ম্যাচের শুরুতেই দলকে এনে দিলেন পেনাল্টি। নিজে সেটা না নিয়ে সুযোগ দিলেন ছন্দে থাকা রাফিনিয়াকে। বার্সেলোনা তারকা দলকে এগিয়ে দিলেও বিরতির আগেই সমতা টানল কলম্বিয়া। ফরোয়ার্ডদের হতাশাজনক এক ম্যাচে দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল। তবে অন্তিম সময়ে জাত চেনালেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ব্রাজিলকে বাছাইয়ে দুই ম্যাচ পর এনে দিলেন স্বস্তির জয়।
লাতিন আমেরিকার বাছাইয়ের শুক্রবার সকালের ম্যাচে কলম্বিয়াকে ব্রাজিল হারিয়েছে ২-১ গোলে।
১৩ ম্যাচে ৬ জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। এক ম্যাচ কম খেলা আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ২৫। আর ১৩ ম্যাচে ১৯ পয়েন্টে কলম্বিয়ার অবস্থান পঞ্চম।
আরও পড়ুন
মেসি-ভিনিরা না, বিশ্বকাপের প্রথম দল যখন এশিয়ার |
![]() |
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ডি-বক্সের মধ্যে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ফাউল করে বসেন দানিয়েল মুনোস। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি দিলে স্পটকিক নিতে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। সেরা ফর্মে থাকা বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান পোস্টের বাঁ দিক দিয়ে। জাতীয় দলের হয়ে ৩২তম ম্যাচে এটি তার ১১ নম্বর গোল।
নেইমারের চোটের কারণে ব্রাজিলের বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি পাওয়া রদ্রিগো ১৪তম মিনিটে একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তবে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া তার শট অল্পের জন্য থাকেনি লক্ষ্যে।
এর মিনিট দুয়েক বাদে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখে বিপদ ডেকে আনেন ব্রুনো গিমিরেস৷ এই কার্ড দেখার কারণে এই মিডফিল্ডার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচেটি খেলতে পারবেন না।
২০তম মিনিটে লুইস দিয়াসের পাস ধরে ব্রাজিলের বক্সে প্রবেশ করে শট নেন হামেস রদ্রিগেস, যা পারেনি আলিসনের পরীক্ষা নিতে। ঢিমেতালেই এগিয়ে যায় ম্যাচটি এই সময়ে।
এরই মধ্যে বাড়ে ব্রাজিলের মিডফিল্ড সমস্যা আরও। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মিডফিল্ডার গার্সন। স্কোয়াডে মোটে চার মিডফিল্ডার থাকায় হাতে খুব বেশি বিকল্পও পাননি দরিভাল।
৩৬তম মিনিটে রাফিনিয়ার ক্রসে হেড নিয়েছিলেন গাব্রিয়েল ম্যাগালহায়েস। তবে ছিল না তেমন জোর। এর পাঁচ মিনিট বাদে ব্রাজিলকে চমকে দেন দিয়াস।
ডান দিক থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া মুনোস স্কিলের প্রদর্শনীতে স্পেস তৈরি করে বাড়ান ক্রস। সেখান থেকে হামেসের পা ঘুরে বল চলে যায় দিয়াসের কাছে, যিনি সহজেই পরাস্ত করেন লিভারপুল সতীর্থ আলিসনকে।
আরও পড়ুন
অবশেষে টলিউডে অভিনয় অভিষেক হচ্ছে ওয়ার্নারের |
![]() |
প্রথমার্ধে অনেকটাই নিজের ছায়া হয়ে থাকা ভিনিসিয়ুস বিরতির পরই বাঁদিক থেকে কাট করে এগিয়ে শট নেন। লক্ষ্যে থাকলেও কাজের কাজটা আর হয়নি। একটু পর আবারও গতি দিয়ে কলম্বিয়ার রক্ষণে আঘাত হানেন ভিনিসিয়ুস। তবে প্রতিপক্ষের জমাট ডিফেন্ডিংয়ে সুযোগই তৈরি করতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
৭১তম মিনিটে কলম্বিয়ার একটি আক্রমণ রুখে দিতে এগিয়ে এসে পাঞ্চ করেন আলিসন। তবে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের সাথে সংঘর্ষের পর চেষ্টা করেও পারেননি চালিয়ে যেতে। বাধ্য হয়ে লিভারপুল গোলরক্ষককে তুলে বেন্তোকে নামান দরিভাল।
৯০ মিনিটের বাকি সময়টা চলে দুই দলের কারোরই বলার মত আক্রমণ ছাড়াই। ইনজুরি টাইমে নবম মিনিটে কলম্বিয়াকে হতাশায় ভাসিয়ে ব্রাজিল শিবিরে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেন ভিনিসিয়ুস।
বাম দিক থেকে আবারও কাট করে বল নিয়ে এগিয়ে শট নেন বাক্সের বাইরে থেকে। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারদের মাথায় লেগে বল চলে যায় জালে। এর পরের মিনিটেই তাকে বদলি হিসেবে তুলে নেওয়া হয়। তবে এর আগেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন ফিফার বর্ষসেরা এই ফরোয়ার্ড।
আর্সেনালের কাছে ৩-০ গোলের হার যেন নাড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। প্রথম লেগ শেষেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা আছে বাদ পড়ার শঙ্কায়। তাতে টানাটানি লেগে গেছে দলটির কোচ কার্লো আনচেলত্তির চাকরি নিয়েই। স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো দিচ্ছে তেমন ইঙ্গিতই।
মার্কা ও রেলেভো তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বার্নাব্যু-তে আর্সেনালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ আনচেলত্তির জন্য হতে যাচ্ছে কঠিন পরীক্ষা। যেই পরীক্ষায় ফেল করলে ইতালিয়ান এই কোচকে রিয়াল বরখাস্ত করবে বলেই জানাচ্ছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
অবশ্য শুধু আর্সেনাল ম্যাচই না, গেল কিছু দিন ধরেই রিয়ালের পারফরম্যান্স আশানুরূপ হচ্ছে না। লা লিগায়ও নিজেদের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে তারা হেরেছে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে। তাতে পয়েন্ট টেবিলে বার্সেলোনার সাথে দূরত্ব বেড়েছে। গেল মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচে হার দেখা রিয়াল এবার এরই মধ্যে ১১ ম্যাচ হেরেছে। যেখানে বার্সেলোনার কাছে দুই ম্যাচে নয় গোল হজম করার দুঃস্মৃতিও আছে। তাতে স্বভাবতই দিনকে দিন আনচেলত্তির উপর চাপের মাত্রাটা বেড়েই চলছে।
যদিও অভিজ্ঞ এই কোচের সঙ্গে ২০২৬ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ আছে রিয়ালের। মৌসুমের শেষ দিকে আনচেলত্তিকে বরখাস্ত করা হলে অন্তর্বর্তীকালীন কাউকে দিয়ে কাজ চালানোর কথাও জানিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো।
পরবর্তী কোচ কে হবে রিয়ালের সেটা নিয়েও চলছে গুঞ্জন। ইতালিয়ান জনপ্রিয় সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানোর তথ্য অনুযায়ী, জাবি আলোনসোই হতে যাচ্ছেন রিয়ালের পরবর্তী কোচ।
ফুটবল মাঠে প্রায় দুই দশক ধরে তার বিচরণ। মাঠের ফুটবলের মতো মাঠের বাইরেও বেশ সরব পর্তুগাল অধিনায়ক। ব্যবসায়ী হিসেবেও বেশ সুনাম কামিয়েছেন তিনি। তবে এবার নাম লিখিয়েছেন ভিন্ন জগতে। ঘোষণা দিয়েছেন ফ্লিম স্টুডিও খোলার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে রোনালদো নিশ্চিত করেছেন তার ফ্লিম স্টুডিও নিয়ে আসার খবর। যেটার নাম দেয়া হয়েছে উর-মারভ। যা নিয়ে বেশ আশাবাদী আল নাসর তারকা,
“এটা আমার জন্য বেশ দারুণ এক অধ্যায়। ব্যবসায়িক এই নতুন পথচলা আমি উপভোগ করতে চাই।”
অবশ্য নতুন স্টুডিও রোনালদোর একারই না, ভাগ আছে ব্রিটিশ চলচিত্র প্রযোজক ম্যাথিউ ভনেরও। দু’জনই সমান পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন বলেই জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
এর আগে দু’জন মিলে দুটি অ্যাকশন ছবির অর্থায়ন এবং প্রযোজনা করেছিলেন। ব্লুমবার্গ বলছে এই জুটি একই সিরিজের তৃতীয়টি শুরু করতে চলেছেন খুব শীঘ্রই।
আরও পড়ুন
লিভারপুলেই থাকছেন সালাহ? |
![]() |
গত এক দশকে রোনালদো বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় নাম লিখিয়েছেন। যেখানে আছে হোটেল ব্যবসা, কয়েক দিন আগে পর্তুগাল একটা মিডিয়ার শেয়ারও কিনেছেন। সেই সাথে সম্প্রতি তিনি লিসবনে একটি টেনিস এবং প্যাডেল ক্লাবের মালিকানায়ও নাম লিখিয়েছেন। এছাড়া অবসরের পর তিনি ক্লাবের মালিক হতে চান বলেও জানিয়েছেন কিছু দিন আগেই।
লম্বা ফুটবল ক্যারিয়ারে রোনালদো জিতেছেন প্রায় সব কিছুই। গড়েছেন কত-শত রেকর্ড। বর্তমানে খেলছেন সৌদি ক্লাব আল নাসরের জার্সিতে। চলতি মৌসুমে এরই মাঝে করে ফেলেছেন ৩৪ ম্যাচে ৩০ গোল।
মৌসুমের শুরু থেকেই মোহামেদ সালাহ লিভারপুলে থাকতে চান বলে জানিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে অল রেডদের থেকে মেলেনি সাড়া। তাতে গুঞ্জন চলছিল মৌসুম শেষে লিভারপুল ছেড়ে সালাহ যাচ্ছেন সৌদির পথে। তবে মৌসুমের শেষ দিকে এসে পাল্টে যাচ্ছে চিত্র। ইএসপিএন সহ বেশ কিছু ইংলিশ গণমাধ্যম জানাচ্ছে, লিভারপুলের সঙ্গে নতুন চুক্তির একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন মিশরিয় তারকা।
সালাহ’র সঙ্গে একই সাথে চুক্তি শেষ হচ্ছে লিভারপুল অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক ও তাদের ঘরের ছেলে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড। তিন জনের নতুন চুক্তি নিয়ে গেল কয়েক মাস ধরে চলছে টানাপোড়ন। তবে গেল রবিবার ফন ডাইক ইঙ্গিত দিয়েছেন নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে বেশ। ভিন্ন চিত্র আরনল্ডের ক্ষেত্রে। ২৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার ফ্রি এজেন্ট রিয়ালে যোগ দেওয়ার খবর বেশ জোরালো ভাবেই শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন
গোলের হালিতে ছুটছে বার্সা, মাটিতে পা ফ্লিকের |
![]() |
ইএসপিএন বলছে, সালাহ লিভারপুলে থাকার ব্যাপারে বেশ ইতিবাচক। নতুন কোচের অধীনে খুশিও আছেন তিনি। আছেন দুর্দান্ত ফর্মেও। গোল করছেন, সতীর্থদের দিয়েও করাচ্ছেন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৫ ম্যাচ খেলে ৫৪ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন। যেখেন নিজে করেছেন ৩২ টি, আর সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ২২ টি।
চুক্তির ক্ষেত্রে ইতিবাচক খবর শোনা গেলেও সেটা লম্বা হবে কেন তা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। বয়স বিবেচনায় দুইজনকেই হয়তো অল্প সময়ের জন্য নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।
নেই ভয়, নেই ডর। হান্সি ফ্লিকের অধীনে এই বার্সা বরং প্রতিপক্ষ শিবিরে ছড়াচ্ছে ভীতি। যেই ধারা শুরু মৌসুমের প্রথম থেকে, শেষ প্রান্তে এসেও চলছে তা একই তালে। বুধবার রাতে ঘরের মাঠে তারা উড়িয়ে দিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে। জয় তুলে নিয়েছে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। তাতে প্রথম লেগ শেষে সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তাটা কাতালান ক্লাবটার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে।
এদিন বার্সেলোনার সবগুলো গোল এসেছে আক্রমণভাগের তিন ত্রয়ী লামিন ইয়ামাল, রাফিনিয়া ও রবার্ট লেভানডফস্কির কাছ থেকে। জোড়া গোল করেছেন লেভানডফস্কি, একটা করে গোল করেছেন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া।
আরও পড়ুন
এবার মুভি জগতে নাম লেখালেন রোনালদো |
![]() |
গোলের ফুয়ারা ছুটানো বার্সেলোনা এই মৌসুমে এই নিয়ে চার কিংবা তার থেকে বেশি গোল করেছে ২১ তম বার। সব মিলিয়ে তাদের গোলের সংখ্যাটা পৌঁছেছে ১৪৫-এ। সে হিসেবে গড়ে ম্যাচ প্রতি কাতালান ক্লাবটা করছে তিন গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগেও গোলের দিক থেকে সবার উপরের নামটা বার্সারই। এরই মধ্যে তারা করে ফেলেছে ৩৬ গোল। গোলের দিক থেকে দুইয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ থেকে তারা এগিয়ে আছে সাত গোলে।
গেল কয়েক মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ধুকতে থাকা বার্সার সামনে এবার প্রতিপক্ষের টেকাই যেন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রক্ষণ, মিডফিল্ড কিংবা আক্রমণভাগ কোথাও তারা পাত্তাই দিচ্ছে না প্রতিপক্ষকে। তাতে বার্সা সমর্থকরা ২০১৪-১৫ কিংবা ২০০৮-০৯ এর সেই অদম্য বার্সার স্মৃতিই যেন ফেরত পাচ্ছেন। শুধুই কী তাই? দলটা আছে আরও একবার ট্রেবল জয়ের দৌড়েও।
আরও পড়ুন
মেসি জাদুতে সেমিফাইনালে মায়ামি, অস্বস্তিতে মাশচেরানো |
![]() |
দলের এমন সাফল্যে বার্সা কোচ খুশি হলেও বরাবরের মতই তার পা আছে মাটিতেই। ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে দিয়েও সংবাদ সম্মেলনে উত্তর দিয়েছেন নিজের স্বভাব সুলভ,
“আমরা এখনো সেমিফাইনালে পৌঁছে যায়নি। ফুটবল পাগলাটে খেলা, আপনি বলতে পারবেন না পরের লেগে কী হবে। সেমিফাইনালে যেতে হলে আমাদের ডর্ট্মুন্ডে গিয়েও এমন একটা ম্যাচ খেলতে হবে, কোনো ভুল করা যাবে না। আমরা যথেষ্ট ভালো খেলেছি, আপনি যখন এমন খেলবেন তখন গোল আসবেই।”
প্রথম লেগেই ১-০ তে পিছিয়ে পড়েছিল ইন্টার মায়ামি। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠেও শুরুটা হয় গোল হজম করে। সেখান থেকে লিওনেল মেসির জাদু উদ্ধার করলো তাদের। কনক্যাক্যাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে লস অ্যাঞ্জেলস এফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মায়ামি।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় মায়ামি। নবম মিনিটে অ্যারন লংয়ের গোলে এগিয়ে যায় এলএএফসি। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০-তে, অ্যাওয়ে গোল নিয়মে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে যায় ফ্লোরিডার ক্লাবটি।
আরও পড়ুন
এবার মুভি জগতে নাম লেখালেন রোনালদো |
![]() |
দলের কঠিন সময়ে জ্বলে উঠেন মেসি। ৩৫তম মিনিটে বক্সের মাথা থেকে বাঁ পায়ের নিঁখুত এক শটে ম্যাচে সমতা ফেরান আর্জেন্টাইন জাদুকর। অবশ্য হাভিয়ের মাসচেরানোর দলের তখন আরও দুই গোলের প্রয়োজন। তারা সমতায় ফেরে ৬০ মিনিটে। নোয়াহ অ্যালেন বক্সের মুখে বল চিপ করেছিলেন। মায়ামি মিডফিল্ডার ফেডেরিকো রেডোন্ডো মাথা ছোঁয়ানোর জন্য এগিয়ে গেলেও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। তখন বিভ্রান্ত হন লস অ্যাঞ্জেলস গোলকিপার উগো লরিস। বল চলে যায় জালে।
৮৪তম মিনিটে ভিএআরের হস্তক্ষপে প্রতিপক্ষের হ্যান্ডবলের সিদ্ধান্ত আসে, আর সেখানেই আসে ম্যাচের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত—পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। যেই গোল শেষ পর্যন্ত গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। আর মায়ামি পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে।
পিছিয়ে পড়েও এমন ফিরে আসতে পারায় দারুণ খুশি মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো। ম্যাচ শেষে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মেসিকে,
“সে এই দলের প্রাণভোমরা। মাঝে মধ্যে তাকে নিয়ে কথা বলতে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। কারণ একটা লম্বা সময় সে আমার সতীর্থ ছিল, এখন তাকে আমি কোচ হিসেবে সামলাতে হচ্ছে। সে ফুটবলে সবই জিতেছে, ইতিহাসের সেরা। কিন্তু এখনো নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদের জন্য উদাহরণ তৈরি করছে।”
সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি খেলবে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের বিপক্ষে। প্রথম লেগ হবে ২২, ২৩ অথবা ২৪ এপ্রিল।
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে