১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:৫১ পিএম
প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সামনে সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই জানাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে ভালোই লড়াই জমাল স্বাগতিকরা। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে লো-স্কোরিং ম্যাচে দলের ত্রাতা হয়ে আসলেন বোলাররা। তাতে মিলল জয় আর নিশ্চিত হল ওয়ানডের পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ও।
রবিবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ১০ রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে রাবেয়া খানের দলের লিড এখন ৩-০ ব্যবধানে। এর আগে ওয়ানডে সিরিজে রাবেয়া-নিগাররা জিতেছিলেন ১-০ তে।
আগের ম্যাচে রান তাড়ায় প্রথম থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওপেনাররা। সেই ধারা বজায় থাকে এই ম্যাচেও। প্রথম ১৬ বলেই বোর্ডে জমা হয় ২৮ রান, যা আভাস দিচ্ছিল দলের ভালো একটা স্কোর গড়ার। তবে গত ম্যাচের মত এই ম্যাচেও কয়েকটি দারুণ শট খেলে ২ বাউন্ডারিতে ১৩ রানে বিদায় নেন দিলারা আক্তার, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের।
৯ বলে সোবহানা মোস্তারির ১ রানে বিদায়ের পর গত ম্যাচে ফিফটি করা সাথি রানিও সাজঘরের পথ ধরেন ২৬ রান করে। জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানাও আউট হন অল্পে। ৬৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে এরপর ঘোর বিপদের সম্মুখীন হয় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে বোলারদের একটা মোটামুটি লড়াই করার মত একটা স্কোর এনে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব রিতু মনির। অন্যপ্রানে আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে একপ্রান্ত আগলে তিনি লড়ে যান শেষ পর্যন্ত। ৩ চারে অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে। বাংলাদেশের ইনিংসে মাত্র চারজন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে সমর্থ হন। ২০ ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ৯৭ রান।
এই ধরনের একটা রান ডিফেন্ড করতে হলে শুরু থেকে উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার কোনো বিকল্প নেই। প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে সেই কাজটা করে দেন মারুফা আক্তার। পাওয়ার প্লেতে রান আটকে দিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চাপে ফেলে দেওয়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার, নেতমি পূর্ণাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন পাঁচ রানে।
২৮ রানে চার উইকেট হারানোর শ্রীলঙ্কা জয়ের আশা যোগান কৌশিনি নুতিয়াঙ্গা ও নীলকশনা সন্দামিনী। এই দুজন ক্রমশ বাংলাদেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠছিলেন। আক্রমণে এসে বাংলাদেশকে সেখান থেকে ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক রাবেয়া খান। এরপর শ্রীলঙ্কার দলীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করা নীলকশনাকে ফেরান ফাহিমা আক্তার।
জয়ের আশা জাগিয়েও বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৮৭ রানে গিয়ে থাকে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। দুটি করে উইকেট নেন নাহিদা, ফাহিমা ও রাবেয়া।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:৩৪ এম
খেলাটা যেখানেই হোক, সেটা ঢাকা, চেন্নাই, দুবাই, মেলবোর্ন - বিরাট কোহলি সবসময় সবজায়গায় থাকেন একই। নিজের নামের মতো। নামটা 'কিং কোহলি...' আমি বলছি না। বিশ্ব ক্রিকেটের সব অনুরাগীরাই তাকে এই নামেই চেনেন, ডাকেন। দিল্লির ‘চিকু’ যেনো পুরো ভারতীয় ক্রিকেটের অথবা তারচেয়েও বড় কিছু।
এই বছরই কোহলি ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে। এখন বাড়তি নজর তাই টেস্ট ক্রিকেটে। অবশ্য সেটা সবসময় ছিল তার। এই ফরম্যাটকেই মেনেছেন, বলেছেন সেরা বলে। চেন্নাই টেস্টের আগেও কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাবনার কারণ এক কোহলি।
তবে বাংলাদেশের বোলাররা কোহলিকে থামাতে পারেন। সাত বাংলাদেশি বোলার কোহলিকে আউট করেছেন। এরমধ্যে তাইজুল ইসলাম সর্বোচ্চ দুবার। চিপকে কী খেলা হবে এই স্পিনারের, তার জন্যও করতে হচ্ছে অপেক্ষা। তাইজুল ছাড়াও মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, তাসকিন আহমেদ, জুবায়ের লিখনরাও আছেন সেই তালিকায়। চিপকে অবশ্য জোড়া ইনিংস পাচ্ছে, সুযোগ থাকবে কানপুরেও।
এরই মধ্যে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে কোহলিকে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ বার আউট করেছেন সাকিব। একবার বোল্ডের সাথে এক স্টাম্পিং, ফিল্ডাররা সাহায্য করেছে চারবার। টেস্টে একবার হলেও ওয়ানডে পাঁচ আর বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে আরেকবার।
এমনিতে কোহলি মানেই যেকোনো মানদণ্ডে ৫০ এর বেশি গড়। বাংলাদেশের সাথেও তাই। ৯ ইনিংসের কোহলি রান করেছেন ৪৩৭। গড় ৫৪ এর বেশি। দুই সেঞ্চুরির কোহলির ব্যাটে রয়েছে ডাবল সেঞ্চুরিও।
চেন্নাইয়ে বুধবারে সাকিব ব্যাট হাতেই ব্যস্ত ছিলেন, বল হাতে না। কাউন্টিতে সারের হয়ে ম্যাচে ৯ উইকেট তোলা সাকিব অবশ্য বল হাতেও ফিরতে চাইবেন, ফেরাতে চাইবেন কোহলিকে।
একটা তথ্য বলে রাখা ভালো, এশিয়ান স্পিনারদের মধ্যে তিন ফরম্যাটে সাকিবকে বেশিবার আউট করা বোলার সাকিব। সাকিবরা ব্যাটিংয়ে ব্যস্ত থাকলেও কোহলির জন্য বুধবারের চিপক ব্যস্ত থাকেনি। ৪৪ টেস্ট গড়ের চিপকে যা ম্যাচে না থাকলেও হলো, বাংলাদেশিরা তো তাই চাইবে! আর চাইবে সাকিব বা অন্য যেকেউ ফেরাক কোহলিকে।
পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে হোয়াইট ওয়াশ করতে বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। পেসার কিংবা স্পিনার দুই পক্ষই অবদান রেখেছেন সমান তালে। ভারতের সাথে ভালো করতেও বাংলাদেশ দল তাকিয়ে থাকবে বোলিং ডিপার্টমান্টের দিকেই। ভারতের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপকে আটকাতে বোলারদের দারুণ কিছু করার বিকল্প নেই। অভিজ্ঞতার বিচারে বাংলাদেশের পেসাররা পিছিয়ে থাকলেও সামর্থ্যের দিক থেকে দলের ওপর আস্থা রাখতে চান অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত।
পাকিস্তান সফরে সাকিব, মিরাজরা যেমন উইকেট নিয়েছেন তেমনি নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদরাও সময়ে সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন। অভিজ্ঞতার বিচারে বাংলাদেশের পেসাররা পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক আস্থা রাখতে চান তাদের সামর্থের ওপর। “আমাদের খুব ভালো অভিজ্ঞ স্পিন আক্রমণ আছে। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের পেস বিভাগও দারুণ। আমি জানি, তারা তেমন অভিজ্ঞ নয়। তবে সামর্থ্য আছে। আমি স্পিন বা পেস নিয়ে ভাবছি না। আমাদের যে কন্ডিশন দেওয়া হবে, দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি, আমাদের ক্রিকেটাররা দ্রুত মানিয়ে নেবে এবং দলের জন্য ভালো করবে।”
ঘরের মাঠে ভারত স্বভাবতই ফেভারিট হিসেবে খেলতে নামবে। তাদের বোলিং লাইনআপও ডের এগিয়ে বাংলাদেশ থেকে। তবে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করছেন না শান্ত। তার নজর নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করার দিকেই। “যেটা বললাম, ফল নিয়ে ভাবছি না। শুধু প্রক্রিয়া নিয়ে চিন্তা করছি। দলে যে ৫-৬ জন বোলার আছে, তারা সবাই লম্বা সময় ধরে ভালো বোলিং করতে পারে। আমি আশা করি, তারা নিজেদের কাজটা করবে।”
চেন্নাইয়ে বুধবারের উত্তাপের অনেকেই অনুশীলন করেছেন, তবে সাকিব আল হাসান যেন একটু বেশি বিশেষ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেন। না দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় বলে বলছি না। অন্য কারণও আছে। কাউন্টি খেলছিলেন সারের হয়, টনটনের হাড় কাঁপানো শীত না হলেও আপনি হয়তো সোয়েটারের সাকিবকে দেখেছেন। সেই ঠান্ডা থেকে একেবারে অসহনীয় গরম। সাকিবকে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। সেটার সাথে মানিয়ে নিতে দুই ঘণ্টার ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন।
দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়ের পোস্টারের রং হারিয়েছে খানিক। ব্যাটিং ফর্মটা একেবারেই সায় দিচ্ছে না। গেলো ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই চেন্নাইতে ভুগেছিলেন চোখের সমস্যা। সেই শুরু। যে সমস্যার কেবল বেড়েছেই। যা ভুগিয়েছে ব্যাটিংয়েও। সেই ব্যাটেই দিয়েছেন শান। চেন্নাইয়ের উত্তাপে সাকিবের ব্যাটে ধার।
টনটনের শীত থেকে চেন্নাইয়ের ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গরম। একেবারে ১৮০ টার্ন করার ব্যাপারটা কী কেবল সাকিবের সাথেই যায়? হয়তো। দেড় দশকের লম্বা ক্যারিয়ার, যতবার বিদ্ধ হয়েছেন সমালোচনার তীরে ততোবারই ফিরেছেন। এবারও? উত্তর এক সাকিবের কাছেই।
এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের ইতিহাস যতোই পুরাতন হোক, বাংলাদেশের টেস্ট খেলা হয়নি তবে আইপিএলের কল্যাণে টেস্ট খেলছেন এমন বাংলাদেশিদের মধ্যে সাকিবের চিপক অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি। তা কতটা সাকিব আর টাইগাররা কাজে লাগায় তা আপনি জেনে যাবেন চেন্নাই টেস্ট শেষেই।
৮ ঘণ্টা আগে
৮ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ ঘণ্টা আগে
৮ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ ঘণ্টা আগে
৮ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ ঘণ্টা আগে
৮ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে