কবে, কখন
ভুটান-বাংলাদেশ
ফিফা ফ্রেন্ডলি
চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়াম
সন্ধ্যা ৬.০০
আন্তজার্তিক ফুটবলে কোন দেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশিবার জিতেছে বাংলাদেশ? প্রশ্নের উত্তর, ভুটান। বাংলাদেশ জিতেছে ১১ বার, হেরেছে একবার, ২০১৬ তে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে। কিন্তু বাংলাদেশ-ভুটান ফুটবল ম্যাচের নাম এলেই সেই একটা হারই আলোচনায় আসে বেশি। যে স্মৃতি ভূটানের জন্য যত গৌরবের ততোটা অস্বস্তির বাংলাদেশের জন্য। একটা হার মেনে না নিতে পেরে দেড় বছর আর কোনো আন্তজার্তিক ম্যাচই খেলেনি বাংলাদেশ দল। এরপর গল্প পালটেছে, ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ চারবার খেলে জিতেছে প্রতিবারই। ওই ‘বিখ্যাত’ (নাকি কুখ্যাত?) হারের ৮ বছর পর ভুটান গেছে বাংলাদেশ দল। ফ্রেন্ডলি ম্যাচ, তাই শোধ বা প্রতিশোধের গল্প নেই এবার।
তাহলে বাংলাদেশের লক্ষ্য কী? ভালো খেলা, নতুন সিস্টেম রপ্ত করা নাকি সাফ জেতা অ-২০ ফুটবলারদের সুযোগ করে দেওয়া? ভূটানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা এসব প্রশ্নই শুনতে হলো বেশি। জবাবে সম্ভাব্য সবগুলোর কথাই বলেছেন কোচ। তবে আড়ালে বাংলাদেশের আসল লক্ষ্য র্যাংকিং-এর উন্নতি। গেল বছর অক্টোবরে বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইপর্বের ম্যাচে শেষ মালদ্বীপকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর বাছাইপর্বের ৬ ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য লেবাননের সঙ্গে একটা ম্যাচ ড্র করা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বনেদি অস্ট্রেলিয়া, ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনের মতো দলের সঙ্গে বাংলাদেশের পেরে না ওঠার কারণ ছিল। সেই পর্ব চুকেছে, এখন বাংলাদেশের সামনে ২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাই। সেই বাছাইয়ের ড্র আগামী বছর। ড্র-তে তুলনামূলক সুবিধাজনক জায়গায় নিজেদের খুঁজে পেতেই বাংলাদেশ চায় ভুটানকে হারাতে, ফিফা র্যাঙ্কিং এ উন্নতি করতে।
ফিফা র্যাঙ্কিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪ তম। দুই ধাপ ওপরে ভুটান। এই দুই প্রীতি ম্যাচে তাই বাংলাদেশের মূল লক্ষ্যই ভুটানকে টপকে যাওয়া।
র্যাংকিং- এ ভুটান এগিয়ে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার ফিট ওপরের মাঠটাও স্বাগতিকদের শক্তি- এসব বাংলাদেশের জন্য অযুহাত হিসেবে দাঁড় করানোর সুযোগ তাই নেই। এ বছর ৪টা আন্তজার্তিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, জয়ের মুখ দেখা হয়নি এখনও। বাংলাদেশে যখন পরিবর্তনের হাওয়া, ফুটবল মাঠে তখন চলছে ফল পালটানোর জোর চেষ্টা। সে খবরটা অজানা নয় ভুটান কোচেরও। ম্যাচের আগে প্রেস কনফারেন্সে অউতুসি নাকামুরা নিজের দলকে সেই সতর্ক বার্তাও পৌঁছে দিয়েছেন, “বাংলাদেশে পরিবর্তন হয়েছে। এরপর থেকে ওরা সবকিছুতেই মোটিভেটেড দেখছি। আর মাঠের খেলায় ওরা কঠিন প্রতিপক্ষ। ফুটবলারদের বলছি আগেই নেগেটিভ ভাবলে চলবে না, ভেঙে পড়া যাবে না।“
ভুটানের ভেঙে পড়ার শঙ্কা কম থাকারই কথা ছিল। খেলোয়াড়রা লিগে নিয়মিত খেলছেন, ফিটনেস নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকার কথা নয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিপরীত চিত্র। অনুকূল পরিবেশ-পরিস্থিতির অভাবে মৌসুম পিছিয়ে গেছে। মে মাসে মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকে এক বসুন্ধরা কিংস বাদে বাকি ক্লাবগুলো ফুটবলারদের ক্যাম্প শুরু করতে পারেনি। সেই ডামাডোলে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া হয়ে গেছেন ‘ফ্রি এজেন্ট’। বাস্তবতা মেনে জামাল এই দুই ম্যাচকে বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন, “আমার ধারণা, দুটি ম্যাচই ভীষণ কঠিন হবে। কেননা, আমরা তিন মাস কোনও ম্যাচ খেলি না। আমরা ক্যাম্প করেছি, কিন্তু ভুটানের খেলোয়াড়দের মতো একই পর্যায়ে নেই। আমার ধারণা দুটি ম্যাচ কঠিন ও দারুণ হবে।“
কোচ কাবরেরাও কথা বলেছেন প্রায় একই সুরে, ‘আমরা জানি, আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। ভুটানের খেলোয়াড়দের মতো আমরা মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যায়ে নেই, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতেও আমাদের সময় লেগেছে। তবে আগামী মার্চে যেটা আসছে, পরের বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে, এগুলোর জন্য এই উইন্ডো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খুবই চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।“
বাংলাদেশ কোচ ভবিষ্যত ভাবনায় রাখছেন। তাতে আছেন সাফ অ-২০ জেতা চার ফুটবলাররাও। ভূটানের সঙ্গে বাংলাদেশের দুই ম্যাচে তাই আলো অনেকটাই মিরাজুল ইসলাম ও রাব্বি হোসেন রাহুলের ওপর। মিরাজুল হয়েছেন টপস্কোরার ও সেরা খেলোয়াড়, রাহুলের সঙ্গে তার বোঝাপড়া সাফে ছিল দেখার মতো। রাহুল জাতীয় দলে এর আগেও ডাক পেয়েছেন, কিন্তু খেলা হয়নি। এই দুইজনের এবার অভিষেক না হলেই বরং প্রশ্ন উঠবে বেশি।
সামনে অক্টোবর, নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতেও প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশের। বাফুফের চেষ্টা এই বছরের ভেতরই লেস্টার সিটির ফুটবলার হামজা চৌধুরির গায়ে বাংলাদেশের জার্সি ওঠানোর। ভবিষ্যতের ভাবনার প্রাথমিক ধাপ তাই ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের এই দুই ম্যাচ।
হেড টু হেড
ভুটানের বিপক্ষে ১৪ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ১১ টা, আর দুই ম্যাচ ড্র। শেষ ৩ দেখায় ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ গোল করেছে ৯টি। সবশেষ ২০২৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে ৩-১ এ হারিয়ে বাংলাদেশ উঠেছিল সেমিফাইনালে।
দলের খবর
ইনজুরির কারণে স্কোয়াডে ছিলেন না ডিফেন্ডার তারিক কাজী। পরে মিডফিল্ডার কাজেম শাহকেও হারিয়েছেন কাবরেরা। স্প্যানিশ কোচের দলে বরাবরের মতোই নাই কোনো জাত স্ট্রাইকার। তবে ফরোয়ার্ড পজিশনে রাকিব হোসেন, ফয়সাল ফাহিম, শাহরিয়ার ইমন, শেখ মোরসালিনদের সুঙ্গে মিরাজুল-রাহুলদের থাকাটা বাংলাদেশকে স্বস্তিই দেওয়ার কথা।
ভূটান স্কোয়াডে নেই দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড চেনচো।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
মিতুল মারমা, বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মণ, মেহেদী হাসান, সাদ উদ্দিন, জামাল ভূঁইয়া, মোহাম্মদ হৃদয়, সোহেল রানা, শেখ মোরসালিন, ফয়সাল ফাহিম, রাকিব হোসেন।
২১ জুন ২০২৫, ৩:৪৭ পিএম
২০ জুন ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই প্রতিভার জানান দিয়ে বিশ্ব ফুটবলের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। এরপর রিভার প্লেটের উদীয়মান মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনোর সামনে রাস্তা ছিল দুটি - আর্জেন্টিনায় থেকে নিজের বিকাশ অব্যাহত রাখা বা ইউরোপে পাড়ি জমানো। তিনি বেঁছে নিয়েছেন দ্বিতীয়টি, যোগ দিয়েছেন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। রিভার প্লেট কোচ মার্সেলো গায়ার্দোর আশঙ্কায়, একটু আগেভাগেই ঠিকানা বদল করেছেন মাস্তান্তুয়োনো।
চলতি মাসের শুরুতে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত রিয়ালে নাম লেখান মাস্তান্তুয়োনো। তিনি এখন অবশ্য আছেন রিভার প্লেটের সাথেই, খেলছেন ক্লাব বিশ্বকাপে। এই টুর্নামেন্টের পর যোগ দেবেন রিয়াল স্কোয়াডের সাথে। লাতিন আমেরিকার এই সময়ের অন্যতম সেরা এক এক প্রতিভাকে হারানো আর্জেন্টিনার ক্লাবটির জন্য হতে যাচ্ছে বড় এক শূন্যতাই।
আরও পড়ুন
চলছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের জয়রথ, ধরাশায়ী চেলসি |
![]() |
গত শুক্রবার ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গায়ার্দো বলেন, মাস্তান্তুয়োনো আরেকটি শাণিত হতে পারতেন তাদের সাথে থেকেই।
“আমাদের আগামী মৌসুমের পরিকল্পনায় মাস্তান্তুয়োনো ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তবে এখন আমাদের পরিকল্পনা নতুন করে সাজাতে হবে। কারণ, এমন কিছু খেলোয়াড় থাকে, যাদের শূন্যস্থান পূরণ করা কঠিন কাজ। তবে এটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা। আমরা এই খেলোয়াড়দের বিশ্ব মঞ্চের জন্যই তৈরি করি। সবকিছুই এখন আগেভাগে ঘটে যাচ্ছে। তরুণরা অল্প বয়সেই ক্লাব ছাড়ছে। এটা এখনকার নিয়মের মধ্যেই পড়ে।”
রিভার প্লেট কোচের হতাশা যৌক্তিকই। ১৮-তে পা দেওয়ার আগেই মাস্তান্তুয়োনো খেলোয়াড় হিসেবে যে পরিণতবোধ দেখাচ্ছেন, সেটা চোখে পড়ার মতোই। আর সেই কারণেই তাকে ধরে রাখাটা কঠিনই ছিল ক্লাবটির জন্য। কারণ, রিয়ালের বেশ আগে থেকে তার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজিও। শেষ পর্যন্ত রিয়াল লড়াইয়ের শামিল হওয়ার পর লাতিন আমেরিকান ক্লাবটির পক্ষে একটা ভালো ট্রান্সফার ফি নিয়ে মাস্তান্তুয়োনোকে ছেড়ে দেওয়াটাই ছিল একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন
রেকর্ড ফি তে লিভারপুলে ভার্টজ, জিততে চান সব শিরোপা |
![]() |
গায়ার্দো তাই আশাবাদী, ভবিষ্যতটা যেন রাঙাতে পারেন মাস্তান্তুয়োনো।
“আমি শুধু চাই সে (ক্লাব বিশ্বকাপে) নিজের স্বাভাবিকভাবে খেলাটা খেলুক। যাতে সে এই পুরো ঘটনার কথা ভুলে যেতে পারে। যদিও এটা খুবই কঠিন। আমি তার সাথে ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো আলোচনা করি না, শুধু চাই সে তার খেলায় মনোযোগ দিক।”
রিভার প্লেট ক্লাব বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে জাপানের উরাওয়া রেড ডায়মন্ডসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে। শনিবার পাসাডেনায় মনতের্রের বিপক্ষে দলটি খেলবে গ্রুপে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ। আগামী বুধবার এরপর মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রানার্সআপ ইন্তার মিলানের।
ফ্লোরিয়ান ভার্টজ লিভারপুলে যাচ্ছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। শুক্রবার রাতে সেটাও নিশ্চিত হয়ে গেছে। নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে জার্মান মিডফিল্ডার বলেছেন, সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতার দিকেই নজর তার।
লিভারপুল বলেছে, চুক্তি হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী। আর বিবিসির দাবি, ২০৩০ সাল পর্যন্ত অল রেডদের সঙ্গে চুক্তি সেরেছেন ভার্টজ। লেভারকুসেন থেকে তাকে দলে টানতে লিভারপুলকে খরচ করতে হয়েছে ১১৬ মিলিয়ন পাউন্ড। তাতে চেলসির এন্জো ফার্নান্দেসের ১০৭ মিলিয়ন পাউন্ডের রেকর্ড পেছনে ফেলে হয়ে গেছেন প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামি ফুটবলার।
নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে বেশ খুশি ভার্টজ।
“আমি নতুন এই যাত্রা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। প্রতি বছর আমি অনেক কিছু জিততে চাই। তবে সেক্ষেত্রে আমরা নিজের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করতে হবে।”
প্রতিভার বিচারে ভার্টজ বর্তমান তরুণদের মধ্যে বেশ এগিয়েই থাকবেন। গত মৌসুমে বুন্দেসলিগায় ৩১ ম্যাচে ১০ গোল ও ১৩ অ্যাসিস্ট করা এই তরুণ ফুটবলারকে দলে পেতে তাই আগ্রহী ছিল ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বেছে নিয়েছেন লিভারপুলকেই।
ভার্টজের দলগত অর্জনের মধ্যে রয়েছে মৌসুমের বুন্দেসলিগা জয়, ডিএফএল সুপারকাপ ও ডিএফবি পোকাল। আর ব্যক্তিগতভাবে জিতেছেন ২০২৩–২৪ ‘বুন্দেসলিগা প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ ও ২০২৪–২৫ ভিডিএফ ‘প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’'-এর খেতাব।
চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোই দেখাচ্ছে দাপট। প্রতিটি গ্রুপেই চলছে তাদের জয়জয়কার। জন্ম দিচ্ছে একের পর এক রুপকথার গল্প। পিএসজিকে হারিয়ে বোতাফোগো দিয়েছিল চমক, চেলসিকে উড়িয়ে দিয়ে সেই ধারায় যেন ধরে রাখলো ফ্ল্যামেঙ্গো। শনিবার ইংলিশ ক্লাবটিকে তারা হারিয়েছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে।
ফিলাডেলফিয়ার লিঙ্কন ফাইনান্সিয়াল ফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে অবশ্য শুরুতে লিড নিয়েছিল চেলসি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি ১৩ মিনিটে পেদ্রো নেতোর করা গোলে লিড নিয়ে প্রথমার্ধও শেষ করেছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধ পুরোটাই ছিল ফ্ল্যামেঙ্গো জাদু। ব্রুনো হেনরিকের গোলে সমতায় ফেরে সাও পাওলোর ক্লাবটা। এরপর দানিলো ও ওয়ালেস ইয়ানের গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
আরও পড়ুন
দুর্দান্ত জয়ের কৃতিত্ব পুরো দলকেই দিচ্ছেন অধিনায়ক মেসি |
![]() |
এই জয়ে দারুণ খুশি ফ্ল্যামেঙ্গো কোচ ফিলিপে লুইস।
“এটা আমার ও ক্লাবের জন্য বিশেষ একটি দিন। আমি খেলাটি নিয়ে খুব খুশি। ম্যাচের শুরু থেকেই আমরা বিশ্বাস করছিলাম যে আমাদের সুযোগ আছে। আমি খুব গর্বিত; কারণ, ওয়েসলির ভুলের পরও দল থেমে যায়নি। আমরা আগের মতোই খেলা চালিয়ে গেছি। আমার খুবই ভালো লাগছে।”
এই ম্যাচ শেষে ক্লাব বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফ্ল্যামেঙ্গো। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে চেলসি।
প্রথম ম্যাচে মিশরের আল আহলির সাথে ড্র করে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাডতে হয়েছিল। নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে পোর্তোকে হারিয়ে প্রথম কনকাকাফ ক্লাব হিসেবে ইন্টার মায়ামি ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। এতে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল করা অধিনায়ক লিওনেল মেসি মনে করেন, দলগত প্রচেষ্টায় এসেছে এই জয়।
বৃহস্পতিবার রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের দুইবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পোর্তোকে ২-১ গোলে হারায় মায়ামি। ১-১ সমতা থাকা অবস্থায় আটলান্টার মার্সেডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ৫৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার রদ্রিগো মোরা মেসিকে ফাউল করে ডি-বক্সের একটু বাইরে উপহার দেন ফ্রি-কিক। স্টেডিয়ামে ‘মেসি, মেসি’ ধ্বনির মধ্যেই ৮ আর্জেন্টাইন তারকার শট জাল খুঁজে নেয়।
মায়ামির জার্সিতে এটি মেসির ৫০তম গোল ছিল। ম্যাচ শেষে মেসি জয়ের কৃতিত্ব দেন পুরো দলকেই।
“পুরো দলের চেষ্টায় এই জয়টা এসেছে। শুধু রক্ষণ সামলানোই নয়, আমরা বলের দখলও নিয়ন্ত্রণ করেছি। আল আহলির বিপক্ষে ম্যাচের পর মনের মধ্যে একটা তিক্ততা ছিল। তবে এই জয় সেই হতাশা ভুলিয়ে দিয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জয়, আমরা এটা উদযাপন করব।”
প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় পোর্তো। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তেলাসকো সেগোভিয়া মায়ামিকে সমতায় ফেরান। এরপরেই মেসির জাদু। দুর্দান্ত এই এই জয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জন্য ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ম্যাচে ইতিবাচক ফলাফল মেসিদের নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
দল নিয়ে বেশ আশাবাদীই মেসি।
“দেখতেই পাচ্ছেন যে আমরা লড়াই করতে চাই। আজ আমরা একটা ভালো দলের বিপক্ষে খেলেছি। যদিও বিরতির আগে কিছু জায়গায় আমরা খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। যেহেতু তরুণ খেলোয়াড়দের অনেকেই এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলেছে, তারা একটু নার্ভাস ছিল। তবে তারা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।”
ক্লাব বিশ্বকাপের অন্যতম কঠিন গ্রুপ হলেও পিএসজিকে ধরা হচ্ছিল ফেভারিট হিসেবেই। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই বড় ধাক্কা খেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলটি। অঘটনের জন্ম দিয়ে তাদের হারিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগো। অবিশ্বাস্য এই পরাজয়ের পর পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেও প্রশংসা করেছেন প্রতিপক্ষকের।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রোজ বাউলে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইগর জেসুসের প্রথমার্ধের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন বোতাফোগো। এর মধ্য দিয়ে পিএসজি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৯ ম্যাচে পর প্রথমবার গোলহীন থেকে হারের স্বাদ পেয়েছে। গত মে মাসের শুরু থেকেই ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা অপরাজিত ছিল।
ম্যাচের পর এনরিকে বলেন, সেরা ফুটবল খেলতে পারেনি তার দল। “সব দলই আমাদের বিপক্ষে দ্বিগুণ উদ্দীপনা নিয়ে খেলে। আজ আমরা প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের সামনে সংগ্রাম করেছি। যদি ডিফেন্সের কথা বলেন, তাহলে বোতাফোগো এই টুর্নামেন্টে অন্যতম সেরা দল।”
৩৬তম মিনিটে জেসুসের দুর্দান্ত একক প্রচেষ্টায় গোলটি আসে, যা গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। আগের ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পিএসজি এই ম্যাচে গোলের জন্য ১৬টি শট নেয়, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে বোতাফোগো মাত্র ৪টি শট নিয়েই চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এই জয়ে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষেও উঠে গেছে ব্রাজিলের ক্লাবটি।
এমন জয়ের পর বোতাফোগো কোচ রেনাতো পাইভা জানান তার উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া। “আমি খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, একসাথে আক্রমণ করো, একসাথে ডিফেন্ড করো আর খেলাটা উপভোগ করো। ছেলেরা সেটাই করেছে। পিএসজিকে তাদের নিজস্ব কৌশলে ঘায়েল করাই ছিল আমাদের মূলমন্ত্র।”
৭ দিন আগে
১০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৭ দিন আগে