১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:০৯ পিএম
আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মা ফর্মের তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনা নিয়ে একরকম হুঙ্কারই দিয়েছিলেন। ভারত অধিনায়কের মতে, যা ইচ্ছা বলতে বা ভাবতেই পারে বাংলাদেশ। তবে সেই পথে হাঁটেননি গৌতম গম্ভীর। ভারত কোচ প্রতিপক্ষ দলকে দেখছেন যথেষ্ট সমীহের সাথেই। সাবেক এই ওপেনার বলেছেন, বাংলাদেশকে সম্মান দেখিয়েই মাঠে নামবে তার দল।
ভারতের বিপক্ষে খেলা ১৩টি টেস্টে বাংলাদেশের ফলাফলের চিত্র একেবারেই হতাশা জাগানিয়া। ১১টিতেই হেরেছে। অন্য দুটি হয়েছে ড্র। ভারতের মাটিতে খেলা দুটি টেস্টেই জুটেছে বড় পরাজয়। তবে পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের কারণে ভারতের বিপক্ষেও বাংলাদেশের ভালো করার আশা জেগেছে সবার মাঝে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত শুনিয়েছেন সিরিজ জয়ের কথা।
রোহিত সেটিকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিলেও বুধবার সংবাদ সম্মেলনে গম্ভীর বলেছেন ভিন্ন কথাই। “আমি এটা বিশ্বাস করি যে আমরা কাউকে ভয় পাই না, তবে (প্রতিপক্ষ হিসেবে) আমরা সবাইকে সম্মান করি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই। আমরা প্রতিপক্ষের দিকে তাকাই না এবং আমরা স্রেফ নিজেদের খেলাটাই খেলি।”
মূলত পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের কারণেই বাংলাদেশ দলের স্বপ্নের আকাশ বেশ চওড়া হয়েছে বেশ। সেই সিরিজের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষেও টেস্টে জয়ের দেখা পায়নি শান্ত-সাকিবরা। তবে ২-০ তে সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশ খেলেছে দুর্দান্ত ক্রিকেট, যেখানে বড় অবদান ছিল অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও সিরিজ সেরা অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের। সব মিলিয়ে তাই আসছে সিরিজে কঠিন লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই।
গম্ভীর মনে করেন, আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ফেলতে প্রথম বল থেকেই চেপে ধরতে হবে তাদের। “তারা পাকিস্তানে যা করেছে, সেটার জন্য আমি তাদের (বাংলাদেশ) অভিনন্দন জানাই। তবে এটা একটা নতুন সিরিজ। আর তারা একটা মানসম্পন্ন দল। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। হ্যাঁ, তাদের দলে সাকিব (আল হাসান), মুশফিকুর (রহিম) মেহেদি হাসানের (মিরাজ) মত অভিজ্ঞরা আছে, তবে আমরা প্রথম বল থেকেই তাদের চাপে ফেলতে চাই।”
ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে চেন্নাই টেস্টের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে লাল মাটির উইকেট। ফলে নিশ্চিতভাবেই দেখা যাবে স্পিনারদের প্রাধান্য। বাংলাদেশ স্কোয়াডে আছেন চার স্পিনার সাকিব, মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। তাদের সম্মিলিত টেস্ট উইকেট ৬২৭, যা এই শতকে ভারত সফরে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া স্পিন লাইনআপ।
ভারত কী প্রস্তুত বাংলাদেশের স্পিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে? গম্ভীর রয়েছেন ইতিবাচকই। “আমাদের ব্যাটিং ইউনিটে অনেক কোয়ালিটি আছে। এটা বিশ্বের যেকোনো স্পিন আক্রমণকেই সামলাতে সক্ষম।”
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৪৫ পিএম
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টটা খেলে পুরো দল দেশে ফিরলেও সাকিব আল হাসান উড়াল দেন ইংল্যান্ডে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে খেলেন একটি ম্যাচ। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে ছিলেন সেরা ছন্দে। চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম স্পেলে সেই ছন্দ অবশ্য দেখাতে পারেননি বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে চার ইনিংসে বোলিং করেছিলেন সাকিব। সেরা রুপে দেখা গিয়েছিল প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে। নিয়েছিলেন তিন উইকেট। ব্যাট হাতে অবশ্য পুরো সিরিজেই ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ব্যাটিংয়ে না পারলেও সমারসেটের বিপক্ষে সারের ম্যাচে বল হাতে সাকিব ফিরে পান চেনা ছন্দ।
দুই ইনিংসেই ছিলেন দলের সেরা বোলার। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে কাউন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত শিকার করেন পাঁচ উইকেট। ফলে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে বোলার সাকিবকে নিয়ে সবার আগ্রহ একটু বেশিই ছিল।
তবে প্রথম স্পেলে হতাশই করেছেন সাকিব। প্রথম দুই সেশনে তাকে আক্রমণেই আনেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। অবশেষে চা বিরতির পর ইনিংসের ৫৩তম ওভারে প্রথমবার বল তুলে নেন সাকিব। প্রথম বলেই তাকে বাউন্ডারি মেরে স্বাগত জানান রবীন্দ্র জাদেজা। দুই বল ফের আগ্রাসী শট খেলেন ভারত অলরাউন্ডার। এবার স্লগসুউপ করে সাকিব ছক্কায় ওড়ান। ওই ওভারে আসে ১১ রান।
সাকিবের পরের ওভারেও তার ওপর চড়াও হন জাদেজা। টানা দুই বলে হাঁকান দুটি চার। তাতে দুই ওভারেই সাকিব দিয়ে বসেন ২১ রান এবং অধিকাংশ ডেলিভারিই ছিল বাজে। পরের দুটি ওভার কিছুটা হিসেবী করলেও চার ওভারে ২৬ রান দেওয়ার পর আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন শান্ত।
সেই সময়ে ভারত স্কোর ছিল ৫৯ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩২। রবীচন্দ্রন অশ্বিন অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রানে, আর জাদেজার স্কোর ৩৪।
স্কোয়াডে চারজন স্পিনার থাকলেও ভারতের মাটিতে চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ দল খেলছে তিন পেসার নিয়ে - বছর কয়েক আগেও এই দৃশ্য অকল্পনীয় বলেই ভাবা হত। তবে বর্তমান বাংলাদেশ যে ভিন্ন ধাতুতে গড়া। সব কন্ডিশনের জন্যই বাংলাদেশে এখন রয়েছে ভীষণ কার্যকর একটি ‘পেস ব্যাটারি’। চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে প্রতিপক্ষ শিবিরে কাঁপন ধরিয়েছেন হাসান মাহমুদ। নাহিদ রানাও কম যাননি। ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পেসারদের এই দারুণ পারফরম্যান্সের পেছনে বড় অবদান রেখেছেন মুমিনুল হক।
খুব বেশি সময় আগের কথা নয়, যখন দেশের মাটিতে বাংলাদেশ টেস্ট খেলত একাদশে মাত্র এক পেসার নিয়ে। তাতে ঘরের মাঠে স্পিন উইকেট বানিয়ে সাফল্য মিললেও বিদেশের মাটিতে গিয়ে খাবি খেতে হত। কারণ, সেখানে পেসাররাই মূলত ব্যবধান গড়ে দেন। ২০১৯ সালে টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেয়ে এই চিত্রে পরিবর্তন আনার পদক্ষেপ নেন মুমিনুল। তার সময়েই একাদশে পেসাররা শুধু বেশি বেশি জায়গায় পাওয়াই নয়, সুযোগ পান দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার। বাঁহাতি এই ব্যাটার এখন আর অধিনায়ক না থাকলেও সেই ধারা এখনও চলছে, যার সুফল পাচ্ছে দল।
প্রথম দিনের খেলা চলাকালীন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তামিম তুলে ধরেন বাংলাদেশের পেস বিপ্লবে অধিনায়ক মুমিনুলের ভূমিকা। “আমি একবার প্রথম শ্রেণির একটি ম্যাচে মুমিনুলকে আক্রমণে স্পিনার আনার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু মুমিনুল স্পষ্ট বলে দেন, “ওরা (পেসার) যদি এখন বোলিং না করে, তাহলে ওরা কখনই শিখতে পারবে না। তাদের শিখতে দিন।”
তামিম যা বলেছেন, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে একসময় সেই ঘটনা অহরহই ঘটত। পেসারদের দলগুলো ব্যবহার করত শুরুর দিকে কয়েকটি ওভার করানো এবং বল পুরনো করার কাজে। ফলে, এমনও ম্যাচ গেছে যেখানে দুজন পেসার মিলে ২০ ওভারও বল করতে পারেননি। ক্ষেত্রবিশেষে গোটা একটি ইনিংসেই দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনারদের বোলিং করার ঘটনাও ছিল।
ধারাভাষ্যে সেটাই তুলে ধরে তামিম বলেছেন, একটা সময় বাংলাদেশের পেসারা ঘরোয়া ক্রিকেটেও সারা দিনে পাঁচ ওভারের মত বল করার সুযোগ পেতেন। মুমিনুল অধিনায়ক হয়েই পেসারদের দিনে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ ওভার বোলিং করাতে বাধ্য করেন। আর এই কাজটি তিনি করেন ঘরোয়া ক্রিকেটের কোচ ও অধিনায়কদের সাথে পরামর্শ করে।
চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনে এখন পর্যন্ত ৫৩ ওভার শেষে প্রথম ইনিংসের ভারতের স্কোর ৬ উইকেটে ২০৮। চার উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, একটি নিয়েছেন আরেক তরুণ পেসার নাহিদ রানা। অন্য উইকেটটি নিয়েছেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
পাকিস্তানে ইতিহাস গড়ার পর বাংলাদেশের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। টেস্ট ক্রিকেটে এবার নাজমুল হোসেন শান্তদের প্রতিপক্ষ এই ফরম্যাটের সবচেয়ে ধারাবাহিক দলগুলোর একটি ভারত। তাদেরই ঘরের মাঠে কঠিনতম ক্রিকেটীয় লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যে লড়াইয়ে ভাগ্যটা অবশ্য শুরুতেই পাশে পেল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত।
মূলত উইকেটের ময়েশ্চার ব্যবহার করতেই এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের। চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের আকাশে এই মুহূর্তে খানিকটা মেঘও আছে। ফলে সকাল বেলা ভারতের পেস আক্রমণের সামনে পড়তে চায়নি বাংলাদেশ। বরং বাংলাদেশের তরুণ পেসাররাই চ্যালেঞ্জ জানাতে চায় ভারতের ব্যাটারদের।
আগেই অবশ্য জানা গিয়ে ছিল এই টেস্টটা হবে লাল মাটির উইকেটে। যেখানে স্পিনারদের থেকে পেসাররাই বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। দুই দলের একাদশেও সেই বার্তাই স্পষ্ট। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেই আছেন তিন জন করে স্পিনার।
বাংলাদেশ মাঠে নামছে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচের একাদশ নিয়ে। পেস আক্রমণে আছেন তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। আর স্পিন সামলাবেন দুই অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে ওপেন করার জন্য এই ম্যাচেও ভরসা করা হচ্ছে সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান জুটির ওপরেই।
ইনজুরি কাটিয়ে প্রায় দুই বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরলেন ঋষাভ পান্ত। ভারতের একাদশে পেসার হিসেবে আছেন আকাশ দীপ, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ। ব্যাট হাতে অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে ওপেন করছেন যশস্বী জয়সোয়াল।
বাংলাদেশের একাদশঃ নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
ভারতের একাদশঃ রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সোয়াল, শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋষভ পান্ত, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আকাশ দীপ, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ।
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে