বছরের শেষটা খুব একটা মন্দ হয়নি, লা লিগা বিরতিতে যাওয়ার আগে রিয়াল মাদ্রিদের প্রেক্ষিতে এমনটা বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। আর প্রেক্ষাপটে যদি বার্সেলোনার তুলনা আনা হয়, তাহলে তো কথাই নেই! বার্সেলোনা যেখানে সাত ম্যাচে সর্বহারা হয়ে নেমে গেছে পয়েন্ট টেবিলের তিনে, সেখানে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আতলেতিকোর পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র এক, দুই দল খেলেছেও একটি করে ম্যাচ কম। কিন্তু নতুন বছর ২০২৫ এ পা রাখার আগ মুহূর্তে আবার ঘুরে ফিরে আসছে পুরোনো আলাপ–শীতে নতুন কোনো মুখ আসবে কী?
আগের মৌসুমে পুরো বছরজুড়ে জোড়াতালি দিয়ে ব্যাকলাইন সাজিয়েছিলেন আনচেলত্তি। ছিলেন না কোর্তোয়া, মিলিতাও, আলাবার কেউই। ভিনিসিয়ুস ভুগেছেন একটা লম্বা সময়ের ইনজুরিতে। তারপরও লা লিগা, সুপারকোপা আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা কেউ আটকাতে পারেনি। এবারের ক্যাম্পেইনের গল্পটা ভিন্ন। টনি ক্রুস অবসর নেওয়ায় সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের হোল্ডিং রোলটাতে কাউকে সাইন করায়নি মাদ্রিদ বোর্ড। তার ওপর উলটো আবার এসিএল ইনজুরিতে পড়েছেন মিলিতাও, এসিএল ইনজুরিতে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে চমৎকার এক মৌসুম কাটানো দানি কারভাহালেরও। চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় ম্যাচে তিন হার, লিগে বার্সার কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার আর বিলবাওর কাছে নতি স্বীকার–এসব ঘটনার পর আনচেলত্তি যেমন চাপ বোধ করেছেন, তেমনি মাদ্রিদের ইনজুরিপ্রবণ স্কোয়াডে নতুন সাইনিং ভেড়ানোর ব্যাপারে একটা তোরজোড় শোনা গেছে। কিন্তু স্প্যানিশ গণমাধ্যম এএস জানাচ্ছে, মাদ্রিদ ভক্তরা শীতকালে নতুন কোনো সাইনিংয়ের ব্যাপারে আশা করে বসে থাকলে বরং হতাশই হবেন।
আরও পড়ুন
রিয়ালের হয়ে শিরোপা জেতা সবচেয়ে সহজ কাজ: আনচেলত্তি |
![]() |
মাদ্রিদ সবশেষ শীতকালের দলবদলে ভিড়িয়েছিল ব্রাহিম দিয়াজকে, সেটা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ এর জানুয়ারিতে সেটা ছয় বছরের পুরোনো ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে। শীতের সময়ে ট্রান্সফার মার্কেট বোঝাটাও কঠিন, তাই দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের কথা ভেবে মাদ্রিদের সর্বেসর্বা ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ নতুন সাইনিংয়ের ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখাননি। এবারও একের পর এক ইনজুরির ভিড়ে দলবদলে সক্রিয় হওয়ার গুঞ্জন উঠলে তিনিই সাফ জানিয়ে দেন, জানুয়ারিতে নতুন কোনো মুখ দেখা যাবে না মাদ্রিদ শিবিরে।
তবে এর পেছনে যৌক্তিক কারণও আছে রিয়াল মাদ্রিদের। ডেভিড আলাবার সেরে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং স্প্যানিশ গণমাধ্যম রেলেভোর ভাষ্যনুযায়ী, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই পূর্ণ দমে ম্যাচ খেলতে পারবেন তিনি। মাদ্রিদের জন্য তাদের ব্যাকলাইনে অবশ্য বড় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে এসেছেন তাদের কাসতিয়া গ্র্যাজুয়েট রাউল আসেনসিও। তার উপস্থিতি, ইমপ্যাক্ট বিচার করে জানুয়ারিতে নতুন কোনো সেন্টার ব্যাকের দিকে ঝোঁকার ইচ্ছা নেই লস মেরেঙ্গেসদের, জানাচ্ছে এএস। তাছাড়াও আলফনসো ডেভিসকে পরবর্তী মৌসুমের গ্রীষ্ম থেকে পাওয়ার ব্যাপারে মাদ্রিদের আশার পারদ অনেক তুঙ্গে। বোর্ডের ধারণা, মাদ্রিদকে দেওয়া ‘জেন্টলম্যানস এগ্রিমেন্ট’ রক্ষা করবেন তিনি।
মাদ্রিদের এখন সকল মনোযোগ তাই পরবর্তী মৌসুম, অর্থাৎ ২০২৫-২৬ এর গ্রীষ্মের ট্রান্সফার উইন্ডোকে ঘিরে। এবং সেখানে মাদ্রিদের চিন্তা, ধ্যান ধারণা দুটো পজিশন ঘিরে। একজন নতুন রাইট ব্যাক ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার সাইন করানো।
নতুন রাইট ব্যাক রোলে এক ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার আরনল্ডকে ছাড়া আর কারো কথা ভাবতে পারছে না মাদ্রিদ বোর্ড। ২৬ বছর বয়সী এই লিভারপুল রাইট ব্যাককে এরই মধ্যে কয়েকবার নতুন চুক্তি সই করার প্রস্তাব দিয়েছে লিভারপুল, যার সবগুলোই প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রেন্ট। আর জুড বেলিংহামের সঙ্গে ভালো সখ্যতা আছে ট্রেন্টের, সেটাও রিয়ালের জন্য বড় অ্যাডভানটেজ। সবকিছু ঠিক থাকলে অল রেডদের লাল ছেড়ে লস মেরেঙ্গেসদের সাদা কালোতে ট্রেন্টকে দেখাটা অসম্ভব কিছু নয়।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস জাদুতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা রিয়ালের |
![]() |
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের রোলের জন্য মাদ্রিদের রাডারে আছেন সান সেবাস্তিয়ানের মার্টিন জুবিমেন্দি, যিনি গত গ্রীষ্মেই লিভারপুলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে থেকে গেছেন রিয়াল সোসিয়েদাদে। আছেন পিএসজির পর্তুগিজ তারকা ভিতিনিয়াও, তবে এখনো কারো প্রতি মনস্থির করেনি মাদ্রিদ বোর্ড। আলেইক্স গার্সিয়ার নামও শোনা গেছে কয়েকবার, কিন্তু মিডফিল্ডের ঘাটতি মেটাতে কার দিকে নজর দিবে রিয়াল মাদ্রিদ, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কয়েকদিন, কিংবা মাস
১১ জুলাই ২০২৫, ৬:০৩ পিএম
ম্যাচের শুরুতেই দেখা মিলল প্রথম গোলের। সেই শুরু, এরপর থেকে পুরো ম্যাচেই একচেটিয়া আধিপত্য দেখালেন বাংলাদেশের মেয়েরা। হ্যাটট্রিক করে আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দিলেন সাগরিকা, সাথে যোগ দিলেন অন্যরাও। তাতে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় জয়ে দুর্দান্ত সূচনা করলো বাংলাদেশ।
শুক্রবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ৯-১ গোলের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জোড়া গোল করেছেন মুনকি আক্তার, আর একটি করে গোল করেছেন স্বপ্না রানী, শিখা জাহান, রুপা আক্তার ও শান্তি মার্দি।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে এদিন মাঠ ছিল কর্দমাক্ত ও ভারী। তবে এর মধ্যেও গোলের পর গোল করতে মোটেও কষ্ট হয়নি লাল-সবুজ শিবিরের। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ফ্রি-কিক থেকে দৃষ্টিনন্দন গোলে শুরু করেন স্বপ্না রাণী।এর খানিক বাদে ফের গোল। এবার নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি।
আরও পড়ুন
রিয়ালে সফল হবেন আলোনসো, মনে করেন বেল |
![]() |
প্রথমার্ধ জুড়ে আধিপত্য বজায় রেখে একের পর এক আক্রমণ করে যায় বাংলাদেশ। ফলও মিলে যায় তাতে আবার। ৩৭তম মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন সাগরিকা। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে বাংলাদেশের একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।
তবে ম্যাচে এর প্রভাব একেবারেই পড়েনি। বিরতির পর আক্রমণের ধার বেড়ে যাওয় আরঅ। এই অর্ধের শুরুতেই সাগরিকার পাস থেকে বল পেয়ে মুনকি বল জালে পাঠান। ৫০তম মিনিটে শিখা স্কোরলাইন ৫-০ করে ফেলেন। এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুটি দৃষ্টিনন্দন গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাগরিকা। এরপর তাকে তুলে নেন কোচ।
শেষদিকে পিটার বাটলার আরও কয়েকজনকে তুলে নিয়ে বাজিয়ে দেখেন অন্যদের। তাতেও কমেনি আক্রমণের ধার। সেই ধারায় যোগ হয় আরও দুটি গোল। শ্রীলঙ্কা একমাত্র গোলটি আসে ম্যাচের অন্তিম সময়ে।
আরও পড়ুন
গতিসীমা অতিক্রমেই দুর্ঘটনার শিকার জতা, ধারণা পুলিশের |
![]() |
প্রথম ম্যাচেই এমন দাপুটে জয় এই টুর্নামেন্টের গতবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী রোববার স্বাগতিকরা খেলবে নেপালের বিপক্ষে।
সাধারণত নতুন কোচরা ক্লাবগুলোকে নতুন মৌসুমের আগে প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় পান। তবে ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে এক সপ্তাহেরও কম সময় পেয়েছেন জাবি আলোনসো, যেখানে তার দল থেমেছে সেমিফাইনালে। তবে রিয়ালের সাবেক ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল মনে করেন, আলোনসো রিয়ালে বড়সড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন এবং দরকার হলে সেজন্য তিনি বড় তারকাদের বাদ দিতেও পিছপা হবেন না।
জার্মান ক্লাব লেভারকুসেনের দুর্দান্ত সময় কাটিয়ে কোচ হিসেবে শুরুর দিনগুলোতেই আলোচনায় এসেছেন আলোনসো। সেই ধারায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের পর তার হাতে দলের দায়িত্ব দিয়েছে রিয়াল, যেখানে তিনি স্থলাভিষিক্ত হন কার্লো আনচেলত্তি। ক্লাব বিশ্বকাপে এই স্প্যানিশের অধীনে সেরা ফুটবল না খেলা ক্লাবটি সেমিফাইনালে পিএসজির কাছে স্রেফ উড়ে যায়। তারকা খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়েই।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে ক্লপের সমালোচনা উড়িয়ে দিল ফিফা |
![]() |
তবে সম্প্রতি ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেল বলেছেন, আসছে মৌসুমে রিয়াল ভালো করবে।
“জাবির প্রতি খেলোয়াড়দের অনেক সম্মান থাকবে। আর খেলোয়াড়রা তার জন্য লড়বে বলেই আমার বিশ্বাস। আমি একটা বড় পরিবর্তন আশা করছি। তিনি যেভাবে দলকে খেলাতে চান, খেলোয়াড়দের ঠিক সেভাবেই খেলাতে বাধ্য করবেন। আর কেউ যদি সেটা না পারে, তাহলে তাকে বাদ দিতেও জাবি পিছু হটবেন না।”
রিয়াল এরই মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপের আগে দুইটি উল্লেখযোগ্য চুক্তি সম্পন্ন করে, যেখানে রয়েছেন লিভারপুল থেকে রাইট-ব্যাক ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড এবং বোর্নমাউথ থেকে সেন্টার-ব্যাক ডিন হুইজসেন। দুজনই খেলেন ক্লাব বিশ্বকাপে। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়ানো যোগ দেবেন নতুন মৌসুম শুরুর আগে। এছাড়া আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসা বাকি রয়েছে লেফট-ব্যাক আলভারো ক্যারারাসের যোগদানের।
আর তাই কোচ আলোনসোকে নিয়ে বেল শোনান তার আশার কথা।
“লেভারকুসেনে তিনি যেভাবে দল গড়েছিলেন, সেটার দিকে তাকালে বলা যায় যে, রিয়ালে তিনি আরও ভালো কিছু করতে পারবেন। কারণ, এখানে তিনি আরও ভালো ভালো খেলোয়াড় পাচ্ছেন, সম্ভবত তিনি আরও বড় ট্রান্সফার বাজেটও পাবেন।”
ক্লাব বিশ্বকাপে আল হিলালের সাথে ১-১ গোলে ড্র দিয়ে শুরু করা রিয়াল পরে কিছুটা ছন্দ ফিরে পায়। তবে শেষ চারে পিএসজির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। হেরে যায় ৪-০ গোলে, যা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে আলোনসোর কোচিংকে। সাথে ড্রেসিরুমে সমস্যা চলছে, এমন খবরও বাতাসে ভাসছে।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প |
![]() |
আর এখানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন গত মৌসুমে রিয়ালের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার এমবাপে, যাকে নিয়েও বেশ ইতিবাচক রিয়াল গ্রেট বেল।
“সে কিন্তু এখনো গোল করছে, ভালো কিছুই করছে। কিন্তু দল কিছু জিততে পারেনি, আর এটাই সবাই জানে যে, রিয়াল মাদ্রিদে সব কিছু জেতার প্রত্যাশাই থাকে। এটা তার জন্য কঠিন ব্যাপার। কারণ সে মাঠে ভালো পারফর্ম করছে, কিন্তু সেই ‘ম্যাজিকাল মোমেন্ট’টা হয়তো ধরা দিচ্ছে না। এখন কাজটা জাবির, যা হল তাকে দিয়ে সবচেয়ে সেরাটা বের করে আনার।”
মাঠে ও মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় এরই মধ্যে তুমুল সমালোচনার মধ্যে আছে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মত হওয়া ৩২ দলের এই টুর্নামেন্ট নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। তবে এটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার। সাবেক আর্সেনাল কোচের মতে, ক্লাব বিশ্বকাপ একটি দারুণ টুর্নামেন্ট।
ব্যস্ত ক্লাব মৌসুমের পরই এবার দলগুলোকে নেমে পড়তে হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে। নতুন মৌসুমের আগে খেলোয়াড়দের বিশ্রামের দিকটি পড়েছে প্রশ্নের মুখে। সাথে টুর্নামেন্টের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র গরমের মধ্যে খেলা, ঝড়ের কারণে খেলা বন্ধ হওয়া বা দর্শক খরার মত বিষয়গুলো হচ্ছে বেশ আলোচিত। এর প্রেক্ষিতে ক্লপ এক সাক্ষাৎকারে সাম্প্রতিক সময়ে ক্লাব বিশ্বকাপকে ‘সবচেয়ে বাজে ধারণা’ বলে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন
জয় দিয়েই আসর শুরু চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের |
![]() |
এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি ওয়েঙ্গার নিউ ইয়র্কে এক টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের ব্রিফিংয়ে ক্লপের মন্তব্যের জবাব দেন।
“সবারই নিজস্ব মতামত থাকার অধিকার আছে, তবে আমি ইয়ুর্গেন ক্লপের সাথে একমত নই। এমন একটা ক্লাব বিশ্বকাপের প্রয়োজন ছিল। আপনি যদি অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর মধ্যে আজকেই একটা জরিপ চালান, আমি নিশ্চিত তারা সবাই আবারও এই টুর্নামেন্টে খেলতে চাইবে। আর ক্লপের জন্য সবচেয়ে ভালো উত্তর।”
ফিফার বিশ্লেষকেরা ক্লাব বিশ্বকাপের খেলা চলাকালীন তাপমাত্রা ও পারফরম্যান্স নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেখানে দেখা গেছে, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা খেলোয়াড়দের স্প্রিন্ট এবং হাই-ইন্টেনসিটি দৌড়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। খেলোয়াড় ও কোচদের অনেকেই এমন গরমের খেলার নেতিবাচক কথা বলেছেন।
ওয়েঙ্গার অবশ্য ইতিবাচক দিকই দেখছেন।
“কিছু ম্যাচে গরম একটা সমস্যা ছিল। কুলিং ব্রেক, মাঠ ভেজানো – এসব ব্যবস্থা এজন্যই নেওয়া হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।”
২০২৬ বিশ্বকাপের আগে ক্লাব বিশ্বকাপকে একটি প্রস্তুতিমূলক আসর হিসেবেও কাজ করেছে বলে মনে করেন ওয়েঙ্গার। তবে গ্রীষ্মের তীব্র গরমের কারণে কিছু চ্যালেঞ্জ যে এসেছে, সেটাও স্বীকার করছেন তিনি।
“প্রশ্নটা হলো যে, দর্শকরা কী চায়? আমরা অনুমান করেছিলাম, গরমের কারণে দর্শক কম হবে, তবে বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন ছিল।”
আরও পড়ুন
গতিসীমা অতিক্রমেই দুর্ঘটনার শিকার জতা, ধারণা পুলিশের |
![]() |
ওয়েঙ্গার আরও বলেন, ভবিষ্যতে আটলান্টা, ডালাস, লস অ্যাঞ্জেলেস ও হিউস্টনের মতো ছাদ দিয়ে ঢেকে দেওয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ফিফা, যাতে টিভি সম্প্রচারের সময়সূচি বজায় রাখা যায় এবং খেলোয়াড়দের জন্য সহনশীল আবহাওয়াও নিশ্চিত করা যায়।
নিজেরা এখন ইউরোপ সেরা দল। গত মৌসুমে ট্রেবল জয়ী পিএসজি এবারের ক্লাব বিশ্বকাপেও খেলছে দারুণ। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ের তাদের সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচের আগে ফরাসি ক্লাবটির কোচ লুইস এনরিকে প্রতিপক্ষকে দিচ্ছেন প্রাপ্য সম্মান। তার মতে, শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া এবং রিয়ালের সাথে খেলা একটা গর্বের ব্যাপার।
বুধবার রাতে ক্লাব সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে পিএসজি ও রিয়াল, যে ম্যাচটিকে ধরা হচ্ছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ম্যাচ হিসেবে। গত মৌসুমের ফর্ম বিবেচনায় অবশ্য এনরিকের দলের ধারেকাছেও নেই রিয়াল। প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা পিএসজি যেখানে পার করে সেরা সময়, সেখানে শিরোপাহীন মৌসুমে এমবাপে-ভিনিসিয়ুসরা লা লিগায় হন রানার্সআপ। ক্লাব বিশ্বকাপেও সেমিতে খেললেও জাবি আলোনসোর দলের মাঝে নেই ধারাবাহিকতা।
এরপরও দলটার নাম রিয়াল বলেই এনরিকে প্রতিপক্ষকে জানালেন বাড়তি সম্মান।
“রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই বিশেষ কিছু। এই ধরনের ম্যাচ খেলার মানে হল আপনি সঠিক পথে আছেন আর সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন, যা অবশ্যই গর্বের ব্যাপার।”
চলতি ক্লাব বিশ্বকাপে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া নিয়ে। রিয়াল ও পিএসজির ম্যাচটি হবে নিউ জার্সির তীব্র গরমের মধ্যেই, যেখানে বিকেলে মাঠে গড়াবে। এর আগে এই ভেন্যুতে চেলসি ও ফ্লুমিনেন্সের সেমিফাইনালের ম্যাচের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশের বেশি, যার প্রেক্ষিতে জাতীয় আবহাওয়া সার্ভিস সতর্কতা জারি করে।
এসবের মাঝে বাড়তি আকর্ষণ সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে এমবাপের খেলার বিষয়টি। ২০২৪ সালে ফ্রান্সের ক্লাবটির সাথে বেশ সমস্যা করেই ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল এই তারকা ফরোয়ার্ডকে। মাঝে চলেছে আইনি লড়াইও। এনরিকের কোচিংয়েও এক মৌসুম পিএসজিতে খেলেছিলেন এমবাপে। এই ম্যাচে তাই বাড়তি আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে সাবেক ক্লাবের সাথে তিনি কেমন করেন, সেই দিকটি।
এনরিকে অবশ্য এমবাপেকে নিয়ে বাড়তি কিছু বলতে নারাজ।
“বিশ্বের সবচেয়ে সফল দলের সাথে খেলাটা নিঃসন্দেহে আমাদের বাড়তি প্রেরণা যোগাবে। এটা (এমবাপে) অতীত হয়ে গেছে আর আমি এখানে অতীত নিয়ে কথা বলতে আসিনি।”
মর্মান্তিক এক গাড়ি দুর্ঘটনায় দিয়োগো জতার প্রয়াণের প্রায় এক সপ্তাহ পর নতুন তথ্য দিয়েছে স্প্যানিশ পুলিশ। তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় তাদের ধারণা, আগে পর্তুগিজ এই ফুটবলার দুর্ঘটনার আগে গতিসীমা অতিক্রম করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, যা ডেকে আনে বিপদ।
গত বৃহস্পতিবার স্পেনে গাড়ি বিস্ফোরণে শিকার হয়ে নিহত হন জতা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা। তবে এতদিন পর্যন্ত পুলিশ এটা জানায়নি যে, গাড়িটি তাদের মধ্যে কে চালাচ্ছিলেন। গত মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে, সম্ভবত জতাই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন
রিয়ালের সাথে খেলা গর্বের ব্যাপার, বললেন পিএসজি কোচ |
![]() |
স্পেনের সিভিল গার্ড গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, গত বৃহস্পতিবারের সেই দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তারা মনে করছেন, জতা সম্ভবত খুব দ্রুত বেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টায়ার বিস্ফোরণের পর জতাদের ল্যাম্বরগিনি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে। এরপর নির্জন হাইওয়েতে গাড়িটিতে আগুন ধরে গেলে দুই ভাই সেখানেই মারা যান। উল্লেখ্য, ওই সময়ে সড়কের গতিসীমা ছিল ১২০ কিমি/ঘণ্টা (৭৪.৫ মাইল/ঘণ্টা)।
দুর্ঘটনার আগে ২৮ বছর বয়সী জতা স্পেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সানতান্দের যাচ্ছিলেন ইংল্যান্ড ফেরার উদ্দেশ্যে, যেখান থেকে ফেরিতে করে তার ইংল্যান্ডে গিয়ে লিভারপুলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি ফুসফুসে একটি চিকিৎসার কারণে তাকে বিমান ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছিল।
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে