২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:৪৮ পিএম
দিনের শুরুটা দেখেই নাকি বলে যায় দিনের বাকিটা কেমন যাবে! তবে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম দশ ওভার দেখে কেউ যদি এমন ভবিষ্যতবাণী করে থাকেন, তাহলে ইনিংস শেষে চোখ কপালে তোলার দশাই হবে আপনার। মাত্র ৩৫ রানের হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে যখন একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হলেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিক। রেকর্ড গড়া এক জুটিতে খাদের কিনারা থেকে দলকে শুধু উদ্ধারই করলেন না তারা, বোলারদের এনে দিলেন লড়াকু একটা স্কোরও।
দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদশ পেয়েছে ২২৮ রানের পুঁজি। জাকের ফিফটি করে আউট হয়ে গেলেও ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে তাওহীদ দেখা পেয়েছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের।
আরও পড়ুন
জুটির রেকর্ডে সবার ওপরে তাওহীদ-জাকের |
![]() |
দুবাইয়ে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, সব ফরম্যাটেই পরে ব্যাটিং করা দলের জয়ের পাল্লাই বেশি ভারি। তবে কিছুটা চমকের জন্ম দিয়েই টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চোটের কারণে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ না থাকায় দলে জায়গা হয় তরুণ ব্যাটার জাকের আলি অনিকের, যিনি সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন দুহাতে।
বাংলাদেশের ইনিংসকে দুই ভাগে ভাগ করাটাই শ্রেয়। কারণ, প্রথম দশ ওভারের ব্যাটিং দেখলে মনে হতেই পারে, এই উইকেটে ব্যাটিং করা বুঝি ভীষণ কঠিন কাজ। প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক শান্ত।
একপ্রান্তে তানজিদ হাসান তামিম চমৎকার কিছু শটে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ২৫ বলে ৪ চারে করেন ২৫ রান। তবে মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি হাসানের ব্যর্থতায় স্রেফ ৩৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেওয়া আকসার প্যাটেলের হ্যাটট্রিকও প্রায় হয়েই যাচ্ছিক। তবে জাকেরের দেওয়া সহজ ক্যাচ স্লিপে নিতে ব্যর্থ হন রোহিত। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে মাত্র ৩৯ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে প্রথম দশ ওভারে সবচেয়ে বেশি উইকেট হারানোর তালিকায় এটি এখন যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে। এই তালিকায় যৌথভাবে প্রথম অবস্থানও বাংলাদেশেরই।
এই জুটির শুরুর দিকে এরপর জীবন পান তাওহীদও। কুলদীপের বলে মিড অফে ক্যাচ ফেলে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। কয়েক ওভার বাদে তার বলেই স্ট্যাম্পিং হতে হতে গিয়েও বেঁচে যান জাকের।
আরও পড়ুন
আক্সারের হ্যাটট্রিক মিস, জাকেরের ক্যাচ ফেলে রোহিতের মাতম |
![]() |
এরপরই শুরু হয় তাদের লড়াই। আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই ব্যাটার। তাদের হাত ধরে একে একে আসে দলীয় ৫০ থেকে শুরু করে ১৫০ রানও। দুজনই তুলে নেন ফিফটি।
যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে দুজনের সেঞ্চুরিই মনে হচ্ছিল অনিবার্য। তবে সেটা আর হয়নি। ৪৩তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে লং-অনে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় জাকেরের ৬৮ রানের ইনিংস।
তবে এর আগেই তার ও তাওহীদের জুটি গড়েছে কয়েকটি রেকর্ড। তাদের দুজনের ১৫৪ রান এখন ষষ্ঠ উইকেটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ। আগেরটি ছিল এতদিন দক্ষিণ আফ্রিকার জাস্টিন কেম্প ও মার্ক বাউচার। ২০০৬ আসরে ভারতের বিপক্ষে তারা করেছিলেন ১৩১ রান।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিও এখন তাওহীদ-জাকেরের। মজার ব্যাপার হল, ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের আগের জুটিতেও ছিল জাকেরের নাম। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি ও মাহমুদউল্লাহ মিলে যোগ করেছিলেন ১৫০ রান।
জাকেরের বিদায়ের পর ছোট তবে কার্যকর ক্যামিও উপহার দেন রিশাদ হোসেন। বাঁহাতি স্পিনার কুলদীপকে হাঁকান টানা দুই ছক্কা। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
এরপর ঝড় তুলতে পারেননি তাওহীদ, কারণ হ্যামস্ট্রিংয়ে আঘাতের কারণে বারবার মাঠেই লুটিয়ে পড়েছেন তিনি। দৌড়ে সেভাবে রানও করতে পারেননি। তবে লড়িয়ে মানসিকতার পরিচয় দিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন, পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখাও।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিব্রতকর রেকর্ডে আবারও বাংলাদেশের নাম |
![]() |
শেষ ব্যাটার হিসেবে তাওহীদ আউট হয়েছেন ঠিক ১০০ রানেই। ১১৮ বলের ইনিংস সাজান ৬টি চার ও ২ ছক্কায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে নবম ব্যাটার হিসেবে তাওহীদ টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ম্যাচেই করেছেন সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে তার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরি ছিল কেবল সাবেক ওপেনার তামিম ইকবালের।
৫৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার শামি।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:৫৪ পিএম
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:৪০ পিএম
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:২৪ পিএম
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:৩৫ পিএম
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:৫৮ পিএম
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই দলের সাক্ষাতে দারুণ এক জয় ছিল। সেই অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত আফগানিস্তান শুরু থেকেই দেখাল লড়িয়ে মানসিকতা। ওয়ানডেতে বেশ কিছুটা সময় ধরেই দলটির অন্যতম সেরা পারফর্মার ইব্রাহিম জাদরান একপ্রান্ত শুধু আগলেই রাখলেন না, শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে উপহার দিলেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসও। সাথে অন্য ব্যাটাররাও যোগ দিলেন কার্যকরী কিছু ক্যামিও ইনিংসে। ইংল্যান্ড বোলারদের কঠিন এক দিনে আফগানরা দাঁড় করাল বিশাল এক স্কোরই।
লাহোরে ‘বি’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইব্রাহিমের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তান ৫০ ওভারে করেছে ৭ উইকেটে ৩২৫ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোরের দেখা পেয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন
পন্টিংয়ের চোখে কোহলিই ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ব্যাটার |
![]() |
যে দল হারবে, তারাই আসর থেকে বাদ - এই সমীকরণ নিয়ে দুই দল মাঠে নেমেছে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৫১ রান করা ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আফগানিস্তানের দরকার ছিল ভালো ব্যাটিং প্রদর্শনীর। যদিও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকুল্লাহ অটল আউট হয়ে গিয়েছিলেন মাত্র ১৫ রানের মধ্যেই।
দারুণ এক স্পেল করা জোফরা আর্চার এরপর আঘাত হানেন আরও একবার। এক ডিজিটে তার শিকার হন রহমত শাহও। তবে আফগানিস্তানের ওয়ানডে দলের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটার হাশমতউল্লাহ শহিদিকে নিয়ে লড়াইয়ের সূচনা সেখান থেকেই করেন ইব্রাহিম।
দুজন মিলে গড়েন ১০৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি, যা চাপ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি দলকে যোগায় বড় স্কোর গড়ার স্বপ্নও। আদিল রশিদকে সুইপ করতে গিয়ে শহিদি ৪০ রানে বোল্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে ভাঙে এই জুটি। ফিফটি পেরিয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া ইব্রাহিম এরপর আরেকটি ভালো জুটির সঙ্গী হন আজমতউল্লাহ ওমারজাইর সাথে। দুজনে যোগ করেন ৭২ রান।
ফিফটি মিস করলেও ৩ ছক্কা ও এক চারে প্রায় ১৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৪১ রান করে আউট হন ওমারজাই। খানিক বাদে আফগানিস্তানের প্রথম ব্যাটার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরির গৌরব অর্জন করেন ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন
‘বড় মঞ্চে সাকিবের মত পারফর্ম করতে ব্যর্থ মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ’ |
![]() |
তার পাশাপাশি শেষের দিকে ঝড় তোলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবিও। মাত্র ২৩ বলে ৪০ রান করে তিনি শেষ ওভারে আউট হন। লিয়াম লিভিংস্টোনের করা ওই ওভারে ফিরতে হয় ইব্রাহিমকেও। তবে তার আগে খেলেন ১৭৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১৪৬ বলের ইনিংস সাজান ১২ চার ও ৬ ছক্কায়।
৬৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার আর্চারই।
খেলোয়াডি জীবনে কাছ থেকে দেখেছেন শচিন টেন্ডুলকারের সেরা সময়। ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ব্যাটার কে, এই তর্কে অনেকেই সেই রিকি পন্টিংয়ের তুলনা টানেন ভারত কিংবদন্তির সাথে। তবে এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলিতে বাড়তি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। সেটা এতোটাই যে, তাকেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটের ইতিহাস সেরাও বলেছেন পন্টিং।
গত রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ায় ‘চেজ মাস্টার’ খ্যাত কোহলি খেলেন অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস। সেই পথচলায় ডানহাতি এই ব্যাটার ওয়ানডে ক্রিকেটে মাত্র তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ১৪ হাজার রান করেন। পেছনে ফেলেছেন পন্টিংকে, আর সামনে থাকা কুমার সাঙ্গাকারা থেকে আছেন আর মাত্র ১৪৯ রান পেছনে। সবার ওপরে থাকা শচিন অবশ্য আছেন বেশ দূরেই। সাবেক ভারত তারকার কোহলির চেয়ে এগিয়ে ৪ হাজার ৩৪১ রানে।
আরও পড়ুন
১৪ হাজারি ক্লাবে শচিন-সাঙ্গাকারাকে পেছনে ফেললেন কোহলি |
![]() |
শচিনের চেয়ে রান বা সেঞ্চুরিতে পিছিয়ে থাকলেও আইসিসি রিভিউ পডকাস্টে পন্টিং সেরা মানলেন কোহলিকেই। “তাকে (বিরাট কোহলি) অভিনন্দন। আমরা দেখতে পাচ্ছি একটা লম্বা সময় ধরে সে একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। বিশেষ করে সম্ভবত সাদা বলের ফরম্যাটে, যেখানে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তিনি একজন অবিশ্বাস্য ভালো খেলোয়াড়। আমার তো মনে হয় না আমি বিরাট কোহলির চেয়ে ভাল ওয়ানডে খেলোয়াড় দেখেছি।”
পন্টিং যা বলেছেন, সেটার পক্ষে বড় যুক্তি হতে পারে ১৪ হাজারি ক্লাবে কোহলির পা রাখার গতি। শচিনের লেগেছিল ৩৫০ ইনিংস, শ্রীলঙ্কা গ্রেট সাঙ্গাকারার ৩৭৮ ইনিংস। সেখানে কোহলির মাত্র ২৮৭ ইনিংসেই সেই মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেছেন। যে ফিটনেস ধরে রেখেছেন, তাতে অনায়সেই খেলতে পারবেন ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
এই কারণেই পন্টিংয়ের মনে হচ্ছে, ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়া সম্ভব কোহলির পক্ষে। “বিরাটের মতো একজনকে আপনি কখনই হিসাবের বাইরে রাখতে পারবেন না। কারণ, আমি নিশ্চিত যে তিনি এই রেকর্ডটির (ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান) জন্য অনুপ্রাণিত হবেন। এখন তিনি আমার পেছনে ফেলেছেন এবং তার চেয়ে দুজন এগিয়ে আছে। আমি নিশ্চিত, নিজেকে সর্বকালের শীর্ষস্থানীয় রান স্কোরার হিসেবে ইতিহাস রচনার জন্য সে সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করবে।”
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের জয় চান ভারতের অতুল ওয়াসান |
![]() |
নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছেন, ৩০০-৩১০ রান করলে জিততে পারত বাংলাদেশ। আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে ধরেছেন বিদেশের মাটিতে ভালো ক্রিকেট না খেলতে পারার বিষয়টি। দুজনের দুই রকমের মন্তব্যে আপনার মনে একটা প্রশ্ন জাগতেই পারে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কি স্রেফ খেলার জন্যই খেলছে বাংলাদেশ নাকি খেলোয়াড়দের সামর্থ্য ছিল বড় কিছু করার?
প্রশ্নটা করা এই কারণেই, একই টুর্নামেন্টে যেখানে দলগুলো করছে ৩০০, এমনকি ৩৫০ প্লাস স্কোরও, সেখানে দুই ম্যাচেই যে ব্যাট হাতে খাবি খেল বাংলাদেশ। দুবাইয়ের উইকেটে বড় রান করাটা চ্যালেঞ্জই, তবে সেই ম্যাচে ভারতের সাথে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে সেখানেই ম্যাচটা হেরে বসে দলটি। অথছ, ওই সময়ে না হয়েছে এমন কোনো দুর্দান্ত বোলিং, না উইকেটে ছিল কোনো জুজু। ব্যাটারদের দায়িত্বহীন শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার প্রবণতায় শুরুতেই মেরুদণ্ড ভেঙে যায় দলের।
আরও পড়ুন
ভেসে গেল অস্ট্রেলিয়া-দ.আফ্রিকা লড়াই, চাপ বাড়ল ইংল্যান্ডের |
![]() |
একটা টুর্নামেন্টের শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে অমন ভয়াবহ এক ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ পায় ভুলে যাওয়ার এক অভিজ্ঞতা। এরপর টেনেটুনে ২২৮ করলেও ম্যাচে সেভাবে লড়াই আর জমাতেই পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের মাঝে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছে ভারত, ক্যাচও পড়েছে একটা বটে, তবে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে যাবে এমনটাও মনে হয়নি প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার গভীরতার কারণেই।
আর এখানেই চলে আসে সামর্থ্যের প্রশ্ন। ভারত এই টুর্নামেন্ট খেলছে দলের তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে ছাড়া। অথচ ঠিকই তারা হেসেখেলে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই তাদের ব্যাটাররা জানান দিয়েছেন নিজেদের সামর্থ্যের। আর সেটা স্পষ্ট হয়েছে শুবমান গিল ও বিরাট কোহলির দুই সেঞ্চুরিতে।
ভারত ম্যাচে দ্রুত ৫ উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশ ২২৮ পর্যন্ত যেতে পেরেছিল তাওহীদ হৃদয়ের লড়াকু সেঞ্চুরির কারণেই। তবে নব্বইয়ের ঘরে যেতে ক্র্যাম্পের কারণে দাঁড়াতেই যেন পারছিলেন না এই তরুণ ব্যাটার। ফলে ২৫০ রানের ভিত থাকলেও তিনি শেষের দিকে সেভাবে রানই বের করতে পারেননি। অর্জন বলতে ওই তার শতকই।
একই ম্যাচে গিল ওপেন করতে নামেন ৫০ ওভার ফিল্ডিংয়ের ক্লান্তি নিয়ে। আর মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে, অপরাজিত সেঞ্চুরিতে। একবারও ক্যাম্প হয়নি তার। ম্যাচ শেষেও তার প্রাণশক্তি বলে দিচ্ছিল, চাইলেই অনায়াসে আরও ৫০ ওভার ব্যাট করা সম্ভব তার পক্ষে। তাওহীদ বা বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারদের সাথে সামর্থ্যের ফারাকটা এখানেই হয়ে যায় শীর্ষ ব্যাটারদের।
আরও পড়ুন
‘বড় মঞ্চে সাকিবের মত পারফর্ম করতে ব্যর্থ মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ’ |
![]() |
অন্য উদাহারণটি হতে পারেন কোহলি। দুবাইয়ের গরমের মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ায় তিনিও উপহার দেন ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি। চেজ মাস্টার খ্যাত এই ব্যাটার শতক করেছেন নব্বইয়ের বেশি স্ট্রাইক রেটে। চার মারেন মাত্র ৭টি। অর্থাৎ, বাউন্ডারি থেকে মাত্র ২৮ রান করেও তিনি দারুণ একটা স্ট্রাইক রেট বজায় রেখেছেন। দৌড়ে রানই নিয়েছেন ৭২টি।
এর একদিন বাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে শান্ত ৭৭ রান করতে বল খেলেছেন ১১০টি। তিনি কোহলির চেয়ে চার মেরেছেন দুটি বেশি। তবে ডট বলের সংখ্যাও তার বেশি, ৬২টি। আর এখানেই চলে আসে বাংলাদেশ ব্যাটারদের সামর্থ্যের বিষয়টি। একজন ব্যাটার প্রায় ১০ ওভার যদি একটা রানও না বের করতে পারেন, সেই দলের ইনিংস কার্যত নেমে আসে ৪০ ওভারে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একটা দলের জন্য ৩০০ পার করা স্কোর গড়ার কাজটা ভীষণ কঠিন হয়ে যায়।
তাওহীদের ওই একশ করার আগেই ফিটনেসের কমতি ফুটে ওঠা বা শান্তর ডট বলের হিড়িক যেন বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিটের দীনতাই ফুটিয়ে তোলে। অবশ্য দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করা দুজনকে উদাহারণ হিসেবে টেনে আনাটা কিছুটা দৃষ্টিকটু লাগতেই পারে। মন্দের ভালো তো ছিলেন তারাই।
তবে অন্যদের দিকে তাকালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ কেন আর কোন লক্ষ্যে খেলছে, তা নিয়েই যে প্রশ্ন জাগতে বাধ্য। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে রিকি পণ্টিং যখন বলেছিলেন, বাংলাদেশের কোনো সম্ভাবনাই দেখছেন না তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক সাধারণত ক্রিকেট নিয়ে ভুল ভবিষ্যৎবাণী কমই করেন।
দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা প্রমাণ দিয়েছেন, ভুল ছিলেন না পন্টিং। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন তিন অভিজ্ঞ সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। এদের মধ্যে দুজনই আবার মারেন ডাক। তিনজনের আউটের ডেলিভারি ছিল না খুব বিশেষ কিছু।
তবে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ যেন ছাড়িয়ে গেছে সেই ব্যর্থতার গল্পও। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বিশের ঘরে ভালো শুরু পেয়েও আউট হয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। দুটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞ একজন ব্যাটারের কাছ থেকে বড় ইনিংস তো দল আশা করতেই পারে। অবশ্য অভিজ্ঞতার বিচারে দলের সবচেয়ে প্রবীণ দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহই তো করেছেন সবচেয়ে বেশি হতাশ।
ভারত ম্যাচ মিস করা মাহমুদউল্লাহ ১০৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর নেমে যেভাবে মিচেল ব্রেসওয়েলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন, তা অবাক করেছে ধারাভাষ্যকারদের। এর আগে একই ভুল করেছেন মুশফিকুরও। অথচ ওই সময়ে তাদের দরকার ছিল দেখেশুনে খেলে ইনিংস মেরামতের। এই টুর্নামেন্টেই ৩৫১ রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার তুলনামূলক দুই অনভিজ্ঞ ব্যাটার জস ইংলিশ ও অ্যালেক্স কেরি যেভাবে জুটি গড়েছেন খুব বেশি আগ্রাসন না দেখিয়েই, তা বাংলাদেশের ২০ বছরের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের জন্য হতে পারে এক শিক্ষা। ডট বলের চাপ এলেও তারা সিঙ্গেলস বের করে সেটা সরিয়েছেন। কয়েকটা বল ডট গেলেই মুশফিকুর বা মাহমুদউল্লাহরা বারবার চাপের মুখে স্রেফ বড় শটেই নিস্তার চান, তা উদ্বেগজনকই।
আরও পড়ুন
রান আউট-ক্যাচ মিসের আক্ষেপে বিদায় বাংলাদেশের |
![]() |
যেহেতু তারা দুজনই আছেন ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়, সেদিক থেকে বাংলাদেশের বড় চিন্তার কারণ হতে পারেন মিরাজ। মূলত বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেললেও এই দলে তিনি এখন নিয়মিত ব্যাট করছেন ওপরের দিকেই। মজার ব্যাপার হল, ওয়ানডেতে তার সেরা সব পারফরম্যান্স এসেছে ব্যাট হাতেই। অবশ্যই সাকিব আল হাসান যুগে এটা বাংলাদেশের জন্য দারুণ খবর। তবে মিরাজের মূল কাজ তো বল হাতে, কারণ দলের চতুর্থ বা পঞ্চম বোলার যে তিনিই।
সেই মিরাজ ১০৫টি ওয়ানডেতে নিয়েছেন মাত্র ১১০ উইকেট। গড়ে প্রতি উইকেট নিতে গুনেছেন ৪৫ রানের বেশি। দলের একজন মূল বোলার যখন দিনের পর দিন গড়পড়তা পারফরম্যান্স উপহার দিবেন, তখন সেটা দলকে বাড়তি চাপে ফেলবেই। হচ্ছেও তাই। মিরাজের করা ১০টি ওভার ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষকে সেভাবে চাপে ফেলতেই পারছে না মাঝের ওভারে। ফলে নিউজিল্যান্ড ম্যাচের মত পেসাররা শুরুটা দারুণ কিছু করলেও মিরাজের স্পেলে প্রতিপক্ষ পাচ্ছে সহজ রান বের করার সুযোগ। তাতে চাপও যাচ্ছে আলগা হয়ে।
সব মিলিয়ে তাই এক ম্যাচ হাতে রেখেই আসর থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ দল ব্যর্থ হল বিরেন্দর শেবাগকে একটা জবাব দিতে। সাবেক ভারত ওপেনার প্রথম ম্যাচের পর বলেছিলেন, দলটা বাংলাদেশ বলেই তাদের কাছে হারার চিন্তাও নাকি হয়নি তার। ওয়াসিম জাফর বা শেন বন্ডের মত সাবেকরা এমন তির্যক মন্তব্য না করলেও বলেছেন, বড় মঞ্চে বাংলাদেশের এমন বাজে প্রদর্শনী অবাক করেছে তাদের।
এই অবাক বিস্ময়ে আছেন বাংলাদেশের সমর্থকরাও, যারা ভারত ম্যাচের আগের দিন রাতে শান্ত-তাসকিন-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের দেখলেন সাবেক ওপেনার তামিম ইকবালের সাথে ডিনার করতে। যেখানে তৈলাক্ত খাবারের সাথে ছিল আবার কোমল পানীয়ও। টুর্নামেন্টে নিজেদের সবচেয়ে বড় ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের নিবেদনের এই চিত্র বলে দেয়, নিজেদের সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা যেন তারা মেনে নেন মাঠে নামার আগেই।
ক্রিকেট পাগল একটা দেশের সমর্থকদের জন্য এই নির্মম সত্য মেনে নেওয়াটা কঠিনই বটে। কারণ, তারা যে প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশকে সেরাদের সেরা হওয়ার। তবে খেলোয়াড়দের সামর্থ্যের কমতি থাকা বা লড়াইয়ের আগে হালকা মেজাজে থাকাটা বলে দেয়, সময় এসেছে ‘রিয়েলিটি চেক’ দেওয়ার। শান্তরা সেটা পাবেন কি?
সম্ভাবনাটা ছিল দিনের শুরু থেকেই। টানা বৃষ্টি যেভাবে হচ্ছিল রাওয়ালপিন্ডিতে, তাতে মাঠে বল গড়ানোর আশা ছিল না বললেই। শেষ পর্যন্ত জয় হল বৃষ্টিরই। পরিত্যাক্ত হয়ে গেছে ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা বড় ম্যাচ। এই দুই দলের এতে খুব একটা ক্ষতি না হলেও এই ফলাফল চাপে ফেলে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে।
এই ম্যাচের কাট-আউট টাইম ছিল রাত ৭:৩২ পর্যন্ত। তবে বিশ ওভারের ম্যাচ খেলার জন্য সেই সময়ের মধ্যে মাঠ আর প্রস্তুত করা সম্ভব হবে না, এটা নিশ্চিত হতেই ম্যাচ পরিত্যাক্ত হওয়ার ঘোষণা আসে।
আরও পড়ুন
স্রেফ সামর্থ্যের অভাবেই পিছিয়ে শান্ত-মুশফিক-মিরাজরা? |
![]() |
দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট সমান ৩। তবে শ্রেয়তর রান-রেটে এগিয়ে প্রথমে আছে প্রোটিয়াসরা। ২.১৪০ নেট রান-রেট তাদের। আর অজিদের ০.৪৭৫। এক ম্যাচে এক হারে ইংল্যান্ডের নেট রান-রেট বেশ খারাপ, -০.৪৭৫। আর চারে থাকা আফগানিস্তানও এক ম্যাচ খেলে হেরেছে সেটিতে, তাদের নেট রান-রেট -২.১৪০।
ফলে এই গ্রুপে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাজটা কিছুটা কঠিনই হয়ে গেল। আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখন জয়ের বিকল্প নেই তাদের সামনে। এক ম্যাচ জিতে অন্যটিতে হারলেই বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে ২০১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের।
ভালো নেট রান-রেটের কারণে জমে ওঠা এই গ্রুপে এখন ভালো অবস্থানে চলে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও তাদের সামনে সুযোগ থাকবে সেমিফাইনালে যাওয়ার। সেক্ষেত্রে তাদের পেছনে ফেলতে হলে আফগানিস্থানের বিপক্ষে ভালো ব্যবধান রেখে জিততে হবে তাদের।
উল্লেখ্য, নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩৫১ রান তাড়া করে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল অস্ত্রেলিয়া। আর আফগানিস্তানকে ১০৭ রানে উড়িয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন
চেন্নাইয়ের কোচ হলেন সাকিব-মুস্তাফিজদের সাবেক পরামর্শক |
![]() |
‘এ’ গ্রুপ থেকে এরই মধ্যে সেমির টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশের অনেক ম্যাচ জয়ের নায়ক তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে ঘিরে তাই ছিল বাড়তি প্রত্যাশা। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের আসর থেকে বিদায়ের ম্যাচে দুজনই আউট হয়েছেন বাজে শটে। সাবেক ভারত ওপেনার ওয়াসিম জাফর এক্ষেত্রে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাকিব আল হাসানের তুলনা টেনে। তার মতে, মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা বড় মঞ্চে চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
জাফরের সাকিবকে উদাহারণ হিসেবে আনার মূল কারণ ২০১৯ বিশ্বকাপের অতিমানবীয় পারফরম্যান্স। ৬০০ রানের বেশি রানের পাশাপাশি উইকেটও নেন ১১টি। এবার তিনি দলে না থাকলেও আছেন মুশফিকুর ও মাহমুদউল্লাহ। তবে দুজন মিলে এখন পর্যন্ত খেলা তিন ইনিংসের চাপের মুখে দলকে ঠেলেছেন আরও বিপদের মুখে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারের ম্যাচে দুজনই আউট হয়েছেন ব্যখাহীন শটে।
আরও পড়ুন
রান আউট-ক্যাচ মিসের আক্ষেপে বিদায় বাংলাদেশের |
![]() |
ইএসপিএনক্রিকইনফো এক অনুষ্ঠানে জাফর তাই হতাশা প্রকাশ করেছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের নিয়ে। “আমরা সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে শুধু সাকিবকেই (আল হাসান) দেখেছিলাম ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে যেখানে তিনি ছিলেন তিনি স্ট্যান্ডআউট খেলোয়াড় ছিলেন। তবে আমি জানি না তাদের ওপর অনেক চাপ থাকে, নাকি তারাই বেশি চাপ নিয়ে নেয়.. কিন্তু তারা বড় মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না।”
আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক মাহমুদউল্লাহ ভারত ম্যাচে ছিলেন না চোটের কারণে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার উইকেট পড়ার পর ১৪ বলে ৪ করার পর মিচেল ব্রেসওয়েলকে ছক্কা মারতে গিয়ে তুলে দেন ক্যাচ। আর আগে মুখোমুখি পঞ্চম বলে সেই ব্রেসওয়েলকেই অহেতুক স্লগ সুইপে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন মুশফিকুর। ভারত ম্যাচে তার নামের পাশে ছিল গোল্ডেন ডাক।
আরও পড়ুন
৩৫ ওভারেই ম্যাচ শেষ না হওয়ার আক্ষেপ শেবাগের |
![]() |
জাফর মনে করেন, দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারই ব্যর্থ হয়েছেন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে। “এমনকি আজকেও আমরা তাদের কাছ থেকে যেসব শট নির্বাচন দেখেছি, তা খুবই হতাশাজনক ছিল। মুশফিক অমন একটা শট খেলল, মাহমুদুল্লাহ সেই বাজে শট খেলে আউট হল। আর এই ম্যাচটা আপনাকে জিততেই হত। এই ধরনের ম্যাচগুলোতে আপনি তাদের পারফর্ম করতে এবং সেরা ছন্দে দেখতে চাইবেন।”
ভারত ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে এক ম্যাচে হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় ঘন্টা বেজেছে বাংলাদেশের।
১৩ ঘণ্টা আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৭ দিন আগে