অন্যান্য যে কোনো দিনের চেয়ে বুধবার হয়তো রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জন্য বিশেষ। কারণ এদিনই তিনি দিলেন বিশেষ এক ঘোষণা। যা শুধু তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সমাপ্তি নয়, বরং শুরু হচ্ছে নতুন এক অধ্যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বুধবার সকালে অশ্বিন জানিয়েছেন, দীর্ঘ আইপিএল যাত্রার পর এবার বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ খুঁজবেন তিনি।
“প্রত্যেক সমাপ্তির মধ্যেই থাকে নতুন শুরু। আমার আইপিএল ক্যারিয়ার আজ শেষ, কিন্তু এবার শুরু হচ্ছে নতুন যাত্রা- বিশ্বের নানা লিগে খেলার।”
আরও পড়ুন
১১ বছর পর বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস |
![]() |
অশ্বিনের আইপিএল যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ স্পিনার হিসেবে ভূমিকা রাখেন লম্বা সময়।
এরপর রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন তিনি। দীর্ঘ আইপিএল ক্যারিয়ারে তার নামের পাশে উইকেট ১৮৭টি। আইপিএলে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে আর ৪ জনের।
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে তিনবার আইপিএল ট্রফি জয়ের সাফল্যও আছে অশ্বিনের।
আইপিএল থেকে অবসর নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজক ও ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অশ্বিন।
“সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে তাদের সঙ্গে কাটানো অসাধারণ স্মৃতি ও সম্পর্কের জন্য ধন্যবাদ জানাই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে আইপিএল ও বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাই, যা তারা আমাকে এ পর্যন্ত দিয়েছে। সামনে যা আছে তা উপভোগ করার ও সর্বোচ্চ ব্যবহার করার অপেক্ষায় আছি।”
ভারতীয় দলের হয়েও অশ্বিনের অবদান অসাধারণ। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অংশ ছিলেন তিনি, ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
আরও পড়ুন
বিহারির পথ ধরে দল বদলে ফেলছেন শঙ্কর |
![]() |
টেস্টে ৫৩৭ উইকেট তুলে ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে তার উইকেট সংখ্যা ৭৬৫টি। ব্যাট হাতে ৬টি টেস্ট সেঞ্চুরি ও ১৪টি হাফসেঞ্চুরিসহ ৩ হাজার ৫০৩ রান করেছেন তিনি।
আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর পর অশ্বিনকে ইংল্যান্ডের ‘দ্য হান্ড্রেড’, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা বিগ ব্যাশ লিগের মতো বিশ্বের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে দেখা যেতে পারে।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
সিলেটে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভা ডেকেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাদের সবশেষ সভা হয়েছিল গত ৯ আগস্ট মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।
বিসিবির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, এবারের সভার অন্যতম এজেন্ডা হবে আগামী বোর্ড নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন গঠন।
গত সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে আগামী সভায় সরাসরি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
ভারতকে আবারও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিল ফিফা |
![]() |
সভার সময়সূচি মিলে গেছে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে। ৩০ আগস্ট দুই দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ১ সেপ্টেম্বর, শেষ ম্যাচ ৩ সেপ্টেম্বর।
সিরিজের সব ম্যাচ হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। আর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির দিনই পরিচালনা পর্ষদের সভা।
গত দুই বছরে ৮ কোচ পরিবর্তন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে দলের নেতৃত্বেও পরিবর্তন ৮ বার। গত তিন বছরে ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান পদেও বসলেন চারজন। নির্বাচক প্যানেলে ছিল আরও বেশি রদবদল। গত কয়েক বছরে- দল নয়, বদলেই বেশি ব্যস্ত ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পাকিস্তান ক্রিকেটের অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা হিসেবে এই ‘চেয়ার-খেলাকে’ চিহ্নিত করেছে পিসিবির বোর্ড অব গভর্নরস (বিওজি)। এই সংকটের বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির ক্রিকেটে। লাহোরে বিওজির কয়েক ঘণ্টার সংকট-বৈঠকে উঠে এসেছে এই সমস্যাগুলো। দলের অবস্থান অবনতির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে- পিসিবির অস্থিরতা, খেলোয়াড়, বার বার কোচ পরিবর্তন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ম্যাচ সংখ্যা কমানো এবং ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ) বন্ধ হয়ে যাওয়া।
আরও পড়ুন
পুরোনো কোচকে নতুন করে ফেরাল আফগানিস্তান |
![]() |
১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তান দল বর্তমানে টেস্টে সপ্তম, টি-টোয়েন্টিতে অষ্টম ও ওয়ানডেতে পঞ্চম স্থানে আছে। ওয়ানডের অবস্থান তুলনামূলক ভালো হলেও দীর্ঘদিন হলো দলটি কোনো উল্লেখযোগ্য টুর্নামেন্ট জেতেনি। সবশেষ ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতে। দলের সেরা ব্যাটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও সম্প্রতি চুক্তির ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় দল, নারী দল এবং পাকিস্তান শাহীনসের (‘এ’ দল) ধারাবাহিক অবনতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে সম্প্রতি লাহোরে বৈঠক করেছে পিসিবি কর্মকর্তারা। বৈঠকে বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিও উপস্থিত ছিলেন, যদিও তিনি ছিলেন ১৫–২০ মিনিটের মতো।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিভাগ বৈঠকে তোপের মুখে পড়লেও তারা ব্যাখ্যা দিয়েছে, ২০২১ সালের পর থেকে পিসিবিতে চারজন চেয়ারম্যান বদল হয়েছেন। ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন রমিজ রাজা। তারপর নাজম শেঠি ও জাকা আশরাফ স্বল্প মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেন নাকভি। প্রতিটি চেয়ারম্যানই দল কাঠামোয় বড় পরিবর্তন এনেছেন— অধিনায়ক, নির্বাচক থেকে শুরু করে কোচিং প্যানেলে।
আরও পড়ুন
প্রীতির হ্যাটট্রিকে নেপালকে বিধ্বস্ত করল বাংলাদেশ |
![]() |
২০২১ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ মাত্র দুই ম্যাচে সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্তও দলের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে জানানো হয়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই (২০২৭ সাল থেকে) ঐতিহ্যবাহী হোম-অ্যাওয়ে সিরিজে (তিন টেস্ট, তিন ওয়ানডে, তিন টি-টোয়েন্টি) ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।
ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি বন্ধ হয়ে যাওয়া বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনায় আসে। হাই পারফরম্যান্স সেন্টার বিওজিকে পরামর্শ দিয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়ক, কোচ ও নির্বাচক নিয়োগ দিতে, যাতে বারবার পরিবর্তনের কারণে দলের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে অস্থিরতা তৈরি না হয়। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, দ্রুত দেশটির ক্রিকেট অ্যাকাডেমিগুলো আবার চালু করা হবে এবং এক বছরের মধ্যেই ইতিবাচক ফল মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রায় ৬ বছর আগে বিদায় জানানো কোচকে আবার নতুন করে দলে ফেরাল আফগানিস্তান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সামনের ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে তারা ফিল্ডিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিলো আয়ারল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার জন মুনিকে।
এছাড়া ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে শ্রীলঙ্কার নির্মালান থানাবালাসিঙ্গামকে নিয়োগ দিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। দুজনই এরই আফগানিস্তানের চলমান প্রস্তুতি ক্যাম্পে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৮ সালে প্রথম আফগানিস্তানের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন মুনি। সেবার ১ বছর কাজ করেন আইরিশ এই সাবেক অলরাউন্ডার। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে যোগ দেন তিনি।। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে অস্থায়ী দায়িত্বে আইরিশ নারী দলের সঙ্গে কাজ করেন মুনি।
আরও পড়ুন
রিয়ালের পর লেভারকুসেনে ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন ভাসকেজের |
![]() |
খেলোয়াড়ি জীবনে ২০০৬ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সময়ে আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৬৪ ওয়ানডে ও ২৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন মুনি। দেশের হয়ে টানা তিনটি (২০০৭, ২০১১, ২০১৫) বিশ্বকাপও খেলেন পেস বোলিং এই অলরাউন্ডার।
২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের ঐতিহাসিক জয়ে মুনির ব্যাট থেকেই আসে ম্যাচ জেতানো শট।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একাধিক ক্রিকেটারের। বুধবার প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ের সবশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, ব্যাটসম্যান ও বোলারদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাকাইয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ে ২ উইকেটে ৪৩১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ট্রাভিস হেড (১৪২), মিচেল মার্শ (১০০) ও ক্যামেরন গ্রিন (১১৮*) র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন।
হেড এক ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ১১ নম্বরে উঠেছে। মার্শ চার ধাপ উঠে ৪৪ নম্বরে আর ৪০ ধাপ লাফিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৭৮ নম্বরে উঠে গেছেন গ্রিন। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৭ রানের ইনিংস খেলা জশ ইংলিস ৩২ ধাপ এগিয়ে এখন আছেন ৬৪ নম্বরে।
আরও পড়ুন
আমরা ইউরোপের জন্য প্রস্তুত নই: ইউনাইটেড কোচ |
![]() |
ব্যাটসম্যানদের তালিকার শীর্ষ তিনে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভারতের দুই তারকা শুবমান গিল (৭৮৪ রেটিং) ও রোহিত শর্মা (৭৫৬) যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছেন। পাকিস্তানের বাবর আজম (৭৩৯) অবস্থান করছেন তৃতীয় স্থানে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজের সমান ৬৭১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ভাগ করে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার রহস্য স্পিনার মাহিশ থিকশানা। সিরিজের শেষ ম্যাচে ১ উইকেট নিতে ৫৭ রান খরচ করে কিছু রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে থিকশানার সমান হয়ে গেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লুঙ্গি এনগিডি তিন ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭ উইকেট নিয়ে এগিয়েছেন ছয় ধাপ, এখন তার অবস্থান ২৮তম। অস্ট্রেলিয়ার শন অ্যাবট নয় ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ৪৮তম আর নাথান এলিস ২১ ধাপ উঠে ৬৫তম স্থানে।
২৭ আগস্ট ২০২৫, ২:১০ পিএম
অস্ট্রেলিয়ার নিরাপদ ও নিশ্চিত জীবন ছেড়ে দেশের ক্রিকেটের টানে গত বছরের এপ্রিলে দেশে ফিরেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে প্রায় ৬ বছর বিরতি দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করতেও তেমন সময় লাগেনি তার।
নতুন এই অধ্যায়ে বল হাতে বেশ সফল অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। কিন্তু সব জায়গায় সেরা পারফরম্যান্স করেও সামনের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি সুমনা। তাই আবার অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। এরই মধ্যে একাধিক ক্লাবের আমন্ত্রণ পেয়েছেন ২৫ বছর বয়সী স্পিনার।
২০১৮ সালে প্রথম দফায় জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় সুমনার। সেবার দুটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলার পর থেমে যায় তার ক্যারিয়ার। পরে তিনি চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে নাম লেখান ক্লাব ক্রিকেটে।
আরও পড়ুন
আইপিএল ছেড়ে বিদেশি লিগের পথে অশ্বিন |
![]() |
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে নিজের জায়গাও পোক্ত করে ফেলেছিলেন তিনি। সিডনির গ্রেড ক্রিকেট পেরিয়ে খেলেছেন সেখানকার জাতীয় নারী ক্রিকেট লিগে। এর বাইরে এগিয়েছেন কোচিংয়েও। সেখানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার হিসেবে কোচিংয়ে 'লেভেল টু' সার্টিফিকেটও অর্জন করেছেন সুমনা।
সেসব পেছনে রেখে বাংলাদেশের হয়ে নতুন শুরুর আশায় গত বছর ফেরেন দেশে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার পর আবার শুরু হয় তার বাংলাদেশ জাতীয় দলের যাত্রা। যেটিতে এবার ধাক্কা লেগেছে বিশ্বকাপ দল ঘোষণার পর।
অথচ এপ্রিলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ দলের সেরা বোলার ছিলেন সুমনা। ৫ ম্যাচে ৯ উইকেট নেন তিনি। ওভারপ্রতি খরচ ৪.৪৫ রান। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে যাত্রা শুরুর ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মাত্র ৭ রানে ৫ উইকেট নেন সুমনা।
পরের তিন ম্যাচে তার শিকার আরও ৪ উইকেট। শুধুমাত্র পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন এই অফস্পিনার।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। এর আগে দেশের ঘরোয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেলটেক ক্রিকেট একাডেমির ৮ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে তিনিই ছিলেন আসরের সেরা বোলার।
এমনকি গত বছরের ডিসেম্বর লাল বলে হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) সবশেষ আসরেও ৩ ইনিংসে ১৪ উইকেট নিয়ে সুমনা ছিলেন সবার ওপরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে সুযোগ পান সুমনা।
কিন্তু সেখানে পারফর্ম করেও, বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি তার। এমনকি বাদ পড়ার পর নির্বাচকদের কাছ থেকে কোনো ব্যাখ্যা বা সামনের দিনের বার্তাও পাননি সুমনা। তাই এখন আবার অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়ার ভাবনাই কাজ করছে সুমনার।
টি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে সেই কথাই বলেছেন তিনি...
“অস্ট্রেলিয়ার ক্লাব ক্রিকেটের সবার সঙ্গে আমার এখনও যোগাযোগ আছে। বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার পর তারা আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। তারাও অনেক কষ্ট পেয়েছে। ভালো পারফরম্যান্সের পরও জায়গা না পাওয়ায় তারাও অবাক হয়েছে।”
“তারা এখনও আমাকে ক্লাবে ফিরে পেতে চায়। এরই মধ্যে দুটি ক্লাবের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র পেয়েছি। হয়তো ফিরে যাব অস্ট্রেলিয়াতেই। সেখানে খেলাধুলার পাশাপাশি কোচিংয়েও অনেকটা পথ এগিয়েছি। এবার গেলে লেভেল থ্রি কোচিং কোর্সও করে ফেলব।”
জানা গেছে, পার্থ ও সিডনির ভিন্ন দুটি ক্লাব পেতে চায় সুমনাকে। কিন্তু এত দিন ধরে সিডনিতে খেলায় এখন ক্লাব বদলানোর সিদ্ধান্ত নিতে দোটানায় ভুগছেন তিনি। কারণ সিডনির মতো পার্থের ক্লাবেও আছে তার কাছের বন্ধুরা।
আরও পড়ুন
৬ ছক্কায় হৃদয়ের ঝড়ো ফিফটি, সৌম্যর ব্যাটে রান |
![]() |
তবে এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি সুমনা। আপাতত বিকেএসপিতে উইমেন'স চ্যালেঞ্জ লিগে ব্যস্ত এই অফ স্পিনার। বৃহস্পতিবার হবে টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে। এরপর সপ্তাহখানেক বিরতি দিয়ে সিলেটে বিশ্বকাপের ক্যাম্প করবেন নারী ক্রিকেটাররা।
এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়ার মনঃস্থির করলে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশ ছাড়তে পারেন সুমনা। কারণ অক্টোবরের প্রথমভাগে শুরু হয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মৌসুম। আর দেশে শুধু বসে না থেকে শুরু থেকেই খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না সুমনা।