১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:৫৭ পিএম

চোট কাটিয়ে নেইমার আছেন ফেরার লড়াইয়ে। মাঠের ফুটবল নিয়ে লম্বা সময়ই আলোচনার বাইরে তিনি। তবে মাঠের বাইরের নানা সব কাণ্ডে নিয়মিতই আলোচনায় আসেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সম্প্রতি তার দেওয়া এক সাক্ষাৎকার নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক, যেখানে নিজের তুলনা টেনেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা রিভালদোর সাথে।
সম্প্রতি ব্রাজিলের আরেক বিশ্বকাপজয়ী স্ট্রাইকার রোমারিও’র সঙ্গে এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে কথা বলেন নেইমার। সেখানে তিনি আল হিলাল তারকাকে ব্রাজিলের সবশেষ বিশ্বকাপ জেতা ২০০২, ১৯৯৪ এবং ১৯৭০ আসরে কার জায়গায় নিজেকে দেখছেন, এমন প্রশ্ন করেন। জবাব দেওয়ার আগে সেরা ফর্ম কিনা, সেটা নিশ্চিত হয়ে ২০০২ আসরে কিংবদন্তি তারকা রিভালদোর নাম উল্লেখ করেন নেইমার। তার জায়গায় নেইমার তৎকালীন ব্রাজিল দলে খেলতে পারতেন বলেই দাবি করেন। যা খুব একটা ভালো লাগেনি রিভালদোর।
আরও পড়ুন
| ইউনাইটেড ছাড়ছেন আন্তোনি? |
|
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে বিষয়টি নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বার্সেলোনা কিংবদন্তি।
“নেইমারকে বলেছে, ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে সে ২০০২ বিশ্বকাপে আমার জায়গায় খেলত পারত। সত্যি বলতে, তার প্রতিভাকে আমি মোটেও অস্বীকার করছি না। তবে এটাও মানি, সে হয়ত ওই দলে থাকতে পারত। তবে আমার জায়গায় খেললে গল্পটা ভিন্নরকম হতে পারত। তার প্রতি সম্মান জানিয়ে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি এটা (যেভাবে ঘটেছে সেভাবে) হতো না। সেই সময়ে আমি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে এতটাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও ক্ষুধার্ত ছিলাম যে, কেউ তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে যতই ভালো খেলুন না কেন, আমার জায়গা নিতে পারত না।
রিভালদোর পোস্টের পর বসে থাকেননি নেইমারও। জবাবটা দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই।
“শান্ত হন বন্ধু আমার! বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া সব ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারই দলের জন্য শতভাগ নিবেদিত থাকেন, সেরাটা দিতে চান। তবে কেউ কেউ সাফল্যের দেখা পান, অনেকে পান না। যা খেলারই অংশ। আমি সবসময়ই আপনাকে সম্মান করি এবং ব্রাজিল ফুটবলের জন্য আপনি যে অর্জন নিয়ে এসেছেন সেই কৃতিত্ব অস্বীকার করছি না। তিনজনের মধ্যে এটি সাধারণ একটি বাছাই প্রক্রিয়া এবং আপনি নিশ্চয়ই আমাকে রোনালদো কিংবা রোনালদিনিয়োর জায়গায় দেখতে চাইবেন না, তাই না?”
No posts available.
৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৭ এম

২০২৩ সালে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন লিওনেল মেসি। প্রায় তিন বছর পর ক্লাবটির হয়ে প্রথমবার এমএলএস কাপ জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। শনিবার রাতে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ফাইনালে মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে ভ্যাঙকুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করার পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়নদের কাতারে নাম লেখালো ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ক্লাবটির।
ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে মেসি স্বীকার করেছেন যে ট্রফিটি ছিল তাঁর এবং দলের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর চূড়ান্ত পরিণতি, ‘তিন বছর আগে, আমি এমএলএসে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এবং আজ আমরা চ্যাম্পিয়ন। দলের সবার অক্লান্ত প্রচেষ্টা ছিল। এটি একটি দীর্ঘ বছর, অনেক ম্যাচ ছিল। আমরা পুরো মৌসুম ধরে পরিশ্রম করেছি, চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। এই মুহূর্তটির জন্যই আমি অপেক্ষা করছিলাম, এবং আমরা একটি দল হিসাবে যার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এটি আমাদের সকলের জন্য সুন্দর মুহূর্ত। আমরা এই শিরোপার যোগ্য ছিলাম।’
ফাইনালে মেসি ছিলেন বরাবরেই মতোই দুর্দান্ত। ইন্টার মায়ামির তিন গোলের দুটিতে অ্যাসিস্ট করেছেন ৩৮ বছর বয়সি তারকা। নিজের ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ৪৮তম শিরোপা। খেলা শেষে মেসির প্রশংসা করেছেন ইন্টার মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো, ‘গত তিন-চার ম্যাচে তাঁর (মেসি) প্রচেষ্টা ছিল চোখে পড়ার মতো। সে বুঝয়েছিল জয় তাঁর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমি তাঁকে কিছুই করতে বলিনি। কিন্তু নিজ থেকে তাঁর প্রচেষ্টা জানান দেয় এটি কতটা বিশেষ। কারণ সে এখানে এই ট্রফি জিততে এসেছিল।’
এদিন ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। তবে ৬০ মিনিটে ১-১ গোলের সমতায় ফেরে ভ্যাঙকুভার। এরপর ৭১ ও ইনজুরি সময়ের ৬ মিনিটে মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে গোল করেন ডি পল ও তাদেও আলেন্দে।
ম্যাচ শেষে মাচেরানো বলেন, ‘আমরা খুব, খুব ভালো একটি দলের মুখোমুখি হয়েছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫-২০ মিনিট তারা আমাদের চাপে ফেলেছিল। আমরা খুব ভাগ্যবান ওদের দুটি শট পোস্টে লাগে। কিন্তু কখনও কখনও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আপনার ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়।’
বন্ধু আলবা-বুসকেটসকে বিদায় জানান মেসি
এই মৌসুম শেষে অবসর নেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন বার্সেলোনায় মেসির সাবেক সতীর্থ জর্ডি আলবা এবং সার্জিও বুসকেটস। তাঁদেরকে অভিনন্দন জানাতেও এদিন ভুল করেননি ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা মেসি, ‘খেলোয়াড় হিসেবে তাঁরা দুজনেই ইতিহাসের সেরাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। এটা অসাধারণ যে তাঁরা এমএলএস শিরোপা নিয়ে অবসর নিতে পারছে। আজ তাঁদের জন্য খুব সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। এমন কিছু অর্জন করেছে যার জন্য তাঁরা তাঁদের পুরো জীবন উৎসর্গ করেছে। এখন থেকে তাঁদের একটি নতুন জীবন শুরু হবে। আমি তাঁদের শুভকামনা জানাই। কারণ তাঁরা দুজনই আমার বন্ধু, যাদের আমি গভীরভাবে ধারণ করি। আমি খুশি যে তাঁরা এই শিরোপা নিয়ে যেতে পারছে।’

নতুন মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের হতাশা যেন কাটছেই না। শনিবার রাতে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জয় পায়নি অল রেডরা। এল্যান্ড রোডে লিডসের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে আর্নে স্লটের দল।
এই ড্র’য়ে ১৫ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে লিডস ইউনাইটেড।
লিডসের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোন দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্রুত দুই গোল করে লিভারপুল। ৪৮ ও ৫০ মিনিটে জোড়া গোল করেন হুগো একিটিকে।
আরও পড়ুন
| বদলি নেমে কেইনের হ্যাটট্রিক, বায়ার্নের দাপুটে জয় |
|
যখন সহজ জয়ের আভাস পাচ্ছিল লিভারপুল তখনই যেন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। ৭২ মিনিটে উইলি নিয়ান্তোকে ফাউল করায় ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি পায় লিডস। স্পট কিক থেকে গোল করেন লিডসের ডমিনিক ক্যালভার্ট-লুইন। ৭৫ মিনিটে অ্যান্টন স্ট্যাচের গোলে স্কোরলাইন হয় ২-২।
৮০ মিনিটে রায়ান গ্রাফেনবার্খের দারুণ পাস থেকে দমিনিক সোবোসলাই লিভারপুলকে আবারও এগিয়ে দেন। মনে হচ্ছিল কোনোমতে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরবে অতিথিরা।
কিন্তু যোগ করা সময়ে আবার ছন্দপতন। ৯০+৬ মিনিটে কর্নার থেকে জাপানি মিডফিল্ডার তানাকার গোলে আবারও সমতায় ফেরে লিডস। ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।

শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। শনিবার রাতে রিয়াল বেতিসকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের দল। বার্সেলোনার হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন ফেরান তোরেস।
এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে বার্সেলোনা। ১৫ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে রেয়াল বেতিস।
বেতিসের মাঠে মাত্র ছয় মিনিটেই গোল হজম করে বসে বার্সেলোনা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক উইঙ্গার অ্যান্টনি মৌসুমের পঞ্চম গোল করে বেতিসকে এগিয়ে নেন।
সেই লিড টেকে মাত্র পাঁচ মিনিট। দুর্দান্ত দলীয় প্রচেষ্টায় শেষে কাছ থেকে বল জালে ঠেলে সমতায় আনেন ফেরান তোরেস। তার দুই মিনিট পরই আবারো দলকে এগিয়ে দেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
৩০ মিনিটে জোড়ালো শটে ব্যবধান বাড়ান রুনি বার্দগি। পেদ্রির পাস থেকে লা লিগায় নিজের প্রথম গোল করেন ২০ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।
৪০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তোরেস। প্রথমার্ধেই ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় কাতালান ক্লাবটি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় বার্সা। স্পট কিক থেকে লামিন ইয়ামাল সহজেই গোল করে ব্যবধান বাড়ান (৫-১)।
৮৫ মিনিটে দিয়েগো লোরেন্তে ব্যবধান কমান বেতিসের হয়ে। যোগ করা সময়ে কুন্দের ফাউলে আবার পেনাল্টি পায় তারা। কুচো হার্নান্দেজ গোল করলে শেষ পর্যন্ত স্কোর দাঁড়ায় ৫-৩।
রাতের আরেক ম্যাচে আবারো হোচট খেয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে ১-০ গোল হেরেছে দিয়েগো সিমিওনের দল।
৮৫ মিনিটে বিলবাওয়ের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অ্যালেক্স বেরেঙ্গুয়ার। এই নিয়ে লিগে টানা দুই ম্যাচ হারল আতলেতিকো। ১৬ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে তারা।

বেঞ্চ থেকে বদলি হিসেবে নামতেই সব আলো নিজের করে নিলেন হ্যারি কেইন। মাত্র ২৭ মিনিটের মধ্যে করলেন হ্যাটট্রিক।
চলতি মৌসুমে বুন্দেসলিগায় কেইনের এটি তৃতীয় হ্যাটট্রিক। ২২ ম্যাচে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কেইনের গোল এখন ২৮টি।
প্রতিপক্ষের মাঠ এমএইচপি অ্যারেনায় শনিবার রাতে স্টুটগার্টকে ৫-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে স্টুটগার্ট।
ম্যাচের শুরুতে ১০ মিনিটেই লিড নেয় বায়ার্ন। মিখায়েল ওলিসের ক্রসে কনরাড লাইমারের চমৎকার ফ্লিক স্টুটগার্ট গোলকিপার আলেকজান্ডার নুবেলকে পরাস্ত করে।
আরও পড়ুন
| মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন মায়ামি |
|
গোল খেয়ে জেগে ওঠে স্টুটগার্ট। বিরতির ঠিক আগে নিকোলাস নর্টে হেডে বল জালে পাঠান। তবে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়।
৬০ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনের বদলি হিসেবে কেইনকে নামান ভিনসেন্ট কোম্পানি।
পাঁচ মিনিটের মধ্যেই জাল কাঁপান ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে তার নিচু শটে বল জালে জড়ায়।
এর পরপরই বদলি হিসেবে নামা যোসিপ স্টানিসিচ গোল করে স্কোরলাইন ৩-০ করেন।
৮০ মিনিটে হাত দিয়ে বল থামানোয় সরাসরি লালকার্ড দেখেন লরেঞ্জ আসিনিওন। ফলে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। ঠাণ্ডা মাথার শটে বল জালে পাঠিয়ে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোল করেন কেইন।
পরে ৮৭ মিনিটে ওলিসের ক্রসে দারুণ ফিনিশিংয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কেইন। কাছ থেকে বল ঠেলে দেন পোস্টে।

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এবার ক্লাবটিকে তিনি প্রথমবারের মতো জেতালেন এমএলএস কাপ।
বাংলাদেশ সময় শনিবার মাঝরাতে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করার পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়নদের কাতারে উঠল ডেভিড বেকহামের ক্লাবটি।
এই জয়ে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে মেসির ঝুলিতে যোগ হলো ৪৮তম শিরোপা। একইসঙ্গে এমএলএস কাপের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় মায়ামি। ৮ মিনিটে তাদেও আলেন্দের শট ঠেকাতে গিয়ে বল ভুলবশত নিজেদের জালে পাঠান ভ্যাঙ্কুভারের এডিয়ের ওকাম্পো।
আরও পড়ুন
| আজ শেষবার মাঠে নামছেন বার্সেলোনার দুই কিংবদন্তি |
|
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ভ্যাঙ্কুভার। ৬০ মিনিটে আলি আহমেদের শটে সমতায় ফেরে তারা। আলির দূর থেকে নেওয়া শট মায়ামি গোলকিপারকে পরাস্ত করে জালে জড়ায়।
ম্যাচ যখন সমতায়, তখনই জ্বলে ওঠেন মেসি। ৭১ মিনিটে প্রতিপক্ষের অর্ধে বল কেড়ে নেওয়ার পর দুর্দান্ত এক পাস দেন রদ্রিগো দে পলের দিকে। বল জালে পাঠিয়ে মায়ামিকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।
শেষ মুহূর্তে গোলের খোঁজে চাপ বাড়ায় ভ্যাঙ্কুভার। কিন্তু যোগ করা সময়ের ৯৬তম মিনিটে আবারও মেসির ম্যাজিক। তার নিখুঁত পাস থেকে আলেন্দে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন। শেষ বাঁশি বাজার পর স্টেডিয়ামজুড়ে শুরু হয় উদ্যাপন।
এদিনই ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেললেন সার্জিও বুসকেটস ও জর্ডি আলবা। দুই সাবেক বার্সা তারকার বিদায় বরণ হলো শিরোপা উদ্যাপনের মাঝেই।