দিনের হিসেবে একদিন, তারপরেই বেজে যাবে ইউরো শুরুর ঘণ্টা। ইউরোর উদ্দেশ্যে জার্মানি সেজেছে নতুন রূপে। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর আবারও দেশটিতে যে শুরু হতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবল মহরণ। তার আগে কাঁটাছেড়া করে নেওয়া যাক গ্রুপ গুলোর।
এই পর্বে থাকছে গ্রুপ ‘ডি’ :
ফ্রান্স
ইউরোর আরেক ‘হট ফেভারিট’ দল ফ্রান্স। স্কোয়াডের গভীরতা কিংবা শক্তিমত্তার বিচারে ইউরোর এই আসরের সবার চেয়ে এগিয়ে ফ্রান্স। আক্রমণভাগ কিংবা মিডফিল্ডে, ডিফেন্স সবখানেই তারকায় ভরপুর। অবস্থা এমন ফ্রান্সের দূর্বলতা খুঁজে বের করাই এখন মুশকিল কাজ। অবশ্য গেল আসরেও ফ্রান্স এমন শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে বাদ পড়েছে শেষ ষোলো থেকে। বড় অঘটন না ঘটলে দলটাকে আটকানো যে কোনো দলের জন্যই কঠিন কাজ। পরপর দুটি বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলা কিলিয়ান এমবাপেরা ইউরোয় এবার মাঠে নামবেন শিরোপার অন্যতম দাবিদার দল হিসেবেই।
নেদারল্যান্ডস
রোনাল্ড কুমান দ্বিতীয় মেয়াদে এখন আছেন ডাচদের দায়িত্ব। দলটাকে ঘুছিয়েও নিয়েছেন ভালোভাবে। শেষ দুই প্রীতি ম্যাচের ফলটাও বেশ ভালো। তবে শেষ মূহর্তে মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের ছিটকে যাওয়া কিছুটা হলেও তাদের চিন্তার কারণ হতে পারে। ডিফেন্স লাইনটা বেশ শক্তই তাদের। যেখানে মূল দায়িত্ব থাকবে ফন ডাইকের ওপর। মিডফিল্ড পুরটাই ছিল ডি ইয়ংয়ের ওপর নির্ভর, তার অনুপস্থিতিতে পিএসভির হয়ে দারুণ মৌসুম কাটানো জোই বিরম্যানকে নিতে হতে পারে গুরু দায়িত্ব। শক্তিমত্তা বিবেচনায় গ্রুপের দ্বিতীয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ডাচদের।
পোল্যান্ড
পালা বদলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পোল্যান্ড। তার মাঝে চোট সমস্যা পোল্যান্ডের জন্য হতে পারে বড় চিন্তার কারণ। অধিনায়ক রবার্ট লেভানডফস্কি কিংবা করোল সুইডারস্কিকে নিয়ে আছে শঙ্কা। শক্তিমত্তা বিবেচনায় দলটা এই কঠিন গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা যায়।
অস্ট্রিয়া
ইউরোর এই আসরের আরেক ডার্ক হর্স ধরা হচ্ছে অস্ট্রিয়াকে। রালফ রাংনিকের অধীনে দলটা চমক জাগানিয়া ফুটবলই খেলছে। অধিনায়ক ডেভিড আলাভার অনুপস্থিতি তাদের জন্য বড় ধাক্কা। তবে লাইমার কিংবা সাবিতজারের মতো তরুণরা আছেন এই দলে।
সেই সাথে রাংনিকের হাই প্রেসিং ফুটবল দলটাকে বেশ শক্তিশালীই করে তুলেছে। নেদারল্যান্ডস কিংবা ফ্রান্সের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে তারা।
১১ নভেম্বর ২০২৪, ৬:২৩ পিএম
রুদ ফন নিস্টেলরয়ের অন্তবর্তীকালীন দায়িত্বের সমাপ্তিটা এর চাইতে মধুর বোধহয় হতে পারত না। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই জিতেছে রেড ডেভিলসরা। তার কোচিংয়ে শেষ ম্যাচে লেস্টার সিটিকে ৩-০ গোলে সহজে হারিয়েছে দলটি। যেখানে গোলের দেখা পেয়েছেন আলেহান্দ্রো গারনাচো। ফর্মেও আছেন বেশ এই মৌসুমে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে প্রশংসা করে ব্রুনো বলেছেন, গারনাচো বিশেষ প্রতিভা।
ইউনাইটেডের শেষ গোলে ফার্নান্দেজের পাস থেকে বাম হাফ স্পেসে এসে বাঁকানো শটে ফিনিশ করেন গারনাচো। কিন্তু গোলের পর তেমন একটা উদ্যাপন করতে দেখা যায়নি তাকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যেখানে জিতে যাচ্ছে, গারনাচোও এই মৌসুমের সপ্তম গোল পেয়েছেন– উদ্যাপন না করার তো কোনো কারণ ছিল না।
আরও পড়ুন
চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ইউনাইটেডে শিরোপার দিকে চোখ ব্রুনো ফের্নান্দেসের |
কিন্তু দলের অধিনায়ক বিবিসি স্পোর্টসকে জানাচ্ছেন, গারনাচোর এই ‘নিশ্চুপ’ থাকার পেছনে ছিল বিশেষ কারণ। একই সঙ্গে তার সতীর্থকে ভাসিয়েছেন প্রশংসায়-
“গারনাচো দুর্ধ্বর্ষ একটা গোল করেও উদ্যাপন করেনি কারণ সে মনে করছে ও ভক্তদের বিশ্বাস হারিয়েছে। আমি ওকে বলেছি মানুষ সবসময়ই গালমন্দ করবে, কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যারা তোমার খেলাটাকেই পছন্দ করে।”
গারনাচোর গোল উদযাপন না করার উৎস ঘাটতে হলে ফেরত যেতে হবে গত সপ্তাহে ইউরোপা লিগের ফিক্সচারে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গ্রিসের চ্যাম্পিয়ন পাওকেকে ২-০ গোলে হারালেও গারনাচোকে সেদিন হজম করতে হয় এক ভক্তের গঞ্জনা। সে ভক্তের অভিযোগ, গারনাচো চাইলে ম্যাচের বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্যভাবেও পারফর্ম করতে পারতেন।
আরও পড়ুন
টেন হাগের বিদায়ে হতাশ ব্রুনো |
এই মৌসুমে ৭ গোলের পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্টও করেছেন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার গারনাচো। এই মাসের আন্তর্জাতিক বিরতিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ জন্য স্কালোনির দলে জায়গা হয়েছে গারনাচোর। অংশ নেবেন পারাগুয়ে এবং পেরুর বিপক্ষে লড়াইয়ে।
২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজক নির্বাচনের ভোটের আগে বড় ধরনের মানবাধিকার সংস্কার ঘোষণা না হলে ফিফাকে সৌদি আরবকে স্বাগতিক হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও স্পোর্ট অ্যান্ড রাইটস অ্যালায়েন্স (এসআরএ)।
ফুটবলের বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত বছরের অক্টোবরে মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগালকে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক ঘোষণা করেছে। আর ২০৩৪ আসরের জন্য একমাত্র দেশ হিসেবে বিড করেছে সৌদি আরবই। ফলে তাদের আয়োজক হওয়াটা কেবলই আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপার এখন কেবল।
তবে অ্যামনেস্টি ও এসআরএর দাবি, তারা আয়োজক হওয়ার জন্য বিড করা দেশগুলোর প্রস্তাবিত মানবাধিকার কৌশলগুলোর মূল্যায়ন করেছে এবং একটি নতুন প্রতিবেদনে এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, এই বিডগুলো কীভাবে ফিফার প্রয়োজনীয় মানবাধিকার স্তরগুলো পূরণ করবে, তার পর্যাপ্ত রূপরেখা দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন
আর্জেন্টিনাকে হারানো কোচকেই ফিরিয়ে আনল সৌদি আরব |
এই দুই সংস্থার মনে করে, সৌদি আরবে এসবের ঝুঁকি অনেক বেশি এবং উপসাগরীয় দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হলে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিক থেকে ‘গুরুতর এবং ব্যাপক’ হতে পারে।
অ্যামনেস্টির শ্রম অধিকার ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রধান স্টিভ ককবার্ন এক বিবৃতিতে বলেছেন-
“মানবাধিকার সংস্কারের বিশ্বাসযোগ্য নিশ্চয়তা না পেয়ে সৌদি আরবকে ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক করা হলে এর অনুমানযোগ্য চরম মানবিক মূল্য হবে। ভক্তরা সেখানে বৈষম্যের সম্মুখীন হবে। অভিবাসী শ্রমিকরা শোষণের সম্মুখীন হবে এবং অনেকে মারাও যাবে।”
আর এই কারণেই তারা সৌদি আরবে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন-
“ভয়াবহ পরিস্থিতির অবনতি এড়াতে তাই যথাযথ মানবাধিকার সুরক্ষা না হওয়া পর্যন্ত ফিফাকে অবশ্যই এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতেই হবে।”
ফিফা বলেছে যে ২০৩০ এবং ২০৩৪ বিশ্বকাপের জন্য করা বিডের মূল্যায়ন প্রতিবেদনগুলো আগামী ১১ ডিসেম্বরে তাদের কংগ্রেসের আগে প্রকাশ করা হবে৷
ফিফার এই কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপের আয়োজক ঘোষণা করা হবে এবং গত বছরের শেষের দিকে ফিফার নির্ধারিত সময়সীমার আগে অন্য কোনো দেশ আগ্রহ প্রকাশ না করায় ২০৩৪ বিশ্বকাপের জন্য সৌদি আরবের বিড সফল হওয়া প্রায় নিশ্চিতই।
আরও পড়ুন
চেলসিতে সানচো, সৌদিতে টনি : দলবদলের শেষ দিনে যা হলো |
অ্যামনেস্টি ও এসআরএর উদ্বেগের একটি প্রধান কারণ হল সমকামী লোকেদের প্রতি বৈষম্য করা হবে কিনা, সেই বিষয়টি। কারণ, দেশটিতে সমকামী যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছে প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
তবে সৌদি আরবের বিশ্বকাপ বিড ইউনিটের প্রধান হাম্মাদ আলবালাউই গত সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন যে, সমকামী ভক্তদেরও স্বাগত তাদের দেশে স্বাগত জানানো হবে এবং তাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করা হবে।
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে