ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সফল কোচ হলেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেই অভিজ্ঞতা। ছন্দহীন ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তি কেমন করবেন, সেটা নিয়ে তাই অনেকেই কিছুটা সন্দিহান। তবে তার অধীনে খেলা রাফায়েল ভারানে সেই দলে নেই। সাবেক ফরাসি ডিফেন্ডার বরং মনে করছেন, আনচেলত্তির হাত ধরে সেরা ছন্দে ফিরবে ব্রাজিল।
গত সপ্তাহে আনচেলত্তিকে ব্রাজিলের ইতিহাসের প্রথম স্থায়ী বিদেশি কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। রিয়াল মাদ্রিদের চলতি মৌসুম শেষে আগামী ২৬ মে থেকে দায়িত্ব নেবেন তিনি। আনচেলত্তির কাজের শুরুটাই হবে কঠিন সময়ে, যেখানে এক বছরের বেশি সময় ধরে ব্রাজিল দল নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে।
আরও পড়ুন
স্কোয়াড ছোট না করলে সিটি ছেড়ে দেওয়ার আভাস গার্দিওলার |
![]() |
সম্প্রতি হংকং সকার সেভেনস টুর্নামেন্টের ফাঁকে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী ভারানে বলেছেন, আনচেলত্তির অভিজ্ঞতা ব্রাজিল দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।
“সে জানে কীভাবে খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে হয়, কীভাবে তাদের আত্মবিশ্বাস দিতে হয় আর চাপমুক্ত রাখতে হয়। কারণ এই ব্রাজিল দল এবং তাদের খেলোয়াড়দের সেই কোয়ালিটি আছে। তাদের শুধু একতাবদ্ধ হতে হবে এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। জাতীয় দল মানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত করা। এটা ক্লাব ফুটবলের প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জের চেয়ে একেবারেই আলাদা ব্যাপার। তবে আপনি যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় মাপের শিরোপা জেতার ক্ষমতা রাখেন, তাহলে আপনি যেকোনো জায়গায়, যেকোনো সময়ে একই রকমের সফলতা পেতে পারেন।”
রিয়ালের কোচ হিসেবে আনচেলত্তির প্রথম মেয়াদে ভারানে দুই মৌসুম খেলেছেন তার কোচিংয়ে, ছিলেন ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য। দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়ালে ফিরে আরও দুইবার এই প্রতিযোগিতায় শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন ৬৪ বছর বয়সী এই কোচ।
তবে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে তার জন্য শুরুতেই অপেক্ষা করছে কঠিন সময়। বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলে ব্রাজিল চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার চেয়ে তারা পিছিয়ে ১০ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন
চাকরি নিয়ে প্রশ্নে টটেনহ্যাম কোচ বললেন, ‘আমি জোকার না’ |
![]() |
ভারানের মতে, এই চ্যালেঞ্জে উতরে যাবেন আনচেলত্তি।
“কার্লো একজন দারুণ কোচ। তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। তিনি জানেন কীভাবে খেলোয়াড়দের সঠিক সময়ে সেরা পারফর্ম করার জন্য প্রস্তুত করতে হয়। আর কোচ হিসেবে এটাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়। চার বছরে বিশ্বকাপে পারফর্ম করার সুযোগ কেবল একবার সুযোগ মেলে, তাই খুব বেশি ভুলের সুযোগ নেই। আমি মনে করি তিনি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে পারবেন।”
২০ মে ২০২৫, ৫:৩৫ পিএম
২০ মে ২০২৫, ৩:৪৫ পিএম
কোচিং ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই পেপ গার্দিওলার একটি উল্লেখযোগ্য দিক নির্দিষ্ট সংখ্যক খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করা। খুব বড় স্কোয়াড নিয়ে তাকে সেভাবে কাজ করতে দেখা গেছে কমই। তবে চলতি মৌসুমে চোট সহ নানা কারণে ম্যানচেস্টার সিটি স্কোয়াডের পরিধি বড় হয়ে গেছে, যা ভালো লাগছে না স্প্যানিশ কোচের। গার্দিওলা তাই হুশিয়ারি দিয়েছেন, স্কোয়াড ছোট না করলে চলে যাবেন সিটি ছেড়েই।
লোনে থাকা চারজন বাদে সিটির মূল স্কোয়াডে বর্তমানে ২৮ জন খেলোয়াড় আছেন। গত মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে হারানোর ম্যাচে নিয়মিত স্কোয়াডের তিন সদস্য সাভিনিয়ো, আব্দুকাদির খুসানোভ ও ক্লদিও ইচেভেরি দলে জায়গা পাননি। জেমস ম্যাকঅ্যাটি ও রিকো লুইসকে তো স্কোয়াডেই রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন
চাকরি নিয়ে প্রশ্নে টটেনহ্যাম কোচ বললেন, ‘আমি জোকার না’ |
![]() |
এই ম্যাচের পর গার্দিওলা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন তার স্কোয়াড ছোট করার আর্জি।
“আমি ক্লাবকে বলে দিয়েছি পাঁচ বা ছয়জন খেলোয়াড়কে বসিয়ে রাখতে চাই না। আমি এমনটা আসলেই চাই না। আর যদি এই অবস্থা তৈরি হয়, তাহলে আমি চলে যাব। যদি স্কোয়াড ছোট করা হয়, তাহলেই কেবল আমি থাকব।”
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্কোয়াডগুলোর একটি হল সিটির এই বিশাল খেলোয়াড়দের বহর, যার বাজারমূল্য ১.৩ বিলিয়ন ইউরো বলে নানা সময়ে এসেছে খবরে। তবে গত বছরের শেষের দিকে চোট সমস্যায় ভুগে অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে হেরেছিল গার্দিওলার দল।
এই সমস্যা কাটাতেই গেল জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে তারা ওমর মারমুশ, ভিতোর রেইস, খুসানোভ এবং নিকো গনজালেজকে দলে টানে। তবে বর্তমানে জন স্টোনস ও নাথান আকে ছাড়া সবাই ফিট হয়ে গেছেন। ফলে প্রতি ম্যাচেই বেঞ্চে বসেই কাটাতেই হচ্ছে অনেক খেলোয়াড়কে।
আরও পড়ুন
অবসরে স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক |
![]() |
এই চিত্রের পরিবর্তন দ্রুতই দেখতে চান গার্দিওলা।
“এটা ক্লাবের জন্য চিন্তা করার বিষয়। আমি চাই না সবাই ফিট থাকার পরও স্কোয়াডে ২৪, ২৫ বা ২৬ জন খেলোয়াড় থাকুক। যদি কেউ চোট পায়, তাহলে আমাদের একাডেমি থেকে খেলোয়াড় নিয়ে আসব।”
গত নভেম্বরেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত সিটির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন গার্দিওলা। সিটির কোচ হিসেবে এবারই প্রথমবার শিরোপাহীন মৌসুম কাটালেন অভিজ্ঞ এই কোচ।
প্রিমিয়ার লিগে দল পার করছে নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম বাজে সময়। টটেনহ্যাম হটস্পারকে ইউরোপা লিগের ফাইনালে নিয়ে গেলেও তাই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে কোচ আগ্নে পোস্তেকোগলুর ভবিষ্যৎ নিয়ে। এসব নিয়ে বেশ বিরক্তই তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চাকরি নিয়ে চিন্তা নেই তার।
স্পার্স বস জোর দিয়ে বলেন, বুধবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের আরেক দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইউরোপা লিগ ফাইনালের মাঠে নামবে স্পার্স-রা। এই ম্যাচ জিতলে সেটা হবে ক্লাবটির ৪১ বছর পর প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপা, আর সব মিলিয়ে ২০০৮ সালের পর প্রথম। তাছাড়া ইউরোপা লিগ জিতলে টটেনহ্যাম নিশ্চিত করবে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা।
আরও পড়ুন
ব্রাজিলকে পথে ফেরাবেন আনচেলত্তি, দৃঢ় বিশ্বাস ভারানের |
![]() |
এত বড় একটা ম্যাচের আগে নিজের চাকরি নিয়ে চারদিকে ফিসফাস তাই একেবারেই ভালো লাগছে না পোস্তেকোগলু, সংবাদ সম্মেলনে বললেন সেটাই।
“আমি ক্লাউন নই। আমি যতদিন এই পেশায় থাকব, শিরোপা জিতেই যাব। সেটা যতদিন পর্যন্তই হোক না কেন। আর শুনুন ভাই, ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত নই। চাকরি বদলানো কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা না। আমার একটা সুন্দর পরিবার আছে, দারুণ একটা জীবন আছে। আমার তাই চাকরি নিয়ে এক মিনিটও চিন্তা করে ঘুম হারানোর সময় নেই।”
ক্লাবে নিজের ভবিষ্যৎ নিতে ক্রমাগত প্রশ্নের জবাবে পোস্তেকোগলু জানান, তিনি খেলোয়াড়দের সাথে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো আলোচনাই করেননি। তবে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান, যেখানে যেখানে বলা হয়েছিল যে তিনি ইউরোপা লিগের ফাইনালের পর হয় নায়ক হবেন, নাহয় ‘ক্লাউন’ হবেন।
আরও পড়ুন
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নিষেধাজ্ঞায় নাপোলি-ইন্তার মিলান কোচ |
![]() |
টটেনহ্যাম তাদের শেষ ইউরোপিয়ান শিরোপা জিতেছিল সেই ১৯৮৪ সালে, ইউয়েফা কাপে। আর ঘরোয়াতে শেষবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল ২০০৮ সালে, লিগ কাপে। এবারের ইউরোপা লিগ জয় তাই কোচ ও ক্লাব উভয়ের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রিমিয়ার লিগে অবস্থান খুব শোচনীয় (১৭তম)।
চল্লিশ পার করেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন ভালোভাবেই। তবে বিদায়ের ডাক শুনতে পেয়েছেন পেপে রেইনা। চলতি মৌসুম শেষে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এই স্পেন গোলরক্ষক, যিনি ছিলেন দেশটির প্রথম ও একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য।
গত সোমবার রাতে ৪২ বছর বয়সী রেইনা আনুষ্ঠানিকভাবে তার অসবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বার্সেলোনার যুব একাডেমিতে বেড়ে ওঠা এই ফুটবলার লিভারপুলে খেলেছেন আটটি মৌসুম। ইংলিশ ক্লাবটির জার্সিতে তিনি এফএ কাপ ও লিগ কাপ জিতেছেন। লিভারপুলে নিজের প্রথম তিন মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি ক্লিন শিট ধরে রাখার জন্য প্রিমিয়ার লিগের ‘গোল্ডেন গ্লাভ’ পুরস্কার জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন
স্কোয়াড ছোট না করলে সিটি ছেড়ে দেওয়ার আভাস গার্দিওলার |
![]() |
লিভারপুল অধ্যায় শেষে রেইনা অব্যাহত রাখেন ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবে খেলা। একে একে প্রতিনিধিত্ব করেন বায়ার্ন মিউনিখ, নাপোলি ও এসি মিলানকে। সবশেষ গত বছর জুলাইয়ে তিনি সেরি আ-এর এর আরেক ক্লাব কোমোর সঙ্গে চুক্তি করেন। চলতি মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে তিনি এখন পর্যন্ত ১১টি ম্যাচ খেলেছেন।
রেইনা মোভিস্টারকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপ নেই তার।
“আমি একটা খুব সুন্দর ক্যারিয়ারের শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাওয়ায় আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। আমার ধারণা ছিল না যে এই মুহূর্তটা এত দ্রুত চলে আসবে। কিন্তু মনে হচ্ছে সময়টা এসে গেছে।“
রেইনা আরও জানিয়েছেন, অবসর নেওয়ার পর তিনি কোচিং ক্যারিয়ারে প্রবেশের চিন্তা করছেন।
রেইনা স্পেন জাতীয় দলের হয়ে ৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১০ বিশ্বকাপ ছাড়াও তিনি স্পেনের ২০০৮ এবং ২০১২ ইউরো জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন।
জমে ওঠা সেরি আ শিরোপার লড়াইয়ের শেষ রাউন্ডের আগে ধাক্কা নাপোলি ও ইন্তার মিলান শিবিরে। এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ায় নিজ নিজ দলের শেষ ম্যাচে ডাগআউটে থাকতে পারবেন না ক্লাব দুটির কোচ আন্তোনিও কন্তে ও সিমোনে ইনজাগি।
গত সোমবার রাতে ইতালিয়ান লিগ কর্তৃপক্ষ তাদের এই শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শুধু এই দুজনই নন, গত রোববারের ম্যাচে নিজ নিজ ক্লাবের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় আরও তিন কোচও সেরি আয়ের শেষ রাউন্ডে টাচলাইন নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন
চাকরি নিয়ে প্রশ্নে টটেনহ্যাম কোচ বললেন, ‘আমি জোকার না’ |
![]() |
সবশেষ রাউন্ডে লাজিওর সাথে ইন্তার ২-১ গোলে জয়ের পথেই ছিল। পার্মার বিপক্ষে ম্যাচে নাপোলি ড্র করায় এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেলে ইনজাগির দল পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে চলে যেত। তবে লাজিও-ইন্টার ম্যাচের অন্তিম সময়ে রেফারি ভিএআর মনিটরে মিলানের ক্লাবটির বিপক্ষে একটি সম্ভাব্য পেনাল্টি যাচাই করতে গেলে বাঁধে বিপত্তি।
ইনজাগি এবং লাজিও কোচ মার্কো বারোনি সাইডলাইনে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনায় দুজনকেই লাল কার্ড দেখানো হয়। ইন্তারের বক্সে হ্যান্ডবলের কারণে লাজিও পেনাল্টি পায় এবং পেদ্রো ৯০তম মিনিটে গোল করে ২-২ সমতা আনেন।
অন্যদিকে নাপোলি অবনমন অঞ্চলে থাকা পার্মার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে। ম্যাচের ৯০তম মিনিটে নাপোলি কোচ কন্তে ও পার্মা কোচ ক্রিস্তিয়ান চিভু তীব্র বাক-বিতণ্ডায় জড়ান। ফলাফলে তাদেরও লাল কার্ড দেখতে হয়।
আরও পড়ুন
অবসরে স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক |
![]() |
এছাড়া এসি মিলানের কোচ সার্জিও কনসেইসাওও সেরি আয় তাদের শেষ ম্যাচ মিস করবেন। রোমার সাথে ৩-১ গোলে হারের ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে লাল কার্ড দেখেন তিনি।
সেরি আয় শেষ রাউন্ডের আগে ৩৭ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে নাপোলি। সমান ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইন্তার।
প্রায় দুই বছর আগের ঘটনাটি নিয়ে ফুটবল বিশ্বে একটা ঝড়ই বয়ে গিয়েছিল। ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র যে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন, তা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি, যা ভালো লাগেনি স্প্যানিশ ক্লাবটির। এটির তাৎক্ষণিক সংশোধনের দাবি জানিয়ে তারা বলছে, ডকুমেন্টারিতে সেই ঘটনার যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা পুরোপুরি অবাস্তব।
গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী মুক্তিপ্রাপ্ত এই ডকুমেন্টারিটি বানিয়েছে ব্রাজিলের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কন্সপিরাসাও। এটি মুক্তি পেয়েছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে। এখানে ভিনিসিয়ুসের জীবন ও ক্যারিয়ারের নানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বিশেষ ভাবে স্থান পেয়েছে সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে রিয়াল মাদ্রিদ তারকার সাথে ঘটে যাওয়া নানা বিষয়।
তার একটিতে ২০২৩ সালের ২১ মে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ মেস্তিয়ায় রিয়ালের সাথে দলটির ম্যাচের কিছু চিত্র দেখানো হয়, যেখানে ভিনিসিয়ুস তার দিকে ধেয়ে আসা বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদে একদল ভ্যালেন্সিয়া সমর্থকের সাথে তর্কে জড়ান, যার ফলে খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
হলান্ডের জন্য কুফা ‘ওয়েম্বলি’ ও পেনাল্টি না নেয়া নিয়ে বিতর্ক? |
![]() |
ভ্যালেন্সিয়া এক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারিটি নিয়ে।
“ভ্যালেন্সিয়া তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে আনা অবাস্তব অভিযোগ ও মিথ্যাচারের প্রেক্ষিতে লিখিতভাবে ডকুমেন্টারির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কাছে মেস্তিয়ার ঘটনা নিয়ে তাৎক্ষণিক সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। কারণ এটা বাস্তবতার সঙ্গে মিলছে না। আমাদের সমর্থকদের প্রতি সবার সম্মান বজায় রাখা উচিত। ভ্যালেন্সিয়া এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে।”
স্পেন, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল, ফিফার তীব্র প্রতিক্রিয়ার এক বছর পর ওই ঘটনার জন্য তিনজন সমর্থককে কারাদণ্ড এবং স্টেডিয়ামে প্রবেশে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, স্পেনে এই ধরনের ঘটনায় আগে কাউকেই এত কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়নি।
তবে ভ্যালেন্সিয়া দাবি করেছে যে, ভিনিসিয়ুসের ডকুমেন্টারিতে যেভাবে পুরো স্টেডিয়ামের বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ দেখানো হয়েছে, সেটা অনেকটাই অতিরঞ্জিত এবং ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সন্দিহান ডে ব্রুইনা |
![]() |
নেটফ্লিক্সের ডকুমেন্টারিতে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত একটি ফুটেজ দেখানো হয়েছে, যেখানে সাবটাইটেলে বোঝানো হয়েছে যে দর্শকরা ভিনিসিয়ুসকে উদ্দেশ করে ‘মোনো’ (বানর) বলে চিৎকার করছিল। তবে ভ্যালেন্সিয়া ও ক্লাবের সমর্থকদের দাবি, সেদিন অধিকাংশ দর্শক ভিনিসিয়ুসকে আসলে ‘তোন্তো’ (বোকা) বলেছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
২০ দিন আগে
২৩ দিন আগে