৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
৩০ ডিসেম্বর সাত দল নিয়ে যে ক্রিকেট উৎসব শুরু হয়েছিল ৪৫ ম্যাচ শেষে, ৭ ফেব্রুয়ারির অপেক্ষা এখন কেবলই ফাইনালের। পুরো টুর্নামেন্টে দাপুটে ক্রিকেট খেলা ফরচুন বরিশালের ফাইনালের প্রতিপক্ষ চিটাগং কিংস।
সেরা দুই দলই ৭ তারিখের সন্ধ্যা সাতটার ম্যাচে নামবে মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গ্রুপ পর্বে ১২ ম্যাচের ৯টায় জিতে ১৮ পয়েন্টে টেবিলের এক নম্বরে ছিল বরিশাল। দুইয়ে ছিল ৮ ম্যাচ জেতা কিংস। ফাইনালে আসার পথে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কিংসকেই ৯ উইকেটে হারিয়েছিল তামিমের দল। পরে শেষ বলের ডিসাইডারে কোয়ালিফায়ার টুয়ে ২ উইকেটে জিতে ফাইনালে মোহাম্মদ মিথুনের কিংস।
মাঠের বাইরের সমালোচনা সেই শুরু থেকেই। কিটব্যাগ-হেলমেট স্বল্পতা, পেমেন্ট ইস্যু নিয়ে কথা উঠেছে রোজ, শেষের দিকে ফিক্সিং সন্দেহের কালো মেঘ ভারি করেছে বিপিএলের আকাশ। মাঠের ক্রিকেটে রান উঠলেও নিম্ন মানের বিদেশিরাও ছিলেন আলোচনায়।
এক ছক্কায় হয়ে যাবে এই বিপিএলের ৭০০ ছক্কা। এর আগে বিপিএলের এক আসর কখনো দেখেনি ৬৫০ ছক্কাও। ২৯৪ রানে হবে বিপিএল ইতিহাসের এক আসরে সর্বোচ্চ রানও। এই বিপিএলে মাঠের ক্রিকেটে হয়েছে রান আর মাঠের বাইরে সমালোচনা।
সর্বোচ্চ রানে সেরা বিদায় হয়ে যাওয়া খুলনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের। সেরা পাঁচে নেই বরিশালের কেউ। বিপিএল ইতিহাসের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ৫০০ রানও পেরিয়েছেন নাঈম, টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ৫১১ রানে। সর্বোচ্চ উইকেটে তাসকিন আহমেদই আপাতত এক নাম্বারে, বিপিএল ইতিহাসেই এক আসরে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেটে শেষ তাজিমের এই বিপিএল।
আগের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বরিশাল। কিংসের নজর নিজেদের প্রথম শিরোপার দিকে। জমে ওঠা এক ফাইনালের অপেক্ষায় ক্রিকেট দর্শকরা। এই বিপিএলেই রেকর্ড ১০ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। ফাইনালেও থাকবে গ্যালারি ভর্তি দর্শক।
বিপিএল ফাইনাল : বরিশাল – চিটাগং
শুরু : ৭ ফেব্রুয়ারি, সন্ধ্যা সাতটা
ভেন্যু : শেরে-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম
দেখা যাবে টি স্পোর্টস টেলিভিশন ও অ্যাপে
৭ মে ২০২৫, ৯:২৯ পিএম
আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই ছিল কেবল বাকি। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) যে আপাতত আর মাঠে গড়াচ্ছে না, শুক্রবার দিনের শুরু থেকেই মিলছিল তার আভাস। শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই সেক্রেটারি দেবজিত সাইকিয়া নিশ্চিত করলেন, এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে আইপিএল।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই, যেখানে গত তিন দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ের কারণে এর আগে স্থগিত হয় পিএসএল। সেটার ধারায় এবার বন্ধ হল আইপিএলও।
সাইকিয়া তার বিবৃতিতে অবশ্য আইপিএল আবার শুরুর সম্ভাব্য সময় জানাননি।
“চলমান পরিস্থিতি পূর্ণাঙ্গভাবে মূল্যায়ন করার পর, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করে আইপিএলের নতুন সূচি ও ভেন্যুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এপ্রিলের শেষ থেকে চলে আসছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক অস্থিরতা। সীমান্তে চলছে ড্রোন হামলাও। এসবের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের চারটি ফ্ল্যাডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। শুরুতে টেকনিক্যাল ত্রুটির কথা বলা হলেও খুব শীঘ্রই খেলোয়াড় এবং আম্পায়াররা মাঠ ছাড়তে শুরু করেন। পরে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ছাড়তে বলা হয় নিরাপত্তার কারণে।
ধর্মশালার বিমানবন্দর এবং আশপাশের এয়ারপোর্টগুলো বন্ধ থাকায় পাঞ্জাব ও দিল্লির খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফরা বাসে ও ট্রেনে করে ধর্মশালা থেকে ট্রেনে দিল্লি পৌঁছান।
সব পক্ষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে আইপিএল স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানালেন সাইকিয়া।
“আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পক্ষ থেকে আসা উদ্বেগ ও খেলোয়াড়দের আবেগ-অনুভূতি, ব্রডকাস্টার, স্পন্সর ও ভক্তদের মতামতের ভিত্তিতে। সব স্টেকহোল্ডারের সম্মিলিত স্বার্থে এই সিদ্ধান্তটিকে বিচক্ষণ বলে বিবেচনা করেছে বিসিসিআই।”
এই সিদ্ধান্তটি এসেছে বিসিসিআই-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি জরুরি মিটিংয়ের পর, যেখানে সাইকিয়া এবং আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমলও অংশ নেন। আইপিএল স্থগিতের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশের আগেই সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত আইপিএলের গ্রুপ পর্বের ৫৮টি ম্যাচ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে (ধর্মশালার ম্যাচটি বাদে)। গ্রুপ পর্বে এখনও বাকি ১২টি ম্যাচ, এরপর প্লে-অফ ও ফাইনাল।
আইপিএল যদি খুব দ্রুত শুরু না করা যায়, তাহলে এরপর সেটা হতে পারে আবার আগামী সেপ্টেম্বরে, যে সময়ের ভারতের কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নেই। সেই সময়ে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান বাস্তবতায় ভারত ও পাকিস্তানের একই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এর আগে আগামী ২০ জুন থেকে ইংল্যান্ড সফরের পাঁচ টেস্ট ম্যাচের সিরিজ শুরু হবে ভারতের। ফলে এই মাসেই আইপিএল শেষ না করা গেলে তা পিছিয়ে যেতে পারে লম্বা সময়ের জন্যই।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে খুব দ্রুতই এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। একই সময়ে চলা পিএসএলের পর স্থগিত হয়ে গেছে আইপিএলও। এই দুই টুর্নামেন্টের মধ্যে পিএসএলে খেলছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ মনে করেন, বিকল্প ভেন্যুতে নিরাপদেই খেলতে পারবেন রিশাদ-নাহিদরা।
গত কয়েকদিন ধরে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি ও পাল্টাপাল্টি আক্রমণের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার কারনে শুক্রবার ঘোষণা আসে পিএসএল স্থগিতের। সাথে এও জানানো হয়, বাকি অংশ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ফলে শুরুতে রিশাদ ও নাহিদরা দেশে ফিরতে চাইলেও তাদের এখন সেখানে গিয়ে খেলার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার বিসিবির পক্ষ থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ফারুক জানালেন, বোর্ডের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন তারা।
“গত মঙ্গলবার থেকে আমাদের প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক আমাদের বোর্ডের জন্যও। আপনারা জানেন আমাদের জাতীয় দলের দুজন ক্রিকেটার পাকিস্তানে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলছেন। সেখানে যখন থেকে পরিস্থিতি প্রতিকূল, তখন থেকেই ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট অপারেশনন্স থেকে শাহরিয়ার নাফীস নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আমি ব্যক্তিগত উদ্যেগে পিএসএলের সিএও-এর সাথে যোগাযোগ করেছি। আমি পিসিবি সভাপতিকেও বার্তা দিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেছিলাম।”
গত বৃহস্পতিবার পিএসএলে করাচি কিংস এবং পেশোয়ার জালমি রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। তবে স্টেডিয়ামের কাছে একটি ড্রোন পড়ার পর ম্যাচটি বাতিল করা হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এরপর খেলোয়াড়দের ওপর হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ও বিদেশি ক্রিকেটারদের লক্ষ্য করে এটি ছিল প্রতিবেশী দেশ ভারতের ইচ্ছাকৃত এক হামলা।
স্বাভাবিকভাবেই দুই দেশের চলমান পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিদেশী ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা নাকি এরই মধ্যে তাদের বোর্ডকে জানিয়েছে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা। এমন অবস্থায় বিসিবিকে ভাবতে হচ্ছে পাকিস্তানে অবস্থান করা বাংলাদেশের দুই সাংবাদিকের নিরাপত্তার দিকটিও।
ফারুক জানিয়েছেন, তারা খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দিকটিও দেখবেন।
“আপনারা জানেন তারা বাংলাদেশের দুজন সব সব বিদেশী খেলোয়াড়দেড় একত্র করেছিল এজন্য যাতে তারা তাদের নিরাপদে একটা জায়গায় সরিয়ে নিতে পারে। তার সাথে সাথে আমাদের বোর্ড থেকে পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমাদের দুজন ক্রীড়া সাংবাদিক সেখানে আছে, আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা তাদের বলেছি যাতে খেলোয়াড়দের সাথে এই দুজনের দিকটিও দেখা হয়। তারা পেশাগত দায়িতে পালনে সেখান গেছে। তাই আমরা মনে করি তাদের প্রতি আমাদের একটা দায়িত্ব আছে।”
গত কয়েকদিন ধরেই খবর আসছিল যে, নিরাপত্তার চিন্তায় বাংলাদেশে ফিরে আসতে চাচ্ছেন রিশাদ ও নাহিদ। সেই সাথে যোগ হয় বাংলাদেশের এই মাসের পাকিস্তানের সম্ভাব্য সাদা বলের সিরিজ নিয়েও, যেখানে দলের অনেকেই যেতে অনাগ্রহী নিরাপত্তা নিয়ে।
সেই সিরিজ নিয়ে কিছু না বললেও বিসিবি প্রধান বললেন, রিশাদ ও নাহিদ আপাতত দেশে ফিরেছেন না।
“গত তিন দিন ধরে আমরা সারাক্ষণ পিসিবি, পিএসএলের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। আশা করি তারা আজকে বিকালের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত নেবে। এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে তারা। আমি জানতে পেরেছি সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারা খেলোয়াড়দের সেখানে নিয়ে যাবে। এই ব্যাপারটা বোর্ড সভাপতি হিসেবে প্রথম থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি আমি। আমি আশা করি এটার একটা সুন্দর সমাধান হবে।”
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে তীব্র সামরিক উত্তেজনার জেরে পিএসএলের পর বন্ধ হয়ে গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগও (আইপিএল) পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র।
শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমসের সাথে আলাপচারিতায় ভারত ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি সূত্র আইপিএল স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
“আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খেলোয়াড়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই আমরা আপাতত টুর্নামেন্টটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টুর্নামেন্টটি আবার কবে থেকে শুরু হতে পারে, তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মুহুর্তে আমাদের কাছে জাতীয় স্বার্থই সর্বাধিক গুরুত্বের বিষয়।”
ভারত সরকার, আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে একাধিক বৈঠকের পরে বিসিসিআই টুর্নামেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে।
আইপিএলে অংশ নেওয়া বিদেশী খেলোয়াড়দের জন্য চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। বোর্ডের বেশ কয়েকটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসেরকে নিশ্চিত করেছে যে, আইপিএলের বাকি অংশ ল ভবিষ্যতে শুরু এবং টুর্নামেন্ট এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় সরকারের পরামর্শ অনুসরণ করবে।
গত বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ চলাকালীন, স্টেডিয়ামের চারটি ফ্ল্যাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। শুরুতে টেকনিক্যাল ত্রুটির কথা বলা হলেও খুব শীঘ্রই খেলোয়াড় এবং আম্পায়াররা মাঠ ছাড়তে শুরু করেন। পরে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ছাড়তে বলা হয়েছিল।
গত মাসে কাশ্মীরে এক সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে গত বুধবার পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে। পাল্টা জবাব হিসেবে পাকিস্তান সীমান্তে ভারী গোলাবর্ষণ করে। ফলশ্রুতিতে দুই দেশই বৃহস্পতিবার একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার অভিযোগ তোলে।
গত বৃহস্পতিবার পিএসএলে করাচি কিংস এবং পেশোয়ার জালমি রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু স্টেডিয়ামের কাছে একটি ড্রোন পড়ার পর ম্যাচটি বাতিল করা হয়। এর জেরে এরপর পিএসএলের বাকি অংশ সরিয়ে নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
গত কয়েকদিন ধরে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি ও পাল্টাপাল্টি আক্রমণের প্রভাব শেষ পর্যন্ত সরাসরি পড়ল ক্রিকেটে। নিরাপত্তার কারনে পাকিস্তান থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বাকি অংশ। ফলে অনিশ্চয়তা জেগেছে চলতি মাসে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানের সম্ভাব্য সফর নিয়েও।
উল্লেখ্য, এই মাসের শেষের দিকে পাকিস্তানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের সফর করার কথা রয়েছে। এই সিরিজটি আইসিসির এফটিপির অংশ, তাই বিসিবির পক্ষে আগেভাগে এই সিরিজ বাতিল করাট সহজ সিদ্ধান্ত হবে না।
তার আগে পিএসএল সরিয়ে নেওয়ার এই ঘোষণা আসল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের দেওয়া বিবৃতির পর, যেখানে তিনি খেলোয়াড়দের ওপর হামলা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ২৮টি ভারতীয় ড্রোন ‘নিষ্ক্রিয়’ করেছে, যার মধ্যে একটি রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে কাছে ধরা পড়ে। তিনি এও জানান, পাকিস্তান ও বিদেশি ক্রিকেটারদের লক্ষ্য করে এটি ছিল প্রতিবেশী দেশ ভারতের ইচ্ছাকৃত এক হামলা।
এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে, পিএসএল-এর বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন সূচি পরে জানানো হবে।
এই সিদ্ধান্তটি পিসিবি চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভির সাথে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের একাধিক বৈঠকের পর নেওয়া হয়েছে। নাকভি বিবৃতিতে বলেছেন, “খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
গত বৃহস্পতিবার পিএসএলে করাচি কিংস এবং পেশোয়ার জালমি রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু স্টেডিয়ামের কাছে একটি ড্রোন পড়ার পর ম্যাচটি বাতিল করা হয়।
এবারের পিএসএলে ৩৭ জন বিদেশি খেলোয়াড় অংশ নিয়েছেন। যাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের খেলোয়াড়।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার কারণে পিএসএল খেলার জন্য পাকিস্তানে অবস্থান করা বিদেশি খেলোয়াড়রা দেশটিতে আর থাকতে চাননি। ফলে বাধ্য হয়েই পিসিবিকে ভেন্যু লিগ স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
গত মাসে কাশ্মীরে এক সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে বুধবার পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় ভারত। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর পাল্টা জবাব হিসেবে পাকিস্তান সীমান্তে ভারী গোলাবর্ষণ করে। উভয় দেশই বৃহস্পতিবার একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার অভিযোগ তোলে।
ইএসপিএন তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিদেশী খেলোয়াড়রা ইতিমধ্যেই পাকিস্তান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা দেশে ফিরে আসতে চাচ্ছেন বলেই খবর। আরব আমিরাতে কবে থেকে সেখানে বাকি ম্যাচগুলো শুরু হবে, তা জানা যায়নি এখনও।
পিএসএল ফের শুরুতে কোনো ধরণের বিলম্ব হলে তা পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচিতেও বড় রকমের প্রভাব ফেলতে পারে, যেখানে সবার আগে প্রশ্নের মুখে পড়বে বাংলাদেশের সাথে সিরিজ।
আগামী ২৫ মে ফয়সালাবাদে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরুর কথা রয়েছে। তবে ডেইলি সানকে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, এই মুহূর্তে পাকিস্তান সফরের সম্ভাবনা নিয়ে তারাও চিন্তিত।
টেস্ট ফর্মটা ভালো না হলেও অধিনায়ক হওয়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলার ছিল জোর সম্ভাবনা৷ তবে সময়ের ডাকে সাড়া দিলেন রোহিত শর্মা৷ লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
গত বছর জুড়েই দেশে ও দেশের বাইরে টেস্টে ভীষণ মলিন পারফরম্যান্স ছিল রোহিতের। এক-দুটি ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন বটে, তবে ব্যাটে ছিল না সেই চেনা ধার। ফর্ম নিয়ে প্রবল চাপের মুখে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অধিনায়ক হয়েও নিজেকে সরিয়ে নেন একাদশ থেকে। এরপর রঞ্জি ট্রফিতে খেলায় আশা ছিল ইংল্যান্ড সিরিজ খেলার।
তবে বুধবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে রোহিত জানিয়েছেন, তার টেস্ট অধ্যায় শেষ। “আমি আপনাদের সবাইকে জানাতে চাই যে আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সাদা পোশাকে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা ছিল আমার জন্য সর্বোচ্চ সম্মান। বছরের পর বছর ধরে আপনাদের ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। আমি ওয়ানডেতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে যাব।”
গত বছর ভারতকে টি -টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়ে রোহিত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন। এই বছরের শুরুতে তার অধিনায়কত্বে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জেতে ভারত। তবে গেল বছর টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তার রেকর্ড ভালো ছিল না। ভারত নিউজিল্যান্ডের কাছে হোম টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়। এরপর বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিও ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় ভারত। যদিও পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনি নেতৃত্ব দেন তিন ম্যাচে। ওপেনিং ছেড়ে ব্যাট করেন মিডল অর্ডারে।
শেষটা মলিন হলেও টেস্টে রোহিতের অভিষেকটা ছিল স্মরণীয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেন ১৭৭ রান। ক্যারিয়ারের শুরুর বছরগুলোতে মিডল-অর্ডারে ব্যাটিংয়ের পর ২০১৯ সালে টেস্টে ওপেনার হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ডানহাতি এই ব্যাটারের।
বিরাট কোহলি ২০২২ সালে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করার পরে রোহিত ভারতের লাল দলের কাপ্তান হন। তার অধিনায়কত্বে ভারত ২০২৩ সালে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছিল।
রোহিত খেলেছেন মোট ৬৭টি টেস্ট। রান করেছেব ৪ হাজার ৩০১। গড় ৪০.৫৭। সেঞ্চুরি ১২টি আর ফিফটি ১৮টি।
৮ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে