আল নাসরে পাড়ি জমান নেইমার। তখন নেইমারের হাতে সুযোগ ছিল না মায়ামিতে যাওয়ার। একই সাক্ষাৎকারে সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
“আমি যখন পিএসজি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন এমএলএসে দলবদলের সময় শেষ হয়ে গেছে, তাই মায়ামিতে যাওয়ার সুযোগ আমার ছিল না। তবে সৌদি থেকে যেই প্রস্তাব আমাকে দেওয়া হয়েছিল তা বেশ ভালো ছিল, শুধু আমার জন্য না আমার পরিবারের জন্যেও। সব মিলিয়ে তখন সেটাই সেরা প্রস্তাব ছিল আমার জন্য।”
বড় অর্থের বিনিময়ে আল হিলেল যোগ দিলেও ভাগ্য সহায় হয়নি নেইমারের। চোটের সাথে যুদ্ধ করে মাঠের বাইরেই থাকতে হয়েছে বেশিরভাগ সময়। প্রায় দেড় বছর পার হয়ে গেলেও কেবল সাত ম্যাচই আল নাসরের হয়ে খেলতে পেরেছেন নেইমার। এখনো আছেন ফেরার লড়াইয়ে। তবে চোট যতই নেইমারকে চেপে ধরুক, নিজের সেরাটা দিয়ে ফিরে আসতে চান বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেই সাথে স্বপ্ন দেখছেন ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলারও।
আরও পড়ুন
নেইমার সহ ২০২৫ সালে ‘ফ্রি এজেন্ট’ হচ্ছেন যারা |
আর সেটিই হয়তো তাঁর শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। সেটিকে রাঙাতে অসম্ভবকে সম্ভব করতে চান বলেই সিএনএনকে জানিয়েছে নেইমার।
“বিশ্বকাপে দলের সাথে থাকতে চাই। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাবো জাতীয় দলের অংশ হতে। আমি জানি এটা আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। তাই শেষ সুযোগটা কাজে লাগাতে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো আমি।”
নিষেধাজ্ঞা যে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পাবেন তা নিশ্চিতই ছিল। তবে সেটা কয় ম্যাচের জন্য হয় সেদিকেই ছিল নজরটা। গেল শুক্রবার লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপার স্তোল দিমিত্রিয়েভস্কিকে ধাক্কা দিয়ে লাল কার্ড দেখেন ভিনিসিয়ুস। যার শাস্তি হিসেবে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন রিয়াল ফরোয়ার্ড। সেই সাথে গুনতে হচ্ছে জরিমানাও।
মঙ্গলবার ভিনিসিয়ুসকে এ শাস্তি দিয়েছে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)।
নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জরিমানাও গুনতে হচ্ছে ভিনিসিয়ুসকে। তবে জরিমানার পরিমাণটা ভিনিসিয়ুসের চেয়ে রিয়ালেরই বেশি। মাদ্রিদের ক্লাবটিকে জরিমানা করা হয়েছে ৭০০ ইউরো আর ভিনিসিয়ুসের ক্ষেত্রে সেটা ৬০০ ইউরো।
আরও পড়ুন
শীতকালের দলবদলে রিয়াল মাদ্রিদের যত পরিকল্পনা |
রিয়াল সমর্থকরা অবশ্য শঙ্কার সঙ্গেও স্বস্তি পাবেন এটা জেনে যে, ভিনিসিয়ুসের নিষেধাজ্ঞাটা কেবল লিগ ম্যাচের ক্ষেত্রেই রেখেছে আরএফইএফ। তাতে বৃহস্পতিবার রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে মায়ার্কোর সাথে খেলতে বাধা নেই ব্রাজিলিয়ান তারকার। তবে লা লিগায় লাস পালমাস ও রিয়াল ভায়োদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া যাবে না ভিনিকে।
এই শাস্তিতে একদম খুশি নয় রিয়াল। স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে ভিনিসিয়ুসের শাস্তির বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এর আগে লাল কার্ড নিয়ে অসুন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। এটি যে লাল কার্ড ছিল না সেটাই বারবার সংবাদ সম্মেলনে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
অবশ্য নিজের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য ভিনিসিয়ুস ম্যাচ শেষে দুঃখিত হয়েছিলেন সমর্থকদের কাছে। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। শাস্তিটা শেষ পর্যন্ত পেতেই হয়েছে ২৪ বছর বয়সী এই তারকাকে।
আরও পড়ুন
সবচেয়ে বেশি খেলেছেন কুন্দে, তালিকায় আছেন রিয়াল-লিভারপুল ফুটবলারও |
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২২ দিন আগে