শুক্রবার কলম্বোর আর প্রেমোদাসা স্টেডিয়ামে বিজয়ের প্রস্তুতি দেখে অনেকেই চোখ বন্ধ করে বলে দিয়েছিলেন, পরের ম্যাচে মাঠে নামছেন বিজয়। একাদশে ঢুকবেন, ব্যাট হাতে দেখা যাবে বিজয়কে। হলো উল্টো। প্রশ্ন আসতে পারে, একাদশে না থাকলে এতটা সিরিয়াস অনুশীলন কেনই বা করলেন? সাকিবের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা, পুরো অনুশীলন জুড়ে সিরিয়াসনেস, সবই কী এমনিতেই?
ওয়ার্ম আপ, রানিং, ব্যাট হাতে সেন্টার উইকেটে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটিং। ব্যাটিং শেষ করে পুরো মাঠ ঘুরে ঘুরে ক্যাচিং প্র্যাকটিস। অ্যাক্টিভিটিস আর বাদ রাখেননি বিজয়। হঠাৎ এত সিরিয়াস অনুশীলন, একাদশে ঢোকার কোন ইঙ্গিত কী পেয়েছিলেন বিজয়?
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার শেষ নেই
একাদশে ঢুকছেন এমন সংবাদ প্রকাশও হয়েছে নানান মাধ্যমে। কেউ কেউ দলের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়েও সংবাদ প্রকাশ করেছেন। তারপরও কেনো বিজয়কে দেখা যায়নি একাদশে? একটু জট খোলা যাক, কিছু হিসেব কষে নিলেই পরিষ্কার হবে, একাদশে ঢোকার আদতে কোন সুযোগ ছিল কী বিজয়ের জন্য?
বিজয়ের জায়গা আসলে কোনটা? ওপেনিং? ওপেনিংয়ে একপ্রান্তে লিটন বা মিরাজ খেলবেন সেটা অনুমিতই ছিল, আরেক প্রান্তের হিসেব তাহলে করা যাক। নাইম শেখ, নির্বাচকরা স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপের ব্যাকাপ ওপেনারের ভাবনায় তারা নাইমকেই চিন্তা করছেন, আর সে কারণেই ৩২ জনের প্রাথমিক দলে জায়গাও হয়নি এনামুল হক বিজয়ের।
সেই ধারাবাহিকতায় টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়মিত ওপেনার তামিমের অবর্তমানে নাইমকেই খেলিয়েছে। প্রশ্ন হলো, বিজয় যদি বিশ্বকাপের ভাবনাতে না-ই থাকেন তাহলে খামখা তাকে এশিয়া কাপে ম্যাচ দেওয়ার মানে কী? যৌক্তিক কোন কারণতো নেই।
মিরাজ ওপেন করলে তিনে লিটন। ৪ থেকে ৬ নিয়ে কথা বলার কোন সুযোগই নেই। সাতে শামীম, প্রেমাদাসার উইকেট বিবেচনায় আফিফের জায়গা ছাড়তে হয়েছে নাসুমের জন্যে। আর থাকে ৩। ৯-১১, এই ৩ পজিশনে ৩ পেসার। তাহলে, বিজয়ের স্পটটা আসলে কোনটা?
যারা বিজয়কে একাদশে দেখেছিলেন, এই হিসেবটা সামনে থাকলে প্রথমেই ধারণা পাল্টে যাওয়ার কথা। বাস্তবতা, বর্তমান পরিস্থিতি, বিজয়ের জন্য কোন জায়গা যে দলে দেখা যাচ্ছে না, তা বলতে বোধ হয় মানা নেই।
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৪৩ পিএম
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান । ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল রিজওয়ানের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রানে থামে তারা।
বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচটি নেমে আসে ৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। পুরোদমে ঝড়ো ইনিংস চলছিল দলটার। তবে ৩ ওভারের মাঝেই ২ ওপেনারকে ফেরান হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
এরপর কাজের কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ১৯ বলে খেলেন ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে সঙ্গ মার্কাস স্টোইনিস। ৭ বলে করেন ২১। ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডে ওঠে ৯৩ রান।
৪২ বলে ৯৪ রানের লক্ষ্যটা পাকিস্তানের জন্য হয়ে পড়ে কঠিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রিজওয়ানরা পড়েন আরো চাপে। পাকিস্তানের ইনিংসে হাসিবুল্লাহ খানের ১২, আব্বাস আফ্রিদির ২০ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ১১ ছাড়া বাকি সবার রান এক অঙ্কের ঘরে।
৭ ওভারেই ৯ উইকেট হারিয়ে দল থামে ৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি উইকেট নেন দুই পেসার জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ টি ও স্পেন্সার জনসন নেন ১ টি উইকেট।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
২৯ রানের এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া: ৯৪/৪ (৭); (গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৩(১৯), মার্কাস স্টয়নিস ২১(৭)
আব্বাস আফ্রিদি ২/৯, হারিস রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৬৪/৯ (৭); আব্বাস আফ্রিদি ২০*(১০), হাসিবউল্লাহ খান ১২(৮)
নাথান অ্যালিস ৩/৯, জাভিয়ের বার্টলেট ৩/১৩
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এবছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে এই ট্রফি ঘুরবে একাধিক দেশ। যেখানে থাকবে বাংলাদেশও।
এর আগে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় একাধিক ট্রফি এসেছে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার বাংলাদেশে। এবারও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আসবে বাংলাদেশে।
১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসবে ঢাকায়। থাকার কথা তিন দিন। ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাংলাদেশে থেকে ঘুরবে ঢাকা আর কক্সবাজার। বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে টি-স্পোর্টসকে।
৮ বছর পর মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট, যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।