অ্যাবসুলেট সিনেমা….বার্সেলোনা ইন্তারের ম্যাচের পারফেক্ট হেডলাইন। যেন দম ফেলার নেই ফুসরত। যার শুরু প্রথম মিনিটে, চলেছে ৯০ মিনিট পর্যন্ত। নান্দনিক ফুটবল, ৬ গোলের মোহারণ, আর ১৭ বছর বয়সী এক তরুণের সব আলো কেড়ে নেওয়া। ক্লাসিক চ্যাম্পিয়নস লিগ নাইট যেমন হয় আর কী। যেই রাত ফুটবল সমর্থকদের মনে দাগ কেটে যাবে লম্বা সময়।
দিয়ারিও স্পোর্টসের ফ্রন্ট পেইজ বলছে, সব কিছুই সম্ভব ইয়ামালকে নিয়ে… নিজের শততম ম্যাচটাকে এতটাই রাঙিয়েছেন এই তরুণ। দারুণ একটা গোল, আর তার বা পায়ের জাদুতে ক্ষণে ক্ষণে সমর্থকদের ভাসিয়েছেন উচ্ছ্বাসে, আর নিয়েছেন ইন্তার ডিফেন্ডারদের কঠিন পরীক্ষা। এমনকি ইংল্যান্ডে বসা আর্লিং হলান্ডকে পর্যন্ত বাধ্য করেছেন তাকে নিয়ে পোস্ট দিতে।
এই ম্যাচে নায়ক আছে আরও একজন…ডেঞ্জেল ডামপ্রিস। দুই গোলের সঙ্গে, এক অ্যাসিস্ট সেই সাথে রক্ষণ সামলানোর ধকল তো ছিলই। এত সব তারকার ভিড়ে ডাচ ডিফেন্ডার নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করেই।
আরও পড়ুন
নিষেধাজ্ঞা কাজে লাগিয়ে রুডিগারের অস্ত্রোপচার, শাস্তি এড়ালেন বেলিংহাম |
![]() |
বল দখলের লড়াই, শট অন টার্গেট কিংবা পাস সব খানেই ইন্তার থেকে বেশ এগিয়ে ছিল বার্সা। বার্সার অল অ্যাটাকের জবাবে ইন্তারের অস্ত্র ছিল কাউন্টার অ্যাটাক। যেখানে দলটা ছিল বেশ সফল।
এদিন খেলার বয়স ৩০ সেকেন্ড না হতেই বার্সাকে চমকে দেয় ইন্তার। ডামপ্রিসের পাস থেকে দারুণ এক ব্যাকহিলে বল জালে জড়ান থুরাম। যা আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গোল, বার্সার বিপদ বাড়ে ২১ মিনিটে, এবার গোলের খাতায় নাম তোলেন ডামপ্রিস নিজেই। চোখ ধাঁধানো এক ওভারহেড কিকে স্তব্ধ করে দেন অলিম্পিক স্টেডিয়ামকে।
স্তব্ধ অলিম্পিক স্টিডিয়ামকে জাগিয়ে তুলতে ইয়ামাল সময় নিয়েছে মোটে তিন মিনিট। ২৪ মিনিটের মাথায় পাঁচ ইন্তার ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বা পায়ের আড়াআড়ি এক শটে বল জড়ান জালে। বার্সেলোনা সমর্থকেরা এমন একটা গোল নিশ্চিতই বারেবারে খুঁজে ফিরে দেখবেন।
৩৮ মিনিটে বার্সাকে সমতায় ফেরায় ফেরান তোরেস। যার পেছনের কারিগর পেদ্রি ও রাফিনিয়া। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের মাপা ক্রস খুঁজে নেয় রাফিনিয়াকে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড হেডে সেটা বাডিয়ে দেন ফাঁকা জায়গায় দাঁড়ানো তোরসের দিকে। সহজ কাজটুকু করতে ভুল করেননি তোরস। তাতে ২-২ এর সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
আরও পড়ুন
কোপা দেল রের ফাইনালে ‘অনিশ্চিত’ লেভানদভস্কি |
![]() |
বিরতি থেকে ফিরেও খেলা চলে একই তালে। ৬৪ মিনিটে আবারও সেই ডামপ্রিস হৃদয় ভাঙে বার্সার। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল এবার হেডে জালে জড়ান ডাচ ডিফেন্ডার। তবে সেই লিড টেকে মোটে ১২০ সেকেন্ট। ইন্তারের সেট পিসের জবাব বার্সাও দিয়েছে সেট পিস থেকেই। কর্নার থেকে আসা বল ইয়ামাল ‘ডামি’ করে ছেড়ে দিলে ফাঁকায় পেয়ে যান রাফিনিয়া। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বুলেট গতির শটে বল পাঠান জালের দিকে। তবে নিজেকে কিছুটা হতভাগা ভাবতেই পারেন রাফিনিয়া। ইয়ান সোমারের পিঠে লেগে বল জালে প্রবেশ করায় গোলটা কাউন্ট হয়েছে আত্মঘাতী গোল হিসেবেl হিসেবে।
৭২ মিনিটে অবশ্য আরও একবার গোলের দেখা পায় ইন্তার। তবে মেখেতেরিয়ানের গোল কাটা পড়ে অফ সাইডে। শেষ দিকে ইয়ামালও দারুণ একটা গোল করেই ফেলছিলেন, তবে পোস্টের বাঁধায় তা শেষ হয়নি। তাতে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল। আর অ্যাবসুলেট সিনেমার পরের পর্বের অ্যাকশন তোলা থাকে সান সিরোর জন্য।
২০ মে ২০২৫, ৫:৩৫ পিএম
২০ মে ২০২৫, ৩:৪৫ পিএম
চল্লিশ পার করেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন ভালোভাবেই। তবে বিদায়ের ডাক শুনতে পেয়েছেন পেপে রেইনা। চলতি মৌসুম শেষে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এই স্পেন গোলরক্ষক, যিনি ছিলেন দেশটির প্রথম ও একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য।
গত সোমবার রাতে ৪২ বছর বয়সী রেইনা আনুষ্ঠানিকভাবে তার অসবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বার্সেলোনার যুব একাডেমিতে বেড়ে ওঠা এই ফুটবলার লিভারপুলে খেলেছেন আটটি মৌসুম। ইংলিশ ক্লাবটির জার্সিতে তিনি এফএ কাপ ও লিগ কাপ জিতেছেন। লিভারপুলে নিজের প্রথম তিন মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি ক্লিন শিট ধরে রাখার জন্য প্রিমিয়ার লিগের ‘গোল্ডেন গ্লাভ’ পুরস্কার জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন
স্কোয়াড ছোট না করলে সিটি ছেড়ে দেওয়ার আভাস গার্দিওলার |
![]() |
লিভারপুল অধ্যায় শেষে রেইনা অব্যাহত রাখেন ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবে খেলা। একে একে প্রতিনিধিত্ব করেন বায়ার্ন মিউনিখ, নাপোলি ও এসি মিলানকে। সবশেষ গত বছর জুলাইয়ে তিনি সেরি আ-এর এর আরেক ক্লাব কোমোর সঙ্গে চুক্তি করেন। চলতি মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে তিনি এখন পর্যন্ত ১১টি ম্যাচ খেলেছেন।
রেইনা মোভিস্টারকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপ নেই তার।
“আমি একটা খুব সুন্দর ক্যারিয়ারের শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাওয়ায় আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। আমার ধারণা ছিল না যে এই মুহূর্তটা এত দ্রুত চলে আসবে। কিন্তু মনে হচ্ছে সময়টা এসে গেছে।“
রেইনা আরও জানিয়েছেন, অবসর নেওয়ার পর তিনি কোচিং ক্যারিয়ারে প্রবেশের চিন্তা করছেন।
রেইনা স্পেন জাতীয় দলের হয়ে ৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১০ বিশ্বকাপ ছাড়াও তিনি স্পেনের ২০০৮ এবং ২০১২ ইউরো জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন।
ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সফল কোচ হলেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেই অভিজ্ঞতা। ছন্দহীন ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তি কেমন করবেন, সেটা নিয়ে তাই অনেকেই কিছুটা সন্দিহান। তবে তার অধীনে খেলা রাফায়েল ভারানে সেই দলে নেই। সাবেক ফরাসি ডিফেন্ডার বরং মনে করছেন, আনচেলত্তির হাত ধরে সেরা ছন্দে ফিরবে ব্রাজিল।
গত সপ্তাহে আনচেলত্তিকে ব্রাজিলের ইতিহাসের প্রথম স্থায়ী বিদেশি কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। রিয়াল মাদ্রিদের চলতি মৌসুম শেষে আগামী ২৬ মে থেকে দায়িত্ব নেবেন তিনি। আনচেলত্তির কাজের শুরুটাই হবে কঠিন সময়ে, যেখানে এক বছরের বেশি সময় ধরে ব্রাজিল দল নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে।
আরও পড়ুন
স্কোয়াড ছোট না করলে সিটি ছেড়ে দেওয়ার আভাস গার্দিওলার |
![]() |
সম্প্রতি হংকং সকার সেভেনস টুর্নামেন্টের ফাঁকে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী ভারানে বলেছেন, আনচেলত্তির অভিজ্ঞতা ব্রাজিল দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।
“সে জানে কীভাবে খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে হয়, কীভাবে তাদের আত্মবিশ্বাস দিতে হয় আর চাপমুক্ত রাখতে হয়। কারণ এই ব্রাজিল দল এবং তাদের খেলোয়াড়দের সেই কোয়ালিটি আছে। তাদের শুধু একতাবদ্ধ হতে হবে এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। জাতীয় দল মানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত করা। এটা ক্লাব ফুটবলের প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জের চেয়ে একেবারেই আলাদা ব্যাপার। তবে আপনি যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় মাপের শিরোপা জেতার ক্ষমতা রাখেন, তাহলে আপনি যেকোনো জায়গায়, যেকোনো সময়ে একই রকমের সফলতা পেতে পারেন।”
রিয়ালের কোচ হিসেবে আনচেলত্তির প্রথম মেয়াদে ভারানে দুই মৌসুম খেলেছেন তার কোচিংয়ে, ছিলেন ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য। দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়ালে ফিরে আরও দুইবার এই প্রতিযোগিতায় শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন ৬৪ বছর বয়সী এই কোচ।
তবে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে তার জন্য শুরুতেই অপেক্ষা করছে কঠিন সময়। বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলে ব্রাজিল চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার চেয়ে তারা পিছিয়ে ১০ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন
চাকরি নিয়ে প্রশ্নে টটেনহ্যাম কোচ বললেন, ‘আমি জোকার না’ |
![]() |
ভারানের মতে, এই চ্যালেঞ্জে উতরে যাবেন আনচেলত্তি।
“কার্লো একজন দারুণ কোচ। তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। তিনি জানেন কীভাবে খেলোয়াড়দের সঠিক সময়ে সেরা পারফর্ম করার জন্য প্রস্তুত করতে হয়। আর কোচ হিসেবে এটাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়। চার বছরে বিশ্বকাপে পারফর্ম করার সুযোগ কেবল একবার সুযোগ মেলে, তাই খুব বেশি ভুলের সুযোগ নেই। আমি মনে করি তিনি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে পারবেন।”
জমে ওঠা সেরি আ শিরোপার লড়াইয়ের শেষ রাউন্ডের আগে ধাক্কা নাপোলি ও ইন্তার মিলান শিবিরে। এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ায় নিজ নিজ দলের শেষ ম্যাচে ডাগআউটে থাকতে পারবেন না ক্লাব দুটির কোচ আন্তোনিও কন্তে ও সিমোনে ইনজাগি।
গত সোমবার রাতে ইতালিয়ান লিগ কর্তৃপক্ষ তাদের এই শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শুধু এই দুজনই নন, গত রোববারের ম্যাচে নিজ নিজ ক্লাবের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় আরও তিন কোচও সেরি আয়ের শেষ রাউন্ডে টাচলাইন নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন
চাকরি নিয়ে প্রশ্নে টটেনহ্যাম কোচ বললেন, ‘আমি জোকার না’ |
![]() |
সবশেষ রাউন্ডে লাজিওর সাথে ইন্তার ২-১ গোলে জয়ের পথেই ছিল। পার্মার বিপক্ষে ম্যাচে নাপোলি ড্র করায় এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেলে ইনজাগির দল পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে চলে যেত। তবে লাজিও-ইন্টার ম্যাচের অন্তিম সময়ে রেফারি ভিএআর মনিটরে মিলানের ক্লাবটির বিপক্ষে একটি সম্ভাব্য পেনাল্টি যাচাই করতে গেলে বাঁধে বিপত্তি।
ইনজাগি এবং লাজিও কোচ মার্কো বারোনি সাইডলাইনে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনায় দুজনকেই লাল কার্ড দেখানো হয়। ইন্তারের বক্সে হ্যান্ডবলের কারণে লাজিও পেনাল্টি পায় এবং পেদ্রো ৯০তম মিনিটে গোল করে ২-২ সমতা আনেন।
অন্যদিকে নাপোলি অবনমন অঞ্চলে থাকা পার্মার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে। ম্যাচের ৯০তম মিনিটে নাপোলি কোচ কন্তে ও পার্মা কোচ ক্রিস্তিয়ান চিভু তীব্র বাক-বিতণ্ডায় জড়ান। ফলাফলে তাদেরও লাল কার্ড দেখতে হয়।
আরও পড়ুন
অবসরে স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক |
![]() |
এছাড়া এসি মিলানের কোচ সার্জিও কনসেইসাওও সেরি আয় তাদের শেষ ম্যাচ মিস করবেন। রোমার সাথে ৩-১ গোলে হারের ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে লাল কার্ড দেখেন তিনি।
সেরি আয় শেষ রাউন্ডের আগে ৩৭ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে নাপোলি। সমান ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইন্তার।
প্রায় দুই বছর আগের ঘটনাটি নিয়ে ফুটবল বিশ্বে একটা ঝড়ই বয়ে গিয়েছিল। ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র যে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন, তা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি, যা ভালো লাগেনি স্প্যানিশ ক্লাবটির। এটির তাৎক্ষণিক সংশোধনের দাবি জানিয়ে তারা বলছে, ডকুমেন্টারিতে সেই ঘটনার যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা পুরোপুরি অবাস্তব।
গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী মুক্তিপ্রাপ্ত এই ডকুমেন্টারিটি বানিয়েছে ব্রাজিলের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কন্সপিরাসাও। এটি মুক্তি পেয়েছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে। এখানে ভিনিসিয়ুসের জীবন ও ক্যারিয়ারের নানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বিশেষ ভাবে স্থান পেয়েছে সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে রিয়াল মাদ্রিদ তারকার সাথে ঘটে যাওয়া নানা বিষয়।
তার একটিতে ২০২৩ সালের ২১ মে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ মেস্তিয়ায় রিয়ালের সাথে দলটির ম্যাচের কিছু চিত্র দেখানো হয়, যেখানে ভিনিসিয়ুস তার দিকে ধেয়ে আসা বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদে একদল ভ্যালেন্সিয়া সমর্থকের সাথে তর্কে জড়ান, যার ফলে খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
হলান্ডের জন্য কুফা ‘ওয়েম্বলি’ ও পেনাল্টি না নেয়া নিয়ে বিতর্ক? |
![]() |
ভ্যালেন্সিয়া এক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারিটি নিয়ে।
“ভ্যালেন্সিয়া তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে আনা অবাস্তব অভিযোগ ও মিথ্যাচারের প্রেক্ষিতে লিখিতভাবে ডকুমেন্টারির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কাছে মেস্তিয়ার ঘটনা নিয়ে তাৎক্ষণিক সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। কারণ এটা বাস্তবতার সঙ্গে মিলছে না। আমাদের সমর্থকদের প্রতি সবার সম্মান বজায় রাখা উচিত। ভ্যালেন্সিয়া এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে।”
স্পেন, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল, ফিফার তীব্র প্রতিক্রিয়ার এক বছর পর ওই ঘটনার জন্য তিনজন সমর্থককে কারাদণ্ড এবং স্টেডিয়ামে প্রবেশে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, স্পেনে এই ধরনের ঘটনায় আগে কাউকেই এত কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়নি।
তবে ভ্যালেন্সিয়া দাবি করেছে যে, ভিনিসিয়ুসের ডকুমেন্টারিতে যেভাবে পুরো স্টেডিয়ামের বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ দেখানো হয়েছে, সেটা অনেকটাই অতিরঞ্জিত এবং ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সন্দিহান ডে ব্রুইনা |
![]() |
নেটফ্লিক্সের ডকুমেন্টারিতে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত একটি ফুটেজ দেখানো হয়েছে, যেখানে সাবটাইটেলে বোঝানো হয়েছে যে দর্শকরা ভিনিসিয়ুসকে উদ্দেশ করে ‘মোনো’ (বানর) বলে চিৎকার করছিল। তবে ভ্যালেন্সিয়া ও ক্লাবের সমর্থকদের দাবি, সেদিন অধিকাংশ দর্শক ভিনিসিয়ুসকে আসলে ‘তোন্তো’ (বোকা) বলেছিলেন।
নতুন ফরম্যাটের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সূচি নিয়ে সমস্যায় পড়ে গেছেন অনেক ফুটবলারই। মৌসুম শেষের ঠিক পরপরই এই টুর্নামেন্ট হওয়ায় ম্যানচেষ্টার সিটিতে চুক্তি শেষ হতে যাওয়া কেভিন ডে ব্রুইনা তাই চিন্তিত নিজের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে। বেলজিয়ান মিডফিল্ডার মনে করেন, এই বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে চোট পেলে তাতে সমস্যাই হয়ে যাবে তার।
সিটির সাথে ডে ব্রুইনার চুক্তি চলতি মৌসুমেই শেষ হয়ে যাবে। ফলে এরপরই তিনি ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন। আগামী জুন-জুলাইয়ে হতে যাওয়া ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার জন্য অভিজ্ঞ এই ফুটবলার সিটি বা অন্য কোনো ক্লাবের সাথে স্বল্পমেয়াদি একটি চুক্তি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন
প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েই বার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে সই করবেন ইয়ামাল |
![]() |
তবে ডে ব্রুইনার মতে, ক্লাব বিশ্বকাপে খেলাটা নতুন মৌসুমে তাকে ঝামেলায় ফেলে দিতে পারে।
“আমাকে নিজের খেয়াল রাখতে হবে, কারণ আমি যদি ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে চোট পাই, তখন আমি কী করব? তখন তো কেউ আমার দায়িত্ব নেবে না। তাই খুব সম্ভবত আমি সেখানে খেলব না। তবে আমি ঠিক জানি না, হয়তো খেলতেও পারি।”
৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপের কারণে ফিফা একটি স্বল্পমেয়াদি ট্রান্সফার উইন্ডো চালু করেছে। যাতে আগামী ৩০ জুনে যাদের চুক্তি শেষ হবে, তারা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী একটি ক্লাবে যোগ দিতে পারে। ফলে ডে ব্রুইনার মত খেলোয়াড়রা শুধুমাত্র বিশ্বকাপে খেলার জন্য স্বল্পমেয়াদি চুক্তি করতে পারবেন। এরপর আবার ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন।
৩৩ বছর বয়সী ডে ব্রুইনা সিটির হয়ে ১০ বছর খেলেছেন। সফল এক ক্যারিয়ারে ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে ১৪টি বড় শিরোপা জিতেছেন। তবে বিস্ময়করভাবে সিটি তাকে নতুন কোনো চুক্তির প্রস্তাবই দেয়নি।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
২০ দিন আগে