৩০ জুন ২০২৪, ৮:১২ এম
ব্যাটার হিসেবে রোহিত শর্মার বিশেষ একটা গুণ আছে, যেটা এই মুহূর্তে নেই খুব বেশি ক্রিকেটারের। আর তা হল, উইকেট, কন্ডিশন, বোলিং লাইনআপ নির্বিশেষে আগ্রাসী ব্যাটিং করা এবং সেটাও ঠিক নিজের ঢঙ্গেই। চলতি বিশ্বকাপে এরই মধ্যে খেলে ফেলেছেন এমন কিছু ইনিংস, যা কেবল তার পক্ষেই সম্ভব। নিজের দিনে এখনও বিশ্বের সেরা বোলিং আক্রমণকে ধসিয়ে দিতে সক্ষম ভারত অধিনায়ক। বিরাট কোহলি একেবারেই ফর্মে না থাকায় দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে রোহিতই হতে পারেন ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট। আসর জুড়ে অপরাজিত থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা, বিশেষ করে দুই পেসার আনরিখ নরকিয়া ও কাগিসো রাবাদা যে অদম্য ফর্মে আছেন, তাতে তাদের বিপক্ষে রোহিতের পারফরম্যান্সই তাই হয়ে উঠতে পারে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য।
ঘরের মাটিতে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলেছিল ভারত। এর পেছনে একটা বড় অবদান ছিল রোহিতের। খেলাটা ৫০ ওভারের হলেও তিনি ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাটিং করেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। তাতে প্রথম পাওয়ার প্লেতেই ভারত নিয়মিত পাচ্ছিল দারুণ একটা শুরু, যা পরের দিকের ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ করে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালেও একই গতিতে ব্যাটিং করেছিলেন রোহিত। তবে ফিফটির আগে তার আউট হওয়ার মধ্যে দিয়ে ভারতের পথ হারানোর শুরু হয়, যা শেষ হয় ম্যাচ হারের মধ্য দিয়ে।
এই বিশ্বকাপেও ঠিক একই ভূমিকায় আছেন রোহিত। ২০২২ বিশ্বকাপের পর বলেছিলেন, তার নিজের ও দলকে খেলার ধরনে বদল আনতে হবে এবং আগ্রাসী হতে হবে। কথা রেখেছেন রোহিত। ব্যাটারদের জন্য বেশ কঠিন এক আসরে তিনি আছেন আপন ছন্দে। সাত ইনিংসে তিন ফিফটিতে করেছে আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪৮ রান। তবে তিনি নিজেই বলেছেন, এই ফরম্যাটে ব্যক্তিগত অর্জনের কোনো মূল্য নেই, ইন্টেন্টটাই আসল। আর সেটার প্রমাণ মেলে স্ট্রাইক রেটের দিকে তাকালেই, যা কিনা ১৫৫.৯৭!
কোহলির সাথে রোহিতের ওপেনিং জুটি নিয়ে সবার অনেক আশা থাকলেও একজন পুরো আসরেই করতে পেরেছেন মাত্র ৭৫ রান। কোহলির বাজে ফর্মের কারণে রোহিতের দায়িত্বটাও আরও বেড়ে গেছে। তিনি দলকে ভালো একটা শুরু এনে দিতে ব্যর্থ হলেই যে চাপ বাড়বে অন্য ব্যাটারদের। ফলে প্রথম ছয় ওভারে প্রতিপক্ষের বোলারদের চাপে ফেলার কাজটা একাই সামলাচ্ছেন ‘হিটম্যান’।
গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি বটে, তবে ইনিংসের একদম শুরুতেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে যেভাবে ছক্কা মেরে বসেন, সেটা কিছুটা হলেও প্রতিপক্ষকে ভিন্নভাবে ভাবতে বাধ্যই করেছিল। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিউ ইয়র্কের ব্যাটিংয়ের জন্য দুর্গম এক উইকেটে রান তাড়ায় খেলেন ৩৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ম্যাচটা যারা দেখেছেন, তারাই জানেন, ওই উইকেটে ব্যাটিং করা বা স্রেফ টিকে থাকাটাই ছিল ভীষণ কঠিন কাজ। অসমান বাউন্সে চোটের ঝুঁকি ছিল প্রায় প্রতিটি বলেই। রোহিত মাঠও ছাড়েন শেষে মাথায় চোট পেয়েই, তবে তার আগে খেলেন স্বভাবসুলভ এক ইনিংস।
সুপার এইটে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষেও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে পারেননি রোহিত। তবে বড় মঞ্চের বড় খেলোয়াড় হিসেবে ঠিকই জ্বলে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। মাত্র ৪১ বলে করেন ৯২। মিচেল স্টার্কের রীতিমতো পাড়ার বোলার বানিয়ে এক ওভারেই তুলে নেন ২৯ রান। বাঁচা-মরার ম্যাচে অজিদের একদম প্রথম ওভার থেকেই সেদিন ছিটকে দেন রোহিত একাই।
এরপর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও একই ধারা বজায় রাখেন। ৩৯ বলে তার করা ৫৭ রান অন্য যেকোনো উইকেটে ৮০-১০০ রানের সমতুল্য। কারণ উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য মোটেও সহজ ছিল না। ইংলিশদের ১০৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া তাই প্রমাণ করে। ফাইনালে বার্বাডোজের উইকেট অবশ্য স্পোর্টিংই হওয়ার কথা। তবে এবার যে রোহিতের সামনে আসরের সেরা পেস বোলিং লাইনআপ যাদের, সেই দক্ষিণ আফ্রিকা।
গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচগুলোও হয়েছিল যথারীতি বোলিংবান্ধব উইকেটে। তবে সেটা কাজে লাগানোর জন্য বিশেষ স্কিলেরও প্রয়োজন। ইনিংসের শুরু ও শেষের দিকে সেই কাজটা ম্যাচের পর ম্যাচ করে গেছেন কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নরকিয়া, মার্কো ইয়ানসেন ও ওটানিল বার্টম্যানরা। শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার দলটির বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ বা নেপাল, কোনো দলের ব্যাটারাই সুবিধা করতে পারেননি। বলা ভালো, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রুপ পর্ব পার করতে পেসারদের ভূমিকাই ছিল বেশি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ১১৩ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে যায় চার রানে। কেশভ মহারাজ শেষ ওভারে জয়ের নায়ক হলেও পাওয়ার প্লে ও ডেথ ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন মূলত রাবাদা ও নরকিয়া। নেপালের বিপক্ষে মাত্র এক রানে জয়ের ম্যাচেও ব্যতিক্রম হয়নি। বলের সমান রান প্রয়োজন, এমন সমীকরণ থেকেও দলটি হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার গতিময় পেসারদের অবিশ্বাস্য ডেথ বোলিংয়ের কারণে। প্রতিটি রানের জন্য ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নেন তারা।
সুপার এইটে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে স্পোর্টিং উইকেতেও ধারা বজায় রাখেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। বিশেষ করে ইংলিশদের বিপক্ষে। সেদিন শেষ তিন ওভারে হাতে ছয় উইকেটে নিয়ে ২৫ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ইংল্যান্ড। প্রবল চাপের মুখে পুরো আসরের মত সেই ম্যাচেও ভীষণ হিসেবী স্পেল উপহার দেন নরকিয়া। তাকে যোগ্য দিয়ে রাবাদা অন্যপ্রান্তে রান আটকে দেওয়ার পাশাপাশি উইকেট নিয়ে চাপ বজায় রাখার কাজটা করেছেন।
আসরে নরকিয়া ৮ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি রেটটা অবিশ্বাস্য, ৫.৬৭! কম যাননা রাবাদাও। ৫.৮৮ ইকোনমি রেটে তার শিকার ১২ রান। তাদের বিপক্ষে রান করাটা যে কতোটা কঠিন, এই পরিসংখ্যানই তা বোঝাতে যথেষ্ট।
ইয়ানসেনের ভূমিকা কম নয়। ইনিংসের শুরুতে, মাঝে এবং শেষের দিকে নানাভাবেই তাকে ব্যবহার করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রেকথ্রু দেওয়ার পাশাপাশি কিপটে বোলিংয়ের কাজটাও ভালো সামলান তিনি। এই আক্রমণভাগের ‘দুর্বল’ নাম অনেকেই ধরেন বার্টম্যানকে। খরুচে হওয়ার কারণেই তাকে সেভাবে হিসাবে রাখা হয় না। তবে অন্য তিনজনের উপস্থিতির কারণে দলে তাকে রাখাই হয়েছে উইকেট-টেকিং বোলার হিসবে। একটু খরুচে হলেও গতিময় বার্টম্যানের কাছে তার দলের চাওয়া উইকেট এনে দেওয়া। আর সেই কাজটা তিনি করছেন ভালোই।
তাহলে কি দাঁড়ালো? একদিকে টানা দুই ফিফটি করা রোহিত, আর অন্যদিকে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পেস লাইনআপ। যে পক্ষই শুরুতে সাফল্য পাবে, জয়ের পাল্লা তাই সেই দলের দিকেই ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে কোনো পক্ষের জন্যই কাজটা মোটেও সহজ যে হবে না, তা অনুমেয়। রোহিত প্রথম বল থেকেই আক্রমণ শানাবেন, আর রাবাদা-নরকিয়ারা তার চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবেন গতি দিয়ে।
জয় হবে কার? উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আর কিছুটা সময়। তবে রোহিত বনাম রাবাদা-নরকিয়াদের লড়াই জমে গেলে উপভোগ্য একটা ফাইনালই দেখতে পাবেন দর্শকরা।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩:০২ এম
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:৫২ এম
প্রথম দিনের প্রথম দুই সেশনে ভারতকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ, তাতে এক পর্যায়ে আশা জেগেছিল দলটিকে ২০০ রানের মধ্যেই আটকে দেওয়ার। তবে শেষের দিকের ব্যাটারদের নৈপুণ্যে সেটা আর সম্ভব হয়নি। ভারত পেয়ে যায় বেশ ভালো একটা স্কোর। দ্বিতীয় দিন শেষে ব্যাকফুটে গিয়ে তাসকিন আহমেদের তাই আক্ষেপ, যদি ভারতকে আরও কমে গুটিয়ে দেওয়া যেত।
হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত স্পেলে চা বিরতির আগে ভারতের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৪৪। তবে সেই আগ্রাসন আর ধরে রাখতে পারেনি তাসকিন-হাসান-নাহিদরা। আটে নেমে সেঞ্চুরি করে বসেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। রবীন্দ্র জাদেজা নিয়ে গড়েন ১৯৯ রানের জুটি। যা ভারতকে এনে দেয় ৩৭৬ রানের স্কোর, যা এই উইকেটে বেশ শক্তিশালী রান বলেই প্রমাণিত হচ্ছে।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন অকপটে স্বীকার করে নেন প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে তাদের ব্যর্থতা। “হোম বা অ্যাওয়ে, ভারত কিন্তু সবসময় শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ঘরের মাঠে সবাই এডভান্টেজ নেয়। সামনে আমাদের হোম সিরিজ আছে, আমরাও হয়ত তখন এভাবে আধিপাত্য দেখাব ইনশাআল্লাহ। আমাদের (প্রথম ইনিংসে) আরও আগে ওদের অলআউট করা উচিৎ ছিল। আমরাও আপ টু দ্যা মার্ক বল করতে পারিনি, বিশেষ করে (প্রথম দিন) চা বিরতির পর। সাড়ে তিনশতে (৩৭৬) আটকে দিয়েছি, আড়াইশতে অলআউট করা উচিৎ ছিল। আমরা মেনে নিচ্ছি, সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো করতে পারিনি।”
ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে থেকেই বাংলাদেশ দলে আলোচনায় ছিল এসজি বলে খেলার বিষয়টি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, তারা এসজি বলে যে প্রস্তুতি নিয়েছেন সেটাই যথেষ্ট এবং তারা প্রস্তুত। তবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল ভারতের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। ৪০ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর টেনেটুনে করতে পারে মোটে ১৪৯ রান।
তাসকিন বলেছেন, এসজি বলে নিয়মিত খেলার বাড়তি একটা সুবিধা পেয়েছে ভারত। “পাকিস্তান সিরিজে কিন্তু আমরা ব্যাটিং-বোলিং সব জায়গাতেই ভালো করেই জিতেছি। আসলে টেস্ট ক্রিকেটটাই এমন, সেশন বাই সেশন ভালো করতে হয়। এখানে একটু চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন, আবার এসজি বলে খেলা। বলের কারণে এখানে ওরা একটু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। ছোট বেলা থেকে এসজি বলে খেলছে, এই বল নিয়ে তাই ওরা আমাদের চেয়ে ভালো জানে। আমরা প্রথমে সংগ্রাম করেছি, তাও ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম। ব্যাটাররাও সেটা মানে। নতুন বলে একটু ভালো খেললে এতগুলো উইকেট যেত না। মিডল অর্ডারের জন্য নতুন বল চ্যালেঞ্জিং এখানে।”
দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত করেছে ৩ উইকেটে ৮১ রান, আর লিড ৩০৮ রানের।
প্রথন দিন এক পর্যায়ে বেশ চাপে থাকা ভারত দিনের শেষেই বসেছিল চালকের আসনে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্বিতীয় দিন শেষেই বড় জয়ের সুবাস পাচ্ছে স্বাগতিকরা। এখনও তিন দিন বাকি থাকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সামনে রয়েছে লম্বা সময় ব্যাট করার সুযোগ। তবে জাদেজা মনে করেছেন, আরও ১২০ থেকে ১৫০ রান যোগ করতে পারলেই সেটা তাদের জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে।
প্রথম দিনে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভারতকে পথে ফেরান জাদেজা ও রবীচন্দ্রন অশ্বিন জুটি। রেকর্ড গড়ে তারা সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ১৯৯ রান। এতে ভর করে ভারত প্রথম ইনিংস পায় ৩৭৬ রানের স্কোর। জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৯ রানে। দ্বিতীয় দিন শেষে সাত উইকেট হাতে নিয়ে ৮১ করা ভারতের লিড এখন ৩০৮ রানের। প্রথম দুই দিনেই রাজত্ব করেছেন পেসাররা।
দিনের খেলা শেষে জাদেজা বলেছেন, টেস্টের বাকি অংশেও চিত্রটা একই থাকবে। “এখন আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসে বোর্ডে ভালো রান রাখতে হবে। প্রথমে আমাদের খুব ভালো ব্যাট করতে হবে, এখান থেকে আর ১২০ থেকে ১৫০ রান করতে হবে। সেটা হলেই আমরা ভালো অবস্থানে থাকব। এরপর বল করব এবং চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের আউট করার। (উইকেট) ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো, কিন্তু ফাস্ট বোলারদের জন্য উইকেটে এখনও অনেক কিছুই আছে। ব্যাটারদের জন্য কাজটা এতোটা সহজ নয়। ফাস্ট বোলাররা যদি তাদের সেরাটা উজাড় করে দেয়, তাহলে তারা উইকেটে থেকে কিছু আদায় করে নিতে পারে।”
জাদেজা এই টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন ২৯৪ উইকেট নিয়ে। প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন দুই উইকেট। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার দ্বিতীয় ইনিংসেই ৩০০ উইকেটে শিকার করার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। “আমি আজ যেভাবে বোলিং করেছি, আমি আমার বোলিং নিয়ে খুব খুশি। এই মাঠে ৩০০তম উইকেট নেওয়ার এটি একটি ভালো সুযোগ।”
সেই গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে একটা লম্বা সময় সাকিব আল হাসানকে যেতে হয়েছে চোখের সমস্যা নিয়ে। সেটার প্রভাবে নানা সময়েই তাকে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে নানা রকম পজিশনে দাঁড়িয়ে। হেড পজিশন ঠিক রাখতেই মূলত সাকিবকে নিতে হয়েছে নানা পদক্ষেপ। চলমান চেন্নাই টেস্টেও দেখা মিলেছে অভিনব এক ঘটনা। হেলমেটের ভেতর একটি স্ট্র্যাপ কামড়ে ব্যাটিং করেন সাকিব। স্বাভাবিকভাবেই তা জন্ম দিচ্ছে নানা প্রশ্নের।
সাকিবের চোখের সমস্যা অনেক আগেই সেরে গেছে বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। তবে হেড পজিশন নিয়ে সংগ্রাম যেন কোনোভাবেই শেষ হচ্ছে না। অনেকবারই দেখা গেছে, ব্যাটিংয়ের সময় সাকিবের মাথা থাকছে এক জায়গায়, বলের দিকে তাকাচ্ছেন আড়চোখে আর বল আবার পিচ করছে অন্যদিকে। এসবের প্রভাবে গত এক বছর ধরে ব্যাট হাতে সব ফরম্যাটেই সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে যেতে হচ্ছে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে।
চেন্নাই টেস্টে সেটা কাটানোর চেষ্টায় সাকিব ব্যাট করতে নামেন নতুন উপায় অবলম্বন করে। হেলমেটের ভেতর থাকা একটি স্ট্র্যাপ কামড়ে পুরো ইনিংস জুড়েই ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি৷ বিস্ময়কর এই ব্যাটিং টেকনিক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভালোই আলোচনা হচ্ছে। এটা নিছকই সাজিবের অভ্যাস নাকি চাপের পরিস্থিতিতে ফোকাসের ধরে রাখার প্রচেষ্টা, তা নিয়েও চলছে চর্চা।
ধারাভাষ্যকারদের মধ্যেও সাকিবের এই স্ট্র্যাপ কামড়ে ব্যাটিং নিয়ে মনে জেগেছে প্রশ্ন। এই সিরিজে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা তামিম ইকবালের কাছে এই ব্যাপারে তাই জানতে চেয়েছিলেন সাবেক ভারত উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দিনেশ কার্তিক। নিজের জায়গা থেকে তামিম ধারণা দিয়েছেন এই ব্যাপারে।
কার্তিকের মতে, তামিম তাকে বলেছেন এই স্ট্র্যাপটি সাকিবের হেড পজিশন ঠিক রাখতে সাহায্য করছে। এটা সাকিবকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে, তার হেড পজিশন ও শটের সময় তার মাথা লেগ সাইডের দিকে না চলে যায়। স্ট্র্যাপটির টান, যা তার হেলমেটে বাঁধা, সাকিবকে একটা ধারণা দেয় যে মাথা খুব বেশি কাত হতে যাচ্ছে। আর এটা তাকে ক্রিজে আরও ভালো ভারসাম্য এবং নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সাকিবের অভিনব এই কৌশল বেশ কিছুটা কাজে লেগেছিল তার ব্যাটিংয়েও। ৩৬ রানে চার উইকেট হারানোর পর নেমে চাপের মুখে কয়েকটি ভালো শটে খেলেন ৩২ রানের ইনিংস, যা ১৪৯ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে