এক ৬ মেরেই হিটম্যান রোহিত পৌঁছে গেলেন ক্রিকেটের গ্রেটম্যানদের তালিকায়। হিটম্যান থেকে গ্রেটম্যান, বদলে গেছে রোহিতের স্ট্যাটাস। শচিন-পন্টিংদের সঙ্গে ক্রিকেট ইতিহাসের বিশেষ
পনেরোতে প্রবেশ করলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শার্মা।
সোজা ব্যাটে স্ট্রেইট ডাউন দ্য উইকেটে ফটোগ্রাফিক এক ড্রাইভ, লুক্রেটিভ সিক্স, ১৭ থেকে ২৩ এ রোহিত। ওডিআই ক্রিকেটে ১৫ তম ক্রিকেটার হিসেবে ঢুকে গেলেন ১০ হাজারি ক্লাবে, ৬ষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে এই বিশেষ ফিট রোহিত শার্মার। আরো ৫ ভারতীয়দের মধ্যে তালিকার শীর্ষে দ্য গ্রেইট শচীন টেন্ডুলকার, আছেন ভিরাট কোহলি, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি, এমএস ধোনিও।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ৪৪ বলে করেছেন ক্যারিয়ারের ৫১তম ফিফটি, চলমান এশিয়া কাপে টানা ৩ হাফ-সেঞ্চুরি মাইলস্টোনও বটে। ৭ চারের সঙ্গে দুই ছয়, ৪০ রানই বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি থেকে। আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে শুরুতেই রোহিত জানান দিয়েছিলেন আজকের দিনটা
আরও পড়ুন: আর্শদীপের ৫ উইকেটে আফ্রিকা থামল ১১৬ রানে
হিটম্যানের। তবে বাঁহাতি স্পিনার
ওয়েলালাগের বলে ৫৩ করে বোল্ড হোন ইন্ডিয়ান ক্যাপ্টেন।
২০২৩, এখনো সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হোননি রোহিত। ৫৭ গড়ের রোহিতের স্ট্রাইক রেট ১০৭। ৫ ফিফটির সঙ্গে আছে ১ সেঞ্চুরি।
২৬৪, ওডিআই ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও হিটম্যানের।
২০১৪ সাল, ইডেন গার্ডেন্সে লঙ্কানদের বিপক্ষেই
ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছিল অমন দানবীয় ইনিংস। ৫০
ওভারি ফরম্যাটের ইতিহাসে কোন ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ১০ বার ডাবল সেঞ্চুরি। তার ৭টাই ভারতীয়দের, একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সর্বোচ্চ
৩ বার সেই ঘরে পা দিয়েছেন ভারতীয় ক্যাপ্টেন রোহিত শার্মা।
ভিরাট কোহলি নাকি রোহিত শার্মা?
ভারতীয় ক্রিকেটে এই চর্চা নতুন নয়। তবে সংখ্যার
হিসেব কষলে কোহলি সন্দেহাতিতভাবে এগিয়ে থাকবেন।
ভিরাটের ৪৭ ওডিআই সেঞ্চুরির বিপরীতে রোহিতের ৩০। ম্যাচ সংখ্যা বিবেচনায়ও কোহলি এগিয়ে ৩১ ম্যাচ, সঙ্গে
ব্যাটিং গড়, স্ট্রাইকরেট বা মাইলস্টোনের হিসেবেও কোহলি ইজ দ্য কিং।
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৫:১৮ পিএম
নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সফল পেসারদের একজন তিনি। টেস্টে দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীও টিম সাউদি। তবে মেঘে মেঘে তো বেলা কম হলো না। বয়স হচ্ছে, ধার কমছে বোলিংয়ে। তাই লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। বিদায় বেলায় তার আক্ষেপ, বড্ড মিস করবেন সেরা ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটকে, যা তাকে উপহার দিয়েছেন দুর্দান্ত কিছু ম্যাচ, স্পেল ও মুহূর্তের।
এক বছরের ব্যবধানে সাদা বলের দুটি বিশ্বকাপ খেলা এবং ভারতে ঐতিহাসিক ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়ের পরই এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর জন্য সঠিক সময় বলে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন সাউদি। আর এই কারণেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে এই ফরম্যাটে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন ডানহাতি এই পেসার।
টেস্ট ক্রিকেটের কোন দিকটি বিশেষ করে মিস করবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে সাউদি অনেকটাই আবেগি হয়ে গেলেন যেন।
“আমি সবকিছুই মিস করতে যাচ্ছি। টেস্ট ক্রিকেটের মত কিছুই হয় না। আমি মনে করি, প্রথম দিনে মাঠে নামার যে প্রাণশক্তি, এটা এমন একটা অনুভূতি যা আমি অবশ্যই মিস করব। যারা টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে, শুধু তারাই বুঝতে পারবে যে ড্রেসিংরুমের আবহে প্রথম দিনের প্রাণশক্তি বলতে আমি ঠিক কী বোঝাতে চাইছি। সব কিছু নিয়েই একটা অনিশ্চয়তায় থাকা, অপেক্ষা করার ব্যাপারটাই আলাদা। এমন অনেক কিছুই আছে যা আপনি মিস করবেন। তবে সবকিছুরই একটা শেষ থাকে। দেশের হয়ে ১০৪টি টেস্ট খেলতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আশা করি আরও কয়েকটা খেলতে পারব।”
সাউদি আরও বলেছেন, তিনি ভারত সফরের সময়ই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। এরপর কোচ গ্যারি স্টেডের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তার শেষ তিনটি টেস্ট হবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজ। ভারতকে সিরিজ হারানোর পর ইংলিশদের বিপক্ষেও সিরিজ জিততে পারলে নিউজিল্যান্ডের সামনে সুযোগ থাকবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইলালে খেলার। আর সেখানে কিউইরা জায়গা করে নিলে সাউদি সেখানে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই নেপিয়ারে ২০০৮ সালে সাউদির টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। ওই ম্যাচে দল হারলেও তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। বল হাতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৯ ছক্কায় খেলেন মাত্র ৪০ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।
টেস্টে ১৯৭ ইনিংসে ২৯.৮৮ গড়ে ৩৮৫টি উইকেট নিয়েছেন সাউদি। পাঁচ উইকেট ইনিংসে ১৫ বার। আর ম্যাচে দশ উইকেট একবার।
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান । ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল রিজওয়ানের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রানে থামে তারা।
বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচটি নেমে আসে ৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। পুরোদমে ঝড়ো ইনিংস চলছিল দলটার। তবে ৩ ওভারের মাঝেই ২ ওপেনারকে ফেরান হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
এরপর কাজের কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ১৯ বলে খেলেন ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে সঙ্গ মার্কাস স্টোইনিস। ৭ বলে করেন ২১। ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডে ওঠে ৯৩ রান।
৪২ বলে ৯৪ রানের লক্ষ্যটা পাকিস্তানের জন্য হয়ে পড়ে কঠিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রিজওয়ানরা পড়েন আরো চাপে। পাকিস্তানের ইনিংসে হাসিবুল্লাহ খানের ১২, আব্বাস আফ্রিদির ২০ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ১১ ছাড়া বাকি সবার রান এক অঙ্কের ঘরে।
৭ ওভারেই ৯ উইকেট হারিয়ে দল থামে ৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি উইকেট নেন দুই পেসার জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ টি ও স্পেন্সার জনসন নেন ১ টি উইকেট।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
২৯ রানের এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া: ৯৪/৪ (৭); (গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৩(১৯), মার্কাস স্টয়নিস ২১(৭)
আব্বাস আফ্রিদি ২/৯, হারিস রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৬৪/৯ (৭); আব্বাস আফ্রিদি ২০*(১০), হাসিবউল্লাহ খান ১২(৮)
নাথান অ্যালিস ৩/৯, জাভিয়ের বার্টলেট ৩/১৩