সাবিনা পার্ক তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে টেস্ট ম্যাচের আয়োজন হয় না। তবে অন্য দুই ফরম্যাটে এই ভেন্যুতে নিয়মিতই খেলে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তাদের সিরিজ জয়ের কাজটা এতে কিছুটা সহজ হতেও পারে। আর বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ হার এড়ানোর লড়াই। ২০২২ সালে বাংলাদেশের মাটিতে জেতা সিরিজটি আবার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবশেষ লাল বলের সিরিজেও জয়। দুই দলের জন্যই তাই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে বিশেস উপলক্ষ্যের।
বাংলাদেশের জন্য কাজটা সবদিক থেকেই কঠিন। কারণ, ফর্মের সাথে ধুঁকতে থাকা ব্যাটিং অর্ডার প্রথম টেস্টেও পারেনি নিজেদের সেরাটা দিতে। প্রথম ইনিংসে কয়েকজন কিছুটা ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন বটে। তবে দ্বিতিয় ইনিংসে ৩৩৪ রান তাড়া করতে গিয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। মাত্র ১৩২ রানেই গুটিয়ে যায় মেহেদি হাসান মিরাজের দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ব্যাটাররা।
চোটের কারণে এমনিতেই এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শক্তি আগেই কমে গেছে বেশ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম না থাকায় অন্যদের ওপর দায়িত্ব ছিল বেশি। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হক, জাকের আলি অনিক, লিটন দাসরা সেই কাজটা কিছুটা করলেও কাজের কাজ, অর্থাৎ সেট হয়ে বড় ইনিংস আর খেলতে পারেননি। ফলে ব্যাটিং উইকেটে প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান করে প্রথম ইনিংসেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের রানের একটা বড় অংশ এসেছে পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বর ব্যাটারের কাছ থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে যা হয়ে আসছে নিয়মিতভাবেই। ওপেনিং জুটিতে বদল এনেও কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান দুজনই খেলে ফেলেছেন বেশ কয়েকটি টেস্ট। তবে তাদের ব্যাটে সেটার ছাপ নেই। ধারাবাহিকতার অভাবের সাথে রয়েছে একই ভুল বারবার করা, বাজে শটে উইকেট ছুড়ে আসার প্রবণতা।
ওপেনারদের ব্যর্থতা তাই চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে অন্যদের ওপর। প্রতি ইনিংসেই সেই চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব নয় বলেই প্রথম টেস্টে বিশাল পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দারাতে হলে ওপেনারদের শুরুটা ভালো শুরু এনে দেওয়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞ ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলার কোনো বিকল্প নেই।
ব্যাটারদের কারণে হারলেও প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের মূল সর্বনাশ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে। যেখানে অষ্টম উইকেটে রেকর্ড ১৪০ রান যোগ করেন জাস্টিন গ্রিভস ও কেমার রোচ। দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন আহমেদের ফাইফারে প্রতিপক্ষকে মাত্র ১৫২ রানে গুটিয়ে দিয়েও তাই শেষ রক্ষা হয়নি।
উইকেট বিবেচনায় দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের একাদশে তাই কিছু পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট। দুই ইনিংসেই দারুণ করা পেস আক্রমণে তাই যুক্ত হতে পারেন গতিময় পেসার নাহিদ রানা। জায়গা হারাতে পারেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। আর ব্যাটিং লাইনআপে একাদশে দেখা যেতে পারে ওপেনার শাদমান ইসলাম ও টপ অর্ডার ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। বাদ পড়তে পারেন দুই ওপেনার জাকির ও জয়। অথবা দুই ওপেনারের একজন এবং শাহাদাত হোসেন দীপু, যিনি বড় স্কোর পাননি প্রথম টেস্টে।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৮টায়। ম্যাচটি দেখতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে।
২৭ জুলাই ২০২৫, ২:৩৪ পিএম
২৭ জুলাই ২০২৫, ২:০২ পিএম
২৬ জুলাই ২০২৫, ৯:৫২ পিএম
দুইশ’র বেশি রানে পিছিয়ে থাকা দল যখন শুন্য রানেই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে দরকার ভীষণ দৃঢ়তা ও নিবেদনের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টের চতুর্থ দিনে ঠিক সেই কাজটাই করেছেন ভারত অধিনায়ক শুবমান গিল ও অভিজ্ঞ ওপেনার লোকেশ রাহুল মিলে। তাদের ব্যাটিং মনে ধরেছে সাবেক ভারত ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জারেকারের। তিনি মনে করেন, এই ম্যাচ বাঁচাতে দুই আইপিএল তারকাই হবেন ভারতের ভরসার জায়গা।
ভারতের ৩৫৮ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৬৬৯ রানের পাহাড়ে চড়ে ইংল্যান্ড লিড নেয় ৩১১ রানের। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। তবে প্রচণ্ড চাপের মুখে রাহুল (৮৭*) এবং গিল (৭৮*) দারুণ লড়াই করে দুই সেশনে ব্যাট করেন দাঁতে দাঁত চেপে। ভালো ডেলিভারিকে সম্মান জানিয়ে দুজনেই রান বের করেছেন বাজে বলেই কেবল।
জিওহটস্টারের ‘ম্যাচ সেন্টার লাইভ’-এ তাই মাঞ্জারেকার বলেছেন, ভারতের হার এড়ানোর চ্যালেঞ্জ দুজনের দিকেই ঝুঁকে থাকবে।
“এটা তাদের জন্য খুব বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে। আমি এখনও বিশ্বাস করি এই জুটিকেই কাজটা শেষ করতে হবে। এই জুটি ছাড়া অন্যদের নিয়ে আমি তেমন একটা আশাবাদী নই।”
ভারত অধিনায়ক গিলের পাশাপাশি পঞ্চম দিনে ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে রাহুলের উইকেটও, যিনি এরই মধ্যে সিরিজে করেছেন দুই সেঞ্চুরি। পার করে ফেলেছেন ৫০০ রানও। আর ১৩ রান করলেই ইংল্যান্ডের মাটিতে তার পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে যাবেন এই স্টাইলিশ ব্যাটার। অন্যদিকে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত গিল টেস্ট মেজাজে ব্যাট চালিয়েছেন মাত্র ৪৬.৭০ স্ট্রাইক রেটে। ইংল্যান্ডের স্পিনার স্পিন ফাঁদে পা দিয়ে দুজনের কেউই খেলেননি বড় শট।
তাদের এই সংযমের প্রশংসা করেন মাঞ্জারেকার। “আমাদের মনে রাখতে হবে, তারা দুজনই কিন্তু আইপিএল তারকা। চাইলেই কিন্তু তারা (বাঁহাতি স্পিনার) লিয়াম ডসনকে প্রতি ওভারে তিনটি করে ছক্কা মারতে পারত। কিন্তু তারা সেই লোভ সামাল দিয়ে বরং উল্টো কাজটা করে গেছে। পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে, সংযমী ব্যাটিং করেছে। আমি এটার প্রশংসা করি। রাহুল প্রতিটি ইনিংসে রান করেছে, তারপরও তার সেই মানসিক শক্তি আছে অনেক সময় ধরে ব্যাটিং করার জন্য। শুভমানের স্ট্রাইক রেট চা বিরতির আগে ছিল ৬৭, কিন্তু পরে তা মাত্র ২৯ হয়ে যায়।”
ফিটনেস সমস্যার কারণে অনেকটা সময় ধরেই টেস্টে লম্বা স্পেলে বোলিং করা থেকে বিরত ছিলেন। তবে ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে বল হাতে বেন স্টোকস হাজির হচ্ছেন নিয়মিতই, উইকেটের দেখাও পাচ্ছেন বেশ। চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া ইংলিশ অধিনায়ক ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে এখন বোলিং করেননি, চোট নিয়ে ঝুঁকির কারণে। পঞ্চম দিনে অবশ্য তাকে ফের বল হাতে দেখার ব্যাপারে আশাবাদী ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিক।
ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৩৫৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সামনে থেকে অবদান রাখা স্টোকস প্রথম দিনে শুরুতেই বল হাতে তুলে নেন। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত কয়েকটি স্পেলে ২৪ ওভারে ৭২ রানে নেন ৫ উইকেট। এরপর প্রথম ইনিংসে করেন লড়াকু এক সেঞ্চুরি (১৪১ রান)। এরপর শূন্য রানে ভারত ২ উইকেট হারানোর চাপ সামলে দিন শেষ করে ১৭৪ রানে। ৬৩ ওভারের মধ্যে একবারও বল হাতে নেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক, যা কিছুটা প্রশ্নের জন্ম দেয়।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ট্রেসকোথিক জানান, স্টোকসকে তারা ইচ্ছা করেই ব্যবহার করেননি এখন পর্যন্ত। “সে কিছুটা চাপ অনুভব করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে তার ওপর বেশ চাপ ছিল। এরপর প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের পর আরও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা আশা করছি, রাতভর বিশ্রাম ও ফিজিওথেরাপির পর তিনি বোলিং করার মত ফিট হয়ে উঠবেন।”
গত জানুয়ারিতে হ্যামস্ট্রিংয়ের সার্জারি করানোর পর দীর্ঘদিনের রিহ্যাব প্রোগ্রামের পর পূর্ণমাত্রায় অলরাউন্ডার হিসেবে এই সিরিজে পারফর্ম করছেন স্টোকস। চার টেস্টে ১২৯ ওভার বল করেছেন, যা তার জন্য এক সিরিজে সর্বোচ্চ ওভার বোলিংয়ের ব্যক্তিগত রেকর্ড। সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এই ডানহাতি পেসার ভারতকে বারবার ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিপদে ফেলেছেন।
চতুর্থ দিন স্টোকসকে ব্যাটিংয়ের সময় তার হ্যামস্ট্রিং চেপে ধরতে দেখা যায়। হয়ত সেই কারণেই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি ইংল্যান্ড। ট্রেসকোথিক জানিয়েছেন, পঞ্চম দিন বোলিং করতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই চতুর্থ দিন স্টোকসকে তারা মাঠেই রেখেছেন।
উল্লেখ্য, রানের খাতা খোলার আগেই ২ উইকেটে হারানো ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছে লোকেশ রাহুল এবং শুবমান গিলের মধ্যে ১৭৪ রানের অপরাজিত জুটিতে। সফরকারীরা এখনও পিছিয়ে আছে ১৩৭ রানে। সিরিজে ইংল্যান্ড এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে।
১৮১ রানের লক্ষ্যের খুব কাছে গিয়ে ৬ বলে মাত্র ৭ রানের সমীকরণ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। তবে শেষ ওভারে দুটি উইকেট হারিয়ে চোকার্স তকমাকে আরো একবার উজ্জীবিত করল ফর ডার ডুসেনের আফ্রিকা।
প্রথম ১০ ওভারে প্রায় একশো রান তোলা প্রোটিয়াস এগিয়ে গিয়েছিল প্রিটোরিয়াস ও হেনড্রিকসের ৯২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে। দশম ওভারে প্রথম উইকেট হারানো দলটা এরপর ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারালেও প্রত্যেকের ক্যামিও ইনিংসে রানরেট ঠিকঠাক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার।
৩৫ বলে সবোর্চ্চ ৫১ রান করেন ওপেনার প্রিটোরিয়াস। তাঁর সঙ্গী হেনড্রিকসের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৩৭ রান। শেষ ৩০ বলে ম্যাচ জিততে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ৫০ রান। ৫ম উইকেট জুটিতে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও জর্জ লিনডে ম্যাচকে নিতে থাকেন নিজেদের দিকে।
শেষ ২ ওভারে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। জ্যাকব ডাফির ১৯ তম ওভারে দুই ছক্কায় ম্যাচকে আরো ক্লোজ করেন ব্রেভিস। তবে শেষ ওভারের মাত্র ৭ রান নিতে পারেনি তারা। ম্যাট হেনরির দুর্দান্ত বোলিংয়ে উল্টো দুই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ বলে ১০ করে ফেরেন লিনডে। আর ছন্দে থাকা ব্রেভিস আউট হন ১৬ বলে ৩১ করে। ১ বলে ৪ রান আর নিতে পারেননি স্ট্রাইকে থাকা মুথুসামি।
এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার টিম সেফার্ট ও ডেভিন কনওয়ে মিলে রান তোলেন ৭৫। সেফার্ট ২৮ বলে ৩০ ও কনওয়ে আউট হন ৩১ বলে ৪৭ রান করে। কনওয়ের চেয়ে চার বল কম খেলে তাঁর সমান রানেই আউট হন রাচিন রাভিন্দ্র। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান বোর্ডে তোলে নিউজিল্যান্ড।
বোলিংয়ে লুঙ্গি এনগিডি নেন ২ উইকেট। নান্দ্রে বার্গার, এমফাকা ও মুথুসামি নেন ১ টি করে। ত্রিদেশীয় এই সিরিজে ৪ ম্যাচ খেলে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। আর সবকটি ম্যাচই জিতেছে নিউজিল্যান্ড। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে দুই ম্যাচ জিতলেও কিউইদের সঙ্গে মুখোমুছি হওয়া তিনটি ম্যাচই হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চূড়ান্ত হল এশিয়া কাপের ভেন্যু। এবারের আসর বসবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, শনিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এবারের আসরটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। এসিসি সভাপতি মহসিন নাকভি এক্স (সাবেক টুইটার)–এ পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। “আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, চলতি বছরের ছেলেদের এশিয়া কাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আমরা একটি দুর্দান্ত আসরের প্রত্যাশায় আছি। টুর্নামেন্টের বিস্তারিত সূচি খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।”
গত ২৪ জুলাই ঢাকায় এসিসির সভায় এশিয়া কাপের ভেন্যু ও সূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেখানে টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত সূচি তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)-কে। তবে বিসিসিআই জানিয়েছে, এখনো বেশ কিছু বাণিজ্যিক বিষয় চূড়ান্ত করা হয়নি। সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পর এসিসির মাধ্যমেই সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে।
যদিও পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনো প্রকাশিত হয়নি, তবুও সবার নজর রয়েছে টুর্নামেন্টে সম্ভাব্য ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিকেই। দুই প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে এই ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে বেশ। সম্প্রতি লিজেন্ডস টুর্নামেন্টেও বাতিল হয় দুই দেশের ম্যাচ।
এবারের এশিয়া কাপে অংশ নিচ্ছে মোট আটটি দল। আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই আসর দলগুলোর জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
ব্যাট হাতে ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজে বড় ইনিংস না খেললেও উপহার দিয়েছেন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। সিরিজের পঞ্চম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বল হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে আলো ছড়ানোর পর এবার ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠলেন বেন স্টোকস। চতুর্থ দিন সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে নাম লিখিয়েছেন দারুণ এক তালিকায়। জায়গা করে নিয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটারদের বিরল এক তালিকায়।।
বল হাতে ৭২ রানে ৫ উইকেট নেওয়া স্টোকস চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে তিন অঙ্কের ঘরে পা রাখেন। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে এক টেস্টে শতরান ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন যথাক্রমে টনি গ্রেগ (১৯৭৪ সাল, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ), স্যার ইয়ান বথাম (৫ বার), গাস অ্যাটকিনসন (২০২৪ সাল, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা)। তবে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে এই স্টোকস ছাড়া এই কীর্তি আর কারোরই নেই। সব মিলিয়ে তিনি মাত্র পঞ্চম অধিনায়ক, যিনি একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ফাইফারের দেখা পেয়েছেন। এই তালিকায় অন্যরা হলেন : গ্যারি সোবার্স, মুশতাক মোহাম্মদ, জ্যাক ক্যালিস, সাকিব আল হাসান।
শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্র জাদেজার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে স্টোকস খেলেছেন ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪১ রানের ইনিংস। এটি তার ১৩তম টেস্ট শতক, আর ২০২৩ সালের পর প্রথম।
এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ভারতের ৩৫৮ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের স্কোর ৯ উইকেটে ৬৬০ রান।
৪ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে