৯ জুন ২০২৫, ৮:২০ পিএম
নানা বাস্তবতায় চলতি বছরে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পারফরম্যান্সে গতি এসেছে বেশ। আত্মবিশ্বাসও তাই বেড়ে গেছে বেশ। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের সাথে ড্র করা বাংলাদেশ তাই শক্তিশালী সিঙ্গাপুরের সাথেও সমানে সমান লড়াইয়ের আশা নিয়েই এগোচ্ছে। কোচ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা স্পষ্ট বললেন, এই ম্যাচে জয় ছাড়া আর কোনো চিন্তা নেই তাদের।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশের ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা চোখে পড়ার মতোই। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাছাইয়ের লড়াই ঘিরে তাই পুরো দেশেই তৈরি হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী রোমাঞ্চ। এর পেছনে বড় অবদান বিদেশী লিগে খেলা হামজা চৌধুরী, শমিত সোম ও ফাহমিদুল ইসলামদের দলে অন্তর্ভুক্তি। দলের শক্তি তাতে যেমন বেড়েছে, সাথে যোগ হয়েছে নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাসও।
সেটা সামনে রেখে আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা শোনালেন ইতিবাচকতার সুর।
“আমরা মনে করি ম্যাচটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে আমাদের লক্ষ্য একটাই, তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়া। কারণ এখানে কেবল গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই পরের রাউন্ডে যাবে। আমাদের দলের সেই সামর্থ্য আছে এবং আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।”
বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে শিলংয়ে গত মার্চের হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় হামজার। এবার দলে নতুন সংযোজন কানাডা অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেলা মিডফিল্ডার শমিত সোম ও ইতালির ঘরোয়া ফুটবল খেলা স্ট্রাইকার ফাহমিদুল ইসলাম। শোম বাদে বাকি দুজন খেলেছিলেন গত ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে৷ এরপর ছিল ঈদের বিরতি।
কোচ কাবরেরা মনে করেন, তারা সিঙ্গাপুরের মহারণের জন্য শতভাগ প্রস্তুত।
“এটা ঠিক যে প্রস্তুতির জন্য আমাদের হাতে সময় কম ছিল। তবে আমরা খুব নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর আমরা সেই চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।”
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে আরও রয়েছে। প্রত্যেকটি দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচ ড্র করায় পয়েন্ট টেবিলে সবাই এখন সমানে সমান। বাছাইয়ের সূচি ঘোষণার সময় বাংলাদেশকে এই গ্রুপে পিছিয়ে রাখা হলেও হামজাদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দল এখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নই দেখছে।
No posts available.
৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ পিএম
৬ নভেম্বর ২০২৫, ৯:১৬ পিএম

সবশেষ গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। এরপর জাতীয় দলে একরকম ব্রাত্যই হয়ে পড়েন এন’গোলো কান্তে। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফ্রান্স দলে ফিরলেন বিশ্বকাপজয়ী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউক্রেস ও আজারবাইজানের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য গতকাল দল ঘোষণা করে ফ্রান্স। দিদিয়ের দেশমের ২৪ সদস্যের দলে জায়গা পেলেন কান্তে। পুরো মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য পরিচিত মিডফিল্ডার বর্তমানে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল ইত্তিহাদে খেলছেন।
ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দল ঘোষণার পর কান্তের ফেরার প্রসঙ্গে বলেন, ‘সে এখন তার সেরা ছন্দে আছে। আমি যখন তাকে দলে ডাকি, তা শুধু দলের অংশ হওয়ার জন্য নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য।’
ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ–‘ডি’ তে শীর্ষে থাকা ফ্রান্স আগামী ১৩ নভেম্বর পার্ক দে প্রিন্সেসে ইউক্রেনের মুখোমুখি হবে। চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ কিলিয়ান এমবাপেদের। সাত পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউক্রেনকে হারাতে পারলেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট কাটবে ফ্রান্স। তিন দিন পরে তাদের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ আজারবাইজানের বিপক্ষে।
ফ্রান্সের স্কোয়াড
গোলকিপার: লুকাস শেভালিয়ে, মাইক ম্যানিয়াঁ এবং ব্রাইস সাম্বা
ডিফেন্ডার : লুকাস দিনিয়ে, মালো গুস্তো, লুকাস হার্নান্দেজ, থিও হার্নান্দেজ, ইব্রাহিমা কোনাতে, জুলস কুন্দে, উইলিয়াম সালিবা এবং দায়োত উপামেকানো।
মিডফিল্ডার : এদুয়োর্দো কামাভিঙ্গা, এন’গোলো কান্তে, মনু কোনো, মাইকেল অলিসে এবং ওয়ারেন জায়ির-এমেরি।
ফরোয়ার্ড : মাগনেস আক্লিউশ, ব্রাডলি বারকোলা, রায়ান শেরকি, হুগো একিতিকে, র্যান্ডাল কুলো মুয়ানি, জ্যাঁ-ফিলিপ মাতেতা, কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং ক্রিস্টোফার এনকুকু।

ঢাকায় এএফবি ল্যাটিন-বাংলা সুপার কাপ ফুটবল আয়োজন করতে যাচ্ছে এএফ বক্সিং প্রোমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (এএফবিপিআইএল)। ডিসেম্বরের ৫ তারিখ ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে এই প্রতিযোগিতা। যেখানে অংশ নেবে ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবলের দুই পরাশক্তি— ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং স্বাগতিক বাংলাদেশ।
এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের দল গঠন হবে সাবেক তারকা ফুটবলারদের নিয়ে। তিনটি দল খেলবে নিজের দেশের জার্সি গায়ে দিয়ে।আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের ফুটবলের ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে তেমনই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ডিসেম্বরে ব্রাজিলের দলটির সঙ্গে থাকবেন কিংবদন্তি ও সাবেক ফুটবলার কাফু।প্রত্যেক দল একবার করে পরস্পরের মোকাবিলা করবে।
সুপার কাপ নিয়ে আয়োজকরা আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বিস্তারিত তুলে ধরবে। সুপার কাপের জন্য ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে।

দিয়াগো জতার মৃত্যুতে পুরো ফুটবলবিশ্বেই নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান লিভারপুলের পর্তুগিজ তারকা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা।
পর্তুগালের গন্ডোমারের এক গির্জায় অনুষ্ঠিত হয় তাদের শেষকৃত্য। সেখানে লিভারপুল ও পর্তুগালের অনেক সতীর্থ উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি জাতীয় দলের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। সতীর্থের শেষকৃত্যে রোনালদোর অনুপস্থিতি ভালো চোখে দেখেনি অনেকেই।
অবশ্য জোতার মৃত্যুর পর সামাজিক মাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তা দেন ‘সিআর সেভেন’। প্রায় চার মাস পর এবার সতীর্থের শেষ বিদায়ে না থাকার কারণ ব্যাখা করলেন আল নাসর তারকা। মূলত অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া এড়াতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নেন রোনালদো। খ্যাতির বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতেই নিজেকে সরিয়ে রাখেন তিনি।
সম্প্রতি জনপ্রিয় সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জতার শেষকৃত্যে না থাকার প্রসঙ্গ উঠে আসে। অনেকে পর্তুগিজ তারকার অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করলেও তাতে কান দিচ্ছেন না তিনি, ‘দুইটি বিষয় আছে, মানুষ আমাকে নিয়ে সমালোচনা আমি সেটা নিয়ে মাথা ঘামাই না, কারণ যখন আপনার অন্তর শুদ্ধ থাকে, তখন আপনাকে মানুষের কথার চিন্তা করতে হয় না।
কিন্তু আমি একটা জিনিস করি না, তা হলো—আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমি কখনো কবরস্থানে যাইনি।
নিজের জনপ্রিয়তা নিয়েও যে ঝামেলায় পড়তে হয় সেটা মনে করিয়ে দেন রোনালদো, ‘ দ্বিতীয়ত, আপনি জানেন আমার খ্যাতি কতটা, আমি যেখানে যাই, সেটা সার্কাসে পরিণত হয়। আমি তাই যাই না, কারণ তখন সবার দৃষ্টি আমার ওপর চলে আসে এবং আমি এই ধরনের মনোযোগ চাই না। মানুষ চাইলে সমালোচনা করতে পারে, আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্থির ছিলাম।’
সরাসরি উপস্থিত না থাকলেও আড়ালে থেকে বন্ধুর পরিবারের পাশে ছিলেন রোনালদো,‘মানুষ যেন আমাকে দেখে, সেজন্য প্রথম সারিতে থাকার প্রয়োজন নেই। আমি কাজগুলো পরিকল্পনা করি, আমি তাঁর পরিবারের কথা ভাবি। মানুষ যেন আমার কাজ দেখুক, এজন্য ক্যামেরার সামনে থাকার মানে নেই। আমি সব কিছু আড়াল থেকে করি।’
রোনালদো আরও যোগ করেন, যে জতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার এবং তাঁদের সমর্থন দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, শেষকৃত্যের বাইরে থেকেই।

ঘরের মাঠে আগামী ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে বুধবার দুপুর ২টা থেকে। ৩০ ঘন্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়নি সাধারণ গ্যালারির ১৮ হাজার টিকিট।
সর্বশেষ ৯ অক্টোবর পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামেই হংকং, চায়নার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের টিকিট অনলাইনে ছাড়ার প্রায় এক ঘন্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় সব টিকিট। ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট নিয়েও সমর্থকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তবে নেপাল ম্যাচের আগে সমর্থকদের মধ্যে টিকিট সংগ্রহের আগ্রহ কম কেন?
অবশ্য হংকং, চায়না এবং সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি ছিল এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের। স্বাভাবিকভাবেই ওই ম্যাচ দুটি নিয়ে আগ্রহ বেশি থাকার কথা। তবে ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও কিন্তু সমর্থকদের আগ্রহের কমতি ছিল না। এবার সেখানে কিছুটা ব্যতিক্রমই বলা যেতে পারে। কেননা টিকিট বিক্রির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কুইকেট-এ ঢুকলে দেখা যায় সাধারণ গ্যালারির অর্ধেকের বেশি সিট খালি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস জানান বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ ৪-৫ হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে।
কিন্তু এর আগের তিন ম্যাচের টিকিট তো অনলাইনে ছাড়ার পরপরই বিক্রি হয়েছিল, এবার সমর্থকদের চাহিদা কিছুটা কম কি না জানতে চাইলে গোলাম গাউস টি-স্পোর্টসকে বলেন, 'হামজা (চৌধুরী) নামলে পরিস্থিতি বদলে যাবে। মানুষের ধারণা সে আসবে না। কিন্তু আমরা তো তাঁকে বিমানের টিকিট পাঠিয়ে দিয়েছি। ১০ তারিখ সে চলে আসবে।' সব কিছু ঠিক থাকলে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবেন ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা বাংলাদেশী তারকা।
এই ম্যাচের টিকিটের জন্য দেশের বহুজাতিক বিভিন্ন প্নতিষ্ঠান এরই মধ্যে যোগাযোগ করছে বাফুফের সঙ্গে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কাউকেই ফেডারেশন থেকে টিকিট দিচ্ছে না বলে জানান গোলাম গাউস। শেষ পর্যন্ত স্টেডিয়ামের আসন সাধারণ সমর্থকে পরিপূর্ণ হবে বলে বিশ্বাস জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলারের।
বাংলাদেশ সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে ৬ তারিখ ম্যাচ খেলে নেপালের বিপক্ষে। অনেকটা নিয়মিত তাদের সঙ্গে খেলে থাকে বাংলাদেশ। যদিও এবার ভিন্ন পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে ফিফা র ্যাঙ্কিংয়ের ১৮০ নম্বরে দলটির সঙ্গে খেলতে হচ্ছে জামাল ভুঁইয়াদের।
১৩ নভেম্বর প্রীতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ করা ছিল শক্তিশালী আফগানিস্তান। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তারা আসতে না পারায় নেপালকে বেছে নিতে হয় বাফুফেকে। আফগানিস্তান বা অন্য কোনো শক্তিশালী দল আসলে দর্শকদের বেশি আগ্রহ থাকত বলে মত ফেডারেশনের কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যানের, 'হঠাত করে কাউকে না পাওয়াতে... তাছাড়া আফগানিস্তান আসলে ক্রেজটা আরও বেশি থাকতো। কারণ দিনশেষে অনেকেই আসবেন খেলাটা উপভোগ করতে।'
নেপাল ম্যাচের পর ঢাকায় ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। একই দিন মিয়ানমারের বিপক্ষে নিজেদের হোম ম্যাচ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। যে কারণে সে সময় ঢাকায় থাকায় আফগানদের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের সময় ১৩ নভেম্বর ঠিক করে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশে আসতে রাজি হয়নি মিয়ানমার।

ইকুয়েডরের ফুটবলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মাত্র ১৬ বছর বয়সে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির তরুণ ফুটবলার মিগুয়েল নাজারেনো। ইকুয়েডরের ফুটবলে প্রতিভা তৈরির অন্যতম কারখানা হিসেবে পরিচিত ইনডিপেনডিয়েন্তে দেল ভাল্লের অনূর্ধ্ব-১৮ দলের ফুটবলার ছিলেন নাজারেনো।
গত মঙ্গলবার রাতে গুয়ায়াকিল শহরে নিজ বাড়িতে ছিলেন নাজারেনো। হঠাৎই বাইরে থেকে ছোড়া গুলি এসে তার গায়ে লাগে। ঘটনাস্থলেই মারা যান এই প্রতিভাবান কিশোর। নাজারেনোর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দেল ভাল্লে, 'মিগেল দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশের চলমান নিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছেন। আমরা তার পরিবার, বন্ধু ও সতীর্থদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।'
মিডফিল্ডার ও ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা নাজারেনো ছিলেন দলের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। তার অকাল মৃত্যুতে ক্লাবজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নাজারেনোর একাডেমি দেল ভাল্লে থেকে উঠে এসেছিলেন ইউরোপে খেলা তারকা মইসেস কাইসেদো (চেলসি) ও পিয়েরো ইঙ্কাপিয়ে (বায়ার লেভারকুসেন)।
এ নিয়ে চলতি বছর ইকুয়েডরে গুলিতে নিহত ফুটবলারের সংখ্যা দাঁড়াল চারজনে। এর আগে সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় সারির দুই ক্লাব এক্সাপ্রোমো কস্তা ও ২২ দে জুনিও এর তিন ফুটবলার মাইকোল ভ্যালেন্সিয়া, লিয়ান্দ্রো ইয়েপেজ ও জনাথন গনসালেজ গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।
গত কয়েক বছর ধরে ইকুয়েডরে মাদক চক্রের সহিংসতা ও অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এরই শিকার হলেন দেশটির আরেক উদীয়মান ফুটবল প্রতিভা।