ক্রিকেট

জিম্বাবুয়ে দলকে আতিথ্য দিয়ে লাভ কী?

 
শামীম চৌধুরী
শামীম চৌধুরী
ঢাকা

২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২:৫৬ পিএম

news-details

আইসিসি টেস্ট ফান্ডের রেভিনিউ শেয়ারিং মডেল প্রবর্তিত হওয়ায় ২০১৯ সালের মে থেকে বদলে গেছে আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) সূচি। টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা শীর্ষ ৯টি দেশকে নিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রবর্তনের পরিকল্পনা গৃহিত হওয়ায় পর পর দুটি ৪ বছর মেয়াদী এফটিপি চক্রে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে থাকা তিনটি দল জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ডের সাথে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৯ টি দলের দ্বি-পাক্ষিক টেস্ট সিরিজ খেলা  বাধ্যতামূলক নয়।


মূলত সেই কারণেই এফটিপির সর্বশেষ চক্রে (২০১৯-২০২৩  সালের এপ্রিল) জিম্বাবুয়ে এবং টেস্ট ক্রিকেটের নবাগত আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে টেস্টে এড়িয়ে চলেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষস্থানীয় দলগুলো।   আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান চক্রেও (২০২৩-২৭) একই পথে হাঁটছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হয়ে থাকা দলগুলোর অধিকাংশই।


আইসিসির এফটিপি এখন দ্বি-পাক্ষিক সূচিতে পরিণত হওয়ায়, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে  জিম্বাবুয়ে,আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে আগ্রহী নয় অধিকাংশ টেস্ট দল। অথচ, আইসিসির এফটিপির বিগত চক্রের মত চলমান এফটিপিতেও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে  তিন ফরম্যাটের ম্যাচের সিরিজ খেলতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বিসিবি। চলমান চক্রে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট খেলা থেকে বিরত থেকেছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 


তবে জিম্বাবুয়ের টেস্ট উন্নতিতে সহায়কের ভুমিকায় নিউ জিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এফটিপির চলমান চক্রের চার বছরে জিম্বাবুয়ে ১৮টি টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪টি। এর বাইরে এফটিপির বর্তমান চক্রে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে ৮টি ওডিআই এবং ৮টি টি-টোয়েন্টিও খেলার সুযোগ পাচ্ছে। 


তিন ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড তুলনামূলক ভালো। চলমান সিরিজের আগে ১৮টি টেস্টে ৮-৭-এ এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। মুখোমুখি ৮১টি ওডিআই ম্যাচে ৫১টি জয়ের বিপরীতে ৩০টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। দুই দলের ২৫টি ওয়ানডে ম্যাচে ১৮-৭-এ এগিয়ে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এক সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে অবদান রাখা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।


সেই কারণেই  জিম্বাবুয়ে দলকে আতিথ্য দেয়াকে একটা রেওয়াজে পরিণত করেছে বিসিবি।


জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্টে জয়-পরাজয় আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান নড়চড় করবে না। শুধু তা-ই নয়, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে আতিথ্য দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। হোমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ৩টি দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজনে তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বিসিবি। 


অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ২ টেস্ট এবং ৩ ওডিআই  ম্যাচের সিরিজ আয়োজন করে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা ভর্তুকী দিয়েছে বিসিবি।  ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ২ টেস্ট, ৩ ওডিআই এবং ২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ আয়োজনে অবশ্য ভর্তুকী গুনতে হয়নি। সেই দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে ২০ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৭ টাকা মুনাফা করতে পেরেছে বিসিবি। তবে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে  ২০২৪ সালের এপ্রিলে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়েকে আতিথ্য দিয়ে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড বড় অঙ্ক ভর্তুকী দিয়েছে। প্রচারসত্ব থেকে প্রত্যাশিত অর্থ আয়ের পরও ভর্তুকীর অঙ্ক ছিল ৬ কোটি ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫৫ টাকা! 

এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রচারসত্ব বিক্রি করতে ব্যর্থ হওয়ায় ভর্তুকীর অঙ্কটা কোথায় দাঁড়ায়, সেই হিসাবটা জানা যাবে সিরিজ শেষেই। 


জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে আতিথ্য দিয়ে শুধু আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না বিসিবি, টেস্টে নীচের সারির দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরমেন্স নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেককে স্মরণীয় করতে চেয়ে জিম্বাবুয়েকে আতিথ্য দিয়ে চরম শিক্ষা পেয়েছিল বিসিবি।  পূর্ণশক্তির বাংলাদেশ দল ১৫১ রানে হেরেছে সেই টেস্ট। সাড়ে ছয় বছর পর সেই সিলেটে ফিরতি টেস্টেও লজ্জা দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ৩ উইকেটে।  


আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) চলমান চক্রের (২০২৩-২৭) সূচি চূড়ান্ত হয়েছে অনেক আগে। বিসিবির পদচ্যুত সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আমলে। সে কারণেই এফটিপির পরবর্তী সূচি (২০২৭-৩১) চূড়ান্ত হওয়ার আগে  সতর্ক হওয়ার পক্ষে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম, “ওদের সাথে খেলে উন্নতি হবে কিংবা সিরিজ আয়োজন করা লাভজনক হবে, এমন তো নয়। জিম্বাবুয়ের সাথে টেস্ট সিরিজ এড়াতে পারলে ভালো হতো। আইসিসির পরবর্তী এফটিপির আগে কীভাবে প্লান করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে।”


সর্বশেষ খবর
N/A
বার্সেলোনায় ‘যোগ দিচ্ছেন’ স্প্যানিশ গোলরক্ষক গার্সিয়া

৬ দিন আগে

N/A
‘এবার ভাগ্য আমাদের সাথেই ছিল’, শিরোপা জিতে বললেন বাভুমা

৬ দিন আগে

N/A
১০ জন নিয়ে কলম্বিয়ার সাথে ড্র নিয়েও সন্তুষ্ট স্কালোনি

৯ দিন আগে

N/A
মেসি-রোনালদোরাও যা পারেননি, তাই করলেন দুয়ে

১৯ দিন আগে

N/A
আমাদের লক্ষ্য ছিল ইতিহাস গড়ার : এনরিকে

১৯ দিন আগে

N/A
আবেগময় ম্যাচে মেয়ের হয়েও শিরোপা জিতলেন এনরিকে

১৯ দিন আগে

N/A
‘আমাদের স্বপ্ন সত্যি হল’, বললেন ফাইনালের ‘হিরো’ ডুয়ে

১৯ দিন আগে

N/A
ইন্তারকে গুঁড়িয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী পিএসজি

১৯ দিন আগে

N/A
বার্সায় দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছেন ‘নম্বর টেন’ ইয়ামাল

২৪ দিন আগে

N/A
‘সাকিবের সাথে বিসিবির সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি’

২৫ দিন আগে

N/A
পিএসজি কামব্যাকের ম্যাচই মদ্রিচের কাছে রিয়ালের জার্সিতে সেরা

২৬ দিন আগে

bottom-logo

ক্রিকেট

৫৪ টেস্ট পর বাদ পড়লেন লাবুশেন, চোটে ছিটকে দিল স্মিথকে

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২০ জুন ২০২৫, ১:০৯ পিএম

news-details

লম্বা সময় ধরে ব্যাটে নেই রানের দেখা। অভিজ্ঞতার বিচারে তবুও বারবার দলে ধরে রাখছিলেন জায়গা। শেষ পর্যন্ত খেলেছেন ওপেনার হিসেবেও। তাতেও আর শেষ রক্ষা হলো না মার্নাস লাবুশেনের। ফর্মহীনতার কারণে ডানহাতি এই ব্যাটারকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

 

পাশাপাশি এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া পাবে না আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথকেও। চোটের কারণে খেলতে পারবেন না এই তারকা ব্যাটার। তাদের দুজনের জায়গায় প্রথম ম্যাচের দলে এসেছেন স্যাম কনস্টাস ও জশ ইংলিশ।

 

বার্বাডোজে আগামী ২৫ জুন শুরু হবে প্রথম টেস্ট। তার পাঁচদিন আগেই এই ঘোষণা এসেছে, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপে বড় পরিবর্তনেরই আভাস দিচ্ছে। সবশেষ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা ব্যাটিং অর্ডারে আসতে যাচ্ছে রদবদল।

 

সেই ফাইনালে অনেকটা সময় ধরেই রানের জন্য ধুঁকতে থাকা লাবুশেনকে দলে রাখা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। তবে শেষ অবধি টিকে যান ওপেনার হিসেবে। তবে সেই ভূমিকাতেও ছন্দ ফিরে পাননি তিনি। দুই ইনিংসে করেন ১৭ ও ২২ রান। লাল বলের ক্রিকেটে গেল দুই বছর ধরেই ফর্মহীনতার মধ্যে আছেন তিনি, যা তাকে এবার দল থেকেই ছিটকে দিয়েছে।

 

আর স্মিথ সেই ফাইনালের তৃতীয় দিন স্লিপে টেম্বা বাভুমার একটি ক্যাচ ধরতে গিয়ে ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে আঘাত পান। সার্জারির প্রয়োজন না হলেও তাকে অন্তত ৮ সপ্তাহের জন্য স্প্লিন্ট পরতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা আশাবাদী, টেস্ট সিরিজের পরবর্তী অংশে তিনি দলে ফিরতে পারবেন।

 

লাবুশেন বাদ পড়ায় ওপেনার হিসেবে আবার দলে ফিরছেন কনস্টাস। এই ফরম্যাটে তার অভিজ্ঞতা ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টে, যার প্রথমটিই ছিল তার অভিষেক। আর শুরুটা করেন ৬৫ বলে ৬০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস দিয়ে। এরপর আর মাঠে নামা হয়নি তার। 

 

আর মিডল স্মিথের পজিশনে চারে খেলবেন ইংলিস। কিপার-ব্যাটার হলেও এই টেস্টে তাকে দেখা যাবে স্পেশালিষ্ট ব্যাটার হিসেবেই। চলতি বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে টেস্ট অভিষেকেই করেন সেঞ্চুরি। এবার চোট সমস্যার জন্য নিজেকে প্রমাণের আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন ইংলিস।

bottom-logo

ক্রিকেট

নির্বিষ বোলিংয়ের পাশে ক্যাচ ড্রপ, লিডের পূর্বাভাস দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা

 
শামীম চৌধুরী
শামীম চৌধুরী
ঢাকা

১৯ জুন ২০২৫, ৬:৪৭ পিএম

news-details

খেলা যতোই গড়িয়েছে, ততোই ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠেছে গল-এর উইকেট। তৃতীয় দিনের শেষ বেলাতেও উইকেটে ধরেনি ফাটল। স্লো উইকেটের ফাঁদেও পড়তে হয়নি ব্যাটারদের। বল পিচ করে আনইভেন বাউন্স হয়েছে, এমনটাও যায়নি দেখা। যেমনটা চেয়েছেন, সেভাবেই বল এসেছে ব্যাটে। এমন সুন্দর পিচ বোলারদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। শান্ত-মুশফিকুরের জোড়া সেঞ্চুরির ইনিংসে ৪৯৫-কে অনেক মনে করেছেন যারা, তারাই এখন দেখছেন স্বাগতিক দলের লিড নেয়ার পূর্বাভাস। তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩৬৮/৪ সে আভাসই দিচ্ছে। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১২৭ রান। প্রথম ইনিংসে লিড নিতে তাই চতুর্থ দিনের শুরুটা তাই বাংলাদেশ বোলারদের কাছে এসিড টেস্ট। 


টেস্ট ক্রিকেট এখন আর সংযমী ব্যাটিংয়ের পরীক্ষা নয়, বোলারদের উপর প্রতি আক্রমন করে স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে নেয়ারও খেলা। বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে সেই ফর্মুলাই বেছে নিয়েছেন লংকান ব্যাটাররা। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৩, শেষ সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তুলে প্রকারান্তরে তা জানিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ যেখানে ওভারপ্রতি ৩.২২ রান উঠিয়েছে স্কোরশিটে, সেখানে তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার রান রেট ৩.৯৫। 

চার বোলার নিয়ে একাদশ সাজানোটা যে ভুল ছিল, তা এদিন ভালই টের পেয়েছেন কোচ ফিল সিমন্স। অনবরত ১৪০ প্লাস কিলোমিটার গতিতে বল করে, শর্ট বলের ছড়াছড়ি দিয়ে বরং প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের স্বাচ্ছন্দে রান করার পথ প্রশস্ত করেছেন পেসার নাহিদ রানা। ওভারপ্রতি ৫.০০ রান খরচ করেছেন নাহিদ রানা। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলের বোলিং নির্বিষ করে দিয়েছে লঙ্কান ব্যাটাররা। লাহিরু উদানাকে শিকারের বিপরীতে তার খরচা ১২৬-কে একটু বেশিই খরুচে মনে হচ্ছে। অফ স্পিনার নাঈম হাসান প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ফাঁদে ফেলতে কম চেষ্টা করেননি। নিশাঙ্কাকে শর্ট ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ফিরিয়ে দেয়ার সম্ভাবনাও তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে মুমিনুলের হাত থেকে ফসকে পড়েছে সেই ক্যাচ। যে পার্টনারশিপ থেমে যেতে পারতো ৩৪ রানে, ক্যাচ ড্রপে সেই পার্টনারশিপ থেমেছে ১৫৭-তে। ৩৬ রানের মাথায় জীবন ফিরে পাওয়া পাথুম নিশাঙ্কা ঘরের মাঠে প্রথম এবং ক্যারিয়ারসেরা ১৮৭ রানের ইনিংস দিয়েছেন উপহার। তবে নিশাঙ্কাকে শিকার করতে না পারলেও পাহাড় হয়ে দাঁড়ানো দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভেঙেছেন নাঈম হাসান। কুইকার ডেলিভারিতে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি ৫৪ রানের মাথায়।


ফেয়ারওয়েল টেস্টে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে ৪ নম্বরে নেমে ম্যাথুউজ পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের বোলার ফিল্ডারদের গার্ড অব অনার। তবে ফেয়ারওয়েল টেস্টের আবেগ ভালই স্পর্শ করেছে এই অলরাউন্ডারকে। অকেশনাল স্পিনার মুমিনুলের টার্নিং ডেলিভারিতে ফ্রন্টফুটে ডিফেন্স করতে যেয়ে উইসকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ম্যাথুউজ। ৩৯ রানে থেমে গেছেন ম্যাথুউজ। দ্বিতীয় স্পেলের চতুর্থ বলে মুমিনুল দিয়েছেন ব্রেক থ্রু, ভেঙেছেন ৮৯ রানের পার্টনারশিপ।   

দিনের সেরা ডেলিভারিটি অবশ্য দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় নতুন বল হাতে পেয়ে তৃতীয় ডেলিভারিতে বোকা বানিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখা পাথুম নিশাঙ্কাকে। জোড়া পায়ে ডিফেন্স করতে চেয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। মিডল স্ট্যাম্পে আঘাত হেনেছে হাসান মাহমুদের অ্যাঙ্গেল ডেলিভারি। ৩৬ এবং ১৬৫ রানে বেঁচে যাওয়া পাথুম থেমেছেন ১৮৭ রানে। ২৫৬ বল মোকাবেলার যে ইনিংসে ২৩ টি বাউন্ডারির পাশে মেরেছেন ১টি ছক্কা।

গল টেস্টে ৫শ থেকে ৫ রান দূরে থেমেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। তৃতীয় দিন সকালে ১৬ বল টিকেছে বাংলাদেষের ইনিংস। যোগ করেছে ১১ রান। আসিথার বলে নাহিদ রানা উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে বাংলাদেশ থেমেছে ৪৯৫-তে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সফল বোলার আসিথা পেয়েছেন ৪ উইকেট (৪/৮৬)।


ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচে শ্রীলঙ্কার দুই পেসার মিলান রত্নায়েক (৩/৩৯)-আসিথা ফার্নান্দো (৪/৮৬) ছড়ি ঘুরিয়েছেন। এখন তার জবাব দেয়ার পালা বাংলাদেশের দুই পেসারের। দ্বিতীয় নতুন বলে তৃতীয় দিনের শেষ ৮ ওভার হয়েছে। এখনো নতুন চকচকে দেখাচ্ছে বলটা। চতুর্থ দিনের সকালে বলের সীম- সুইং কতোটা আদায় করতে পারে নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদ, তার উপর নির্ভর করছে গল টেস্টের ভাগ্য।

bottom-logo

ক্রিকেট

একগুচ্ছ রেকর্ডের পথে বৃষ্টির বাধা

 
শামীম চৌধুরী
শামীম চৌধুরী
ঢাকা

১৮ জুন ২০২৫, ৬:৫৬ পিএম

news-details

প্রথম দিন শেষে ১৩৬ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকা শান্ত'র কাছে দ্বিতীয় দিন ডাবল সেঞ্চুরির প্রত্যাশা ছিল মুশফিকুর রহিমের। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি গল-এ করেছেন বলেই ১০ বছর আগের সেই ইনিংসের পুনরাবৃত্তি মুশফিকুরের কাছেও ছিল প্রত্যাশিত। তবে রঙ বদলের খেলা টেস্ট গল-এ দ্বিতীয় দিন বদলেছে রঙ। শান্ত-মুশফিককে ঘিরে দেখা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরির সম্ভাবনার পথটাও হয়েছে অমসৃন। 

  

 গল টেস্টের প্রথম দিন যেভাবে শেষ করেছে শান্ত-মুশফিক, তাতে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি এই ভেন্যুতে আরও একবার ৬শ প্লাস স্কোরের আবহ ছিল। তবে লাঞ্চ ব্রেকের পর বৃষ্টি বাংলাদেশের সে সম্ভাবনার পথে বাধার দেয়াল তৈরি করেছে। দুপুর ২টা ১০ মিনিটের বৃষ্টিতে পুনরায় খেলা শুরু করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। তাতেই ছন্দপতন হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। বৃষ্টির আগে ৪২৩/৪ স্কোর থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ ৪৮৪/৯-এ।


 যে উইকেটে প্রথম ৪ সেশন পেসারদের নির্বিষ বোলিংয়ে স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করেছে শান্ত-মুশফিক-লিটন, সেই পিচেই দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে শ্রীলঙ্কা পেসার মিলান রত্নায়েকের ভয়ংকর এক স্পেলে (৩-১-৮-৩) বাংলাদেশ ৬১ রানে হারিয়েছে ৫ উইকেট।


গল টেস্টের প্রথম দিন শেষে শান্ত-মুশফিকুরের ২৪৭ রানের পার্টনারশিপ অনেক বড় কিছুর স্বপ্ন দেখিয়েছে। প্রথম দিনের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ আর মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারলে ৪র্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ দেখতো বিশ্ব। এমন কিছু দেখার প্রতীক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশ সমর্থকরা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সে লক্ষণই ছিল। পর পর দুই ওভারে অফ স্পিনার প্রবথ জয়সুরিয়ার রিটার্ন ক্যাচ থেকে বেঁচে গেছেন মুশফিক, 


থারিন্দু রত্নায়েকের বলে ডিপ মিডউইকেটে লিটনের ক্যাচ ফসকে গেছে নিশাঙ্কার হাত থেকে। তবে বেঁচে যাওয়া শান্ত-মুশফিকের পার্টনারশিপ ৪র্থ উইকেট জুটিতে রেকর্ড করতে পারেনি। দিনের ৭ম ওভারে পেসার আসিথা ফার্নান্দোর ফুল ডেলিভারিতে মিড অফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুউজের ডাইভিং  ক্যাচে পরিণত হয়েছেন শান্ত। থেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক ১৪৮ রানে। মাত্র ৩ রানের জন্য রেকর্ড পার্টনারশিপ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন শান্ত।


তবে ২৬৪ রানের এই পার্টনারশিপ ৫ম জুটিকে করেছে উদ্বুদ্ধ। মুশফিক-লিটনের পার্টনারশিপ ৫ম উইকেট জুটিতে যোগ করেছে ১৪৯ রান। 


টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তমবারের মতো ১৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের চতুর্থ এবং গল-এ দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পথে থাকা মুশফিক থেমেছেন ১৬৩ রানে। আসিথার আইড অফ ডেলিভারীতে এলবিডাব্লু হয়ে। বলের গতি ইমপ্যাক্ট ইন লাইনে থাকায় রিভিউ আপীলে লাভ হয়নি, আম্পায়ার্স কলে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে।

 

রাওয়ালপিন্ডিতে গত বছরের আগস্টে ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরির (১৩৮) ১০ ইনিংস পর লিটন দেখা পেয়েছেন ফিফটি। ৫ টেস্ট পর সেঞ্চুরির হাতছানিও ছিল তার। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার নার্ভাস নাইনটিজে থেমেছেন লিটন। পার্টনার মুশফিককে হারিয়ে ছন্দপতন হয়েছে লিটনের ব্যাটিং। মেজাজ হারিয়ে অকারণে থারিন্দুকে রিভার্স সুইপ করতে যেয়ে ডেকে এনেছেন বিপদ। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন ৯০ রানে। অকেশনাল পেসার মিলান রত্নায়েকের ১২৬ কিলোমিটার গতির ইনসুইং ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে যেয়ে পরাস্ত জাকের আলী অনিক থেমেছেন মাত্র ৮ রানে। মিলানের পরের ওভারে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে বোল্ড হয়েছেন তাইজুল (৬)।


২৬৪ এবং ১৪৯ রানের দুটি প্রশংসিত জুটির পর ২৬ রানে উড়ে গেছে বাংলাদেশের ৫ উইকেট। তাতেই ৫শ' স্কোরের সম্ভাবনার পথে তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা।


bottom-logo

ক্রিকেট

গলে ফিরেই চাঙ্গা মুশফিক, পাল্লেকেলের সুখস্মৃতি ফিরে পেলেন শান্ত

 
শামীম চৌধুরী
শামীম চৌধুরী
ঢাকা

১৭ জুন ২০২৫, ৭:৫২ পিএম

news-details

এক যুগ আগে গল থেকে হাত ভর্তি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে রেকর্ড ৬৩৮, মুশফিকুর রহিমের ডাবল, ৫ম উইকেট জুটিতে মুশফিক-আশরাফুলের ২৬৭, জয়ের সমান ড্র। ১২ বছর পর সেই গল টেস্টের সুখস্মৃতিই যেনো ফিরে পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। প্রথম দিন শেষে স্কোর ৩ উইকেটে ২৯২। নাজমুল হোসেন শান্ত'র ১৩৬-এর পাশে মুশফিকুর রহিমের ১০৫, অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাদের সংগ্রহ ২৪৭ আরেকটি বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। জোড়া সেঞ্চুরির দিনটিতে শান্ত পৌছে গেছেন টেস্টে দুই হাজারী ক্লাবে। শান্ত-মুশফিকের অবিচ্ছিন্ন জুটি দ্বিতীয় দিনে রেকর্ড পার্টনারশিপের আবহ দিচ্ছে। আর মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারলেই চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের পার্টনারশিপের রেকর্ডটা দেখবে বিশ্ব।


ঐতিহ্যগতভাবে গল-এর উইকেটকে নিকট অতীতে যেভাবে দেখেছে বিশ্ব, তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি মঙ্গলবারও। শুরুতে কিছুক্ষণ উইকেটে পেসার আসিথা এবং অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার থারিন্দু আতঙ্ক ছড়ালেও দিনের শেষ দুটি সেশনে শ্রীলঙ্কার কোনো বোলারকে সমীহ করেননি শান্ত-মুশফিক। টেস্টে সেশন বাই সেশন খেলার পরিকল্পনায় এদিন বেশ সফল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে স্কোরশিটে ৯০ রান উঠতে ৩ উইকেট হারিয়েও হতোদ্যম হয়নি মিডল অর্ডাররা।  পরের দুই সেশনে উইকেটহীন রান উঠেছে যথাক্রমে ৯২ ও ১১০।


আরও পড়ুন

শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের


নিজের ক্যারিয়ারের প্রথমই শুধু নয়, বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানও মুশফিকুর। ২০১৩ সালে সেই ইতিহাসগড়া ডাবল সেঞ্চুরিটি পেয়েছেন তিনি গল-এ। সে কারণেই গল-এ যতোবার পা রেখেছেন, ততোবারই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন টেস্টে বাংলাদেশের একমাত্র ৬ হাজারী ক্লাবের এই সদস্য। 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দেখাতে নাজমুল হোসেন শান্ত পেয়েছেন সেঞ্চুরি। এবং জাত চেনানো ওই সেঞ্চুরিটি পেয়েছেন তিনি ৪ বছর আগে পাল্লেকেলেতে। ১৬৩ রানের সেই ইনিংস থেকে টনিক নিয়ে এবার গল টেস্টে নেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 


দু'জনের ওই দুটি সুখস্মৃতি একসঙ্গে নতুন করে রোমন্থনের মঞ্চ এবার তৈরি করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার সুদৃশ্য টেস্ট ভেন্যু গল। ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ কোল ঘেষেঁ দাঁড়িয়ে থাকা ভেন্যুতে মহাসাগরের গর্জনকে ছাপিয়ে গেছে এই দুই বাংলাদেশ ব্যাটারের ব্যাটের গর্জন। 


পাল্লেকেলেতে ৪ বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক ইনিংসে সেঞ্চুরির (১৩৬) পর ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ১০টি ইনিংস ছিল হতাশার। ২টি 'ডাক' সিঙ্গল ডিজিট ৬টিতে! এই প্রথম গল-এ নেমে পাল্লেকেলের উত্তাপ পেয়েছেন। থারিন্দু রত্নায়েককে পর পর দুই বলে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা এবং কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি শটে নিজের চাঙ্গাভাব করেছিলেন প্রকাশ শান্ত। প্রবথ জয়াসুরিয়াকে সুইপ শটে ফাইন লেগ দিয়ে ২ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।  ২০২৩ সালে ২ টেস্টে ৩ সেঞ্চুরিতে নিজেকে অন্যভাবে চেনানো শান্ত'কে পরবর্তী সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৯ মাস!  


প্রিয় প্রতিপক্ষ পেলে হাতটা একটু বেশি নিশপিশ করে মুশফিকুর রহিমের। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৫৩.৮৪ গড়ে ১৩৪৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তা আর একবার জানিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। 


৯৯ রানে এসে কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর আড়মোড়া ভেঙ্গেছেন। পেসার আসিথা ফার্নান্ডোর করা বলে ইনসাইড এজ হয়েও ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গল নিতে পেরেছেন নন স্ট্রাইক ব্যাটার শান্ত'র সিগন্যালে। ওই  রানের সঙ্গে পূর্ণ হয়েছে তার টেস্টে দ্বাদশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪র্থ সেঞ্চুরি। 


এক যুগ আগে মুশফিকুরের ডাবল সেঞ্চুরির ম্যাচে অভিষিক্ত এনামুল হক বিজয় অভিষেক ইনিংসে ফিরেছিলেন আনলাকি থারটিনে। থেমে থেমে এক যুগে মাত্র টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন এবার নিয়ে ৭টি। আগের ৬টিতে ছিল না ফিফটি, এবার তো আরও করুণ দশা। ৯টি ডট করেও পাননি আত্মবিশ্বাস। আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে যেয়ে বিপদ ডেকে এনেছেন,  স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ০ রানে। আর এক ওপেনার সাদমান ইসলাম অনীকও করেছেন ভুল। বাঁ হাতি স্পিনার থারিন্দুকে অভিষেক উইকেট উপহার দিয়েছেন তিনি। লো বাউন্সি বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি ১৪ রানের মাথায়।


আরও পড়ুন

জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত


মুমিনুল এদিন স্ট্রাইক রেটে মনযোগ দিয়ে ব্যাট করেও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। থারিন্দুকে ব্যাকফুটে কাট করতে যেয়ে স্লিপে দিয়েছেন ক্যাচ (২৯)।


তারপরও প্রথম দিন থেকে উজ্জীবনী টনিক নিয়ে আর একটি ভাল দিন উপহার দিক ক্রিকেট দল, সে দিকেই তাকিয়ে এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।


bottom-logo

ক্রিকেট

শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৭ জুন ২০২৫, ৬:১৯ পিএম

news-details

প্রথম ঘণ্টায় যেভাবে সাজঘরে ফিরলেন তিন ব্যাটার, তাতে আশঙ্কা জাগল আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের। তবে রান খরা কাটিয়ে প্রিয় ভেন্যুতে জ্বলে উঠলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে সঙ্গী করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গড়লেন মজবুত এক জুটি, যা সফরকারীদের চাপ কাটিয়ে ক্রমেই নিয়ে গেল শক্তিশালী অবস্থানে। দুজনই করলেন সেঞ্চুরি, আর বাংলাদেশকে এনে দিলেন বড় স্কোরের ভিত। 


গল টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের ৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯২। ১৩৬ রানে অপরাজিত শান্ত, আর শেষ বেলায় তিন অঙ্কে পা রাখা মুশফিকুরের নামের পাশে রান ১০৫।


আরও পড়ুন

জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত


সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে বাংলাদেশের বড় চিন্তার জায়গা ওপেনিং পজিশন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ সিরিজে সেঞ্চুরি জুটি গড়া শাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় পারেননি ফর্ম টেনে নিতে। ১০ বলে শূন্য রানে ফেরেন বিজয়। এরপর দ্রুতই শাদমান ইসলাম (১৪) ও মমিনুল হক (২৯) উভয়কেই শিকার বানান থারিন্দু রথনায়কে, বাংলাদেশের স্কোর দাঁড় করায় ৩ উইকেটে ৪৫। 


শান্ত রানে থাকলেও লম্বা সময় ধরে ছন্দহীন মুশফিকুরের জন্য তাই চ্যালেঞ্জ ছিল শুরুর এই চাপ সামাল দেওয়ার। প্রথম দিনের উইকেটের মতোই ছিল ব্যাটারদের জন্য সহায়ক কন্ডিশন, স্পিন ধরছিল সীমিত পরিসরে। ফলে দেখেশুনে খেলে ধীরে ধীরে দলকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার কাজটা করেন শান্ত ও মুশফিক। 


উইকেটহীন দ্বিতীয় সেশনে হয়ে যায় জুটির শতক। প্রতিপক্ষকে সেভাবে সুযোগ না দিয়ে দুই ব্যাটার এগিয়ে যান সেঞ্চুরির দিকে। দিনের একদম শুরু থেকেই শান্ত ছিলেন বেশ সাবলীল। স্পিন সামলেছেন দারুণ সব সুইপ শটে। আগ্রাসী শটে পেসারদেরও সামলেছেন দক্ষতার সাথে। 


অন্যদিকে ফর্মে ফেরার লড়াইয়ে থাকা মুশফিক বাউন্ডারির সিঙ্গেলসেই রান বের করেছেন বেশি। দুজনের মধ্যে প্রথমে শতক তুলে নেন শান্ত, যা টেস্টে তার ৬ষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। আর ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর প্রথম শতক। 


আরও পড়ুন

জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত


নার্ভাস নাইন্টিজে বেশ কিছুটা সময় আটকে থাকা মুশফিকুর অধিনায়ককে অনুসরণ করে দিনের খেলা শেষের কিছু আগে সেঞ্চুরির দেখা পান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের এটি টেস্টে ১২তম সেঞ্চুরি। তিনি ও শান্ত মিলে চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন আছেন ২৪৭ রানের জুটিতে।

bottom-logo