১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:২০ পিএম
খেলা হবে লাল মাটির উইকেটে। যেখানে শেষদিকে স্পিনাররা হয়ে উঠতে পারেন ভয়ঙ্কর। রবিচন্দন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্যাটেল- বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে আছেন চার স্পিনার। এখন ভারত কি অন্তত তিন স্পিনারকে খেলাবে? চেন্নাইয়ের লাল মাটির উইকেটে শুরুতে পেসাররা ভাল বাউন্স পাবেন, দ্রুত উইকেট ভাঙ্গবে- তারপর ছড়ি ঘোরাবেন স্পিনাররা। সুতরাং দুই স্পিনার নিয়ে একাদশ গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
সবশেষ সফরেও বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে ছড়ি ঘুরিয়েছিলেন পেসাররা। ২০১৯ সালে ইন্দোর ও কলকাতায় পেস বোলারদের দিয়ে বাংলাদেশকে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়েছিল ভারত। বাংলাদেশ সেই সিরিজের দুই টেস্টেই হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। সেবার ভারতের পেসাররা দুই টেস্টে উইকেট নিয়েছিলেন ৩৫টি। আর তাই এবারও তাদের ওপর ভরসা থাকছে।
কিন্তু বরাবরই ভারত স্পিন আক্রমণে দুর্দান্ত। যে চার স্পিনার স্কোয়াডে আছেন- তাদের প্রত্যেকেরই চিদাম্বরামে আছে দারুণ রেকর্ড।
রবিচন্দন অশ্বিন: শত টেস্ট খেলা অশ্বিন এখানে খেলেছেন চারটি টেস্ট। ২০১৩ সালে প্রথমবার এখানে টেস্ট খেলতে নামেন এই অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন অশ্বিন। দুই ইনিংসেই পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। তবে ২২৪ রানের এক ইনিংস খেলে আলো কেড়ে নিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহেন্দ্রা সিং ধোনি। ভারত ম্যাচ জেতে ৮ উইকেটে।
২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত ইনিংস ব্যবধানে জিতলেও পুরো ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট পেয়েছিলেন অশ্বিন। তবে করোনা পরবর্তী ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম টেস্ট ভারত হারলেও দ্বিতীয়টিতে ভারত জিতেছিল ঐ অশ্বিন বীরত্বে। সব মিলিয়ে চার টেস্টে ৩০ উইকেট পেয়েছেন তিনি চিদাম্বারামে। গড় ২৩.৬০, পাঁচ উইকেট চারবার।
রবীন্দ্র জাদেজা: ৭২ টেস্ট খেলা জাদেজা এখানে খেলেছেন দুই ম্যাচ। তাঁর রেকর্ড অশ্বিনের চেয়েও উজ্জ্বল। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেন ৫ উইকেট। আর ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে নেন ১০ উইকেট। সবমিলে ২ টেস্টে ১৯.৮০ গড়ে নেন ১৫ উইকেট।
আকসার প্যাটেল: ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এখানেই অভিষেক হয়েছিল আক্সারের। সেই ম্যাচের ২য় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ভারতের জয়ে অশ্বিনকে দারুণ সহায়তা করেন তিনি। ম্যাচে নেন ৭ উইকেট।
কুলদীপ যাদব: বাঁহাতি চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব এখন পর্যন্ত ১২টি টেস্ট খেলেছেন। কিন্তু খেলা হয়নি চেন্নাইয়ে। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। আর তাই তিনিও থাকবেন একাদশে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায়।
ভারতীয় স্পিনারদের এমন দাপুটে পরিসংখ্যান নিশ্চিত শঙ্কার কারণ বাংলাদেশ দলের জন্য। পাকিস্তানের মাটিতে টাইগার ব্যাটাররা যেভাবে পেসারদের মোকাবেলা করে এসেছে সফলতার সাথে তাতে ভারতের রণ পরিকল্পনায় স্পিনাররা বড় একটা ভূমিকা রাখবেন সেটা নিশ্চিত।
২৩ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে