২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১:৪৩ পিএম
মঞ্চটা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জন্যই যেন প্রস্তুত ছিল মাসখানেক ধরে। এবারের ব্যালন ডি’অর জিততে যাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড, এটা সবাই একরকম ধরেই নিয়েছিলেন। ব্রাজিলিয়ানরাও তাতে আশায় বুক বেঁধেছিল, কারণ ২০০৭ সালের পর যে দেশটির আর কেউই বর্ষসেরার এই পুরস্কার জিততে পারেননি। তবে নাটকীয়ভাবে শেষ পর্যন্ত ভিনিসিয়ুসকে টপকে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। এতে অনেকের মত চটেছেন রিচার্লিসন। ব্রাজিল ফরোয়ার্ড মনে করেন, তার স্বদেশীর সাথে রীতিমত অন্যায় করা হয়েছে।
গত বছর রিয়ালের জার্সিতে স্বপ্নময় একটা সময় কাটান ভিনিসিয়ুস। জেতেন লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। ২৬টি গোল করার পাশাপাশি গোল করান ১৩টি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হন সেরা খেলোয়াড়রা। কোপা আমেরিকা ভালো না গেলেও তাই ভিনিসিয়ুসকেই ব্যালন ডি’অরের জন্য ফেভারিট হিসেবে ধরা হচ্ছিল।
তবে সেটা না হওয়ায় কোটি কোটি রিয়াল ও ব্রাজিল সমর্থকদের মত হতাশা ঘিরে ধরেছে রিচার্লিসনকেও। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে প্রকাশ করেছেন ক্ষোভ।
“এতদিন পর আমাদের দেশের অন্য একজন খেলোয়াড়কে বিশ্বের সেরা পুরষ্কার জিততে দেখার আশায় বসে ছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত, এটা কোন বিচারে দেওয়া হল, তা কেউই বুঝতে পারে না, পুরস্কারটা আসেনি আমাদের কাছে। আমাকে ভুল বুঝবেন না, রদ্রি সেরাদের মধ্যে থাকার যোগ্য। কিন্তু ভিনির এই খেতাব জিততে না পারাটা বিব্রতকর। আজকে ফুটবল পরাজিত হয়েছে। আমার মনে আছে, ভিনি বলেছিল যে তার স্বপ্ন ছিল গোটা ব্রাজিল তার জন্য উল্লাস করছে। আর সেই দিনটি হওয়ার কথা ছিল আজকে। তুমিই বিশ্বের সেরা এবং কোন ট্রফি এটা পরিবর্তন করতে পারবে না।”
ভিনিসিয়ুস নিজেও স্বাভাবিকভাবেই হতাশ এই ঘটনায়। ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম কাটিয়েও যে পেলেন না মহা আকাঙ্ক্ষিত খেতাবটির ছোঁয়া। তিনি ব্যালন ডি’অর পাবেন না জানার পর রিয়ালের পক্ষ থেকে কেউই যাননি অনুষ্ঠানে। পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্লাব ও জাতীয় দলের ফুতবলারা।
আর ভিনিসিয়ুস ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে লিখেছেন,
‘দরকার হলে আমি আরও ১০ গুণ ভালো করে দেখাব, তারা এটার জন্য প্রস্তুত নয়।
কোচিং ক্যারিয়ারে প্রথমবার টানা চার ম্যাচ হারের অভিজ্ঞতার পর ম্যানচেস্টার সিটির সাথে চুক্তি নবায়ন করে পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন, ঠিক এই কারণেই তিনি ক্লাবে থেকে গেছেন। তবে তাতেও ভাগ্যের বদল আর হলো না। যেই টটেনহাম হটস্পারের কাছে হেরে শুরু হয়েছিল হারের চক্র, তাদের কাছে আরও একবার হেরে লম্বা হল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের পরাজয়ের তেতো অভিজ্ঞতার রেকর্ড। আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রথম ম্যাচে সিটি উপহার দিল মলিন পারফরম্যান্স। আর দুর্দান্ত ফুটবলের এক প্রদর্শনীতে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ‘স্পার্স’রা তুলে নিল ধ্রুপদী এক জয়।
ইতিহাস স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের শনিবার রাতের ম্যাচে সিটিকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম। জোড়া গোল করেছেন জেমস ম্যাডিসন। অন্য গোল দুটি পেড্রো পোরো ও ব্রেনান জনসনের করা।
বল দখলের দিক থেকে দুই দল প্রায় সমানে সমান থাকলেও গোলের জন্য সিটির শট ছিল মোট ২৩টি, যার মাত্র ৫টি তারা রাখতে পারে লক্ষ্যে। বিপরীতে মাত্র ৯টি শটের ৭টি লক্ষ্যে রেখেই বাজিমাত করেছে টটেনহাম।
এর মধ্যে দিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টটেনহারের কাছে হারল সিটি। অন্যটি ছিল গত মাসে, লিগ কাপে। সেখানে ২-১ গোলে হারের পর একে একে প্রিমিয়ার লিগের দুটি ম্যাচে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন ও বোর্নমাউথ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্পোর্টিং সিপির কাছেও পরাজয় বরণ করে দলটি।
তাতে আরেকটি নতুন অভিজ্ঞতা হল গার্দিওলার। এর আগে কোচিং ক্যারিয়ারে টানা তিন ম্যাচের বেশি না হারা এই স্প্যানিয়ার্ড এবার স্বাদ পেলেন টানা পাঁচ হারের। আর ২০০৮ সালের পর টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের নতুন রেকর্ড গড়েছে সিটি।
১১তম মিনিটে বলার মত প্রথম আক্রমণেই সিটিকে চমকে দেয় টটেনহাম। দেজান কুলুসেভস্কির ক্রস থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ম্যাডিসন। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই স্কোরলাইন করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। সন হিউং-মিনের ক্রস থেকে বাঁ পায়ের লবে বল পাঠান জালে। বিরতির আগে টানা আক্রমণ করে গেলেও গোলের সামনে গিয়ে বারবার খেই হারায় সিটি। পাল্টা আক্রমণে উল্টো লিড বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি করে পোস্তকগোলুর দল।
৫২তম মিনিটে কাউন্টার এটাক থেকে বল নিয়ে দ্রুত এগিয়ে সিটির অরক্ষিত রক্ষণের সুযোগ নেয় টটেনহাম। বক্সের ভেতর বল পেয়ে ডান পায়ের জোড়াল শটে লিড বড় করেন পেদ্রো। গোলের জন্য মরিয়া সিটি আক্রমণের ঢেউ তুলেও আর পায়নি গোলের দেখা। হতাশ করেন আর্লিং হলান্ড, ফিল ফোডেনরা। বরং ইনজুরি টাইমে আরেকটি পাল্টা আক্রমণ থেকে সিটিকে এক হালি গোলে হারানোর দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দলকে উপহার দেন ব্রেনান।
এই হারের পরও ১২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে সিটি। সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্টে ছয় নম্বরে আছে টটেনহাম। ১১ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে লিভারপুল।
গত অক্টোবরে এল ক্লাসিকোর পরই বিষয়টি জন্ম দিয়েছিল তীব্র আলোচনা-সমালোচনার। অভিযোগ ছিল, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দর্শকদের দ্বারা বর্ণবাদী অপমানের শিকার হয়েছেন লামিন ইয়ামাল সহ বার্সেলোনার কয়েকজন খেলোয়াড়। সেই ঘটনার দায়ে শেষ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে স্প্যানিশ পুলিশ।
হাইভোল্টেজ সেই ম্যাচে বার্সেলোনার ৪-০ জয়ে বড় অবদান রাখা লামিন ইয়ামাল করেন একটি গোল। পারিবারিকভাবে তরুণ এই ফরোয়ার্ডের যোগসূত্র আছে গিনি ও মরক্কোর সাথে। ম্যাচ চলাকালীন দর্শকদের একটি অংশ জেনোফোবিক এবং বর্ণবাদী মন্তব্য ছুঁড়ে দেন বার্সেলোনার যে কজন খেলোয়াড়ের দিকে, তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইয়ামাল।
স্পেনের জাতীয় পুলিশ শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে শনিবার বলেছে-
“গত অক্টোবরে এল ক্লাসিকোর ম্যাচ চলাকালীন দুই ফুটবল খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী অপমান করার জন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা জেনোফোবিক মন্তব্য করেছিল, যা উভয় ফুটবলারের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে।”
স্প্যানিশ সুপ্রিম স্পোর্টস কাউন্সিল (সিএসডি) এবং লা লিগা এরই মধ্যে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। একই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্পেনের অভিবাসন মন্ত্রী এলমা সাইজও। আর অপরাধীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
আর স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন বলেছে যে, তারা স্পেনের স্টেডিয়ামে বর্ণবাদী আচরণ এবং সহিংসতার বিষয়ে জিরো-টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করছে। কারণ, তাড়া এটিকে ‘সামাজিক ক্ষতি’ বলে অভিহিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে রিয়ালের তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বর্ণবাদী মন্তব্য করার দায়ে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর কয়েক ম্যাচে ছন্দের দেখা পেলেও শেষ কয়েকটি ম্যাচ ধরে কিলিয়ান এমবাপেকে ধুঁকতে হচ্ছে গোলের জন্য। স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেও ম্যাচের পর ম্যাচ ধরে পাচ্ছেন না জালের দেখা। ফলে বাড়ছে সমালোচনা। তবে এসব নিয়ে একেবারেই চিন্তার অবকাশ পাচ্ছেন না কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ফরাসি তারকার কাঁধে তিনি রাখছেন আস্থার হাত। বললেন, এমবাপে শীঘ্রই ফিরবেন চেনা ছন্দে।
এমবাপে মূলত উইঙ্গার হলেও রিয়ালে আসার পর থেকে তার ভূমিকা হয়ে গেছে স্ট্রাইকারের। তবে শেষ সাত ম্যাচে মাত্র একবার গোল করায় প্রশ্নের মুখে ভিন্ন পজিশনে তার সামর্থ্য নিয়েও। ৪০০ মিনিট ধরে গোল না করায় মানসিকভাবেও যেন চাপের মুখে পড়ে গেছেন সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ড। ফ্রান্স জাতীয় দলে এই মাসের দুটি ম্যাচে এই কারণে তাকে দলে রাখেননি কোচ দিদিয়ে দেশম।
আরও পড়ুন
নতুন ফরম্যাটে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে চান আনচেলত্তি |
তবে রোববার লা লিগায় লেগানেসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেছেন, এমবাপের গোলখরা কেটে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। “এটা (গোলখরা) সব দুর্দান্ত স্ট্রাইকারের সাথেই ঘটে, এটা নিয়ে সে হতাশ হতে পারত। কিন্তু তার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তা নয়। আমি তাকে তার সতীর্থদের সাথে অনুশীলনে অনুপ্রাণিত এবং প্রাণোচ্ছল দেখতে পাচ্ছি। খুব শীঘ্রই বা বা কিছুটা পরে সে এই গোলখরা কাটিয়ে উঠবে। আগামীকাল সে একটি দুর্দান্ত ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে, কারণ তার গোল পাওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার মাত্র। তার অবিশ্বাস্য কোয়ালিটি রয়েছে এবং শীঘ্রই সে তা দেখাবে।”
অনেক স্বপ্ন নিয়ে রিয়ালে পাড়ি জমানো এমবাপে মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন পজিশনে মানিয়ে নেওয়া। দলে তার পছন্দের পজিশন লেফট উইংয়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র খেলায় তাকে সেখানে খেলাতে পারছেন না আনচেলত্তি। ফলে অন্তত এই মৌসুমে স্ট্রাইকার হিসেবেই নিজেকে প্রমাণের বিকল্প নেই এমবাপের।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুসের ‘বিরল’ পারফরম্যান্সে মুগ্ধ আনচেলত্তি |
রিয়াল কোচ জানিয়েছেন, ভিন্ন পজিশনে খেলা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই এমবাপের। “আমার মনে হয় কিলিয়ান আমাকে কখনও কোথায় খেলবে সেটা নিয়ে কিছু বলেছে, সবাই একাদশে জায়গা করে শুরু থেকে খেলতে চায় শুধু। তবে এমবাপে ও ভিনিসিয়ুসের মাঠে একটি নির্দিষ্ট পজিশন নেই। এটা ম্যাচের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।”
মাঠের ফুটবল তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রের জীবনযাপনও বেশ উপভোগ করার কথা লিওনেল মেসি নিজেই বলেছেন কয়েকবার। তবে ইন্টার মায়ামিতে চুক্তির মেয়াদ শেষের দিকে চলে এলেও এখনও আলোচনা হচ্ছে না নবায়নের। ফলে গুঞ্জন বাড়ছে আর্জেন্টাইন তারকার ভবিষ্যৎ নিয়ে। তবে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) সহ-মালিক হোর্হে মাস আশাবাদী, আরও সময় ধরে মায়ামিতেই থেকে যাবেন মেসি।
মেসি ২০২৩ সালের জুলাইয়ে পিএসজি ছেড়ে যোগ দেন মিয়ামিতে। সেই সময় চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৫ সাল পর্যন্ত। সেখানে মেয়াদ দুই পক্ষের সম্মতিতে এক বছর বাড়ানোর শর্ত রাখা হয়নি। ফলে বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী আর এক মৌসুমই ক্লাবটিত জার্সিতে দেখা যাবে তাকে।
আরও পড়ুন
হ্যাটট্রিক করে মায়ামিকে জিতিয়ে মেসি পেলেন বড় সুখবর |
তবে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে মায়ামি সমর্থকদের ইতিবাচক খবরই দিয়েছেন মাস।
“মেসি ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ আছেন। লিও এবং আমি বসে তার ভবিষ্যতের ব্যাপারে শীঘ্রই আলোচনা করব। যেমনটা আমি আগেও বলেছি, আর এখন আমি তা আবারও বলব যে, আমি সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করি ২০২৫ সালের ট্রফি-জয়ী মৌসুমের পরে আমাদের ২০২৬ এমএলএস মৌসুমের শুরুতে এবং ২০২৬ সালে আমাদের নতুন স্টেডিয়াম উদ্বোধনে লিও মেসিই আমাদের ১০ নম্বরে থাকবেন।”
২০২৪ সালে মায়ামির দারুণ সব সাফল্যে একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছেন মেসি। পুরো মৌসুমে মাত্র ২১টি এমএলএস ম্যাচ খেলেও করেছে ২১টি গোল। এছাড়াও নামের পাশে রয়েছে রেকর্ড ১৭টি অ্যাসিস্টও। লিগে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭৪ পয়েন্ট অর্জন করে মায়ামি।
তিন বছর আগে ক্লাব ছাড়ার পর কয়েকবারই আলোচনায় এসেছিল লিওনেল মেসির আবার বার্সেলোনায় ফেয়ার বিষয়টি। তবে নানা বাস্তবতার তা আর হয়নি। বর্তমানে তিনি ও কাতালান ক্লাবটির যে অবস্থান, তাতে নিকট ভবিস্যতে পুনর্মিলনী হওয়ার সম্ভাবনা কমই। তবে যে ক্লাব থেকে পেশাদার ফুটবল যাত্রা শুরু বা বিশ্বসেরা হয়ে ওঠা, সেই বার্সেলোনাকে তো মেসি মন থেকে একবিন্দুও সরাতে পারবেন না। আর্জেন্টিনা তারকা বলেছেন, এখনও বার্সেলোনা তিনি ও তার পরিবার ভীষণ মিস করেন।
বার্সেলোনার বিখ্যাত লা মাসিয়া একাডেমি থেকে উঠে আসা মেসির আজকের মহাতারকা হয়ে ওঠার প্রতিটি ধাপ শুরু হয়েছিল সেখানেই। ক্লাবটির প্রতিচ্ছবি হয়ে গিয়েছিলেন একটা সময়। তবে নাটকীয়ভাবে ২০২১ সালে তাকে ছাড়তে হয় ক্লাব। পিএসজি ঘুরে এখন খেলছেন ইন্টার মায়ামিতে। এখানে চুক্তির মেয়াদ শেষে কী করবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বার্সেলোনার ১২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সমর্থকদের যেন আশার আলোই দেখিয়েছেন ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা।
বার্সেলোনার ফিরবেন কিনা, সেই প্রশ্নে মেসি দিয়েছেন আবেগী উত্তর।
“আমার বাচ্চাদের এখানেই জন্ম। আমি আমার সারাটা জীবন ওখানে কাটিয়েছি। আমার মনে হয় আমি বার্সেলোনারই একজন। আমার তো এখানেই সব। আমার পরিবার এবং আমি সবসময় সেখানে একদিন ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তা করি। আমি, আমার স্ত্রী ও আমার সন্তানরা সেখানকার জীবন অনেক মিস করি। আমরা সেখানে থাকা আমাদের বন্ধুদের খুব মিস করি। আমরা সেখানে অনেক কিছু ফেলে এসেছি।”
মায়ামির সাথে মেসির চুক্তি শেষ হবে আগামী বছর। গুঞ্জন রয়েছে, এক বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করতে পারেন তিনি। তবে এর বাইরে বার্সেলোনায় খেলোয়াড় হিসেবে ফেরার সম্ভাবনা আপাতত কিছুটা কমই। কারণ, গত বছর নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভিন্ন ভূমিকায় অবসরের পর প্রিয় ক্লাবে ফিরতে চাইবেন তিনি।
তবে ক্লাবের খোঁজখবর ঠিকই রাখেন মেসি। চলতি মৌসুমে হান্সি ফ্লিকের কোচিংয়ে দুর্দান্ত খেলা বার্সেলোনা লা লিগায় আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদকে তাদেরই মাঠে রীতিমত গুঁড়িয়ে দিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও আছে ভালো ছন্দে।
ফ্লিকের বার্সেলোনা যেভাবে খেলছে, তা মনে ধরেছে মেসির।
“আমি বার্সেলোনাকে দেখছি। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে এবং এতে আমি মোটেও অবাক হইনি।”
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৮ দিন আগে