১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪:৫৬ এম
লিভারপুল কোচ হওয়ার পর আর্নে স্লট গত শনিবারের আগেও ছিলেন উড়ন্ত ফর্মে। অপরাজিত থেকেই নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল দলটি। তবে মোটেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি তাদের। শেষ পর্যন্ত পেতে হয়েছে মৌসুমে প্রথম হারের তেতো স্বাদ। সাবেক ফুটবলার ও পন্ডিত ক্রিস সাটন মনে করছেন, স্লটের কঠিন সময়ের এটা তো সবে শুরু।
এই গ্রীষ্মে ইয়ুর্গেন ক্লপের স্থলাভিষিক্ত হন স্লট। তার হাত ধরে প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ডের আগে টানা তিন ম্যাচে জিতেছিল লিভারপুল। একটি গোলও হজম করেনি আগে। তবে নটিংহ্যামের সাথে ছন্নছাড়া ফুটবলে ১-০ গোলে হারতে হয়েছে তাদের। এর মধ্য দিয়ে অ্যানফিল্ডে ৫৪ বছর পর দলটির কাছে হেরেছে লিভারপুল। দলের পারফরম্যান্সে হতাশ সমর্থকদের অনেকেই এমনকি বিরতির আগে থেকেই মাঠ ছাড়তে শুরু করেন।
ম্যাচের পর বিবিসি রেডিও ৫ লাইভে সাবেক সেল্টিক স্ট্রাইকার সাটন তাই স্লটকে একটা সতর্ক বার্তাই দিয়েছেন। “আর্নে স্লটের হানিমুন পিরিয়ড শেষ হয়ে গেছে। তার অনেক কাজ বাকি আছে৷ স্লট আন্তর্জাতিক বিরতিটা চাইতেন না। আজকের ম্যাচে ফরেস্ট তার দলকে সব বিভাগেই পেছনে ফেলেছে।”
বিব্রতকর এই হার স্লটের দীর্ঘ এই জয়যাত্রারও ইতি টেনেছে। ৩০ ম্যাচের মধ্যে কোচিংয়ে দল দেখেছে হারের মুখ। এর আগেরটি ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, তখন তিনি ছিলেন ফেনেরবাচের কোচ।
নটিংহ্যামের বিপক্ষে দল যেভাবে খেলেছে, সেটা ভীষণ হতাশ করেছে স্লটকেও। সংবাদ সম্মেলনে শুনিয়েছেন সেই কথাই। “প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা নয়, তবে এটা বড় একটা ধাক্কা। আপনি যদি ঘরের মাঠে হেরে যান, তাহলে সেটা সবসময়ই ধাক্কা হয়ে আসে। আর বিশেষ করে সেটা যদি হয় এমন একটি দলের বিপক্ষে, যারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলার যোগ্যতা অর্জন বা সেরা দশের মধ্যে থাকতে লড়াই করবে। তাই আপনি যদি এমন একটি দলের কাছে হেরে যান, তাহলে সেটা বেশ হতাশাজনক।”
চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে এখন দুইয়ে অবস্থান লিভারপুলের।
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৫৮ পিএম
আরেকবার গোল করতে না পারার আক্ষেপ সঙ্গী বাংলাদেশ। আরেকবার ঘরের মাঠে হার বাংলাদেশের। মালদ্বীপের সাথে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বুধবার ০-১ গোলে হেরেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
২০২১ সালের ১৩ নভেম্বরে ১৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে কলম্বোতে মালদ্বীপকে হারিয়েছিল ২-১ গোলে। তবে আরেকবার সেই ১৩ নভেম্বরে মালদ্বীপকে ঘরের মাঠে পেয়ে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
গেলো বছরের অক্টোবরে এই কিংস অ্যারেনায় মালদ্বীপকে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ২-১ গোলে। এবার আর পারেনি স্বাগতিকরা। আক্ষেপ ঐ গোল না পাওয়াই।
আরও পড়ুন
হাফ ডজন অ্যাটাকের বাংলাদেশের হাফ-টাইমে মালদ্বীপের গোল |
প্রথমার্ধের দারুণ ফুটবল খেলেও গোল পায়নি বাংলাদেশ। উল্টো ১৮ মিনিটে ফাঁকায় হেড গোলে বাংলাদেশ দর্শকদের হৃদয় ভাঙেন এই ফরোয়ার্ড। গোলকিপার মিতুলের তাকিয়ে থাকা ছাড়া যে গোলে করার ছিলনা কিছুই।
এরপরে বার কয়েক চেষ্টা চালিয়ে গোলবারের খোঁজই মেলেনি স্বাগতিকদের।
৬৩ মিনিটে রাকিব বাঁচিয়েছেন বাংলাদেশকে। অথচ যার গোল করার উচিত ছিল। আলি ফাসিরের গোল না হওয়ার পুরো কৃতিত্ব রাকিবের।
৬৪ মিনিটে হাভিয়ের কাবরের আনেন তিন পরিবর্তন। যদিও তিন পরিবর্তন কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি।
৬৯ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের হেড জাল খুঁজে পায়নি। ৭৮ মিনিটে মোরসালিনও খুঁজলেন জাল তবে গল্পটা ঐ একই।
৮৬ মিনিটে মালদ্বীপ গোলকিপারের দারুণ সেইভে রক্ষা পায় সফরকারীরা। মোরসালিনের গোল না পাওয়ার পুরো কৃতিত্ব মালদ্বীপ গোলকিপার হুসেন শরিফের।
আরও পড়ুন
জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণে বসুন্ধরায় মেমোরিয়াল কাপ |
৯০ মিনিটে আবারও বাংলাদেশ সামনের বাধার নাম ঐ শরিফ। রাকিবের এগিয়ে যাওয়া বলে মালদ্বীপ গোলকিপার ঠেকালেন দারুণভাবে। যোগ করা সময়েও রাকিবের গোল পাওয়া হয়নি।
পরের ম্যাচটা ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় একই মাঠে নামবে দুদল। যেখানে বাংলাদেশের মেটাতে হবে গোল ক্ষুধা।
ঘরের মাঠে মালদ্বীপকে আতিথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে দারুন ফুটবল খেললেও কাজের কাজ গোলটা পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। তবে ঠিকই প্রথমার্ধে গোল আদায় করে নেয় সফরকারীরা।
কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আজ প্রথম একাদশে রেখেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মিডফিল্ডার কাজেম শাহ কিরমানিকে। আনিসুর রহমান জিকো থাকলেও কোচের আস্থা মিতুল মারমায়। সাথে একাদশে অভিষিক্ত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপাজয়ী শাকিল আহাদ।
আরও পড়ুন
যেভাবে পাবেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচের টিকিট |
প্রথম পাঁচ মিনিটে অ্যাটাকিং বাংলাদেশের দেখাই মিলেছে। শেখ মোরসালিনের হেড ততক্ষণে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার দর্শকদের দিচ্ছিল আশার বাতাস। গেলো এক বছরের গোল আক্ষেপের বাংলাদেশ কী তবে এবার পাবে গোল?
১৩ মিনিটে ছোট কর্ণারে এগিয়ে যাওয়ার পথেই ছিল মালদ্বীপ। মিতুলের হাত ফসকে গেলেও গোলটা জালে জড়ায়নি বাংলাদেশ ডিফেন্ডারদের কল্যাণে।
পরের মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে নিজের পঞ্চম গোলটা করা হয়নি রাকিব হোসেনের। হেডে গোল মিসের আক্ষেপের রাকিবকে দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, গোলটা করা উচিত ছিল!
ম্যাচের ডেডলক ভাঙা গোল আলি ফাসিরের। ১৮ মিনিটে ফাঁকায় হেড গোলে বাংলাদেশ দর্শকদের হৃদয় ভাঙেন এই ফরোয়ার্ড। গোলকিপার মিতুলের তাকিয়ে থাকা ছাড়া যে গোলে করার ছিলনা কিছুই।
আরও পড়ুন
জয়ের লক্ষ্য রেখেই মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ, বললেন কাবরেরা |
ঠিক পরের মিনিটে গোল শোধের সুযোগ পেলেও কাজের কাজ গোল পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
২৯ মিনিটে ম্যাচে সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। হাফভলি বলে ফাহিমের চেষ্টা ছিক দেখার মতো। তবে এমন দারুণ শটেও আক্ষেপ বলের জাল খুঁজে না পাওয়া।
৩৪ মিনিটে আবারও সুযোগ বাংলাদেশের। রাকিবের বল দারুণভাবে ব্লক করেছেন মালদ্বীপ ডিফেন্ডার ইরুফান।
আরও পড়ুন
১ বছর ফুটবলের বাইরে থাকা মালদ্বীপকে আনছে বাংলাদেশ |
প্রথমার্ধের ঠিক আগে সোহেল রানার দারুণ সুযোগ ঠেকিয়ে দেন মালদ্বীপ গোলকিপার। প্রথমার্ধে দারুণ খেলা বাংলাদেশ কী পারবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে?
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে