৩৬ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। নতুন ফরম্যাটে স্বভাবতই বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা। সমর্থকদের জন্য সুযোগ মিলছে নিয়মিত বড় দলগুলোর লড়াই দেখারও। সেই সাথে বাড়ছে প্রাইজমানিও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর আগে দেখা নেওয়া যাক নতুন ফরম্যাটের আদ্যপান্ত।
নতুন ফরম্যাটে যা যা থাকছে:
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সরে এসেছে পুরনো রীতি থেকে। আগের মতো গ্রুপ সিস্টেম নেই, ৩৬ টি দল লড়বে একটি আস্ত লিগ ফরম্যাটে। প্রতিটা দল খেলবে চারটি হোম আর চারটি অ্যাওয়ে মিলিয়ে মোট আটটি ম্যাচ, সেটাও আটটি ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে।
৩৬ দলের লিগ ফরম্যাটের পয়েন্ট টেবিলের সেরা আট দল সরাসরি চলে যাবে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে। আর টেবিলের ৯ থেকে ২৪ থাকা দলগুলো খেলবে প্লে-অফ রাউন্ড। যেখানে তারা পয়েন্ট টেবিলের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে লড়বে একে অপরের বিপক্ষে। ব্যাপারটা আরেকটু সহজ করে বললে টেবিলের ৯ নাম্বারে থাকা দল খেলবে টেবিলের ২৪ নম্বর দলের সাথে। এভাবে পয়েন্ট টেবিলের ওপর সারির দল খেলবে নিচের সারির দলের সাথে। হোম আর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচগুলো মাঠে গড়াবে। আর সেখান থেকে যে আটটি দল জয় পাবে তারাও জায়গা করে নিবে শেষ ষোলোতে। আর টেবিলের ২৫ থেকে ৩৬ থাকা দলগুলো বিদায় নিবে গ্রুপ-পর্ব থেকেই।
এতে বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা। আগের ফরম্যাটে যেখানে ম্যাচের সংখ্যা ছিল ১২৫, এখন সেটা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮৯ তে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম যারা:
ফরাসি ক্লাব ব্রেস্ট প্রথমবারের মতো খেলতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যেখানে তারা রিয়াল মাদ্রিদ- বার্সেলোনার মতো বড় বড় ক্লাবগুলোর মুখোমুখি হবে।
একই তালিকায় আছে গত মৌসুমে লা লিগায় চমক দেখানো জিরোনা। তারাও ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এই প্রথম। স্প্যানিশ ক্লাবটি প্রথমবারেই খেলবে বেশ বড় কিছু ম্যাচ। ইংলিশ দুই জায়ান্ট লিভারপুল ও আর্সেনালকে আতিথেয়তা দেবে কাতালুনিয়ার এই ক্লাবটি, সেই সঙ্গে ম্যাচ খেলতে পাড়ি জমাবে এসি মিলান ও পিএসজির মাঠে।
সময়সূচি:
লিগ পর্ব: সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে লিগ পর্বের ম্যাচ।
প্লে-অফ রাউন্ড: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির ১১,১২ ও ১৮,১৯ তারিখ মাঠে গড়ানোর কথা প্লে-
অফ রাউন্ডের দুই লেগের ম্যাচ।
কোয়ার্টার ফাইনালস: এপ্রিলের ৮,৯ ও ১৫, ১৬ তারিখে কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ।
সেমিফাইনালস: এপ্রিল ২৯, ৩০ ও মে’র ৬,৭ তারিখে সেমিফাইনালের দুই লেগ।
ফাইনাল: পয়লা জুন হতে পারে ফাইনাল।
কোথায় হবে ফাইনাল?
বায়ার্ন মিউনিখের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল।
বিগ ম্যাচ
সেপ্টেম্বর ১৭: এসি মিলান-লিভারপুল
সেপ্টেম্বর ১৮: ম্যানচেস্টার সিটি-ইন্তার মিলান
সেপ্টেম্বর ১৯: আতালান্তা-আর্সেনাল, এএস মোনাকো-বার্সেলোনা
অক্টোবর ১: আর্সেনাল-পিএসজি
অক্টোবর ২২: রিয়াল মাদ্রিদ- বরুসিয়া ডর্টমুন্ড
অক্টোবর ২৩:বার্সেলোনা- বায়ার্ন মিউনিখ
নভেম্বর ৫: লিভারপুল- বায়ার লেভারকুসেন, রিয়াল মাদ্রিদ- এসি মিলান
নভেম্বর ৬: ইন্তার মিলান-আর্সেনাল
নভেম্বর ২৬: বায়ার্ন মিউনিখ- পিএসজি
নভেম্বর ২: লিভারপুল-রিয়াল মাদ্রিদ
ডিসেম্বর ১১: বরুসিয়া ডর্টমুন্ড-বার্সেলোনা, য়্যুভেন্তুস- ম্যানচেস্টার সিটি
জানুয়ারি ২২: পিএসজি-ম্যানচেস্টার সিটি
ফেভারিট টু উইন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার ক্ষেত্রে বরাবরের মতই শক্ত দাবিদার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
গত মৌসুমের তুলনায় লস ব্লাঙ্কোস এবার আরও শক্তিশালী। দলে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন কিলিয়ান এমবাপের মতো তারকা ফুটবলার। তাতে শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা আরও বেড়েছে কার্লো আনচেলত্তির দলের।
পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিও এই তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে। সিটিজেনরা গতবার রিয়ালের সাথে হেরে বাদ পড়লেও দারুণ স্কোয়াড আর আর্লিং হলান্ডের উড়ন্ত ফর্ম সিটিজেনদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের।
এছাড়া লুইস এনরিকের পিএসজি কিংবা মিকেল আর্তেতার আর্সেনালকেও রাখতে হবে এই তালিকায়। হান্সি ফ্লিকের অধীনে উড়ন্ত বার্সাকেও হালকাভাবে নেওয়ার নেই সুযোগ, ভিনসেন্ট কোম্পানির বায়ার্ন মিউনিখও প্রস্তুত নতুন গল্প লিখতে।
প্রাইজমানি:
প্রাইজমানিও ব্যাপকভাবে বাড়ছে নতুন ফরম্যাটে। ম্যাচের সংখ্যা বাড়ায় স্পন্সর ডিল কিংবা টিভি স্বত্ত্ব– সব ক্ষেত্রেই আয় বাড়ছে ইউয়েফার। তারাও ক্লাবগুলোকে হতাশ করছে না। গতবারের তুলনায় তারা এবার প্রাইজমানি বাড়াচ্ছে ২৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে ইউয়েফা ২.৫ বিলিয়ন খরচ করবে সবগুলো দলের পেছনে। যেখানে জয়ী দল পাবে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিয়ন ইউরো।
৩০ জুন ২০২৫, ৫:৪৫ পিএম
৩০ জুন ২০২৫, ৪:৫৬ পিএম
৩০ জুন ২০২৫, ২:১৫ পিএম
৩০ জুন ২০২৫, ১:৪২ পিএম
চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে চমকের জন্ম দিয়ে অপরাজিত থেকে গ্রুপ পর্ব পার করেছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো। সমানে সমান লড়ছিল ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবের সাথে। তবে শেষ ১৬-তে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে এর আগে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা ফ্লামেঙ্গো। ম্যাচের পর ব্রাজিলের ক্লাবটির কোচ ফিলিপে লুইস অকপটে স্বীকার করলেন, এখনও ফুটবলের অভিজাত শ্রেণি ইউরোপই।
রোববারের ম্যাচে বায়ার্ন মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে চাপে ফেলে দেয় ফ্লামেঙ্গোকে। এরপর ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি দুইবার ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলেও পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নদের। শেষ পর্যন্ত বায়ার্ন জেতে ৪-২ গোলে।
আরও পড়ুন
পিএসজিকে কেইনের হুঁশিয়ারি, ‘যেকোনো দলকেই হারাতে পারে বায়ার্ন’ |
![]() |
ম্যাচের পর সাবেক ব্রাজিল লেফট-ব্যাক লুইস।
“তারা (ইউরোপিয়ান ক্লাব) আপনার ওপর যে পরিমাণ চাপ সৃষ্টি করে, সেটা অসাধারণ। তারা ৮-১০ জন নিয়ে একযোগে আক্রমণে আসে। যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে তারা। আমাদের পরিকল্পনা ভালোই ছিল, আমরা সুযোগ তৈরি করেছি, কিন্তু তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা খেলছি ফুটবলের অভিজাতদের বিপক্ষে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র যদি (ফ্লামেঙ্গো থেকে) রিয়াল মাদ্রিদে না যেত, তাহলে হয়ত বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় এখন আমাদের দলেই থাকত।"
প্রথমবারের মতো ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর আধিপত্য প্রত্যাশিতই ছিল। তবে গ্রুপ পর্বে কিছুটা হোঁচট খায় তারা। অন্যদিকে সবগুলো ব্রাজিলিয়ান ক্লাবই নকআউট পর্বে জায়গা করে নেয় অপরাজিত থেকে, উপহার দেয় উপভোগ্য ফুটবল। তবে ফ্লামেঙ্গোকে বিদায় করে বায়ার্ন আবারও ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের বাস্তবতা ফিরিয়ে এনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
।
আর এই ধারণার সাথে অমত করছেন না ফ্লামেঙ্গো কোচও।
“দক্ষিণ আমেরিকার খেলোয়াড়রা চায় ফুটবলের অভিজাত অংশ হতে, এবং তারা সেটাই করে। তবে বাস্তবতা হলো, ইউরোপেই এখন সেরা খেলোয়াড়েরা খেলে। আমাদের দলেও ব্রাজিলিয়ান তারকা আছে, কিন্তু তাদের দলে সেরা সব ব্রাজিলিয়ানরাই খেলছে। এটাই বাস্তবতা।”
আরও পড়ুন
‘রিইউনিয়ন’ ম্যাচে মেসির জার্সি-বুট পেয়ে উচ্ছ্বসিত দেম্বেলে |
![]() |
তবে বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি এই প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
“আমার মনে হয় না এটা এত সরল একটা বিষয়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকেই কিন্তু অনেক ভালো ফিনিশার এসেছে। ওদের রক্তেই ফুটবল মিশে আছে। আর ওখান থেকে এসেছে বিশ্বের দারুণ সব কৌশলী কোচ, যেমন মার্সেলো বিয়েলসা…এমনকি ফিলিপে লুইস নিজেও একজন দুর্দান্ত কোচ।”
বাস্তবিকভাবেই পিএসজির সামনে ইন্টার মায়ামির সুযোগ ছিল না বললেই চলে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই৷ সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে নিজ দলের মত মলিন ছিলেন লিওনেল মেসিও। তবে মাঠের লড়াই শেষে সাবেক সতীর্থদের সাথে আর্জেন্টাইন তারকার আবেগঘন পুনর্মিলনও হয়ে উঠেছিল এই ম্যাচের আলোচিত দিক। আর তাতে মেসির জার্সি-বুট সব বিনিময় করে আনন্দের সীমা নেই উসমান দেম্বেলের।
শেষ ১৬-এর ম্যাচে রোববার পিএসজি জেতে ৪-০ গোলে। কিছু ঝলক দেখালেও মেসি তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে দুই মৌসুম খেলার সুবাদে ফরাসি ক্লাবটির অনেকের সাথেই রয়েছে তার সখ্যতা। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো সম্পর্ক দেম্বেলের সাথে, যার সাথে তিনি বার্সেলোনায় খেলেন চারটি বছর।
আরও পড়ুন
‘ইউরোপিয়ান ফুটবলই অভিজাত শ্রেণি’, বায়ার্নের কাছে হেরে স্বীকারোক্তি ফ্লামেঙ্গো কোচের |
![]() |
ম্যাচ শেষে মেসি প্রথমে জার্সি বদল করেন সাবেক পিএসজি সতীর্থ হাকিমির সাথে। আর দেম্বেলের জন্য বরাদ্দ রাখেন তার পরিহিত জার্সি, শর্টস ও বুট, যা পরে তুলে দেন সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থের হাতে।
সামাজিক মাধ্যমে মেসির সাথে ছবি পোস্ট করে উচ্ছ্বসিত দেম্বেলে লিখেন,
“আবারও আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগল, মেসি – সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। আশা করি আপনি ইন্টার মায়ামির হয়ে এই ক্লাব বিশ্বকাপের মতোই ইতিহাস গড়ে যাবেন।”
প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। মেসিকে আলিঙ্গন করার একটি আবেগময় ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “পুরনো বন্ধুদের দেখা পেলে সবসময় ভালোই লাগে।”
আর লুকাস হার্নান্দেজ ইনস্টাগ্রামে মেসির সাথে একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, “কিংবদন্তি”
ব্যস্ত একটি মৌসুম শেষের পর আন্তর্জাতিক বিরতি, ঠিক এরপরই ইউরোপের ক্লাবগুলোকে নেমে পড়তে হয়েছে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে। ফলে খেলোয়াড়দের থাকতে হচ্ছে বিশ্রামহীন, যা বাড়িয়ে দিতে পারে চোটের সম্ভাবনা। এসব নিয়ে সমালোচনায় আপত্তি নেই পেপ গার্দিওলার। তবে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ এটাও মনে করেন, যারা এই টুর্নামেন্টে নেই, তারা অন্যদের নিয়ে ঈর্ষান্বিত।
৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ এবারই হচ্ছে প্রথমবার। সম্প্রতি এই প্রতিযোগিতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন সাবেক লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ, যিনি এখন বর্তমানে রেড বুলের গ্লোবাল সকার প্রধানের দায়িত্বে আছেন। তিনি এই টুর্নামেন্টকে ‘অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা’ বলে উল্লেখ করেন, এবং এটির আয়োজনকে বলেন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায়েও মায়ামির পারফরম্যান্সে গর্বিত মেসি |
![]() |
রোববার এক সংবাদ সম্মেলন ক্লপের সাথে সুর মেলান গার্দিওলা। এরপর অবশ্য দেন ভিন্নমতও।
“আমি জানি উনি (ক্লপ) কোন চিন্তা থেকে কথাটা বলছেন। আমি তাকে সম্মান করি। তবে সত্যি বলতে, অনেক ক্লাবই এই প্রতিযোগিতা নিয়ে অভিযোগ করছে, কারণ তারা এখানে খেলতে পারছে না। কিন্তু তারা যদি এখানে থাকত, তাহলে তারা হয়তো খুব খুশিই হতো। কারণ এখানে তাদের মিডিয়া থাকত, সমর্থক থাকত, টাকা-পয়সাও পেত।”
গত মৌসুমে শিরোপাহীন সিটি বেশ ভুগেছে চোটের সাথে। ক্লাব বিশ্বকাপে গার্দিওলার দল সোমবার আল হিলালের বিপক্ষে খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পাওয়ার জন্য। এরই মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা সিটি যদি ফাইনাল পর্যন্ত যায়, তাহলে তাদের পথচলা চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত৷ অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগের আগামী মৌসুম শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ আগস্ট। প্রস্তুতির জন্য সময় বলতে গেলে পাওয়াই যাবে না।
আরও পড়ুন
অবসর নিয়ে অনিশ্চয়তায় জোকোভিচ |
![]() |
গার্দিওলার আশঙ্কা, ক্লাব বিশ্বকাপের ধকল ভোগাতে পারে মৌসুমের যেকোনো সময়েই।
“এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কোচ হিসেবে এটা মোটেও আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমি যদি পরের মৌসুমের জন্য দুই মাস প্রস্তুতির সময় পেতাম, সেটা তো দারুণ হতো। আমি ঠিক জানি না খেলোয়াড়দের ওপর এর কেমন প্রভাব পড়বে। এমন হতে পারে যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমরা শেষ হয়ে যাব। হতে পারে এই বিশ্বকাপই আমাদের ধ্বংস করে দেবে। আমরা সবাই প্রথমবার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তাই এখনই কিছু বলা কঠিন।”
খুব একটা প্রত্যাশা ছিল না দলটির কাছে। সেটা মেনেই গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার পর পিএসজির কাছে বড় পরাজয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের যাত্রা আগেভাগেই থেমেছে ইন্টার মায়ামির। এভাবে বিদায় নিলেও খুব একটা আক্ষেপ নেই দলটির সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসির। বরং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।
আল আহলির সাথে গোলশূন্য ড্র দিয়ে মায়ামি শুরু করেছিল ক্লাব বিশ্বকাপ মিশন। প্রথম ম্যাচে খুব একটা আশানুরূপ পারফরম্যান্স না দেখাতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে মেসির জাদুতে পোর্তোকে ২-১ গোলে হারিয়ে চমক দেখায় তারা। নিজেদের শেষ ম্যাচেও জয়ের পথে ছিল মায়ামি। তবে শেষ ১০ মিনিটে দুই গোল হজম করে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসিরা। তাতে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই জায়গা করে নেয় শেষ ষোলোতে, যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা পায় ইউরোপ সেরা পিএসজিকে। হেসেখেলেই রোববারের ম্যাচে তারা জেতে ৪-০ গোলে।
নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে বর্তমান ক্লাবের এমন পারম্যান্সে আক্ষেপ নেই মেসির, বরং বাস্তবতা মেনে দলের পারফরম্যান্সকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
“বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে হেরে আজকে আমাদের ক্লাব বিশ্বকাপের যাত্রা থেমেছে। এই দলে অনেক ফুটবলার আছে, যাদের খেলা আমি উপভোগ করি, যাদেরকে দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে। আমরা গর্ব নিয়েই মাঠ ছেড়েছি, শেষ ষোলোতে খেলার যে লক্ষ্য ছিল, আমরা সেটা পূরণ করতে পেরেছি।”
ক্লাব বিশ্বকাপের হতাশা কাটিয়ে মেসির নজর এখন নতুন মৌসুমের দিকে। “এখন আমাদের সব নজর থাকবে এমএলএস ও অন্য প্রতিযোগিতায়।”
এমএলএসে গেল বার ইস্টার্ন কনফারেন্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মায়ামি। এবার অবশ্য বেশ পিছিয়ে আছে তারা, ১৬ ম্যাচে ৮ জয় আর ৫ ড্র তে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে তারা।
স্কোরলাইন বলছে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সামনে খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি মায়ামি। দুই দলের মাঝে বিস্তর ফারাকটাই যেন মাঠে দেখিয়ে দিয়েছে লুইস এনরিকের দল। তবে স্কোরলাইন যেমনই হোক, ম্যাচটা জেতা ততটাও সহজ ছিল না বলে ম্যাচ শেষে দাবি করেছেন পিএসজি বস।
প্রথমার্ধেই চার গোল করে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পিএসজি। জোড়া গোল করেন জোয়াও নাভেস, একটা গোল আসে আশরাফ হাকিমির কাছ থেকে, আত্মঘাতী থেকে আসে অন্য গোলটি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য মায়ামি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে। গোলের দেখা না পেলেও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেন লিওনেল মেসিরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বড় হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
বড় জয় পেলেও পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের পা আছে মাটিতে। মায়ামিকে দিয়েছেন পূর্ণ সম্মানই, “মেসির মত ফুটবলারের বিপক্ষে খেলা মোটেও সহজ কাজ না, তবে আমরা দল হিসেবে বেশ ভালো করেছি। প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে তারা নিজেদের খেলাটা খেলতে পেরেছে। তবে জয়টা আমাদেরই প্রাপ্য ছিল। অবশ্য স্কোরলাইন দেখে জয় পাওয়াটা যত সহজ মনে হচ্ছে, ততটাও সহজ ছিল না।”
ট্রেবল জিতে এরই মধ্যে মৌসুমটা রাঙিয়েছে পিএসজি। এবার ক্লাব বিশ্বকাপটা জিতে মৌসুমের ইতি টানার ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন এনরিকে, “নিশ্চিতভাবেই আমরা ক্লাব ইতিহাসের সেরা মৌসুমটা কাটাচ্ছি। এখানেও কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছি এরই মধ্যে, আমাদের এখন লক্ষ্য যতটা সামনে আগানো যায়। লম্বা মৌসুম হলেও ফুটবলারদের লড়াই করার মানসিকতা আছে।”
৭ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে