
চোট কাটিয়ে এক বছর পর গত মাসেই ফিরেছেন মাঠে। আল হিলালের হয়ে খেলেছেন ম্যাচ। আর সেই কারণেই নেইমারকে এই বছরই জাতীয় দলে দেখার সম্ভাবনা বেড়েই যাচ্ছিল। তবে এযাত্রায় সেটা আর হয়নি। চলতি মাসের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচে যে জায়গা হয়নি তার। দলটির কোচ দরিভাল জুনিয়র মনে করেন, এখনও পুরোদমে ম্যাচ খেলার জায়গায় নেই সাবেক পিএসজি তারকা।
আরও পড়ুন
| ‘দরিভাল সেরা ফুটবলের সন্ধানে আছেন, ফলাফলে এর প্রভাব পড়ছে’ |
|
গত বছর অক্টোবরে ব্রাজিলের হয়ে খেলার সময়ই বাঁ হাঁটুতে গুরুতর চোট পান নেইমার। অস্ত্রোপচারের পর সেরে ওঠার দীর্ঘ এক প্রক্রিয়ায় কেটে যায় মাসের পর মাস। অনেক অপেক্ষার পর গত মাসের শেষের দিকে আল হিলালের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেন বদলি হিসেবে নেমে।
চলতি মাসের দুটি ম্যাচের স্কোয়াড দিয়ে নেইমারকে না রাখার পেছনে ঠিক এই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন দরিভাল। “আমরা তাকে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে এটা তাড়াহুড়ো না হয়ে যায়। তিনি এখন কার্যত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তবে তিনি মাত্র কয়েক মিনিট খেলেছেন, যার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তার ইচ্ছা ছিল এখানে থাকার, কিন্তু সে পরিস্থিতিটা বুঝতে পেরেছে যে তার ম্যাচ খেলার ফিটনেসের ঘাটতি আছে।”
আরও পড়ুন
| নেইমারের সাথে 'সমস্যা নেই' ব্রাজিল কোচ দরিভালের |
|
নেইমারহীন ব্রাজিল গত এক বছরে সেভাবে উন্নতি করতে পারেনি। দলের সবচেয়ে বড় তারকা না থাকায় কোচকে বদল আনতে হয়েছে খেলার ধরনে। বাজিয়ে দেখতে হয়েছে এন্দ্রিকের মত নতুন খেলোয়াড়কে। তবে এসবের প্রতিফলন সেভাবে দেখা যায়নি ব্রাজিলের খেলায়। কোপা আমেরিকা ব্যর্থতার পাশাপাশি বাছাইয়েও নেই ভালো অবস্থান। আর এই কারণেই নেইমারকে দলে ফেরানো নিয়ে স্বপ্ন বুনছিলেন সেলেসাও সমর্থকরা।
তবে দরিভালের মতে, নেইমারকে নিয়ে তাড়াহুড়া করাটা মোটেও সমীচীন হবে না তাদের জন্য। “আমাদের ক্লাবের (আল হিলালের) প্রক্রিয়াকে সম্মান করতে হবে। তার মানের একজন খেলোয়াড় সবসময় এখানে থাকতে ভালবাসে। তার থাকাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যদিও সে সম্পূর্ণ ফিট অবস্থায় নেই।”
No posts available.
২ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৪৫ পিএম
২ নভেম্বর ২০২৫, ৫:১৩ পিএম
২ নভেম্বর ২০২৫, ৩:২৯ পিএম

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। প্রথম দিন ম্যানজোর আমের খানের কাছে রিপোর্ট করেন ১৪ জন ফুটবলার।
প্রাথমিকভাবে ২৬ ফুটলারকে ডাকবেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সেখানে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় সর্বোচ্চ ১০ জন— গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ, ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, তাজ উদ্দিন, মিডফিল্ডে দুই সোহেল রানা, মোহাম্মদ হৃদয়, ফরোয়ার্ড রাকিব, শাহরিয়ার ইমন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
এবারও হাভিয়ের কাবরেরা বিবেচনায় নেননি ইংল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলার কিউবা মিচেলকে। বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে যিনি ইতোমধ্যে খেলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল লিগে এবং এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে।
১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ এবং ১৮ নভেম্বর এএফসি বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি সামনে রেখে প্রাথমিকভাবে ২৬জন ফুটবলারকে ডাকা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরও হংকং, চায়নার বিপক্ষে খেলা ফাহামিদুল ইসলামকে প্রত্যাশিতভাবেই ডাকা হয়নি। আগের দুটি এএফসি বাছাইয়ের ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল। যে কারণে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারতেন না তিনি।
নেপালে বিপক্ষে খেলায় কোনো বাঁধা না থাকলেও এক ম্যাচের জন্য তাকে উড়িয়ে আনেত চায়নি বাফুফে। যদিও তাঁর বদলি হিসেবে নতুন করে কাউকে নেওয়া হয়নি।
সর্বশেষ হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের ২৩ জনের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন মিডফিল্ডার কাজেম শাহ। তবে আসন্ন দুটি ম্যাচের প্রাথমিক স্কোয়াডে আছেন তিনি। মোটকথা কোনো চমক ছাড়াই ভারত ও নেপালের বিপক্ষে স্কোয়াড সাজানো হয়েছে।

একদিন সকালে জোসেফ কে. নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা ঘুম থেকে উঠে দেখলেন দুজন লোক তাঁর বাসায়। কুশলাদি বিনিময়ের আগেই তাঁরা বলে উঠলেন, ‘আপনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।’
শীতের ভোর। রুম হিটার আর কম্বলে উষ্ণতা খোঁজার বিপরীতে দুঃসংবাদের অভিঘাতে কেঁপে উঠল জোসেফের আত্মা। কিছুক্ষণ চুপ থেকে ভাবতে থাকলেন অতীত–বর্তমান। আদৌ কোনো অপরাধ করেছিলেন কি না। তবে আগন্তুকেরা এও জানান, গ্রেপ্তার হলেও এই মুহূর্তে থানায় নেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। বরং নির্দিষ্ট সময় শেষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে জোসেফের।
জোসেফের রীতিমতো মূর্ছা যাওয়ার দশা। তবু রোজকার কাজ চালিয়ে যান তিনি—ঘুম থেকে ওঠা, অফিসে যাওয়া–ফেরা, বন্ধুদের ডাকে বারবিকিউ পার্টিতে অংশ নেওয়া। যদিও সেখানকার বাতাসে ভেসে থাকা কাঁকড়া কেকের ঘ্রাণ তাঁকে আর মোহিত করে না। মনের ভেতর চলতে থাকে উত্থাল–পাতাল ঝড়। বিকেলের রঙ আর ভালো লাগে না তার। যে বৃষ্টি স্মৃতিতে ভাসাত, সেটাই আজ দুঃখের নীল।
মিশর ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহর অবস্থাও অস্ট্রিয়ান লেখক ফ্রান্ৎস কাফকার দ্য ট্রায়াল-এর জোসেফের মতোই। ঘুরছেন–ফিরছেন, অনুশীলন করছেন, খেলছেনও। তবুও তাঁর মনের ভেতর ঝড়। ‘গোল ড্রায়’, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটুক্তি, বন্ধুদের আড্ডায় এখন তিনি অমনযোগী শ্রোতা।
প্রিমিয়ার লিগের ২০২৪–২৫ মৌসুমে অ্যানফিল্ডের জার্সিতে ২৯ গোল ও ১৮ অ্যাসিস্টের দেখা পেয়েছিলেন সালাহ। অথচ ২০২৫–২৬ মৌসুমে ভুগছেন ‘গোল ড্রাই’-এ। গত মৌসুমে প্রথম ১০ ম্যাচে করেছিলেন ৭ গোল, নতুন মৌসুমে মাত্র ৪টি। অ্যাসিস্ট দুটি। অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ডের কাছে প্রত্যাশা অবশ্য আরও বেশি!
নতুন মৌসুমে এফসি বোর্নমাউথের জালে বল জড়িয়ে যাত্রা শুরু হয় সালাহর। শেষ ম্যাচেও (গতকাল) গোল পেয়েছেন তিনি। তার আগে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষেও গোল করেন মিসর ফরোয়ার্ড। লেখায় বিষয়টি সহজ মনে হলেও বাস্তবতা—নতুন মৌসুমে লিগে ছয় ম্যাচে গোল পাননি সালাহ।
গতকাল অ্যানফিল্ডে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে লিভারপুলকে লিড এনে দেন সালাহ। গোলটি যেন একপ্রকার উপহার—অতিথি গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের অসাবধানতার সুযোগ কাজে লাগান ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা। ডি-বক্সে বল পেয়ে এক টাচে গোল আদায় করেন তিনি। তাতেই লিভারপুলের জার্সিতে ২৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন সালাহ।
তবু ম্যাচজুড়ে সেই ব্যাংকার জোসেফের মতো কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে সালাহকে। তাঁর আক্রমণে ওঠা ও ক্লিয়ার পাস ধরে গোল দেওয়ার চেষ্টায় ফুটে উঠেছে কৃত্রিমতা। গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছেন একবার, শট নিয়েছেন তিনবার, সফল হয়েছেন একবার। ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ফুটমবের’ রেটিংয়ে ৮ পেলেও ম্যাচজুড়ে একধরনের হীনমন্যতায় ভুগতে দেখা গেছে সালাহকে।
মোহাম্মদ সালাহ প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচে গোল পেয়েছেন, এটা সত্য। তবে আর্জেন্টাইন গোলকিপার মার্তিনেজ যেন তাঁকে কাফকার মেটামরফোসিসের গ্রেগর সামসা হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছেন—এটাও বাস্তব। তাঁকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল প্রবলভাবে; তিনি যেন সামসার মতো কীটপতঙ্গে রূপ নিচ্ছিলেন। সে মাত্রা যদি প্রিয়জনের চেয়ে প্রয়োজন বেশি হয়ে উঠত, নিশ্চিতভাবেই তাঁকে নিয়ে ভাবতে শুরু করত ‘অল রেডস’ কর্তৃপক্ষ।
এই কঠিন যাত্রায় সালাহ পেয়েছেন কোচের সমর্থন। লিগে দলের টানা চার হারকে দুর্ভাগ্য হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন আর্নে স্লট। গতকাল জয়ের পর তিনি বলেন,
‘প্রতি ম্যাচে ব্যবধান খুবই ছোট। আজ (গতকাল) শুরুতেই ভিলার বল গোলবারে লেগেছিল—শেষ কয়েক সপ্তাহে এগুলো গোল হয়ে যেত। এবার হয়নি। আমরা কোনো সেটপিসে গোল খাইনি, সেটি সাহায্য করেছে। কিছুটা ভাগ্যও আমাদের সঙ্গে ছিল, যা সম্প্রতি ছিল না। আমাদের দ্বিতীয় গোলটিও এসেছে ডিফ্লেকশন থেকে।’
এখানে কিছুটা সত্য আড়াল করতে চেয়েছেন লিভারপুল কোচ। অ্যানফিল্ড, যেখানে সালাহদের তীর্থভূমি—সেখানেও চোখে চোখ রেখে লড়েছে ভিলার কোনসা ও ম্যাটি ক্যাশ। প্রায় ৪৭ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল অতিথিরা। গোলমুখে শট কিংবা সুযোগ তৈরিতে পিছিয়ে থাকলেও অ্যাস্টন ভিলা পাসের নির্ভুলতায় ছিল এগিয়ে—প্রায় ৮৪ শতাংশ পাস ছিল অ্যাকুরেট।
তারপরও দলের প্রতি আস্থা রেখেছেন স্লট। আস্থা রেখেছেন সালাহর প্রতিও। অ্যানফিল্ডে নামার আগে তিনি বলেছিলেন,
‘আমি খুব খুশি আমার দল নিয়ে। এখানে সব কোয়ালিটির খেলোয়াড় আছে।’
তাঁর মতে,
‘গ্রীষ্মে দলে কিছু পরিবর্তন এসেছে। ফলে সবাইকে নতুন করে একে-অপরকে বুঝে নিতে হচ্ছে। হয়তো এর সঙ্গেই সালাহর পারফরম্যান্সের সম্পর্ক আছে।’
এর আগেও স্লট বলেছিলেন,
‘সালাহও মানুষ। আমরা অভ্যস্ত নই তাকে এত সুযোগ নষ্ট করতে দেখতে।’
লিভারপুল নিয়ে স্লটের মন্তব্য কিংবা সালাহর প্রতি তাঁর সমর্থন ফিকে হয়ে যাবে যদি না অ্যানফিল্ডের প্রতি আস্থা হারান সমর্থকেরা—অথবা আস্থাহীন হয়ে পড়েন সালাহ নিজেই। তবেই ধীরে ধীরে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠবে প্রিয়জন আর প্রয়োজনের সম্পর্ক। প্রিয় সামসার মতো তিনিও হয়তো একসময় বিরক্তির কারণ হয়ে উঠবেন। আপেলের আঘাতে শেষ হবে তাঁর অধ্যায়।
তবে এটা-ও সত্য—সালাহ হয়তো নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন, হয়তো ফেরার চেষ্টাও করছেন। তিনি জানেন কীভাবে ফিরে আসতে হয়। গিরিখাদের কিনারায় দাঁড়িয়েও বহুবার তিনি ফিরেছেন। তাঁকে যে ফিরতেই হবে—সেটা মিসর ফরোয়ার্ডের চেয়ে ভালো জানে আর কে!

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে ১০ নভেম্বর ঢাকায় আসছে ভারত। ১৮ নভেম্বর পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজা-জামালদের বিপক্ষে মাঠে নামবে দলটি। তার আগে ভারতেই আলোচনা— লাল-সবুজের বিপক্ষে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে ভারতীয় কিংবদন্তী ফুটবলার সূনীল ছেত্রীকে।
এএফসি বাছাইয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশের মতো বিদায় নিশ্চিত ভারতের। যদিও এই প্রতিযোগিতা শুরুর আগে অবসর ভেঙে গত মার্চে দলে ফেরেন ছেত্রী। ২৫ মার্চ শিলংয়ে বাংলাদেশকে মোকাবিলার আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে ফেরার ম্যাচে গোলও করেন ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গোল করা এই তারকা।
তবে এএফসি বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৯৫ গোল করা ছেত্রী। বাংলাদেশের প্রবল আক্রমণের সামনে গোলশূন্য ড্র করে তাঁর দল।
এরপর বাছাইপর্বে আরও তিন ম্যাচ খেলে ভারত; সেখানে দুটিতে হার, একটিতে ড্র। ৪ ম্যাচে দুই পয়েন্ট পেয়ে আগেই বিদায় ঘন্টা বাজে তাদের। এই তিন ম্যাচে ভারত ৪ গোল হজমের বিপরীতে স্রেফ দুবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপাতে পেরেছে। সেই দুই গোলের একটিতেও নেই ছেত্রীর নাম।
অথচ গত মার্চে জাতীয় দলে ফেরার আগের মৌসুমে ৩৪ ঘরোয়া ম্যাচে ১৭ গোল এবং চারটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন ছেত্রী। কিন্তু দেশের জার্সিতে তাঁর এমন বাজে ফর্ম কেন, এ নিয়ে জাতীয় দলের কোচকেই দুষছেন ভারতের অনেকে।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মধেই গত আগস্টে মানোলো মার্কেজের পরিবর্তে কোচের দায়িত্ব খালিদ জামিলের কাঁধে তুলে দেয় অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু দুই কোচই এ সময় ছেত্রীকে একজন স্ট্রাইকার (নাম্বার নাইন) হিসেবে খেলিয়েছেন। যেটা একদমই পছন্দ হয়নি তাঁর বেঙ্গালুরু এফসির কোচ জেরার্ড জারাগোজার।
ছেত্রীকে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলানোয় ভারতীয় জাতীয় দলের কোচ খালিদ জামিলের সমালোচনা করে জারাগোজা সম্প্রতি বলেছেন, 'সে (ছেত্রী) কি গত মৌসুমে বেঙ্গালুরুর হয়ে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছে? সুনীল ছেত্রী কি আদৌ স্ট্রাইকার? আমি জানতে চাই। কারণ জাতীয় দলে যদি তাঁকে একমাত্র ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলানো হয়, তবে সে নিজের কাজটা করতে পারবে না।'
সর্বশেষ আইএসএলে ১৪ গোল করেছেন ছেত্রী। এই প্রসঙ্গ টেনে বেঙ্গালুরুর কোচ বলেন, 'সে এই ১৪ গোলের মধ্যে একটাও কি স্ট্রাইকার হিসেবে।পেয়েছে?'
জারাগোজা হয়ত এটাই বোঝাতে চেয়েছেন ছেত্রী একজন ক্লাসিক সেন্টার-ফরোয়ার্ডের চেয়ে সুযোগসন্ধানী ফরোয়ার্ড হিসেবে বেশি কার্যকরী। এখন দেখার অপেক্ষা বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন ভূমিকায় মাঠে নামেন ৪১ বছর বয়সি তারকা

বান্ধবী নিকি নিকোলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ইতি টেনেছেন লামিন ইয়ামাল- স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে গতকাল এ খবর প্রকাশিত হয়। ‘আরটিভিই কাতালুনিয়ার’ সাংবাদিক জাভিয়ার দে হোয়োসকে ইয়ামাল নিশ্চিত করেন, আর্জেন্টাইন গায়িকা নিকির সঙ্গে তিন মাসের প্রেমের সম্পর্ক শেষ হয়েছে।
তবে একদিন না যেতেই বিচ্ছেদ নিয়ে এবার মুখ খুললেন ইয়ামালের বান্ধবী নিকি। আরেক স্প্যানিশ সাংবাদিক জর্দি মার্তিনকে আর্জেন্টাইন গায়িকা জানিয়েছেন, বার্সেলোনা ছাড়ার পর থেকে তিনি ইয়ামালকে আর দেখেননি, আর তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার কারণ অবিশ্বস্ততা নয়।
এল ক্লাসিকোর পর ইতালির মিলানের একটি পার্টিতে ইয়ামালকে দেখা যায় ইতালীয়ান ইনফ্লুয়েন্সার আনা জেগনোসোর সঙ্গে। গুঞ্জন উঠেছে নতুন প্রেমের সম্পর্কের কারণে নিকির সঙ্গে সম্পর্ক ইতি টেনেছেন ইয়ামাল। নিকি অবশ্য অবিশ্বাসমূলক কোনো কারণে বিচ্ছেদ হয়েছে বলে স্বীকার করেননি।
সম্পর্ক বিচ্ছেদ নিয়ে নিকি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে চাই, লামিন আর আমি এখন আর একসঙ্গে নেই। বার্সেলোনা ছাড়ার পর থেকে আমরা একে অপরকে দেখিনি।’
নিকোল আরও জানান, তাঁদের বিচ্ছেদটা আসলে প্রকাশ করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করেছে বিষয়টা নিশ্চিত করতে।’
সম্পর্কে কোনো প্রতারণা ছিল না বললেন নিকি, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, এখানে কোনো প্রতারণা ছিল না। যদি আমি এমন কিছুর শিকার হতাম, তাহলে আগের মতোই খোলাখুলিভাবে তা বলতাম।’

গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ঘরে তুলেছিল লিভারপুল। তবে চলতি মৌসুমের শুরুতে ভাগ্য খুব একটা সুপ্রসন্ন হয়নি ক্লাবটির। প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ টানা চার ম্যাচে হার, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ হারে ধুঁকতে থাকে অলরেডরা। অবশেষে গতকাল রাতে জয়ের দেখা পেয়েছে লিভারপুল। জয়ের পর বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোচ আর্নে স্লট জানান, এ ম্যাচে ভাগ্যও পাশে ছিল তাদের।
ঘরের মাঠে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে লিভারপুলের জয় ২-০ গোলের। ম্যাচের শুরুতেই দুবার প্রতিপক্ষের শট লিভারপুলের গোল বারে লাগে। তবে গোল হয়নি একবারও। জয়ের পর তাই কোচ আর্নে স্লট বলেন, ‘প্রতি ম্যাচে ব্যবধান খুবই ছোট। আজ (গতকাল) শুরুতেই ভিলার বল গোল বারে লাগলো, শেষ কয়েক সপ্তাহে প্রতিবার গোল হয়ে যেত, তবে এবার তা হয়নি। ম্যাচে আমরা কোনো সেট-পিসে গোল খাইনি, যা সহায়তা করেছে। কিছুটা ভাগ্যও আমাদের সঙ্গে ছিল, যা সম্প্রতি হয়নি। আমাদের দ্বিতীয় গোলটিও একটি ডিফ্লেকশন থেকে এসেছে।’
ভিলার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করেন মোহাম্মদ সালাহ। বিরতি থেকে ফিরে আরেকটি গোল করে রেডরা। স্লট মনে করেন ম্যাচে এগিয়ে থাকায় খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে সাহায্য করেছে লিভারপুলকে, ‘১-০ বা ২-০ এগিয়ে থাকা ভালো বিষয় হলো, খেলা একটু ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বল দখল করে নিজের কাছে রাখা যায়। পিছিয়ে থাকলে ঝুঁকি তৈরি হয়।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার অ্যানফিল্ডে রিয়াল মাদ্রিদকে আতিথ্য দেবে লিভারপুল। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করলেও পরের ম্যাচে গালাতাসারায়ের কাছে হেরে যায়। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ৫-১ গোলের বড় জয় পায় রেডরা। ইউরোপ সেরার দৌড়ে তিন ম্যাচে দুই জয় আর এক হারে টেবিলের দশ নম্বরে স্লটের দল।