ক্যারিয়ারের সেরা একটা মৌসুম কাটাচ্ছেন, সাথে রয়েছে দলের ট্রেবল জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা৷ ইন্তার মিলানের সাথে ফাইনালে পিএসজির জয় তাই বাড়িয়ে দিতে পারে উসমান দেম্বেলের ব্যালন ডি’অর জয়ের দাবি। তবে ফরাসি ফরোয়ার্ডের চিন্তায় আপাতত এই বিষয়টি নেই। স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়াই তার কাছে মূখ্য ব্যাপার।
শনিবার রাতে জার্মানির মিউনিখে ইন্তারের বিপক্ষে মাঠে গড়াবে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব প্রতিযোগিতার ফাইনাল। এই ম্যাচে পিএসজির তুরুপের তাস হতে পারেন দেম্বেলে, যিনি এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০ গোল করেছেন। এর মধ্যে স্রেফ গত ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ১৮ ম্যাচেই রয়েছে ২৪টি গোল।
আরও পড়ুন
বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম |
![]() |
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে দেম্বেলে বলেছেন, ক্লাবের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের দিকেই সব মনোযোগ তার।
“আপনি যখন পিএসজিতে খেলবেন, তখন আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ট্রফি জেতা। আর বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো একটা শিরোপা। আমি ব্যক্তিগত পুরস্কার নয়, বরং দলের সাফল্যের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। ব্যালন ডি’অর নিয়ে চিন্তা আমার মাথায় আছে ঠিকই, তবে এই মূহুর্তে আমি শুধুই দলের কথা ভাবছি।”
দেম্বেলের প্রতিভা নিয়ে সংশয় ছিল না কখনই। বার্সেলোনায় ছয় বছরের অনুজ্জ্বল অধ্যায়ের পর পিএসজিতে প্রথম মৌসুমেও ছিলেন না সেরা ছন্দে। তবে এই মৌসুমে লুইস এনরিকের অধীনে তিনি নতুন করে জ্বলে উঠেছেন।
ফ্রান্স তারকাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত পিএসজি কোচও।
“এই মৌসুমে দেম্বেলে আমাদের দলের সেরা খেলোয়াড়দের একজন, হয়ত সবারই সেরা। সে গোল করে, গোল করায়, পাস দেয়, লড়াই করে, রক্ষণেও সাহায্য করে – এটাই একজন নেতার আসল মানসিকতা। সে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।”
২২ জুন ২০২৫, ৩:৫৭ পিএম
আলজেরিয়ার শীর্ষ ফুটবল লিগে এমসি আলজের টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে পরিণত হয়েছে ক্লাব ও সমর্থকদের জন্য। দলটির শিরোপা জয় উদযাপন করতে গিয়ে স্টেডিয়ামের ওপরের গ্যালারি থেকে পড়ে গিয়ে এক সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে আরও বলা হয়েছে, এই মর্মান্তিক ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত সমর্থকের নাম ইউনেস আমগুজ্জি। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক শোকবার্তায় এমসি আলজের লিখেছে,
“অত্যন্ত দুঃখ ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাদের জানাতে হচ্ছে যে, ওপরের গ্যালারি থেকে পড়ে গিয়ে আমাদের প্রিয় সমর্থক ইউনেস আমগুজ্জি আজ সবাইকে ছেড়ে গেছেন।”
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, দুর্ঘটনাটি ঘটে গ্যালারির একটি অংশের রেলিং ভেঙে পড়ায়। আলজেরিয়ার এল হাদ্দাফ টিভির ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতেও দেখা গেছে, রেলিংয়ের একাংশ ধসে গিয়ে নিচের গ্যালারিতে পড়েছে।
দুর্ঘটনার পর আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। একই সময়ে এমসি আলজেরের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে রক্তদানে অংশ নেন। দুর্ঘটনার কারণে ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হয়।
আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাদজিদ তেব্বুন নিহত সমর্থকের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, আর আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তবে এই দুর্ঘটনা স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, যেখানে বিপুল সংখ্যক দর্শক উপস্থিতিতে একটি বড় ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত না করেই।
ইতালিতে ফুটবল মাঠে রেফারিদের ওপর সহিংসতা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঠেকাতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। ক্রীড়ামন্ত্রী আন্দ্রেয়া আবোদি ঘোষণা দিয়েছেন, এখন থেকে রেফারিরা পাবেন পুলিশের মতোই সমান আইনি সুরক্ষা।
গত শুক্রবার ইতালির মন্ত্রিসভায় গৃহীত এক আইনে বলা হয়েছে, মাঠে রেফারিদের ওপর হামলা বা হুমকি দেওয়া হলদ তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ, যার সাজা হতে পারে কারাদণ্ডও। নতুন এই আইনটি ম্যাচ পরিচালনায় থাকা রেফারি সহ সব কর্মকর্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
এই আইনি পরিবর্তনের আগে ইতালি সরকারের সঙ্গে ইতালিয়ান ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক মাসের আলোচনা চলমান ছিল। দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী আবোদি বলেছেন,
“খেলার মাঠে যারা যারা নায্যতা নিশ্চিত করেন, তাদের সুরক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সহিংসতা আর কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।”
গত কয়েক বছর ধরেই রেফারিদের ঘিরে সহিংসতা ইতালির ফুটবলে এক বড় উদ্বেগে বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে স্থানীয় ও যুব ফুটবলে এই ধরনের হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত ডিসেম্বরে সেরি আ-এর রেফারিরা গালের নিচে কালো চিহ্ন এঁকে এসব সহিংসতার আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
সবচেয়ে আলোচিত একটি ঘটনার শিকার হন ১৯ বছর বয়সী রেফারি দিয়েগো আলফনজেত্তি, যিনি গত মৌসুমে সিসিলির একটি যুব ম্যাচ পরিচালনার সময় হামলার শিকার হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে একাত্মতা প্রকাশে গত এপ্রিলে লাজিও ও রোমের সেরি আ ডার্বির আগে তাকে মাঠে আমন্ত্রণ জানানো হয় অন্যান্য রেফারিদের সঙ্গে।
ফিট থেকেই যোগ দিয়েছিলেন দলের সাথে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম ম্যাচ মিস করতে হয়েছে কিলিয়ান এমবাপেকে। দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে না পাওয়া গেলেও কোচ জাবি আলোনসোর আশা, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সালজবুর্গের বিপক্ষে খেলতে পারবেন ফরাসি তারকা।
গত বুধবার আল হিলালের সাথে ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রিয়াল ড্র করে ১-১ গোলে। ওই ম্যাচের একদিন আগে গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এমবাপে। টুর্নামেন্টে রিয়ালের দ্বিতীয় ম্যাচ পচুকার বিপক্ষে, আগামী রবিবার। তবে সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ড স্কোয়াডের সঙ্গে নর্থ ক্যারোলিনায় যাননি। তিনি এখনো ফ্লোরিডায় দলের ট্রেনিং ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন
রেকর্ড ফি তে লিভারপুলে ভার্টজ, জিততে চান সব শিরোপা |
![]() |
গত শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আলোনসো জানান এমবাপের সবশেষ পরিস্থিতি।
“সে এখন অনেকটাই ভালো আছে। দুই দিন আগে সে হাসপাতাল থেকে ফিরেছে। প্রতিদিনই সে উন্নতি করছে। সালজবুর্গের বিপক্ষে সে খেলতে পারবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।”
গত ডিসেম্বরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ফাইনালে পচুকাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল। সেই ম্যাচে একটি গোল করেছিলেন এমবাপে। এবারের সাক্ষাতে তিনি না থাকলেও খেলবেন সদ্যই স্প্যানিশ ক্লাবে যোগ দেওয়া দুই ডিফেন্ডার ডিন হুইসেন ও ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড। আবার ক্লাব বিশ্বকাপের পর আসছেন আর্জেন্টিনার ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনো। অন্যদিকে এই টুর্নামেন্ট খেলেই বিদায় নেবেন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ।
আরও পড়ুন
তড়িঘড়ি করে রিয়ালে যোগ দিয়েছেন মাস্তান্তুয়োনো, শঙ্কা রিভার প্লেট কোচের |
![]() |
রিয়ালে নতুন মিডফিল্ডার প্রয়োজন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে আলোনসো স্পষ্ট করেছেন তার অবস্থান।
“আমরা এখন ক্লাব বিশ্বকাপে আছি। দল গঠন নিয়ে পরিকল্পনা করার সময় এটা নয়। আমাদের দলে যারা যারা আছে, তাদের নিয়েই আমরা শক্তিশালী মাঝমাঠ গড়তে পারব, এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।”
নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও কোনোভাবেই যেন থামানো যাচ্ছে না ফুটবলে বর্ণবাদ। এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে টামোর্থ ক্লাবের সাবেক কৃষ্ণাঙ্গ ফরোয়ার্ড ক্রিস রে-কে বর্ণবাদী বার্তা পাঠানোর অপরাধে বড় শাস্তি দিয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। এই অপরাধে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের জন্য মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি গত ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের, যেখানে টামোর্থকে টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারায় ৩-০ গোলে। ওই ম্যাচের পর হ্যারি ডানবার, যিনি হোয়াইটলির জন বুনিয়ান ক্লোজের বাসিন্দা, ইনস্টাগ্রামে রে-কে বর্ণবাদী বার্তা পাঠান।
আরও পড়ুন
তড়িঘড়ি করে রিয়ালে যোগ দিয়েছেন মাস্তান্তুয়োনো, শঙ্কা রিভার প্লেট কোচের |
![]() |
অভিযোগের প্রেক্ষিতে এরপর শুরু হয় তদন্ত। গত শুক্রবার ডানবার পোর্টসমাউথ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। এরপর আদালত তাকে শাস্তি হিসেবে ১২ মাসের কমিউনিটি অর্ডার, ২০০ ঘণ্টা বিনা পারিশ্রমিকে কাজ এবং ১০ দিন পুনর্বাসন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নির্দেশ দেয়।
এরপর এফএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,
“আমরা এই রায়ের মাধ্যমে একটা বার্তা দিতে চাই যে, অনলাইন বা মাঠে, যেকোনো জায়গায় সব ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ সহ্য করা হবে না এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, যে ম্যাচে এই ঘটনাটি হয়েছিল, সেই ম্যাচের পর রে ক্লাবের হয়ে আর খেলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, কোচ অ্যান্ডি পিকসের সমর্থন থাকলেও, ক্লাবের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে করা বর্ণবাদী আচরণের ব্যাপারে প্রকাশ্যে নিন্দা না জানানোয় তিনি হতাশ হয়েছেন।
ক্লাবগুলোর দাবি স্বত্ত্বেও লম্বা সময় ধরে বিদেশি গোলকিপারদের কে-লিগে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি কে-লিগে। অবশেষে ইতি ঘটতে যাচ্ছে অপেক্ষার। দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ ফুটবল লিগে ২০২৬ মৌসুম থেকে প্রথমবারের মতো বিদেশি গোলরক্ষক নিবন্ধন খেলানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে, যা গত ২৭ বছর ধরে নিষিদ্ধ ছিল।
১৯৯৯ সালে মাত্র আটটি ক্লাব নিয়ে শুরু হওয়া কে-লিগ প্রথম আসর থেকেই বিদেশি গোলকিপারদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছিল। এই নিয়ম করা হয়েছিল যাতে দেশটির গোলকিপাররা ক্লাবে নিয়মিত খেলার সুযোগ পান। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ লিগে ১২টি দল রয়েছে। আর ২০১৩ সাল থেকে দ্বিতীয় স্তরের কে লিগ ২ শুরু হয়েছে। উভয় লিগেই এতদিন দলগুলো বাধ্য ছিল দেশি গোলরক্ষক খেলাতে।
আরও পড়ুন
রেকর্ড ফি তে লিভারপুলে ভার্টজ, জিততে চান সব শিরোপা |
![]() |
সম্প্রতি এক সংবাদ বিবৃতিতে কে-লিগ জানিয়েছে তাদের সিদ্ধান্ত বদলের কথা।
“গোলকিপার একটি নির্দিষ্ট পজিশন হওয়ায় আর বিদেশি খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ রাখায়, দেশীয় গোলকিপারদের বেতনে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। আর এটা মাঠের অন্যান্য পজিশনের খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমানে ক্লাবের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্তেও দেশীয় গোলকিপারদের যথেষ্ট খেলার সুযোগ থাকবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।।”
এই ঘোষণার ফলে বাতিল হয়েছে কে-লিগ ও কে-লিগ ২ উভয় প্রতিযোগিতা গোলকিপার - এই শর্তটি। ক্লাবগুলো তাই এখন চাইলে বিদেশী গোলরক্ষক দিয়ে একাদশ সাজাতে পারবে, আবার দেশি গোলকিপারও ব্যবহার করতে পারবে।
৮ দিন আগে
১১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৮ দিন আগে