১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:০০ এম
নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যানচেস্টার ডার্বি আজ। ইতিহাদে লড়বে ম্যানচেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। যেখানে দুই দলেরই চাওয়া এক- জয়। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে।
আগের মৌসুমের ভুল শুধরে এ মৌসুমে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে বলেই ম্যান সিটির কাছে প্রত্যাশা ছিল সমর্থকদের। তবে পরপর দুই পরাজয়ে এরই মধ্যে টেবিল টপার লিভারপুলের থেকে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা।
ডার্বি ম্যাচে মাঠে নামার আগে সেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯ পয়েন্ট; কেননা তুলনামূলক খর্ব শক্তির বার্নলির বিপক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে নামবে লিভারপুল।
আরও পড়ুন
সাত গোলের রোমাঞ্চে জুভেন্টাসের নাটকীয় জয় |
![]() |
অন্য দিকে ইউনাইটেড সর্বশেষ ম্যাচে মৌসুমের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গত শনিবার বার্নলির বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি গোলের সুবাদে ৩-২ ব্যবধানে জেতে ইউনাইটেড।
ওই জয়ে তিন পয়েন্ট পাওয়া গেলেও তার আগেই কারাবাও কাপ থেকে বিদায় নেয় রুমেন আমোরির দল। সেটিও কি না চতুর্থ স্তরে খেলা গ্রিমসবি টাউনের মতো ক্লাবের কাছে হেরে! যে কারণে ডার্বিতে নামার আগে বাড়তি অনুপ্রেরণা খুঁজতে হচ্ছে তাদের।
লিগের পয়েন্ট টেবিলে ইউনাইটেড আপাতত সিটিজেনদের চেয়ে ১ পয়েন্ট ও ৪ ধাপ এগিয়ে থাকলেও, দু’দলের কোচই জানেন- এই ডার্বি জয় কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
আরও পড়ুন
১০ জন নিয়েই জিতল রিয়াল |
![]() |
ইউনাইটেডের বিপক্ষে সবশেষ ৮টি লিগ ম্যাচে পাঁচবার জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আকাশি-নীলরা। বাকি তিন ম্যাচের দুটিতে হার এবং একটিতে ড্র করে তারা। তবে সবশেষ মৌসুমের লিগের খেলায় রেড ডেভিলদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি গার্দিওলার দল (১টি ড্র, ১টি হার)।
গত মৌসুমে দুই কোচের লড়াইয়েও আবার এগিয়ে ছিলেন আমোরি। স্পোর্টিং লিসবন ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড- দুই দল নিয়েই পেপ গার্দিওলার সিটিকে হারিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এপ্রিলে তার দল গার্দিওলার সিটির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র-ও আদায় করে।
এবারও তাই দুই দলের ডাগআউটের দ্বৈরথ ঘিরেও তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে অনিশ্চিত ইয়ামাল |
![]() |
গার্দিওলার অধীনে ম্যানচেস্টার সিটি ঘরের মাঠে লিগে হেরেছে ১৬ ম্যাচ, এর ৪টিই ইউনাইটেডের বিপক্ষে।
২০১৫-১৬ মৌসুমের পর থেকে লিগের ২০টি ম্যানচেস্টার ডার্বির মধ্যে ঘরের মাঠের দল জিতেছে মাত্র ছয়বার; চারটি ড্র এবং ১০টিতে জয় গেছে অতিথি দলের কাছে। এবার কি ঘরের মাঠে জয় পাবে ম্যান সিটি? প্রশ্নটা আপাতত তোলাই থাক। অন্য দিকে, ইউনাইটেড চাইছে ২০২১ সালের মার্চের পর প্রথমবারের মতো ইতিহাদে টানা দুই জয় পেতে।
গার্দিওলা কি আবারও পারবেন সিটিকে ছন্দে ফেরাতে?
উলভসকে ৪-০ গোলে হারিয়ে মৌসুম শুরু। তবে টটেনহ্যাম ও ব্রাইটনের কাছে হেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে সিটি। ব্রাইটনের বিপক্ষে আর্লিং হালান্ডের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে জেমস মিলনার ও জার্মান উইঙ্গার ব্রাজান গ্রুডার গোলে হারায় চাপে আছেন গার্দিওলার শিষ্যরা, সেটি বলাই যায়।
আরও পড়ুন
জুবিমেন্ডির প্রথম জোড়া, দাপুটে জয়ে শীর্ষে আর্সেনাল |
![]() |
প্রিমিয়ার লিগে ২০০৪-০৫ মৌসুমের পর এবারই প্রথম তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে হেরেছে ম্যান সিটি। এছাড়া মৌসুমের প্রথম তিন ম্যাচ শেষে গার্দিওলার এত কম পয়েন্ট (মাত্র তিন) আগে কখনও হয়নি। শেষবার ম্যান সিটি প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতে হেরেছিল ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে। ওই মৌসুমে শেষ পর্যন্ত তারা অবনমিত হয়েছিল।
গার্দিওলা আশা করছেন নতুন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার আগমনে দল ফিরে পাবে বিশ্বাস। পিএসজি থেকে ডেডলাইন ডে-তে যোগ দেওয়া এই ইতালিয়ান তারকা গত মৌসুমে ট্রেবল জিতেছেন এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা শট-স্টপার হিসেবে পরিচিত। সিটির জার্সিতে এখনও ম্যাচ খেলা হয়নি, তবে আজই দেখা যেতে পারে তাকে।
আরও পড়ুন
ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের গ্রুপে মোহামেডান |
![]() |
আমোরি খুঁজছেন ফিনিশিং টাচ
বার্নলির বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয়ে রুবেন আমোরির ওপর থেকে কিছুটা চাপ কমেছে বটে, তবে মৌসুম শুরুর হতাশা কাটাতে ইউনাইটেডের এখনও অনেক কাজ বাকি।
আমোরির অধীনে প্রিমিয়ার লিগে ৩০ ম্যাচে মাত্র ৮ জয় (ড্র ৭, হার ১৫) ইউনাইটেডের। এর অর্ধেক জয় আসে লিগে প্রমোশন পাওয়া দলের বিপক্ষে। প্রমোশন না পাওয়া দলের বিপক্ষে জয়ের হার মাত্র ১৬ শতাংশ (২৫ ম্যাচে ৪ জয়)। তবে সেই চারটির একটি ছিল গত ডিসেম্বরে ইতিহাদে সিটির বিপক্ষে।
ইউনাইটেডের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাদের ফিনিশিংয়ে- যা গত কয়েক মৌসুম ধরে রেড ডেভিলদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। যদিও মাঝে মধ্যে সম্ভাবনার কিছু ঝলকও দেখা গেছে। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে সেই ঝলক দেখার আশায়ই থাকবে দল।
No posts available.
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৩৮ পিএম
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৭ পিএম
ম্যাচের তখন ১৫ মিনিট। লিভারপুর-বার্নলি একে অন্যের জাল খুঁজাতে ব্যস্ত। তখনই ঘটে অঘটন। বার্নলির ঘরের মাঠ টার্ফ মুরে কড়া ট্যাকেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ম্যাক অ্যালিস্টার। ফরাসি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার লেসলি উগোচুকু ফাউল করে বসেন তাকে। রেফারির কাছ থেকে হলুদ কার্ড দেখলেও ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে যায়।
ম্যাক অ্যালেস্টার মাঠ ছাড়লেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি অল রেডসদের। মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ’র গোলে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছে তারা। প্রিমিয়ার লিগের রবিবার রাতের ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট জিতে টেবিলে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
আরও পড়ুন
হালান্ড জাদুতে ম্যানচেস্টার ডার্বি সিটির |
![]() |
ম্যাক অ্যালিস্টারের মাঠ ছাড়া নিয়ে ম্যাচ শেষে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট বলেছেন,
‘‘সে (অ্যালেস্টার) প্রাক-মৌসুমের একটা বড় অংশ মিস করেছে। তাই সে সপ্তাহে একটা খেলার জন্য প্রস্তুত। সে আর্জেন্টিনার হয়ে ৯০ মিনিট খেলেছে এবং খুব ক্লান্ত ছিল। সুতরাং আজ আমি স্পষ্টভাবে বলেছিলাম যে, ৬০ মিনিটের পর তাকে বদলি করাব, যাতে সে বুধবার এবং শনিবার আবার মাঠে ফিরতে পারে।”
স্লট নিশ্চিত করেন অ্যালিস্টার শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চেয়েছিলেন, তবে বড় কোনো সমস্যা এড়াতে তাকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেন কোচ।
কিছু কথা হচ্ছিল বাস্তবতার নিরিখে, কিছু ইতিহাস ঘেঁটে। ইতিহাদে ম্যাচ হলেও অতীত ভেবে ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’তে ম্যানইউকে এগিয়ে রেখেছিলেন কেউ কেউ। তবে নতুন মৌসুমে দুই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীর প্রথম দেখায় শেষ হাসি হেসেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। নিজেদের মাঠে রেড ডেভিলদের ৩-০ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন আর্লিং হালান্ড। অপর গোলটি করেন ফিল ফোডেন।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের সবশেষ দুই ম্যাচে টটেনহ্যাম ও ব্রাইটনের কাছে হেরেছিল ম্যানসিটি। তবে বিরতি থেকে ফিরেই আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টার ম্যাচে চমক দেখাল সিটিজেনরা। ২০২৫-২৬ মৌসুমে ৪ ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট তাদের।
আরও পড়ুন
সালাহর শেষ মূহূর্তের পেনাল্টিতে লিভারপুলের কষ্টার্জিত জয় |
![]() |
এদিন ম্যাচ ঘড়ির ১৮ মিনিটে ম্যানসিটিকে এগিয়ে নেন ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেন। জার্মেই ডোকুর বাড়ানো বলের সূত্র ধরে দলকে লিড এনে দেন তিনি। ম্যানইউর বিপক্ষে এটি তার ষষ্ঠ গোল। এই গোলে সিটিজেনদের শুরুর একাদশে নিজের অবস্থান নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও উড়িয়ে দিয়েছেন তরুণ এই সেন্টার ফরোয়ার্ড।
হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের ২৯ মিনিটে শোধের সুযোগ পায় ম্যানইউ। এমবেওমো তেড়েফুঁড়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন, কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বেনফোর্ট থেকে ম্যানইউতে যোগ দেওয়া ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড। তার ভুলভাবে মারা শট উড়ে গিয়ে দোনারুমার গোলপোস্টের পেছনের গ্যালারিতে। মুহূর্তটি স্বাগতিক সমর্থকদের হাসি-ঠাট্টা আর উল্লাসের খোরাকে পরিণত হয়। প্রথমার্ধ ম্যানসিটির ১-০ লিডে শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে ম্যানসিটি। এবারের নায়ক আর্লিং হালান্ড। আর অ্যাসিস্টের ছিল প্রথম গোলের সহায়তাকারী ডোকু। এই গোলের মাধ্যমে সিটির হয়ে ১৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন হালান্ড। ৫৫ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। ম্যানইউর রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে বক্সে ডুকে পড়েন হালান্ড। শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।
আরও পড়ুন
ইয়ামালকে নিয়ে দে লা ফুয়েন্তের ওপর চটলেন ফ্লিক |
![]() |
৬১ মিনিটে আরও একবার সুযোগ এমবেওমো। তার বলি শটটি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন জিয়ানলুইজি দোনারুমা। তার ঠিক ৭ মিনিট পর আরেকবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান হালান্ড। নিজেদের অর্ধ থেকে সিলভার লং পাস ধরে সোজা ম্যানউইর বারে ডুকে পড়েন এবং বাঁ-দিকে শট নেন। আলতাই বায়িন্দির ঝাঁপিয়ে পড়েন। ততক্ষণে বল স্পর্শ করে ম্যানইউর জাল। এটাই ম্যাচের শেষ গোল। বায়িন্দির তিন গোল কনসিভির বিপরীতে ক্লিন সিট রেখেছেন দোনারুমা
এদিন ৫৫ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে ম্যানইউ। গোলের জন্য তারা মোট ১৩টি শট নেয়। যেখানে সিটির ছিল একটি কম। তবে অন টার্গেটে তাদের শট ছিল একেবারেই কম-দুটি। এদিকে ম্যানসিটির অন টার্গেটে শট ছিল ৫টি। মূলত এখানেই হেরে বসে সিটি।
পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ধরে রেখে খেলল লিভারপুল। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়ই বল দখলে রেখে একের পর এক শটও নিল অল রেডরা। তবে গোলের খেলায় আসল কাজটাই করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল লিভারপুল।
নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ের পাঁচ মিনিটেই হঠাৎ পেনাল্টি বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর স্পট কিক থেকে নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান লিভারপুলের ফরোয়ার্ড মোহাম্মাদ সালাহ। আর তাতেই প্রায় ড্র হতে যাওয়া ম্যাচটি শেষ মূহূর্তের নাটকীয়তায় ১-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ল আর্নে স্লটের দল।
আরও পড়ুন
ইয়ামালকে নিয়ে দে লা ফুয়েন্তের ওপর চটলেন ফ্লিক |
![]() |
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বার্নলির বিপক্ষে ১-০ গোলের এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আরো পোক্ত হলো লিভারপুল। ৪ ম্যাচে ৪ পুরো ১২ পয়েন্ট নিয়ে নতুন মৌসুমে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল তারা। অন্যদিকে ঘরের মাঠে ২০২৪ সাল থেকে টানা ২৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকার যাত্রায় ছেদ ঘটল বার্নলির।
বার্নলির মাঠ টার্ফ মুরে প্রথম থেকেই লিভারপুলের আক্রমণ দারুণভাবেই সামলে নেয় স্বাগতিকদের রক্ষণভাগ। পুরো ম্যাচে ৮১ শতাংশ বল দখলে রেখে ২৭টি শট নেয় সফরকারীরা। তবে লক্ষ্যে ছিল মাত্র ৪টি। বার্নলির রক্ষণের দৃঢ়তায় ডি-বক্সের সামনে এসে থেমে যায় লিভারপুলের আক্রমণ।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির ভাস্কর্য উন্মোচন বায়ার্নের |
![]() |
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলকে এগিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ পান ফেদেরিকো কিয়েসা। তবে ৭৩ মিনিটে তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮৪ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্নলি। ক্লাবটির মিডফিল্ডার লেসলি উগোচুকু দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠে ছাড়েন।
লিভারপুলকে রুখে দিয়ে এক পয়েন্ট অর্জনের দিকেই এগোচ্ছিল বার্নলি। তবে স্বাগতিকদের দর্শকদের হতাশ হতে হয় ক্লাবটির মিডফিল্ডার হ্যানিবাল মেজব্রির এক হ্যান্ডবলে। বদলি নামা লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার জেরেমি ফ্রিমপংয়ের ক্রস ডি-বক্সে হ্যানিবালের কনুইয়ে লাগে। আর তাতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় লিভারপুল। স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল করেননি সালাহ।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। এক বিবৃতিতে বার্সা জানিয়েছে ,চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে অনিশ্চিত ইয়ামাল। পাশাপাশি সোমবার লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে থাকছেন না ১৮ বর্ষী স্পেনিয়ার্ড।
দলের গুরুত্বপূর্ণ উইঙ্গারের ইনজুরিতে বেজায় চটেছেন বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। রীতিমত স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের ওপর ক্ষোভ জেড়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, পরবর্তী ম্যাচের জন্য ইয়ামাল ফিট নয়। সে ইনজুরি নিয়েই স্পেনের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির ভাস্কর্য উন্মোচন বায়ার্নের |
![]() |
হ্যান্সি ফ্লিকের অভিযোগ, পেইন কিলার খেয়েই স্পেনের হয়ে খেলেছেন ইয়ামান। তিনি বলেন,
'তারা (স্পেন) প্রতিটি ম্যাচে তারা কমপক্ষে তিন গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ইয়ামাল দুটি ম্যাচেই ৭৩ ও ৭৯ মিনিট পর্যন্ত খেলেছেন। ম্যাচগুলোর মাঝেই সে ট্রেনিংও করতে পারেননি। এটা কি আসলেই খেলোয়াড়ের যত্ন নেওয়া? এ নিয়ে আমি খুবই হতাশ।’
জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনের সময় তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে আরো সতর্ক হওয়া উচিত বলেন ফ্লিক। তিনি বলেন,
‘আমি জাতীয় দলের হয়ে কাজ করেছি, জানি কাজটা কত কঠিন। আমি কখনো তার (দে লা ফুয়েন্তে) সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। বার্তা ছিল একটা, কিন্তু সরাসরি কথা হয়নি। আমার স্প্যানিশ ভালো না, আর তাঁর ইংরেজি ভালো না, হয়তো এটাই একটা সমস্যা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যোগাযোগটা ভালো হওয়া উচিত। শুধু ইয়ামালই নয়, আমাদের আরও অনেক খেলোয়াড় রয়েছে যারা একই অবস্থা ভোগ করছে।’
জার্মান শব্দ ‘দের কায়সার’ অর্থাৎ সম্রাট নামে পরিচিত তিনি। গত বছরের ৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি দেনি এই জার্মান কিংবদন্তি। ক’দিন আগেই তাঁর ৮০তম জন্মবার্ষিকি পালন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ের কথা।
জার্মান ও বায়ার্ন মিউনিখের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার ও কোচের সম্মানে একটি ভাষ্কার্য নির্মাণ করা হয়েছে। বায়ার্নের স্টেডিয়াম অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনার বাইরে এই ‘সম্রাটের’ ভাষ্কার্য্ উন্মোচন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সাত সপ্তাহের প্রস্তুতি, এবার প্রমাণের চ্যালেঞ্জ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের |
![]() |
বেকেনবাওয়ের ব্রোঞ্জের এই প্রতিকৃতি উন্মোচনের সময় উপস্থিত ছিলেন তার দীর্ঘদিনের জীবন সঙ্গী হেইডি বেকেনবাওয়ার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভক্তদের ডোনেশনের মাধ্যমে এই প্রকল্প অর্থায়ন করা কুর্ট লান্ডাউয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি।
এসময় বায়ার্ন কিংবদন্তিকে স্বরণ করে ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হেইনার বলেন,
‘এটি বেকেনবাওয়ার এবং তিনি যা যা ধারণ করতেন তার মূর্ত প্রতীক। তাঁর স্টাইল, চিন্তাভাবনা, আর বায়ার্নের জন্য। মিউনিখ এখানে কেবল একটি স্মৃতিস্তম্ভ পাচ্ছে না – এটি পুরো শহরেরই গর্বিত, আত্মবিশ্বাসী, মার্জিত এবং সরলতার প্রতিফলন।’
খেলোয়াড়ি জীবনে জার্মানির হয়ে বেকেনবাওয়ার অনন্য ইতিহাসই রচনা করেছেন। জাতীয় দলের জার্সিতে ১০৩ ম্যাচ খেলে ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ জেতেন এই ডিফেন্ডার। এর আগে ১৯৭২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (বর্তমানে ইউরো) জিতেছেন তিনি। কোচিং ক্যারিয়ারেও জার্মানির হয়ে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন বেকেনবাওয়ার। ১৯৯০ সালে ডাগ-আউটে থেকে ওয়েস্ট জার্মানিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।
আরও পড়ুন
সাক্ষাৎকার: মোহামেডানের অধিনায়কত্ব করা আমার জন্য প্রেরণার |
![]() |
ক্লাব ক্যারিয়ারে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে অমর গল্প লিখেছেন বেকেনবাওয়ার। বাভারিয়ানদের হয়ে টানা তিনবার (১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬) ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছেন। এ ছাড়া ঘরোয়া লিগের শিরোপা সহ বহু অর্জন আছে তার নামের পাশে।
১৯৭২ ও ১৯৭৬ সালে ফুটবলে সবচেয়ে সম্মানিয় স্বীকৃতি ব্যালন ডি’অর জেতা ফুটবলার বেকেনবাওয়ের। ফুটবল ইতিহাসে ডিফেন্ডারদের মধ্যে এই পুরষ্কার জেতার ঘটনা যেখানে বিরল, জার্মান লিজেন্ড সেই কীর্তি গড়েছেন।