নাঈম হাসান যদি প্রশ্ন করেন, কেন তিনি নিয়মিত বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলতে পারেন না? সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়া প্রায় অসম্ভবই। তবে নাঈমের ব্যাথাটা হয়তো খানিকটা বুঝতে পারেন রঙ্গনা হেরাথ। দুজনের মধ্যে আছে এক করুণ মিল।
বাংলাদেশের হয়ে নাঈম সবশেষ যে টেস্ট ম্যাচটা খেলেছেন সেখানেও তিনি নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। শুধু কী তাই? নিজের টেস্ট অভিষেকেও এই স্পিনার নিয়েছেন ৫ উইকেট।
আরও পড়ুনঃ প্রথম ১৫ তে রোনালদোর চেয়েও বেলিংহাম এগিয়ে
সবমিলিয়ে খেলা ৮ টেস্টে নাঈম হাসানের উইকেট ৩১ টা। বোলিং গড় মোটে ২৭.০৯। অথচ সেই নাঈম হাসানই সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ১৮ মাস আগে! দুর্ভাগা শব্দটা বুঝি নাঈমের সাথেই সবচেয়ে ভালো মানায়!
তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলে জায়গা হয়েছে এই স্পিনারের। হবে নাই বা কেন? এবারের এনসিএলে সিলেটে খেলা তিন ম্যাচে নাঈম নিয়েছেন ২০ উইকেট।
অবিশ্বাস্য এই কীর্তির পর সিলেট টেস্টে নাঈমকে না ডাকার কোন উপায়ও ছিল না। সব ঠিক থাকলে হয়তো সিলেট টেস্টের একাদশেও থাকতে পারেন এই স্পিনার।
আরও পড়ুনঃ রদ্রিগোর জোড়ায় টেবিলের মাথায় রিয়াল মাদ্রিদ
সে যাইহোক, নাঈমের সাথে হেরাথের সম্পর্কে ফেরা যাক। হেরাথও নিজের ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলতে পারেননি মুত্তিয়া মুরলিধরনদের ভিড়ে। নাঈমের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। সাকিব, তাইজুল, মিরাজদের ভিড়ে পারফর্মার নাঈম হাসানও সুযোগ পাননা নিয়মিত বাংলাদেশের হয়ে খেলার।
তবে যখন নাঈমকে বাংলাদেশের প্রয়োজন হয়, নাঈম উজাড় করে দেন নিজের সেরাটা। যখনই একটু সুযোগ পাচ্ছেন নিজের একটা দাগ রেখে যাচ্ছেন। সিলেট টেস্টে নাঈম যদি সুযোগ পান,আরেকবার বিপদের বন্ধু হয়ে দাঁড়াবেন হয়তো!
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।