রিয়াল মাদ্রিদের রেফারিং বিতর্ক আর হাভিয়ের তেবাসের তির্যক মন্তব্য - দুটি বিষয় এই মৌসুমে একসাথে উচ্চারিত হচ্ছে বারবারই। সবশেষ বেশ কিছু রেফারিং নিয়ে মাদ্রিদের ক্লাবটির অভিযোগ জানিয়ে লিখেছে চিঠি, যা দেখে বেজায় চটেছেন হাভিয়ের তেবাস। তবে কার্লো আনচেলত্তির আহ্বান, অযথা মাথা যেন গরম না করেন লা লিগা সভাপতি।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত অনেকবারই প্রকাশ্যে লা লিগার রেফারিং নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে রিয়াল। সবশেষ গত শনিবার এস্পানিওলের কাছে ১-০ গোলে হারের পর স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে একটি চিঠি দেয় রিয়াল। তাতে স্পেনের রেফারিংকে ‘কারচুপি’ এবং ‘সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ তেবাস সরাসরি আক্রমণ করে বসেন।
“রিয়াল মাদ্রিদ শুধু রেফারিদেরই নয়, লা লিগারও ক্ষতি করতে চায়। তারা ভিকটিম সাজার একটা গল্প তৈরি করেছে। আমি মনে করি তাদের সেই চিঠিটি এর ষোলকলা পূর্ণ করেছে। তারা চায় সবাই যেন তাদের সামনে মাথা নত করে থাকে। তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।”
স্বাভাবিকভাবেই মাদ্রিদ ডার্বির আগে আনচেলত্তির সংবাদ সম্মেলনে চলে আসে প্রসঙ্গটি। চুপচাপ স্বভাবের ইতালিয়ান কোচ এদিন বিরক্তি প্রকাশ করছেন তেবাসকে নিয়ে।
“আমি বলব তেবাস নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, কারণ আমাদের এখানে কারোর মাথা খারাপ হয়নি। আমরা কেবল এমন একটি ব্যবস্থার উন্নতি করার জন্য একটি ব্যাখ্যা চেয়েছি, যা নিয়ে আমার জানামতে কেউই খুশি নয়।”
লা লিগায় রিয়াল এখন আছে সবার ওপরে। ২২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪৯। আর আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৪৮। ডার্বিকে সামনে রেখে রিয়ালের রেফারিং নিয়ে অভিযোগকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি আতলেতিকোর কোচ দিয়েগো সিমিওনেও।
সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের বলেছিলেন, তারাই হয়ত প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে দল হিসেবে জিতবে ইউরোপিয়ান শিরোপা। ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উল্টো চিত্র বিদ্যমান রয়েছে। ইউরোপা লিগের ফাইনালে পা রেখে রুবেন আমোরিম স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, মুখ রক্ষার জন্য হলেও তাদের এই শিরোপা জিততেই হবে।
বৃহস্পতিবার তাদের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৪-১ গোলে হারায় ইউনাইটেড। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে গেছে আমোরিমের দল, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার। প্রিমিয়ার লিগে ১৫তম স্থানে থাকা ইউনাইটেডের জন্য এই প্রতিযোগিতায় সেরা হতে পারাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মান বাঁচানোর লড়াই। কারন, এখানে সেরা হতে পারলেও কেবল মিলবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট।
আমোরিম তাই এখনই উচ্ছ্বাসে গা ভাসাতে নারাজ।
“এটা এমন একটা অনুভূতি যা বলে দেয় আমরা ভালো কিছু করতে পারি, এটা আমাদের ভক্তদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার অনুভূতি, বিশেষ করে এই ধরণের একটা মৌসুমে। এটা কেবল আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ব্যাপারই না। ফাইনাল নিয়ে আমি ইতিমধ্যেই চাপে আছি। আমরা যদি তা জিততে পারি, তাহলে এসবের আর কোনও মানে থাকবে না।”
ফাইনালের প্রতিপক্ষ টটেনহ্যামের অবস্থাও লিগে একই। তারা আছে ১৬তম স্থানে। ফলে ইউনাইটেডের মত দলটির আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার আশা কেবল টিকে আছে এই ম্যাচকে কেন্দ্র করেই। দুই দলের জন্যই তাই ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ডু অর ডাই’।
আমোরিম সেই চাপটা অনুভব করছেন।
“দুই দলই এমনভাবে খেলবে যেন কিছুই হারানোর নেই। কোচদের অবস্থানও প্রায় একই। আমরা দুজনেই লড়াই করছি।”
ইতিবাচক ফুটবলের বার্তা ছিল মিকেল আর্তেতার। তার দল শুরুটা করল ঠিক সেভাবেই। ভাগ্য সহায় হলে প্রথম দশ মিনিটেই মিলতে পারত গোল। তবে সেটা আর হয়নি। বরং সময় গরানোর সাথে সাথে ছন্দ ফিরে পাওয়া পিএসজি দেখাল প্রাধান্য। গোলের দেখাও মিলল অনায়াসেই। কোনঠাসা আর্সেনাল একটা গোল করল বটে, তবে তাদের ম্যাচের দ্বিতীয় সেরা দল বানিয়ে পাঁচ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখল লুইস এনরিকের পিএসজিই।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ স্কোরলাইনে জিতে দলটি পা রেখেছে এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফাইনালে।
শিরোপার লড়াইয়ে পিএসজির প্রতিপক্ষ ইন্তার মিলান, যারা বার্সেলোনাকে ৭-৬ গোলে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে তিন বছরের মধ্যে নিজেদের দ্বিতীয় ফাইনালে।
প্রথম লেগে ঘরের মাঠে পিএসজিকে দেখা যায়নি সেরা ছন্দে। তাতেও ধরা দিয়েছিল জয়। প্রতিপক্ষের মাঠে তৃতীয় মিনিটেই বিপদে পড়ে যাচ্ছিল দলটি। খিভিচা কোয়ারাতসখেলিয়া পিএসজির বক্সের কাছে জুরিয়েন টিম্বারের কাছে নবল হারান, যেখান থেকে বক্সের ভেতর করা তার ক্রসে হেড নেন ডেকলান রাইস, যা থাকেনি লক্ষ্যে।
প্রথম লেগে পিএসজির জয়ে বড় অবদান ছিল দুর্দান্ত কিছু সেভ করা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার। এই ম্যাচেও হয়নি তার ব্যতিক্রম। থমাস পার্টির বক্সে ভেতর বাড়ানো লম্বা থ্রো থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যে জোরাল শট নেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। তবে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যান পিএসজি গোলরক্ষক, উপহার দেন পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক সেভ।
প্রথম দশ মিনিটে পিএসজিকে ব্যস্ত থাকতে হয় রক্ষণ সামলাতেই বেশি। অষ্টম মিনিটে ফের ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হন দোনারুম্মা। আরও একবার থ্রো-ইন থেকে বক্সের ভেতর বল পায় আর্সেনাল। এবার নিখুঁত শট নেন অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড। তবে ঝাঁপিয়ে এক হাতে সেটা আটকে দেন ইতালিয়ান এই গোলকিপার।
১৬তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল পিএসজি। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে বাঁদিক থেকে কাট করে বক্সে প্রবেশ করে শট নেন জর্জিয়ান। ডেভিড রায়াকে পরাস্ত করতে পারলেও বল ফিরে আসে পোস্টে লেগে।
ছয় মিনিট বাদে আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয় পিএসজির। বক্সের ভেতর ভালো পজিশনে থাকলেও দুর্বল শট নিতে পারেন ডিসাইর দৌরে। ২৭তম মিনিটে লিড নেয় পিএসজি, আর সেটা ছিল দেখার মত এক গোলই।
আর্সেনাল ফ্রি-কিক ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান ফাবিয়ান রুইজ। প্রথমে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন, জায়গা তৈরি করেন আর এরপর বাঁ পায়ের বুলেট শটে খুঁজে নেন ঠিকানা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪৬তম ম্যাচে এটি তার প্রথম গোল।
বিরতির পর গোছানো ফুটবল উপহার দেয় আর্সেনাল। ৬৩তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগও তারই ফলশ্রুতিতে পেয়ে যান বুকায়ো সাকা। বাঁদিক থেকে কাট করে নেন কার্লিং শট, যা ছিল লক্ষ্যেই। তবে পিএসজির যে একজন দোনারুম্মা আছেন! আলতো করে বলটি ক্লিয়ার করেন কর্নারের বিনিময়ে।
এর মিনিট দুয়েক বাদে আশরাফ হাকিমির শট আর্সেনালের বক্সে একজনের হাতে লাগলেও শুরুতে তা পেনাল্টি মনে হচ্ছিল না। তবে ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টি দেন পিএসজিকে।
তবে দলকে হতাশ করেন ভিতিনিয়া। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান তিনি, যা দেখে রায়াও মুভ করেন সেভাবেই। ডান দিকে নেওয়া ভিতিনিয়ার নেওয়া শট শেষ পর্যন্ত রুখে দেন রায়া।
৭২তম মিনিটে ম্যাচ থেকে আর্সেনালকে প্রায় ছিটকেই দেন হাকিমি। বদলি নামা উসমান দেম্বেলে পাস থেকে বক্সের ভেতর বল পেয়েই জাল খুঁজে নেন মরক্কোর এই ডিফেন্ডার।
দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার আর্সেনাল ৭৫তম মিনিটে পায় একটা লাইফলাইন। একটু আগেই বদলি নামা লিয়ানড্রো ট্রোসার্ড মারকুইনহোসের কাছ থেকে বলের দখল নিয়ে বক্সের ভেতর পাস দেন সাকাকে। ইংলিশ উইঙ্গারের প্রথম শট গোলকিপার আটকে দিলেও ফিরতি শটে গোলের দেখা পান সাকা।
তবে পরের মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ ও সেরা সুযোগটাও নষ্ট করেন তিনি। ছয় গজের ভেতর পরাস্ত হয়ে গিয়েছিলেন দোনারুম্মাও। ফাঁকায় থাকা সাকার কাজ ছিল কেবল বল লক্ষ্যে রাখা, তবে তিনি সেটা উড়িয়ে মারেন পোষ্টের অনেক ওপর দিয়ে।
ওই মিসের পর আর্সেনালের মনোবলও যেন হারিয়ে যায় দ্রুত। বাকি সময়ে পিএসজি রক্ষণ সামাল দেয় দক্ষতার সাথেই। আর সেটাই তাদের ২০১৯-২০ মৌসুমের পর আবার নিয়ে যায় ফাইনালে।
বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রথম লেগের আগে ও পরে লামিন ইয়ামালকে সিমোনে ইনজাগি ভাসিয়েছেন প্রশংসায়। ফিরতি লেগে শেষ পর্যন্ত ইন্তার মিলান জিতলেও কঠিন লড়াই উপহার দেন ইয়ামাল-পেদ্রি-রাফিনিয়ারা। তাদের পারফরম্যান্স মনে ধরলেও নিজ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত ইন্তার কোচ। স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, সুযোগ থাকলেও বার্সেলোনার কাউকে এই দলে চাইবেন না তিনি।
৩-৩ গোলে প্রথম লেগ ড্রয়ের পর ইনজাগি বিস্ময় প্রকাশ করেন ইয়ামালের প্রতিভা নিয়ে। এও বলেন, ৫০ বছরে বার্সেলোনা উইঙ্গারের মত প্রতিভা একবারই আসে। ফিরতি লেগে গোল না পেলেও পুরো ১২০ মিনিট জুড়ে ইন্তারের রক্ষণভাগকে তটস্থ রাখেন ইয়ামাল। কম যাননি পেদ্রি, রাফিনিয়া, দানি ওলমো বা ফেররান তরেসরাও।
বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখলেও প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের জন্য তাই প্রশংসা বরাদ্ধ রেখেছেন ইনজাগি।
“ইয়ামালকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। তবে বার্সেলোনার আরেকজন অবিশ্বাস্য খেলোয়াড়কেও দেখেছি, সে হল ফ্র্যাংকি ডি জং। সেও আমাকে ইয়ামালের মতোই অবাক করেছে। প্রতিটা বল সে ক্লিয়ার করে দিচ্ছিল। বিশ্বের কোনো দলের খেলোয়াড়কেই আমি আমার দলে নিতে চাইব না। তবে ইয়ামাল ছাড়াও তাদের দলে আমি দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় দেখেছি।”
সান সিরোতে ঘরের মাঠে বিরতির আগে দুই গোল দিয়ে ফাইনালের সুবাস আগেভাগেই পাচ্ছিল ইন্তার। তবে দ্বিতীয়ার্ধে একে একে তিন গোল দিয়ে তাদের প্রায় বিদায় করে দেওয়া পথেই ছিল বার্সেলোনা। সেখান থেকে ৯৩ম মিনিটে সমতা টানার পর অতিরিক্ত সময়ের গোলে ৪-৩ গোলে জিতে ও ৭-৬ স্কোরলাইনে এগিয়ে অবিশ্বাস্য এক কামব্যাকের গল্প রচনা করে ইনজাগির দল।
খেলোয়াড়দের নিবেদনে তাই বিশেষ প্রাপ্তি দেখছেন ইন্তার কোচ।
“সবার আগে আমি বার্সেলোনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। এই দলটিকে হারাতে দুই লেগ জুড়ে ইন্তারকে দানবীয় পারফরম্যান্স দেখাতে হয়েছে। তাদের কোচের হতে পেরে আমি খুশি। তারা মাঠে শতভাগ ঢেলে দিয়েছে। আমাদের কিছু সমস্যা ছিল, তবে হৃদয় দিয়ে খেলে আমরা সব বাধা উতরে গেছি।”
নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দলের আরেক সদস্যকে হারাল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) জানিয়েছে, দেশটির ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের ডিফেন্ডার লুইস গ্যালভান গত সোমবার ৭৭ বছর বয়সে মারা গেছেন।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গ্যালভান গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কর্ডোবার রেইনা ফ্যাবিওলা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন
ইউয়েফার তদন্ত চান ক্ষুব্ধ পেদ্রি |
![]() |
আর্জেন্টিনার ১৯৭৮ বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন গ্যালভান। বুয়েন্স আইরেসের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের ম্যাচে তিনি সেন্টার-ব্যাক হিসেবে খেলেছিলেন।
এরপর ১৯৮২ বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। গ্যালভান জাতীয় দলের হয়ে মোট ৩৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন ১৯৮৩ সালে।
এরপর ক্লাব পর্যায়ে গ্যালভান তার শৈশবের ক্লাব ট্যালেরেস ডি কর্ডোবার হয়ে খেলা চালিয়ে যান। ১৯৭০ থেকে ১৯৮২ এবং ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ক্লাবটির হয়ে মোট ১৭টি মৌসুমে খেলেন ক্লাব রেকর্ড ৫০৩টি ম্যাচে।
ইন্তার মিলানের সাথে ফিরতি লেগের লড়াইয়ে শুরুতে দুই গোল হজম করলেও এক পর্যায়ে জয়ের আশা জেগেছিল বেশ। তবে শেষ সময়ে দুটি গোল খেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজেছে বার্সেলোনার। এই ম্যাচের রেফারিং নিয়ে মাঠে ও মাঠের বাইরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কোচ হান্সি ফ্লিক। তাতে সুর মিলিয়ে মিডফিল্ডার পেদ্রি বলেছেন, ইউয়েফার তদন্ত করা উচিত বিষয়টি।
বিরতির আগে ইন্তার নিজেদের দ্বিতীয় গোলটি করে পেনাল্টি থেকে, যা প্রথমে দেননি রেফারি সাইমন মার্সিনিয়াচ। এরপর বিরতির আগে পেদ্রির একটি শট বক্সের ভেতর ইন্তারের একজনের হাতে লাগলে জোরাল আবেদন হয় পেনাল্টির, তবে রেফারি তা নাকচ করেন। এর সাথে যোগ হতে পারে বার্সেলোনার পেনাল্টির একটি সিদ্ধান্ত, যেখানে লামিন ইয়ামালকে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ফাউল করেন হেনরিখ মিখারতারিয়ান। প্রথমে পেনাল্টি দিলেও পরে তা বাতিল করেন রেফারি।
আরও পড়ুন
হার ছাপিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ রেফারিংয়ে হতাশ ফ্লিক |
![]() |
ম্যাচ শেষে এসব নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন পেদ্রি।
“এই রেফারি এবারই যে প্রথম এমন কিছু করলেন, তা কিন্তু না। ইউয়েফার এটা তদন্ত করা উচিত। প্রতিটি ৫০-৫০ সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষেই গেছে। লামিন ইয়ামালের ফাউলে স্পষ্ট পেনাল্টি ছিল, আর মিখারতারিয়ানকেও তার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেওয়া উচিত ছিল। এর একটিও হয়নি।”
এই ম্যাচে হেরে শেষ হয়ে গেছে বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন। অথচ সান সিরোতে বিরতির পর ঘুরে দাঁড়িয়ে এক একে একে তিন গোল দিয়ে ৯২তম মিনিট পর্যন্ত ৬-৫ স্কোরলাইনে ফাইনালের পথেই ছিল ফ্লিকের দল। সেখান থেকে ইনজুরি ও অতিরিক্ত সময়ে দুই গোল দিয়ে বাজিমাত করে ইন্তার। ফলে কোপা দেল রে জয়ী বার্সেলোনার সামনে এখন কেবল টিকে আছে লা লিগা জয়ের আশা, যেখানে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে আগামী রোববার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলবে বার্সেলোনা।
ইন্তারের কাছে হারের হতাশা তাই দ্রুতই ভুলতে চান পেদ্রি।
“আমরা একদম শেষ হয়ে গেছি। তবে কাল থেকে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। আমাদের এখন রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে, কারন এটা লিগ জয়ের ব্যাপার।”
৮ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে