নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ দল ইতোমধ্যেই সিলেট পৌছেছে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটা চায়ের রাজ্যেই। সেখানে টানা দুদিন অনুশীলনও করেছে ফেলেছে দুই দল। লাল বলের ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে এবার একটু বেশি সময়ই লাগার কথা ক্রিকেটারদের।
এবছর বিশ্বকাপ থাকায়, প্রচুর সাদা বলের ম্যাচ খেলছে দেশগুলো। বাংলাদেশও তাই। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে মোটে দুইটা। সেগুলো ছিল আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
আরও পড়ুনঃ আর্জেন্টিনা সমর্থকদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ রদ্রিগোর
একে তো লম্বা সময় পর লাল বলের ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। এরপর আবার এই টেস্ট দিয়েই শুরু হচ্ছে নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সার্কেল। তবে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় খানিকটা সস্তিতে থাকতেই পারে বাংলাদেশ।
কেননা বড় দলগুলোর মধ্যে এই নিউজিল্যান্ডের সাথেই নিয়মিত টেস্ট খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এরপর আবার নিজেদের সর্বশেষ টেস্টে জয়টা পেয়েছিল বাংলাদেশই। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের সেই ঐতিহাসিক জয় থেকে অনুপ্রেরণা নিতেই পারে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুনঃ অবসরটা তাহলে নিয়েই নিচ্ছেন দি মারিয়া?
যদিও এই টেস্টে খেলতে পারছেনা দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই, তামিম ইকবালও খেলছেন না। টেস্টে অন্যতম সেরা পেসার এবাদত হোসেনও ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না। আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও মাঠের বাইরে।
সবমিলিতে লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ফেরাটা সহজ হবেনা। আবার বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর আবার ঘুরে দাড়ানোর একটা মঞ্চও এই নিউজিল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ কতটা কাজে লাগাতে পারে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
৪, ৬, ৬, ৬ ও ৪- রশিদ খানের পরপর পাঁচ বলে পাঁচটি বাউন্ডারি মারলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। পাঁচ বলের ওভার থেকে নিয়ে নিলেন ২৬ রান। সব মিলিয়ে ২০ বলে রশিদ খরচ করলেন ৫৯ রান। যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বোলিং।
বার্মিংহামে মঙ্গলবার রাতে দা হান্ড্রেডের ম্যাচে বার্মিংহাম ফিনিক্সের বিপক্ষে এমন বেধড়ক পিটুনি হজম করেন ওভাল ইনভিন্সিবলসের হয়ে খেলতে নামা রশিদ।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং না বোলিং- কোনটি বেশি ভালো, উত্তর দিলেন সাকিব |
![]() |
একশ বলের এই টুর্নামেন্টের আগের দুই ম্যাচে ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার। দুই ম্যাচেই তার হাতে উঠেছিল ম্যাচ সেরার পুরস্কার। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে তালগোল পাকিয়ে গড়েছেন বিব্রতকর রেকর্ড।
দা হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে আর কোনো বোলার এক ম্যাচে এত রান খরচ করেননি। ২০২২ সালে ম্যানচেস্টার অরিজিনালসের বিপক্ষে ২০ বলে ৫৩ রান দিয়েছিলেন নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের হয়ে খেলতে নামা ডেভিড ভিসা।
এই টুর্নামেন্টে এক ম্যাচে পঞ্চাশের বেশি রান দেওয়ার নজির আছে শুধু ডেভিড পেইন (৫৩) ও স্টিভেন ফিনের (৫১)।
এছাড়া রশিদের ৪৮৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারেও সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০১৮ সালের আইপিএলে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের লেগ স্পিনার।
রশিদের এমন বাজে বোলিংয়ের দিনে জিততে পারেনি তার দল ওভালও। ডনোভান ফেরেইরা ২৯ বলে ৬৩ ও জর্ডান কক্স ৩০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেললে নির্ধারিত ১০০ বলে ১৮০ রান করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ওভাল।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যত রেকর্ড |
![]() |
পরে লিভিংস্টোনের ২৭ বলে ৬৯ ও উইল স্মিডের ২৯ বলে ৫১ রানের সৌজন্যে ২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় বার্মিংহাম।
এই ম্যাচে রশিদের ৯ বল খেলে ৩২ রান নেন লিভিংস্টোন। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে রশিদের ১০২ বলে লিভিংস্টোনের সংগ্রহ ২০০ রান। বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসেবে তারকা লেগ স্পিনারের বিপক্ষে ২০০ রান নিলেন তিনি।
জেডেন সিলসের আগুনঝরা বোলিংয়ে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে মাত্র ৯২ রানে অল আউট করে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে শেই হোপের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ২৯৪ রান করে তারা ম্যাচটি জিতেছে ২০২ রানের ব্যবধানে।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বিশাল জয়ে রেকর্ড বইয়েও ঝড় তুলেছে ক্যারিবিয়ানরা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সব রেকর্ড
১৯৯১
দীর্ঘ ৩৪ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে সবশেষ ১৯৯১ সালে পাকিস্তানের মাঠে গিয়ে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। মাঝের ১১ সিরিজের দশটিই জেতে পাকিস্তান। ড্র হয় অন্যটি।
এ নিয়ে ঘরের মাঠে টানা ৪টি ওয়ানডে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজেদের মাঠে তাদের টানা ৪ বা এর বেশি সিরিজ জেতার রেকর্ড আছে আর একটি। ১৯৮১ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত টানা ৯টি সিরিজ জিতেছিল তারা।
২০১১
সব সংস্করণ মিলিয়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪ বছর পর সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে ২০১১ সালে ঘরের মাঠে এক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল তারা। মাঝের ১৪ বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সব মিলিয়ে টানা ১৬ সিরিজ হেরেছিল ক্যারিবিয়ানরা।
২০২
ওয়ানডেতে এ নিয়ে চতুর্থবার ২০০ বা এর বেশি রানের ব্যবধানে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই তাদের প্রথম ২০০ রানের জয়। আর পাকিস্তান এ নিয়ে চতুর্থবার ওয়ানডেতে ২০০ রানের বেশি ব্যবধানে হারল।
আরও পড়ুন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা সিরিজ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখার লড়াই বাংলাদেশের |
![]() |
১৮ রানে ৬ উইকেট
বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৮ রানে ৬ উইকেট নেন জেডেন সিলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তৃতীয় সেরা বোলিং এটি। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উইন্সটন ডেভিস ৫১ রানে ৭ উইকেট ও ১৯৮১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কলিন ক্রফট ১৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।
এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই যে কোনো বোলারের সেরা বোলিং। ২০১৩ সালে ৩৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ডেল স্টেইন।
৪
নিজের ৬ উইকেটের মধ্যে ৪ ব্যাটারকে শূন্য রানে আউট করেছেন সিলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এর আগে একজন মাত্র বোলারের ছিল এই কৃতিত্ব। ১৯৮৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের ৪ ব্যাটারকে খালি হাতে ফিরিয়েছিলেন জোয়েল গার্নার।
১৮
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯৪ বলে ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন শেই হোপ। ওয়ানডেতে এটি তার ১৮তম সেঞ্চুরি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। তার সামনে এখন শুধু ব্রায়ান লারা (১৯) ও ক্রিস গেইল (২৫)।
আরও পড়ুন
গ্রিভসের সেঞ্চুরি, রেকর্ড জুটিতে চারশ পার ওয়েস্ট ইন্ডিজের |
![]() |
৯২
এ নিয়ে দশবার একশ রানের কমে অলআউট হলো পাকিস্তান। এর মধ্যে ৪টিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তাদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৪৩ রানও ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষেই, ১৯৯৩ সালে।
পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বাইরে থাকার পর দল বদলে ফেললেন টম ব্রুস। নিউ জিল্যান্ড ছেড়ে এখন স্কটল্যান্ড দলে নাম লেখালেন ৩৪ বছর বয়সী টপ-অর্ডার ব্যাটার।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ব্রুসকে নিজেদের দলে পাওয়ার খবর জানিয়েছে ক্রিকেট স্কটল্যান্ড। চলতি মাসের শেষ দিকে শুরু হতে যাওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২-র ম্যাচে নতুন দলের হয়ে মাঠে দেখা যেতে পারে মারকুটে এই ব্যাটারকে।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে নিউ জিল্যান্ডের জার্সিতে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ব্রুসের। ২০২০ পর্যন্ত কিউইদের হয়ে মোট ১৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি। যেখানে ২ ফিফটিতে করেন ২৭৯ রান।
আরও পড়ুন
২০ বলে ৫৯ রান দিয়ে রশিদ খানের বিব্রতকর রেকর্ড |
![]() |
এরপর দল থেকে জায়গা হারিয়ে আর নিউ জিল্যান্ড স্কোয়াডে সুযোগ করে নিতে পারেননি ব্রুস। দীর্ঘ ৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর তাই এবার নতুন দল বেছে নিলেন তিনি।
মূলত বাবার সূত্রে স্কটল্যান্ডের খেলার অনুমতি পেলেন ব্রুস। এডিনবরায় জন্ম নেওয়া ব্রুসের বাবার জন্ম সূত্রে একজন স্কটিশ। সেই সূত্রেই ২০১৬ সালে স্কটল্যান্ডের একটি ডেভেলপমেন্ট দলের হয়েও খেলেন ব্রুস। এরপর পাড়ি জমান নিউ জিল্যান্ড।
৯ বছর পর আবার নিউ জিল্যান্ড ছেড়ে স্কটল্যান্ডে ফিরে উচ্ছ্বসিত ব্রুস।
“আমার পরিবারের সঙ্গে স্কটল্যান্ডের দীর্ঘ ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। তারা ভীষণ গর্বিত হবে আমাকে বিশ্ব মঞ্চে স্কটল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে দেখে। পাঁচ বছর আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। এবার শীর্ষ পর্যায়ে নিজের দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি স্কটল্যান্ড দলকে সেই সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে চাই, যা তারা অর্জন করার মতো সামর্থ্য রাখে।”
“২০১৬ সালে অল্প সময়ের জন্য স্কটল্যান্ড দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ হয়েছিল, যা ছিল দারুণ এক অভিজ্ঞতা। আমি বর্তমান দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে ও বিপক্ষে খেলেছি, এবং এতো বছর ধরে তাদের অগ্রগতি দেখা সত্যিই আনন্দের। আবারও তাদের সঙ্গে একত্রে খেলতে মুখিয়ে আছি। আমার লক্ষ্য সহজ- যে কোনোভাবে দলের জন্য অবদান রাখা, ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত ক্রিকেট খেলা এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া।”
আনুষ্ঠানিক প্লেয়ার্স ড্রাফটে আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ (আইএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দল পেয়ে গেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথমবারের মতো এই লিগে খেলতে দেখা যেতে পারে বাঁহাতি পেসারকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মঙ্গলবার রাতে মুস্তাফিজকে নেওয়ার খবর জানায় দুবাই ক্যাপিটালস। দলটির বাঁহাতি ইংলিশ পেসার লুক উডের বদলি হিসেবে সুযোগ পেলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার।
এর আগে ভারতের আইপিএল, শ্রীলঙ্কার লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ও পাকিস্তানের পিএসএলে খেলেছেন ২৯ বছর বয়সী পেসার। এবার তার সামনে দেশের বাইরে চতুর্থ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার হাতছানি।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং না বোলিং- কোনটি বেশি ভালো, উত্তর দিলেন সাকিব |
![]() |
দল পেলেও মুস্তাফিজের আইএল টি-টোয়েন্টি খেলতে যাওয়া নিয়ে সংশয় থাকছে। কারণ ওই টুর্নামেন্টের সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক্ হতে পারে বিপিএলের সূচি।
আইএল টি-টোয়েন্টির চতুর্থ আসর শুরু হবে আগামী ২ ডিসেম্বর। ফাইনাল হবে আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি। একই সময়ে বাংলাদেশে হতে পারে বিপিএল। তাই আইএল টি-টোয়েন্টিতে শুরুর দিকে হয়তো কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতে পারেন মুস্তাফিজ।
এরপর বিপিএল খেলতে ফিরতে হতে পারে দেশে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ২৮৯ ম্যাচে ৩৬২ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.৪৫ করে। ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন চারবার।
প্রথম ম্যাচ হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ জিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বছরের অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটাল ক্যারিবিয়ানরা।
ত্রিনিদাদে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ২০২ রানে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাট করে শেই হোপের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ২৯৪ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। জবাবে জেডেন সিলসের আগুনঝরা বোলিংয়ে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজের ট্রফি নিজেদের করে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
হোপ, সিলসের দারুণ পারফরম্যান্সের সৌজন্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বছর পর কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে ১৯৯১ সালে সবশেষ পাকিস্তানকে সিরিজ হারিয়েছিল তারা। মাঝের ৩৪ বছরে দুই দলের ১১ সিরিজের ১০টিই জেতে পাকিস্তান, ড্র হয় ১টি।
ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরিতে মাত্র ৯৪ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন হোপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে তার চেয়ে বেশি ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে শুধু কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা (১৯) ও ক্রিস গেইলের (২৫)।
বল হাতে মাত্র ১৮ রানে ৬ উইকেট নেন সিলস। ওয়ানডেতে ক্যারিবিয়ানদের তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার এটি। গত ৪২ বছরের মধ্যে এটিই সেরা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা তেমন ভালো ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এভিন লুইস (৫৪ বলে ৩৭), ব্র্যান্ডন কিং (৮ বলে ৫), কেসি কার্টি (৪৫ বলে ১৭) ও শেরফেইন রাদারফোর্ডরা (৪০ বলে ১৫) হতাশ করলে এক পর্যায়ে ৩০.৩ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১১৩ রান।
পরে রস্টোন চেইজকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন হোপ। দুজন মিলে গড়েন ৬০ বলে ৬৪ রানের জুটি। ২৯ বলে ৩৬ রান করে আউট হন চেইজ। গুডাকেশ মোটি টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
শেষ দিকে জাস্টিন গ্রেভসকে নিয়ে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর রীতিমতো বুলডোজার চালান হোপ। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে মাত্র ৫০ বলে ১১০ রান যোগ করেন হোপ ও গ্রেভস।
মাত্র ৮৩ বলে ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হোপ। শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন স্বাগতিক অধিনায়ক। গ্রেভসের ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ বলে অপরাজিত ৪৩ রান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে নাসিম শাহ ও আবরার আহমেদ নেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়ায় প্রথম স্পেলেই পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন সিলস। নিজের প্রথম পাঁচ ওভারে ১২ রানে ৪ উইকেট নেন তরুণ এই পেসার। পরে ফেরান আরও দুই ব্যাটসম্যানকে। সব মিলিয়ে ৭.২ ওভারে ১৮ রানে তার শিকার ৬ উইকেট।
ব্যাট হাতে আরও একবার হতাশ করেন পাকিস্তানের তারকা বাবর আজম। ২৩ বলে ৯ রান করে ফেরেন তিনি। রানের খাতাই খুলতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলের সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন সালমান আলি আগা।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে