হারবার্ট আইরনমঙ্গারের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ৪৫ বছর বয়সে গিয়ে। তাঁর চেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার দুনিয়াতে মাত্র তিন জন। হঠাতই অজি এই ভদ্রলোককে অবশ্য মনে করা কোনো কারণ ছিল না।
তবে ২০২৪ সালে এসে সঙ্গত কারণেই অস্ট্রেলিয়ার এই স্পিনারকে স্মরণ করতে হচ্ছে। ঠিক ৯২ বছর আগে প্রায় একাই এক বিরল রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক টেস্টে ম্যাচে হারবার্ট নিয়েছিলেন ১১ খানা উইকেট। দুই ইনিংসে প্রোটিয়ারা যথাক্রমে করেছিল মোটে ৩৬ ও ৪৫ রান। সেই টেস্টে হারবার্ট এতটাই ভয়ানক ছিলেন যে সবচেয়ে কম সময়ে টেস্ট ম্যাচ হারের লজ্জা পেতে হয়েছিল প্রোটিয়াদের।
আরও পড়ুন: টস হেরে ফিল্ডিংয়ে ভারত
ম্যাচটা শেষ হয়েছিল মাত্র ১০৯.২ ওভারে। ইনিংস ব্যবধান ও ৭২ রানের জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৯২ বছর বাদে সেই রেকর্ডটা অবশেষে ভাঙল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সেই লজ্জা এড়িয়ে যেতে পারেনি। বরং আবারো সেই পরাজিত দলের জায়গায় তাঁদের নামটাই লেখা হয়েছে। শুধু প্রতিপক্ষের নাম পাল্টে এবার হয়েছে ভারত। এবারের হারটা আবার দেখতে হলো নিজেদের ঘরের মাঠেই।
ভারতের বিপক্ষে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ হেরেছে মাত্র ১০৭ ওভারে। ভারতের জয়ের নায়ক অবশ্য দুই জন। মোহাম্মদ সিরাজ ও জাসপ্রিত বুমরাহ। প্রথম ইনিংসে সিরাজ নিয়েছেন ৬ উইকেট, আর দ্বিতীয় ইনিংসেও সমান ৬ উইকেট বুমরাহ’র।
ফলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তৈরি হয়েছে নয়া রেকর্ড। সবচেয়ে কম ওভারে শেষ হয়েছে একটা টেস্ট ম্যাচ। সেশনের হিসেবে পাঁচ, ওভারের হিসেবে ১০৭ আর বলের হিসেবে মাত্র ৬৪২ টা বল। তাতেই শেষ গোটা একটা টেস্ট ম্যাচ।
চার ইনিংসে দুই দল মিলে করেছে মাত্র ৪৬৪ রান। উইকেট পড়েছে ৩৩ টা। চতুর্থ ইনিংসে ৭৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত। কেপ টাউনে নিজেদের প্রথম টেস্ট জয় দিয়েই সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে রোহিত শর্মারা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ক্রিকেটের ‘সেরা পনেরো’তে রোহিত শর্মা
কেপ টাউন টেস্টের প্রথম দিন সকালটাই নিজেদের করে নিয়েছিল ভারত। বিশেষ করে মোহাম্মদ সিরাজের বোলিংয়ে মাত্র ৫৫ রানেই অল আউট দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে কাজটা করে দিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। এবার প্রোটিয়াদের স্কোর বেড়ে হয়েছে ১৭৬।
তবে তাতে জয় কেড়ে নেয়া যায়নি ভারতের কাছ থেকে। বরং চতুর্থ ইনিংসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংটাই বেঁছে নিয়েছে ভারত। ৭৯ রানের টার্গেট দলটা পেরিয়েছে মাত্র ১২ ওভারে। ব্যস, তাতেই ৯২ বছর আগে যে লজ্জা প্রোটিয়ারা পেয়েছিল, সেটা আরেকবার ফিরিয়ে দেয়া গেল।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সর্বশেষ খেলার আপডেট জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসে এছাড়া ফেসবুকে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন ও ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।