২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথমবারের মত নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। সেই বিশ্বকাপে এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রথম অর্ধশতকের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। বড় মঞ্চে সেই প্রথমবার নিজেকে চিনিয়েছিলেন সৌম্য।
এরপর দেশে ফিরেও সেই ফর্ম ধরে রেখেছিলেন এই ব্যাটার। তামিম ইকবালের যোগ্য সঙ্গী পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। এমন একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে। তবে সেই সুর পালটে যেতেও সময় লাগেনি। যে আলো ২০১৫ সালে সৌম্য ছড়িয়েছিলেন তাঁর ছিটেফোঁটাও আর কখনো দেখা যায়নি তাঁর ব্যাটে।
তবুও বাংলাদেশ দল, টিম ম্যানেজম্যান্ট বারবার ভরসা রাখতে চেয়েছে এই ব্যাটের ওপর। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে তাঁর মত ব্যাটারের কাছ থেকে প্রত্যাশাটা ছিল অনেক। তবে সৌম্য সরকার বিনিময়ে হতাশাই দিয়েছেন বেশি।
ওয়ানডে ফরম্যাটে সৌম্য নিজের শেষ অর্ধশতকের দেখা পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে। প্রায় সাড়ে চার বছর আগে। তবুও সময়ে-অসময়ে এই ব্যাটারের ওপর ভরসা রাখতে চেয়েছে বাংলাদেশ দল। এর মাঝেও নয়টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কখনোই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেও ফিরেছিলেন শূন্য করেই। এরপর তাঁর একাদশে থাকা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে হেড কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহেকেও।
বাংলাদেশ দল আরো একবার সৌম্যের ওপর বিশ্বাস রাখলো। দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশেও জায়গা করে নিলেন তিনি। ওপেন করতে নেমে এই ম্যাচে শুরু থেকেই বেশ আগ্রাসী সৌম্য। অন্যপ্রান্তে বাকিরা নিজেদের উইকেটের মূল্য দিতে পারেননি। আরেকপ্রান্তে সৌম্য ছিলেন অবিচল।
নিজেকে ফিরে পাবার যে মঞ্চটা তৈরি হয়েছে সেটার পুরো মূল্যই তিনি দিতে চাইলেন। সেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই আরেকবার নতুন করে চেনালেন নিজেকে। যে ক্যারিয়ারটা প্রায় হারিয়েই ফেলেছিলেন, সেই ক্যারিয়ারের যেন পুনর্জন্ম হলো সেই নিউজিল্যান্ডেই।
সৌম্য আরেকবার নিজেকে ফিরে পেলেন সেই ২০১৫ সালের মত করে। প্রত্যাবর্তনের এমন দিনটা রাঙিয়ে রাখতে তাঁকে ছুঁতে হতো তিন অংকের ম্যাজিক্যাল ফিগারটা। যেটা তিনি শেষবার করতে পেরেছিলেন ২০১৮ সালে। পাঁচ বছর আগে।
নিজের অস্তিত্ব নতুন করে জানান দেয়ার জন্য সৌম্য আরেকবার ঠিক সেটাই করলেন। সেঞ্চুরি করলেন, বাতাসে একটা উড়ন্ত ঘুষি মারলেন, এরপর হেলমেটটা খুলে একটা স্মিত হাসি। এই দিনটার অপেক্ষাতেই তো সৌম্য ছিলেন। এই সৌম্যের অপেক্ষাতেই তো বাংলাদেশ ছিল।
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৪৩ পিএম
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান । ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল রিজওয়ানের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রানে থামে তারা।
বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচটি নেমে আসে ৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। পুরোদমে ঝড়ো ইনিংস চলছিল দলটার। তবে ৩ ওভারের মাঝেই ২ ওপেনারকে ফেরান হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
এরপর কাজের কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ১৯ বলে খেলেন ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে সঙ্গ মার্কাস স্টোইনিস। ৭ বলে করেন ২১। ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডে ওঠে ৯৩ রান।
৪২ বলে ৯৪ রানের লক্ষ্যটা পাকিস্তানের জন্য হয়ে পড়ে কঠিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রিজওয়ানরা পড়েন আরো চাপে। পাকিস্তানের ইনিংসে হাসিবুল্লাহ খানের ১২, আব্বাস আফ্রিদির ২০ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ১১ ছাড়া বাকি সবার রান এক অঙ্কের ঘরে।
৭ ওভারেই ৯ উইকেট হারিয়ে দল থামে ৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি উইকেট নেন দুই পেসার জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ টি ও স্পেন্সার জনসন নেন ১ টি উইকেট।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
২৯ রানের এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া: ৯৪/৪ (৭); (গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৩(১৯), মার্কাস স্টয়নিস ২১(৭)
আব্বাস আফ্রিদি ২/৯, হারিস রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৬৪/৯ (৭); আব্বাস আফ্রিদি ২০*(১০), হাসিবউল্লাহ খান ১২(৮)
নাথান অ্যালিস ৩/৯, জাভিয়ের বার্টলেট ৩/১৩
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এবছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে এই ট্রফি ঘুরবে একাধিক দেশ। যেখানে থাকবে বাংলাদেশও।
এর আগে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় একাধিক ট্রফি এসেছে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার বাংলাদেশে। এবারও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আসবে বাংলাদেশে।
১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসবে ঢাকায়। থাকার কথা তিন দিন। ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাংলাদেশে থেকে ঘুরবে ঢাকা আর কক্সবাজার। বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে টি-স্পোর্টসকে।
৮ বছর পর মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট, যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।