কয়েক মৌসুম ধরেই প্রতিপক্ষের মাঠে নিয়মিত বর্ণবাদের শিকার হচ্ছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে বারবার তাকে প্রতিবাদ জানিয়ে জবাব দিতে হচ্ছে এসব কর্মকাণ্ডের। তবে বিষয়টি যে অসহনীয় হয়ে যাচ্ছে তার জন্য, সেটা স্পষ্ট গেছে। মাত্রাটা এতোটাই যে, বর্ণবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
ভিনিসিয়ুস সবচেয়ে বেশি বর্ণবাদী আচরণের শিকার হচ্ছেন স্পেনে। প্রতিপক্ষের মাঠে রিয়ালের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই এই ঘটবার অবতারণা ঘটছে। ফিফা, উয়েফা, লা লিগা, স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের নানা হুশিয়ারি, শাস্তিতে কোনো কাজই হচ্ছে না। মাঝে তো গুঞ্জন উঠেছিল, ক্ষুব্ধ ও হতাশ ভিনিসিয়ুস নাকি স্পেন ছাড়ার চিন্তাও করছেন।
আরও পড়ুন: এন্দ্রিকের অভিষেক গোলে ইংল্যান্ডকে হারালো ব্রাজিল
আন্তর্জাতিক বিরতিতে এখন ব্রাজিল দলের সাথে আছেন ভিনিসিয়ুস। গত সোমবার তার সংবাদ সম্মেলনে অধিকাংশ প্রশ্নই ছিল বর্ণবাদ নিয়ে। তাতে এক পর্যায়ে চোখের জল আর আটকে রাখতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান। “আমি দুঃখিত। আমি শুধু ফুটবল খেলতে চাই, আমার ক্লাব এবং আমার পরিবারের জন্য সবকিছু করতে চাই, কালো মানুষদের কষ্ট দেখতে চাই না।”
ভিনিসিয়ুস মনে করেন, তার প্রতি এমন বর্ণবাদী আচরণের কারণ মাঠে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। আর তাই রিয়াল ছাড়ার চিন্তাও নেই তার। “আমি কখনই স্পেন ছাড়ার কথা ভাবিনি, কারণ এতে বর্ণবাদীদের যা চায় তাই হবে। আমি বিশ্বের সেরা ক্লাব ছাড়ছি না। বর্ণবাদীরা সংখ্যালঘু, আমি দৃঢ় এবং মানসিকভাবে শক্তিশালীই থাকব। কারণ (ক্লাব) সভাপতি এবং ক্লাব আমাকে সমর্থন করে।”
সংবাদ সম্মেলনেই ভিনিসিয়ুসকে প্রশ্ন করার সময় একজন সাংবাদিকও কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিজের ও অন্যদের চাপা কষ্টটা অনুভব করতে পারছেন এই লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী এই ফুটবলারও৷ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ভিনিসিয়ুস অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলিকে।
ফুটবলের সব শীর্ষ সংস্থাগুলোর এই ব্যাপারে আরও কঠোর অবস্থান দেখার আশা ভিনিসিয়ুসের। “মৌখিক বর্ণবাদ কেবল স্পেনেই নয়, পুরো বিশ্বেই ঘটে। প্রতিদিন আমি দুঃখী হয়ে বাড়িতে যাই। কেউ আমাকে সমর্থন করছে না। প্রতিটি ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করার সময় আমার খারাপ লাগে, কিন্তু আমাকে এখানে উপস্থিত হয়ে নিজেকে তুলে ধরতে হবে। আমি উয়েফা, ফিফা, কনমেবল এবং সিবিএফ-এর কাছে সাহায্য চেয়েছি, যারা বড় সংস্থা এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।”
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
সুপার ক্লাসিকো চলাকালীন মেজাজ হারিয়ে বসেন বোকা জুনিয়র্স গোলকিপার সার্হিও রোমেরো। নিজ দলের সমর্থকের সঙ্গেই জড়িয়ে পড়েন বাক-বিতণ্ডায়। যা নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখেই পড়েছিলেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলকিপার। পরিস্থিতি এতোটাই জটিল হয়েছে যে ক্লাব কর্তাদের তাঁকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাই দিতে হয়েছে।
ম্যাচের শেষ দিকে বোকার এক সমর্থক রোমেরোকে উদ্দেশ্য করে নানা মন্তব্য করেন। যা নিতে পারেননি আর্জেন্টাইন এই গোলকিপার। তেড়ে গিয়ে তার সাথে জড়িয়ে পড়েন তর্কে। শেষ পর্যন্ত কোচিং ম্যানেজমেন্টের কয়েকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অবশ্য এমন কাণ্ডে রোমেরো শেষ পর্যন্ত শাস্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ক্লাব কতৃপক্ষ নিশ্চিত করে রোমেরোর শাস্তির খবর। ৩৭ বছর বয়সী গোলকিপারও ক্ষমা চেয়েছেন নিজের আচরণের জন্য, “আমি বোকা ভক্তদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, আমি প্রতিক্রিয়া দেখাতে ভুল করেছিলাম। আমার উচিত ছিল এটি নিয়ে মাথা না ঘামানো। তাদের নিজেদের মত প্রকাশের অধিকার আছে।”
ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বোকা জুনিয়র্স ১-০ গোলে হেরেছিল রিভার প্লেটের কাছে। এই হারে পয়েন্ট টেবিলে বেশ পেছনে পড়ে গেছে বোকা জুনিয়র্স । ১৫ ম্যাচ শেষে ২১ পয়েন্ট নিয়ে
ঐতিহাসিক একটা জয়ের হাতছানির আভাস মিলছিল মিকেল আরতেতার আর্সেনালের সামনে। ইতিহাদে একদম শেষ মুহূর্তে জন স্টোনসের গোলটা না হলে সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ এবং বর্তমান গানার বস আরতেতার ‘মুড’টা সংবাদ সম্মেলনে আরেকটু উচ্ছ্বলও হতে পারত। কিন্তু সে সুযোগ আপাতত নেই, ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ড্র এর ম্যাচটা এখন অতীত। তবে রয়ে গেছে সে ম্যাচের কিছু তেতো অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে প্রথমার্ধে মাইকেল অলিভারের লিয়ান্দ্রো ট্রসারকে লাল কার্ড দেখানোর দৃশ্যটা এখনোও দগদগে। এই ঘটনার পর মিকেল আরতেতা তাঁর খেলোয়াড়দের বলেছেন, ‘সময় নষ্ট’ করার কৌশল হিসেবে বল না সরিয়ে দিতে।
বোল্টনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মিকেল আরতেতাকে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষের ম্যাচ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। তবে সে ম্যাচ এখন ‘অতীত’ বলে মিকেল আরতেতা জানান,
“ওটা এখন অতীতের অংশ। আমার কাছে এখন সেটা সাধারণ একটা ম্যাচ, তবে একটু আবেগী ম্যাচ বটে– কিন্তু আমার কাছে সব ম্যাচই এমন । ”
মাইকেল অলিভারের সিদ্ধান্তে আগেই নাখোশ ছিলেন গানার্স বস, এদিনও জানিয়েছেন, ট্রসারের লাল কার্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাঁর মত আগের মতই আছে। তবে, রেফারির বাঁশির পর লং কিক করে বল ‘আউট অব প্লে’ কিংবা সরিয়ে দেওয়ার কাজ না করতে তাঁর খেলোয়াড়দের পরামর্শ দিয়েছেন আরতেতা। সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ৪২ বছর বয়সী সান সেবাস্তিয়ানের এই কোচ জানান, ‘বল ধরারই প্রয়োজন নেই। আমি বলেছি বল ছেড়ে দিতে। [এমন পরিস্থিতিতে] আমরা বল ছাড়াই খেলব’।
ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষে যোগ করা আট মিনিটে বল লাথি মেরে সরিয়ে দেওয়ার অপরাধে ট্রসারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান মাইকেল অলিভার। আবার একই কারণে ব্রাইটনের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ডেক্লান রাইসকে। একই ম্যাচে জাও পেদ্রো লং কিক করে বল সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটালেও তাঁকে কোনো শাস্তির খড়গে পড়তে হয়নি বলে ম্যাচ শেষে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আর্সেনাল বস। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচের পর ডকুও একই কাজ করে রেফারির কোনো শাস্তি পাননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আরতেতা।
আর্সেনাল ক্যাপ্টেন মার্টিন ওডেগার কবে নাগাদ ফিরতে পারেন, সে প্রশ্নের জবাবে আরতেতা জানান, ‘সে কয়েক সপ্তাহের ভেতরে ফিরতে পারে। তবে ঠিক কবে নাগাদ, তা সঠিক বলতে পারছি না’।
ক্যারাবাও কাপের তৃতীয় রাউন্ডে ঘরের মাঠে বোল্টনের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে আর্সেনাল মাঠে নামবে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে।
হাঁটুর চোটে কমপক্ষে দশ মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন বার্সেলোনা গোলকিপার মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান। তাতে তাঁর জায়গাটা বার্সার দ্বিতীয় গোলকিপার ইনিয়াকি পেনিয়ারই নেওয়ার কথা। তবে গুঞ্জন, বার্সেলোনা বোর্ড দলে যুক্ত করতে চাইছেন নতুন কাউকে। যে তালিকায় শোনা যাচ্ছে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার কেইলর নাভাস ও সাবেক বার্সেলোনা গোলকিপার ক্লদিও ব্রাভোর নাম।
সেপ্টেম্বরের শুরুতেই দলবদলের সময় শেষ হওয়ায় বার্সেলোনা জানুয়ারির আগে কিনতে পারবে না নতুন কোনো ফুটবলার। কেবল ফ্রি এজেন্ট হিসেবে কেউ থাকলে কেবল তাঁকেই দলে ভেড়াতে পারবে বার্সা। তাতে নতুন করে বেশ কয়েকজনের নাম সামনে আসছে। কয়েকজন ফুটবলার তো নিজে থেকেই বার্সায় যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই তালিকায় প্রথমেই আছেন সাবেক চিলির গোলকিপার ক্লদিও ব্রাভো। ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলার চলতি মৌসুমে অবশ্য অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সাবেক ক্লাবের প্রয়োজনে অবসর ভেঙে আবারও ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। বার্সেলোনার জার্সিতে ৭৫ ম্যাচ খেলেছেন ব্রাভো, সামলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির গোলবারও।
একই পথে হাঁটতে চান সাবেক পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার কেইলর নাভাস। পিএসজি তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর বর্তমানে নাভাস এখন আছেন ফ্রি এজেন্ট হিসেবে। তবে ফুটবলে ফিরতে সাবেক কোষ্টারিকা তারকা মুখিয়ে আছেন। সেটা বার্সেলোনা হলেও তাতে কোনো সমস্যা নেই সাবেক লস ব্লাঙ্কোস তারকার। ইএসপিএন জানাচ্ছে, নাভাস তখনই বার্সেলোনায় যোগ দিতে সম্মতি জানাবেন যদি তাঁকে মূল গোলকিপার হিসেবে দলে নেওয়ার গ্যারান্টি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে নাভাসের বেতন নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না বলেও জানাচ্ছে ওয়েবসাইটটি।
এছাড়া সাবেক পিএসজি গোলকিপার সের্হিও রিকোর কথাও শোনা যাচ্ছে টের স্টেগানের বিকল্প হিসেবে। ২০২৩ সালের মে মাসে স্পেনের হুয়েলভাতে ঘোড়ার গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন এই গোলকিপার। তারপর থেকেই তিনি আছেন খেলার বাইরে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলার পর ফিট হয়ে উঠেছেন তিনি। আছেন মাঠে ফেরার অপেক্ষায়। তাতে তাঁর নামটাও আসছে বার্সেলোনার গোলকিপার হওয়ার দৌড়ে।
এছাড়াও শোনা যাচ্ছে সাবেক লিভারপুল ও নিউকাসল কিপার লরিস ক্যারিয়াসের নামও। এই গোলকিপারকেও ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দলে ভেড়ানোর সুযোগ রয়েছে বার্সেলোনার।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে