গত কাল রাতের স্মৃতিটা টাটকাই থাকার কথা। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর চোখের পানি কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মুছে গেছে। পেনাল্টি মিস করে কান্নায় ভেঙে রোনালদোকে টাইব্রেকারে হাসিয়েছন স্বদেশী গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা। হ্যাটট্টিক সেইভে বনে গেছেন দেশের নায়কও। ইউরোর ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে টাইব্রেকারে তিনটি সেভ করা একমাত্র ফুটবলারও এখন এই কস্তাই। গোল করে স্ট্রাইকাররা সব আলো কেড়ে নেন, এবার অবশ্য গোল ঠেকিয়েও নজর কেড়েছেন বেশ কয়েকজন।
এখন পর্যন্ত ইউরোতে তিনজন গোলরক্ষক পেয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার। যেখানে নাম আছে পর্তুগাল গোলকিপার কস্তারও। স্লোভেনিয়া ম্যাচে অবশ্য পুরো ম্যাচে ধরে আলো ছড়িয়েছেন হুয়ান ওবলাক। ঠেকিয়েছেন রোনালদোর পেনাল্টিও। পুরো ম্যাচে সেভ করেছেন ৬টি। তবে শেষ ১৫ মিনিটে ওবলাককে ছাড়িয়ে গেছেন কস্তা। বেঞ্জামিন সেসকোর সাথে ওয়ান ভি ওয়ানে আটকে দিয়েছেন চোখ ধাঁধানো এক শট। শেষে গিয়ে তো টাইব্রেকারো অবিশ্বাস্যভাবে তিন সেভে জিতে নিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
অবশ্য কস্তার আগে ইউরোতে গ্লাভস হাতে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন জর্জিয়র জর্জি মামারদাশভিলি। প্রথমবার খেলতে এসে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়ে যে ইতিহাস গড়েছে জর্জিয়া, তার পেছনের কারিগর তো মামারদাশভিলিই। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এই ইউরোতে সর্বোচ্চ সেভ করার রেকর্ডটা তার দখলেই। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত তিনি চার ম্যাচ খেলে করেছেন ২৯ টি সেভ। তার পেছনে থাকা গোলরক্ষকের চেয়ে যা প্রায় দ্বিগুণ বেশি।
সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন গ্রুপ পর্বে চেক রিপাবলিকের সাথে ম্যাচে। যেখানে তিনি ১১ সেইভ দিয়ে জিতে নিয়েছিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। যেখানে জর্জিয়ার জালে ১০৬ শট নিয়েছিল প্রতিপক্ষ দল, সেখানে তার হজম করেছে মোটে আট গোল। যার বড় কৃতিত্ব তো এই ভেলেন্সিয়া গোলকিপারের। মৌসুম জুড়ে লা-লিগায় ভেলেন্সিয়ার জার্সিতে আলো ছড়িয়ে আগে থেকে ছিলেন আলোচনায়। আছেন বায়ার্ন মিউনিখের সুনজরে।
ফ্রান্সকে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আটকে দিয়ে ইউরোর অনেক হিসেব নিকেশই বদলে দিয়েছে পোল্যান্ড। সে ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপে, উসমান দেম্বেলেদের একের পর এক আক্রমণ আটকে দিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন পোল্যান্ড গোলরক্ষক লুকাস স্কোরুপস্কি। সব মিলিয়ে সেইভ দিয়েছেন ৭টি।
এছাড়া ইতালির জিয়ানলুইজি দোনারুম্মাও ছিলেন দারুণ। গেলবার ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডের হৃদয় ভাঙার কাজটা করেছিলেন পিএসজি গোলরক্ষকই। এবারও ছিলেন তার মতই, তবে পুরো দলের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে মলিনই হয়ে গেলো তার পারফরম্যান্স।
জার্মানির উড়ন্ত পারফরম্যান্সে খুব একটা পরীক্ষা দিতে হয়নি মানুয়েল নয়ারকে। তবে যখনই দরকার পড়েছে নিজের মুন্সিয়ানা ঠিকই দেখিয়েছেন তিনি।
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে