১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১:১৮ পিএম
কাঁধের চোটের কারণে মাঠের বাইরে আছেন এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেরে না ওঠায় সেই চোট শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারকে ছিটকে দিল বাংলাদেশের বিপক্ষে চলতি মাসের টেস্ট সিরিজ থেকেও।
দুই ম্যাচের সিরিজের জন্য শনিবার ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানে হোল্ডারের জায়গা না হলেও চোট কাটিয়ে ফিরেছেন অফস্পিনার কেভিন সিনক্লেয়ার। সবশেষ ঘরের মাটিতে গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লাল বলের সিরিজ মিস করেন তিনি।
দলে ফিরেছেন গতিময় পেসার আলজারি জোসেফও। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ফিট থাকলেও ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্ট’ বিবেচনায় থাকে বিশ্রাম দিয়েছিল ক্যারিবিয়ান বোর্ড। দলে ফেরার তালিকায় আরও আছেন ডানহাতি পেসার অ্যান্ডারসন ফিলিপ, যিনি সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
বাদ পড়েছেন দুই স্পিনার গুডাকেশ মোটি ও অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ব্রায়ান চার্লস। মোটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ খেলছেন এখন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তিনি ছিলেন দলে। সেখানে সাদামাটা পারফরম্যান্সে জায়গা হারালেন এবার। আর ওই সিরিজে স্কোয়াডে থাকা চার্লস ম্যাচ না খেলেই বাদ পড়েছেন।
আগামী ২২ নভেম্বর অ্যান্টিগায় এবং ৩০ নভেম্বর জ্যামাইকায় শুরু হবে দুটি টেস্ট। এর আগে আগামী ১৭ ও ১৮ তারিখ অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সিডব্লিউআই একাদশ, যার নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ ব্যাটার ক্রেইগ ব্রাথওয়েট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট স্কোয়াড :
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), জোশুয়া দা সিলভা, অ্যালিক অ্যাথানাজ, কেসি কার্টি, জাস্টিন গ্রিভস, কাভেম হজ, টেভিন ইমলাচ, আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, মিকাইল লুই, অ্যান্ডারসন ফিলিপ, কেমার রোচ, জেডেন সিলস, কেভিন সিনক্লেয়ার , জোমেল ওয়ারিকান।
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৫:১৮ পিএম
নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সফল পেসারদের একজন তিনি। টেস্টে দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীও টিম সাউদি। তবে মেঘে মেঘে তো বেলা কম হলো না। বয়স হচ্ছে, ধার কমছে বোলিংয়ে। তাই লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। বিদায় বেলায় তার আক্ষেপ, বড্ড মিস করবেন সেরা ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটকে, যা তাকে উপহার দিয়েছেন দুর্দান্ত কিছু ম্যাচ, স্পেল ও মুহূর্তের।
এক বছরের ব্যবধানে সাদা বলের দুটি বিশ্বকাপ খেলা এবং ভারতে ঐতিহাসিক ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়ের পরই এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর জন্য সঠিক সময় বলে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন সাউদি। আর এই কারণেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে এই ফরম্যাটে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন ডানহাতি এই পেসার।
টেস্ট ক্রিকেটের কোন দিকটি বিশেষ করে মিস করবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে সাউদি অনেকটাই আবেগি হয়ে গেলেন যেন।
“আমি সবকিছুই মিস করতে যাচ্ছি। টেস্ট ক্রিকেটের মত কিছুই হয় না। আমি মনে করি, প্রথম দিনে মাঠে নামার যে প্রাণশক্তি, এটা এমন একটা অনুভূতি যা আমি অবশ্যই মিস করব। যারা টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে, শুধু তারাই বুঝতে পারবে যে ড্রেসিংরুমের আবহে প্রথম দিনের প্রাণশক্তি বলতে আমি ঠিক কী বোঝাতে চাইছি। সব কিছু নিয়েই একটা অনিশ্চয়তায় থাকা, অপেক্ষা করার ব্যাপারটাই আলাদা। এমন অনেক কিছুই আছে যা আপনি মিস করবেন। তবে সবকিছুরই একটা শেষ থাকে। দেশের হয়ে ১০৪টি টেস্ট খেলতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আশা করি আরও কয়েকটা খেলতে পারব।”
সাউদি আরও বলেছেন, তিনি ভারত সফরের সময়ই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। এরপর কোচ গ্যারি স্টেডের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তার শেষ তিনটি টেস্ট হবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজ। ভারতকে সিরিজ হারানোর পর ইংলিশদের বিপক্ষেও সিরিজ জিততে পারলে নিউজিল্যান্ডের সামনে সুযোগ থাকবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইলালে খেলার। আর সেখানে কিউইরা জায়গা করে নিলে সাউদি সেখানে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই নেপিয়ারে ২০০৮ সালে সাউদির টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। ওই ম্যাচে দল হারলেও তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। বল হাতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৯ ছক্কায় খেলেন মাত্র ৪০ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।
টেস্টে ১৯৭ ইনিংসে ২৯.৮৮ গড়ে ৩৮৫টি উইকেট নিয়েছেন সাউদি। পাঁচ উইকেট ইনিংসে ১৫ বার। আর ম্যাচে দশ উইকেট একবার।
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান । ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল রিজওয়ানের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রানে থামে তারা।
বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচটি নেমে আসে ৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। পুরোদমে ঝড়ো ইনিংস চলছিল দলটার। তবে ৩ ওভারের মাঝেই ২ ওপেনারকে ফেরান হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
এরপর কাজের কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ১৯ বলে খেলেন ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে সঙ্গ মার্কাস স্টোইনিস। ৭ বলে করেন ২১। ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডে ওঠে ৯৩ রান।
৪২ বলে ৯৪ রানের লক্ষ্যটা পাকিস্তানের জন্য হয়ে পড়ে কঠিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রিজওয়ানরা পড়েন আরো চাপে। পাকিস্তানের ইনিংসে হাসিবুল্লাহ খানের ১২, আব্বাস আফ্রিদির ২০ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ১১ ছাড়া বাকি সবার রান এক অঙ্কের ঘরে।
৭ ওভারেই ৯ উইকেট হারিয়ে দল থামে ৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি উইকেট নেন দুই পেসার জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ টি ও স্পেন্সার জনসন নেন ১ টি উইকেট।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
২৯ রানের এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া: ৯৪/৪ (৭); (গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৩(১৯), মার্কাস স্টয়নিস ২১(৭)
আব্বাস আফ্রিদি ২/৯, হারিস রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৬৪/৯ (৭); আব্বাস আফ্রিদি ২০*(১০), হাসিবউল্লাহ খান ১২(৮)
নাথান অ্যালিস ৩/৯, জাভিয়ের বার্টলেট ৩/১৩