৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:১২ পিএম
হারারেতে জিম আফ্রো টি-১০ এর ফাইনালে মুখোমুখি জোবার্গ বাংলা টাইগার্স আর কেপটাউন স্যাম্প আর্মি। কোয়ালিফায়ার ১ জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলা টাইগার্স। এলিমিনেটর আর কোয়ালিফায়ার ২ এ জিতে শিরোপার লড়াইয়ে কেপটাউন। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্যাম্প আর্মি।
১০ ওভারের ম্যাচে শুরুতেই ঝড় তোলেন লংকান কুশাল পেরেরা আর আফগান মোহম্মদ শাহজাদ। ৩.৪ ওভারের ওপেনিং পার্টনারশিপে রান ওঠে ৫৯। ১১ বলে ৩৩ করে আউট হন পেরেরা। ২৫ বলে ৪৪ আসে শাহজাদের ব্যাটে। তিনে নেমে হজরতউল্লাহ জাজাই করেন ১৯ রান। প্রথম ৫ বলে কোন রান না করা ক্যাপ্টেন সিকান্দার রাজা শেষ দুই বলে ৬ হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ১২ করে। স্কোরবোর্ডে রান ওঠে ১২৯।
জিততে হলে করতে হবে ১৩০। প্রতি ওভারে চাই ১৩ করে। সেই অনুযায়ী রান করছিলেন দুই ওপেনার দাউয়িদ মালান আর ব্রায়ান বেনেট। ৬.২ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৩ রান। সপ্তম ওভারেই আউট হন কেপটাউন ক্যাপ্টেন রোহান মোস্তফা। শেষ তিন ওভারে দরকার ৪৫ রান। শেষ ৬ বলে চাই ২১ রান। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলেই ছয় হাঁকান জ্যাক টেলর। ৪ বলে দরকার ৯ রান। তবে, এরপর মাথা ঠান্ডা রেখে ফিনিশ করেন বোলার মুচাওয়া। শেষ চার বলে নাই কোন বাউন্ডারি। ২৮ বলে ৬২ করে মালান আর ৯ বলে ২৩ করে টেলর অপরাজিত থাকলেও ৫ রানে ম্যাচ হারে কেপটাউন। বাংলাদেশী মালিকানাধীন জোবার্গ বাংলা টাইগার্স মাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাসে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:৩৯ পিএম
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:২৪ পিএম
২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ পিএম
বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে ২০২১ সালে অবসর নেওয়ার পর কয়েকবারই আলোচনায় এসেছে প্রত্যাবর্তনের খবর। তবে এবি ডি ভিলিয়ার্স আর ফেরেননি জাতীয় দল বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। সমর্থকদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাঠে ফিরতে প্রস্তুত সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ড (ডাব্লুসিএল) দ্বিতীয় আসরে গেম চেঞ্জার্স সাউথ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নদের হয়ে খেলবেন ডি ভিলিয়ার্স।
জাতীয় দলকে আগেই বিদায় জানানোর পর ডি ভিলিয়ার্স ২০২১ সাল পর্যন্ত চালিয়ে যান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলা। তবে ওই বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিয়ে নেন। বারবার তার ফেরার গুঞ্জন উঠলেও সাড়া দেননি তাতে আর। কয়েকদিন আগে ক্রিকেট মাঠে ফেরার আভাস দেওয়ার পর এবার নাম লেখালেন লিজেন্ড লিগে।
ডাব্লুসিএলের দেওয়া এক বিবৃতিতে ডি ভিলিয়ার্স জানিয়েছেন তার ক্রিকেটে ফেরার আনন্দময় প্রতিক্রিয়া। “চার বছর আগে আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলাম, কারণ আমি তখন আর খেলার তাগিদটা অনুভব করিনি। এখন আমার তরুণ ছেলেরা খেলাটি খেলতে শুরু করেছে। আমরা উঠোনে আরও বেশি বেশি খেলছি, আর সেখান থেকেই মনে হচ্ছে যেন আমার ভেতর নতুন বারুদের সঞ্চার হয়েছে। আর তাই আমি জিম এবং নেট সেশনগুলোতে ফিরতে যাচ্ছি। আমি জুলাইয়ে ডাব্লুসিএলের জন্য প্রস্তুত থাকব।”
ডাব্লুসিএলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, হর্ষিত তুমার মনে করেন, ডি ভিলিয়ার্সদের মত সাবেকদের সুযোগ করে দেওয়াটাই তাদের লিগের স্বার্থকতা। “এই কারণেই আমরা ডাব্লুসিএল চালু করেছিলাম, কারণ আমরা এই খেলাটির কিংবদন্তিদের খুব মিস করি। এবি ডি ভিলিয়ার্সের একজন ভক্ত হিসেবে আমি তাকে মাঠে ফিরে আসতে দেখে রোমাঞ্চিত। আমি নিশ্চিত যে ইংল্যান্ড ও এর বিশ্বের অন্যান্ত প্রান্তের ক্রিকেট প্রেমীরাও তার প্রত্যাবর্তন দেখে আনন্দিত হবে।”
ডাব্লুসিএলের উদ্বোধনী আসরে সাবেক ভারত ব্যাটার যুবরাজ সিংহের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নরা শিরোপা জিতেছিল। সাউথ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স তিনটি ম্যাচের দুটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে থেকে শেষ করেছিল।
বল হাতে একজন পেসার তার সেরা সময়ে প্রতিপক্ষের ওপর ঠিক কতোটা ভীতি ছড়াতে পারেন, গত বছর জুড়ে সেটাই যেন বারবার দেখিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। স্মরণীয় একটি বছর কাটানোর দারুণ এক স্বীকৃতিও পেয়ে গেলেন ভারতের এই তারকা বোলার। আইসিসির ‘মেনস ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার্স’ জিতে মর্যাদাপূর্ণ স্যার গারফিল্ড সোবার্স অ্যাওয়ার্ডে খেতাব জিতেছেন বুমরাহ।
মঙ্গলবার আইসিসি তাদের ওয়েবসাইটে এই ঘোষণা দেয়। সেরার এই লড়াইয়ে বুমরাহ পেছনে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেড ও দুই ইংলিশ জো রুট এবং হ্যারি ব্রুককে।
সব মিলিয়ে ভারতের পঞ্চম খেলোয়ার হিসেবে এই সম্মান পেলেন বুমরাহ। তার আগে এটি পেয়েছেন রাহুল দ্রাবিড় (২০০৪), শচীন টেন্ডুলকার (২০১০), রবিচন্দন আশ্বিন (২০১)) এবং বিরাট কোহলি (বিরাট কোহলির পরে ভারত থেকে এই পুরষ্কারের পঞ্চম প্রাপক ( 2017, 2018)
এক বছরে যখন ক্রিকেট প্রায়শই ব্যাটারদের দিকে ঝুঁকেছিল, জাসপ্রিত বুমরাহ প্রমাণ করেছিলেন যে তিনি কেন সেরা একজন, যদি আধুনিক সময়ের ক্রিকেটের সেরা দ্রুত বোলার না হন।
সেরা ক্রিকেটার হওয়ার আগে আরেকটি পুরষ্কার জিতেছেন বুমরাহ। মাত্র ১৩ টেস্টে ৭১টি উইকেট নিয়ে আইসিসি মেনস টেস্ট ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন ডানহাতি এই পেসার। এবার গেলেন নতুন উচ্চতায়।
আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমান এক নম্বর র্যাঙ্কড বোলার বুমরাহ। গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে ২০-এর কম গড়ে ২০০ উইকেট শিকার করেন বুমরাহ। ভারতীয়দের মধ্যে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সবচেয়ে দ্রুততম বোলার হিসেবে।
দুর্দমনীয় এই পারফরম্যান্সের প্রভাব আইসিসি টেস্ট বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে প্রতিফলিত হয়, যেখানে তিনি অর্জন করেছেন রেকর্ড ৯০৭ পয়েন্ট। ভারতের বোলারদের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট নিয়ে বছর শেষ করার রেকর্ড।
সাদা বলের ক্রিকেটেও কম যাননি বুমরাহ। ২০২৪ সালে ১৭ বছর বাদে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পথচলায় ভারতকে নেতৃত্ব দেন সামনে থেকে। মাত্র ৮.২৬ গড় ও ৪.১৭ ইকোনমি রেটে নেন ১৫ উইকেট। ফাইনালেও তিন উইকেট নিয়ে গড়ে দেন ব্যবধান। হন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও।
এরপর লাল বলের ক্রিকেটে গত বছরের শেষের দিকে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ফের সেরা ছন্দে হাজির হন বুমরাহ। পাঁচ টেস্টে ৩২ উইকেট নিয়ে জেতেন সিরিজ সেরার খেতাব। ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ৭৭ উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ, যা সবার চেয়ে বেশি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াড দেওয়ার পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে চোটের থাবা যেন থামছেই না। এসএ২০-তে খেলার সময় পার্ল রয়্যালস ব্যাটার ডেভিড মিলার কুঁচকিতে চোট পেয়েছেন। ফলে শঙ্কা জেগেছে আগামী আসের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার অংশগ্রহণও।
ডারবান সুপার জায়ান্টদের বিপক্ষে গত সোমবারের ম্যাচে মার্কাস স্টয়নিসের একটি শট থামাতে ঝাঁপিয়ে প্রচেষ্টা চালান মিলার। এরপরও পান চোট। আর সেটা যে গুরুতর, সেটা বোঝা যায় তার ফিজিওদের সহায়তা ছাড়াই মাঠ ছাড়া থেকে। এরপর আর ব্যাট করতেও নামেননি।
ম্যাচের পর সুপারস্পোর্টের সাথে আলাপচারিতায় মিলার তার চোট নিয়ে যা বলেছেন, সেটাও খুব আশাবাদী হওয়ার মত নয়। “আমার ডান কুঁচকি একটু আঁটসাঁট অবস্থায় আছে। এটা খারাপ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়ার চেষ্টা করেছি।”
মিলার ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা পার্ল রয়্যালসেরই আরেক খেলোয়াড় চোটের কারণে মাঠে নেই এই মুহূর্তে। পেসার লুঙ্গি এনগিদি তার টানা চতুর্থ ম্যাচ মিস করেছেন।
টানা তিন জয়, যার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী রংপুরের বিপক্ষেই দুটি, প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখা দুর্বার রাজশাহীকে নিয়ে এরপরও আলোচনা হচ্ছে ভুল কারণ। আসরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক দফায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি খবরের শিরোনাম হয়েছে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক সংক্রান্ত জটিলতায়। সবশেষ এসেছে খেলোয়াড়দের চেক দুইবার চেক বাউন্স হওয়ার খবরও। এরই মাঝে রাজশাহীর ম্যানেজার ও সাবেক জাতীয় দলের ওপেনার মেহরাব হোসেন অপি জানালেন, তিনি এখন পর্যন্ত কোনো পেমেন্ট পাননি।
বিপিএলের সিলেটে পর্বে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল রাজশাহীর খেলোয়াড়দের পেমেন্ট নিয়ে সমস্যার দিকটি। অনুশীলন বয়কটের ঘটনাও ঘটে একবার। এরপর প্রাথমিকভাবে একটি অংশের পেমেন্ট হওয়ার সব ঠিক হওয়ার আভাস মেলে। তবে এরপরের পেমেন্টের অংশটির চেক হয় বাউন্স। সেই রেশ না কাটতেই ফিরতি চেকও বাউন্স করেছে বলে মঙ্গলবার খবর এসেছে।
মিরপুরে হাজির হওয়া অপির কাছে তাই মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে চান, তিনি পারিশ্রমিক পেয়েছেন কিনা। আর সেখানেই পাওয়া যায় বিস্ময়কর জবাব।
“আমি এখনও পাইনি। আমাকে কোনো চেক দেয়নি। আমি এটা নিয়ে চিন্তিত না। কারণ, মালিকপক্ষের পক্ষ থেকে আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এই ব্যাপারে। তবে খেলোয়াড়রা পেয়েছে। ২৫ শতাংশ যা দেওয়ার কথা ছিল, সেটা তারা পেয়েছে। গত পরশুদিন খেলোয়াড়দের ২৫ শতাংশের চেক দেওয়া হয়েছে।”
পারিশ্রমিক নিয়ে নানা জটিলতার মাঝেও রাজশাহীর ক্রিকেটাররা মাঠে নিজেদের সেরাটাই উজাড় করে দিচ্ছেন। টানা তিন ম্যাচ জিতে এখনও টিকিয়ে রেখেছে প্লে-অফের আশা। তবে দুইবার চেক বাউন্সের ব্যাপারটি যদি সত্যি হয়, তাহলে সেটা খেলোয়াড়দের জন্য বড় এক ধাক্কা হয়েই আসবে।
অপি অবশ্য এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
“আমি কিন্তু কোনো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এই অভিযোগটা অফিশিয়ালি পাইনি। আমি শুনিনি। আমি যেহেতু জিনিসটা জানি না, তাই আমি এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আমাকে কিন্তু কেউ বলেনি যে বাউন্স করেছে। দেখুন, এখনও যেহেতু আমাদের হাতে সাত দিন সময় আছে, আমি মনে করি এরই অধ্যে সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে।”
রংপুরের বিপক্ষে ঢাকা পর্বের ম্যাচের দিন রাজশাহীর বিদেশী ক্রিকেটারদের পেমেন্ট নিয়ে জটিলতায় নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হয় বিপিএল। দলতির একজন বিদেশীও মাঠে আসতে রাজি হননি পারিশ্রমিক না পাওয়ায়। ফলে বিপিএলে প্রথমবার একটি দল মাঠে নামে ১১ জন দেশি খেলোয়াড় নিয়েই।
তবে অপির আশা, তারা প্লে-অফে গেলে এমন কিছু হবে না আর।
“আমাদের বিদেশী খেলোয়াড়রা প্রস্তুত আছে। দেখেছেন যে শেষ ম্যাচে তারা খেলেছে। আমরা যদি প্লে অফে যাই, তাহলে তারা খেলবে। খেলোয়াড়রা সবাই হোটেলেই আছে। কেউ হোটেল ছেড়ে যায়নি। আমরা সবাই একসাথেই আছি।”
স্লো উইকেটে ব্যাটিং করাটা চ্যালেঞ্জিং হলেও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটারদের কেউই পারলেন না বলার মত ইনিংস খেলতে। দারুণ এক স্পেলে ম্যাচ সেরা এসএম মেহেরব নিলেন ইনিংসের প্রায় অর্ধেক উইকেট। রংপুর রাইডার্সকে টানা দুই ম্যাচ হারানো দুর্বার রাজশাহী শুরুতে খাবি খেল বটে, তবে আকবর আলি ও রায়ার্ন বার্লের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় পেল তাসকিন আহমেদের দলই।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩৬তম ম্যাচে লো-স্কোরিং ম্যাচে রাজশাহী জিতেছে ৫ উইকেটে। সিলেট করেছিল ৯ উইকেটে ১১৭, যা তাসকিনের দল পাড়ি দিয়েছে ১৯ বল হাতে রেখেই।
ওই জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহী উঠে এসেছে তৃতীয় অবস্থানে। এখনও টিকে আছে দলটির প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা।
সিলেটের ইনিংসের শুরুতেই দেখা মেলে চমকের, ওপেন করতে নেমে যান অধিনায়ক আরিফুল হক। তবে তিনিও পারেননি ওপেনিং সমস্যার সমাধান করতে। ব্যর্থ হন সামিউল্লাহ শিনওয়ারিও। আসরে সিলেটের সেরা ব্যাটার জাকির হাসান চাপ সামাল দিয়ে খেলেন কিছুটা মন্থর গতিতে।
তবে অন্যপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল অব্যাহতই থাকে। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে জাকির যখন ২৪ রানে বিদায় নেন, দলীয় স্কোর মাত্র ৬৩। স্লো উইকেটে শিশিরের প্রভাবে রান করাটা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ে ব্যাটারদের জন্য। সেখান থেকে লড়িয়ে এক ইনিংস খেলে মান রক্ষা করেন আহসান ভাট্টি।
এরপরও একশ পার করাটা কঠিনই হয়ে যাচ্ছিল প্রায়। তবে বোলার সুমন খান রাজশাহীকে চমকে দিয়ে উপহার মাত্র ১১ বলে ২০ রানের ক্যামিও, যা তার দলকে এনে দেয় একটা ফাইট করার মত স্কোর। ১৫ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন এসএম মেহেরব।
আগেরদিন এই রাজশাহী ১১৯ রান নিয়েই হারিয়ে দিয়েছিল রংপুরকে। ফলে, সিলেটের জন্য ছিল বাড়তি অনুপ্রেরণা। প্রথম ওভারে সাব্বির হোসেনকে ফিরিয়ে সেই স্বপ্নের পালে হাওয়া দেন তানজিম হাসান সাকিব। চার-ছক্কা হজম করলেও জিসান আলমকে শিকার বানিয়ে হাসি হাসেন জন-রাস জাজ্ঞেসারই।
এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলিও পারেননি এই দুই বোলারের তোপ সামলাতে। ফলে, ২২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপ জেকে বসে রাজশাহী শিবিরে।
তবে ক্রিজে গিয়েই পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষকেই চাপে ফেলে দেন বার্ল ও আকবর। জিম্বাবুয়ে ব্যাটার সুমন খানকে মারেন দুই চার। আর স্পিনার জাজ্ঞেসারের এক ওভারে তিনটি বাউন্ডারি আসে আকবরের ব্যাট থেকে।
বল-রানের ব্যবধান কমে আসায় এরপর ধরে খেলেই ইনিংস এগিয়ে নেন দুই ব্যাটার। বাজে বল পেলেই মারছিলেন বাউন্ডারি, আর তাতেই কাজ হয়ে যায় সহজে। সুমন ও তানজিমকে দুটি ছক্কা মেরে চল্লিশে পা রাখা আকবর এরপর আর বেশি টিকতে পারেননি।
তবে তার বিদায়ে দলকে বিপদে পড়তে দেননি বার্ল। দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে। ৩৪ বলের ইনিংস সাজান ৩৪ বলে, ৫ চার ও দুই ছক্কায়।
১১ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে