দেশ থেকে প্রায় দশ হাজার কিলোমিটার দূরে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও বিজয় দিবসে মেয়েরা মাঠ ছেড়েছে জয় নিয়েই। প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশের মেয়েরা।
ইস্ট লন্ডনে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে বাংলাদেশের মেয়েরা অচেনা কন্ডিশনেও খেলেছে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটাই। দুই ওপেনার দারুণ শুরু এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে।
তবে বাংলাদেশের মেয়েরা বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করে মুর্শিদা খাতুনের ব্যাটে চড়েই। একেবারে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে দলকে এনে দিয়েছেন বিশাল সংগ্রহ। ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ২৫০ রান। মুর্শিদা ১০০ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৯১ রানে।
মুর্শিদাকে যথাযথ সঙ্গ দিয়েছেন বাকি ব্যাটাররাও। টপ অর্ডারের প্রত্যেকেই রানের দেখা পেয়েছেন। ফলে ৫০ ওভার শেষে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর ২৫০ রান।
জয়ের স্বপ্ন তখন থেকেই দেখতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ব্যাটারদের পর বোলাররাও কাজটা করেছেন ষোল আনা ঠিক। দক্ষিণ আফ্রিকার কোন ব্যাটারকে সেটই হতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন ও সুলতানা খাতুন সবাই নিয়েছেন দুইটা করে উইকেট। আর নাহিদা আক্তারের ঝুলিতে গেছে তিন উইকেট।
বোলারদের টিম ওয়ার্কে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয়েছে মাত্র ১৩১ রানেই। প্রথম ওয়ানডেতে জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলার মেয়েরা।
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৪৩ পিএম
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান । ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল রিজওয়ানের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রানে থামে তারা।
বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচটি নেমে আসে ৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। পুরোদমে ঝড়ো ইনিংস চলছিল দলটার। তবে ৩ ওভারের মাঝেই ২ ওপেনারকে ফেরান হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
এরপর কাজের কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ১৯ বলে খেলেন ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে সঙ্গ মার্কাস স্টোইনিস। ৭ বলে করেন ২১। ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডে ওঠে ৯৩ রান।
৪২ বলে ৯৪ রানের লক্ষ্যটা পাকিস্তানের জন্য হয়ে পড়ে কঠিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রিজওয়ানরা পড়েন আরো চাপে। পাকিস্তানের ইনিংসে হাসিবুল্লাহ খানের ১২, আব্বাস আফ্রিদির ২০ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ১১ ছাড়া বাকি সবার রান এক অঙ্কের ঘরে।
৭ ওভারেই ৯ উইকেট হারিয়ে দল থামে ৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি উইকেট নেন দুই পেসার জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ টি ও স্পেন্সার জনসন নেন ১ টি উইকেট।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
২৯ রানের এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া: ৯৪/৪ (৭); (গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৩(১৯), মার্কাস স্টয়নিস ২১(৭)
আব্বাস আফ্রিদি ২/৯, হারিস রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৬৪/৯ (৭); আব্বাস আফ্রিদি ২০*(১০), হাসিবউল্লাহ খান ১২(৮)
নাথান অ্যালিস ৩/৯, জাভিয়ের বার্টলেট ৩/১৩
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এবছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে এই ট্রফি ঘুরবে একাধিক দেশ। যেখানে থাকবে বাংলাদেশও।
এর আগে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় একাধিক ট্রফি এসেছে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার বাংলাদেশে। এবারও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আসবে বাংলাদেশে।
১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসবে ঢাকায়। থাকার কথা তিন দিন। ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাংলাদেশে থেকে ঘুরবে ঢাকা আর কক্সবাজার। বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে টি-স্পোর্টসকে।
৮ বছর পর মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট, যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।