৪ নভেম্বর ২০২৪, ৮:৪১ পিএম
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সমর্থক যারা আছেন, তাদের অনেকের মনে এই ২০২৪ সালে এসেও একটা প্রশ্ন বেশ জোরেশোরেই ঘুরপাক খাচ্ছে, রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কি চূড়ায় যেতে পারবেন? নাকি ব্যালন ডি’অরের মত এটাও আটকে যাবে যদি, কিন্তুর ধাঁধাঁয়?
গত কয়েক বছর ধরেই প্রতিনিয়ত নিজেকে যেভাবে ছাপিয়ে যাচ্ছেন ভিনিসিয়ুস, সাথে গত মৌসুমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ধরেই নেওয়া হয়েছিল - এবারের ব্যালন ডি’অরটা উঠতে যাচ্ছে তারই হাতে। তবে শেষ সময়ে গিয়ে যেভাবে নাটকীয়ভাবে সেটা চলে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির রদ্রির হাতে, সেটা যেকোনো ফুটবলারের জন্যই মানসিকভাবে হতে পারে বড় এক ধাক্কা।
কারণ, পুরো বিশ্বের পাশাপাশি ভিনিসিয়ুস নিজেও নিশ্চিত ছিলেন এই খেতাব জেতার ব্যাপারে। সেটাও এতোটাই যে, এল ক্লাসিকোর সময় গাভিকে বলেই দেন যে তিনি ব্যালন ডি’অর জিততে যাচ্ছেন। গুঞ্জন রয়েছে, খুব কাছের ৩০ জন বন্ধুকে নিয়ে এটি জেতার পার্টির আয়োজনও করে ফেলেছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরওয়ার্ড। এমন নিশ্চিত থাকার পর বর্ষসেরা না হওয়াটা মানসিকভাবে একজন খেলোয়াড়কে অনেকটাই দমিয়ে দিতেই পারে।
ব্যালন ডি’অর সেদিনই ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘দরকার হলে আরও দশগুণ লড়াই করব। তারা এটার জন্য তৈরি নয়।’ আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এসি মিলানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই হয়ত শুরু হবে ভিনিসিয়ুসের নিজেকে প্রমাণের নতুন লড়াই।
সাবেক ফ্ল্যামেঙ্গো যুব ফুটবল কো-অর্ডিনেটর কার্লোস নোভাল, যিনি ১০ বছর বয়স থেকে ভিনিসিয়ুসকে দেখেছেন, বিবিসি স্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের অদম্য মানসিকতা।
“বেড়ে ওঠার পথে যারাই তাকে প্রথমবারের মতো দেখছে, তখনই বুঝতে পেরেছে যে সে ভন্ন ধাতুতে গড়া। আমার মনে আছে সে কোপা ভোটোর্যান্টিমে খেলেছিল, যা অনেকটা অনূর্ধ্ব-১৫ ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো। সেখানে সে যেন উড়ছিল। এটা ছিল প্রায় প্রতিটি ম্যাচে দুই, তিন গোল করার মতো। সে অপ্রতিরোধ্য ছিল। একদিন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একজন স্কাউট আমাকে এসে বলল, ‘সে যা যা করছে, আমি কখনও ১৪ বছর বয়সী একটি ছেলেকে তা করতে দেখিনি। মাঠের বাইরে তার খুব ভালো যত্ন নিন, কারণ মাঠে যা করছে তাতে সে অনেকদূর যাবে।”
ভিনিসিয়ুস অনেক পথ পাড়ি দিয়েছেন, ১৪ বছর বয়সী সেই কিশোর এখন বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন। তবে পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না তার জন্য।
এমনকি সেটা পারেনি সাও গনকালো, রিও ডি জেনিরোর বাইরের যে শহর মাদক গ্যাংদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং সেখানে কেউই স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না। আর এই কারণেই ২০১৮ সালে অমিত প্রতিভাবান ভিনিসিয়ুস রিয়ালে যখন যোগ দেন, তখন তার কল্পনাতেও ছিল না যে তার সামনে কী কী অপেক্ষা করছে।
যেমনটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একজন স্কাউট বলেছিলেন, মাঠের ফুটবলে রিয়ালে ক্রমেই উন্নতি করেছেন ভিনিসিয়ুস। সময়ের পরিক্রমায় হয়েছেন দলটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। তবে গত কয়েক বছর ধরে মাঠের বাইরে তাকে সামলাতে হচ্ছে ভিন্ন এক যুদ্ধ, যেখানে তিনি ভীষণ একাকী হয়ে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত স্পেনের বিভিন্ন মাঠে স্রেফ ভিনিসিয়ুসের বিরুদ্ধেই জমা হয়েছে ২১টি বর্ণবাদী ঘটনার অভিযোগ। গত মৌসুম থেকে যা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় নিয়মিত চিত্র। প্রতিপক্ষের সমর্থকরা তাকে গালিগালাজ করছেন, কুশপুত্তলিকা টাঙাচ্ছেন বা এমনকি বানরের স্লোগানই দিচ্ছেন দলবেধে।
গত বছর তো ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ম্যাচই বন্ধ ছিল ১০ মিনিট এসবের প্রেক্ষিতে। মেজাজ হারিয়ে দর্শকদের সাথে মাঠ থেকেই তর্কে লিপ্ত হন ভিনিসিয়ুস। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিন ভ্যালেন্সিয়ার ভক্তকে ৮ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে, যা স্পেনে আগে হয়নি।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছিলেন, “আমি বর্ণবাদের শিকার নই। আমি বর্ণবাদীদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। আমি চাই বর্ণবাদীরা যাতে ভয় পায়, লজ্জিত হয় এবং ছায়ায় লুকিয়ে থাকে। আর নাহলে আমি আপনাদের ধরে ফেলব।”
তবে আগের ও ভ্যালেন্সিয়ার স্টেডিয়ামের সেই ঘটনা যে ভিনিসিয়ুসকে মানসিকভাবে বেশ নাড়িয়ে দিয়েছে, সেটা বোঝা যায় ব্রাজিল জাতীয় দলের এক সংবাদ সম্মেলনে। যেখানে কথা বলতে গিয়ে চোখের জল আর আটকে রাখতে পারেননি। তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে যায়, যতই প্রতিবাদ করুন না কেন, এই অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো তার ওপর প্রভাব ফেলছে।
তবে দমে না গিয়ে ব্যক্তিগত ও অন্যান্য পর্যায় থেকে ক্রমাগত বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ভিনিসিয়ুস। তার ক্লাব রিয়ালের অবশ্য শঙ্কা ছিল, এসবের প্রভাব না আবার মাঠের পারফরম্যান্সে পড়ে যায়। তবে সেটা আর হয়নি। উল্টো মাঠের ফুটবলেই যেন সব জবাব দেওয়ার মঞ্চ খুঁজে নেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
২০২৩-২৪ মৌসুমে ভিনিসিয়ুস পার করেছেন তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৪ গোলের পাশাপাশি তার নামের পাশে ছিল ৯টি অ্যাসিস্টও। রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানোর পথে ২৩ বছর ৩২৫ দিন বছর বয়সে ভেঙে দেন লিওনেল মেসির করা সবচেয়ে কম বয়সে ফাইনালে বেশি গোলের রেকর্ড। রিয়ালের লা লিগা জয়েও রাখেন বড় অবদান।
এই মৌসুমেও আছেন চেনা ছন্দে। ১৫ ম্যাচে ৮ গোল করার পাশাপাশি করিয়েছেন ৫টি গোলও। রিয়ালে শুরুর বছরগুলোতে ভিনিসিয়ুসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল তার ফিনিশিং নিয়ে। ঝড়ের গতিতে ড্রিবলিং করে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে গোলের সামনে এগিয়ে গিয়েই খেই হারিয়ে ফেলতেন। তবে সেসব এখন অতীত। এই কাজটিতে তিনি এখন নিখুঁত, দুর্দমনীয়।
সেটা এতোটাই যে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই মৌসুমে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর ভিনিসিয়ুসকে রিয়াল কিংবদন্তি ও সহ-সভাপতি এমিলিও বুত্রাগুয়েনো তুলনা করেন পেলের সাথে, যাকে ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ফিনিশিংয়ে উন্নতি করা ভিনিসিয়ুস এর মধ্য দিয়ে ছাপ রেখেছেন তার তীব্র লড়াকু মানসিকতার। ক্লাউদিও কাকাপা, যিনি তাকে ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৫ দলের কোচিং করিয়েছেন, তিনিও যেন বিস্মিত সাবেক শিষ্যর সামর্থ্যে।
“সত্যি বলতে আমি জানতাম না যে ভিনিসিয়ুস মানসিকভাবে এতটা শক্তিশালী। কারণ, সে যা যা যা মোকাবেলা করেছেন তা সহজ নয় ; এটা ভয়াবহ ছিল। তিনি এখন অনেক লোকের সমর্থন পাচ্ছেন এবং এটি দুর্দান্ত। তবে শুরু দিনগুলতে এটা ছিল তার বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বের লড়াইয়ের মত। সে নাকি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায়, এমন কিছু শুনতে হত আর সেটা ভুলে যেতে বলা হত। কিন্তু সেটা সে করেনি, লড়াই করেছে আর দেখিয়েছে যে সে কত বড় মাপের খেলোয়াড়। সে যেসবের মধ্য দিয়ে গেছে, এরপরও ফুটবল মাঠে যা যা করছে, সেটা অবিশ্বাস্য।”
আর ঠিক এই কারণেই বয়স ১৬ হওয়ার আগে থেকেই রিয়াল সহ ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো তার পেছনে পড়েছিল। সবার আগে ভিনিসিয়ুসের দিকে নজর দিয়েছিল লিভারপুল।
২০১৭ সালের শুরুর দিকে লিভারপুলের একজন স্কাউট ব্রাজিলিয়ান এজেন্ট ফ্রেডেরিকো পেনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আপনি কি মনে করেন ফ্ল্যামেঙ্গো এখন ভিনিসিয়ুসকে ২০ মিলিয়ন ইউরোতে বিক্রি করতে রাজি হবে? আমি এটা এখনই বাজিয়ে দেখতে চাই, কারণ আমার মনে হয় না অনূর্ধ্ব-১৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপের পরে ফ্ল্যামেঙ্গো আর চুক্তি করতে রাজি হবে।”
লিভারপুলের সেই স্কাউট ঠিক ছিলেন। সেই আসরে সাত গোল করে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ভিনিসিয়ুস। কয়েক মাস পেনা একটি ফোন কল পান, এবার সেটা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকে। তারা ৪৫ মিলিয়ন ইউরো বাইআউট ক্লজ দিয়ে ১৮ বছর বয়সে পা দিলে তাকে ক্লাবে স্বাগত জানাতে সম্মতি দেয়।
সেই সময়ে স্প্যানিশ তো বটেই, ইউরোপিয়ান ফুটবলেও বিষয়টি হৈচৈ ফেলে দেয়। কারণ, মাত্র ১৬ বছর বয়সী একজন তরুণ ফুটবলারের জন্য এত অর্থ ব্যয় করাটা বুদ্ধিমানের কাজ কিনা, তা নিয়ে রয়ে যায় প্রশ্ন। তবে রিয়ালের এই বিনিয়োগই বলে দেয়, ওই বয়সেই নিজের মাঝে ভিন্ন কিছু যে আছে, সেটা দেখাতে পেরেছিলেন ভিনিসিয়ুস।
১৮-তে পা দেওয়ার আগ পর্যন্ত ফ্ল্যামেঙ্গোতে খেলার সময় ভিনিসিয়ুসকে মুখোমুখি হতে হয়ে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের দুয়োর মিছিল। খেপিয়ে তুলতে তারা তাকে 'নেগুইবিনহা' বলে ডাকেন, যা ছিল আরেক আরেকজন ফ্ল্যামেঙ্গোর সাবেক খেলোয়াড় নেগুয়েবারকে নিয়ে। আর এই খেলোয়াড়টি প্রতিভার ছাপ রাখতে পারেননি পরে, যিনি এখন খেলছেন থাইল্যান্ডে। অন্যদিকে ক্লারেন্স সিডর্ফের মত অনেকে এমনটাও বলেছেন, রিয়ালে গিয়ে এক মিনিটও খেলার সুযোগ পাবেন না ভিনিসিয়ুস।
সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করেছেন জে রিকার্ডো, যিনি ছিলেন ফ্ল্যামেঙ্গোর সিনিয়রে দলে ভিনিসিয়ুসের প্রথম কোচ।
“ভিনিসিয়াস যখন আসল, তখন তাকে ঘিরে প্রচুর হাইপ ছিল, তাই এই নতুন চ্যালেঞ্জের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং আমরা সবাই যা আশা করেছিলাম, সেটা করে দেখাতে তার কিছুটা সময় লেগেছিল। কিন্তু তিনি সে তা করে দেখিয়েছে।”
মুখে হাসি নিয়ে সাম্পা নৃত্যের তালে ম্যাচের পর ম্যাচ এখন মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন ভিনিসিয়ুস। ফ্ল্যামেঙ্গো যেমন ছিল, রিয়ালেও সেটা চলছে একই গতিতে। যিনি তাকে ছোটবেলা থেকে দেখেছেন, সেই ক্লাউদিও কাকাপা তুলে ধরেছেন আরেকটি ঘটনা। যেটা তুলে ধরে মানুষ হিসেবে ভিনিসিয়ুসের সুন্দরতম দিকটি।
“আমরা ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ক্যাম্প করছিলাম। একদিন সে এবং তার কিছু সতীর্থ আমার কাছে এসে বলল যে তারা আমাদের ডিনারের জন্য একটি সারপ্রাইজ রাখতে চায়। আমি বললাম, 'অবশ্যই, এগিয়ে যাও'৷ সেদিন ডিনারের সময় তারা একটি বাচ্চাকে একটি মোবাইল ফোন, একজোড়া স্নিকার এবং জামাকাপড় উপহার দিয়েছিল৷”
“এটা খুব আবেগপূর্ণ একটা মুহূর্ত ছিল - কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সবাই হঠাৎ রেস্টুরেন্টে কান্নাকাটি করছিল। সেই বাচ্চাটিই স্কোয়াডের একমাত্র সদস্য ছিল যার কাছে ফোন ছিল না। আর এই কারণে সে তার বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ করতে অক্ষম ছিল। ভিনিসিয়ুসের সেই সময়েই একটা একটি ব্যক্তিগত স্পনসরশিপ চুক্তি ছিল, তাই সেই বাচ্চাটির জন্য এটা করতে পেরেছিল। ওই বয়সে যে ছেলের হৃদয় এত বড় হতে পারে, সে অবশ্যই বিশ্বসেরা হওয়ার যোগ্য।”
মাঠে প্রতিপক্ষক একবিন্দু ছাড় না দেওয়া ভিনিসিয়ুস মাঠের বাইরে এভাবেই দুনিয়াটাকে দেখেন। সুন্দর, কোমল, নমনীয় এবং বিশাল মনের। আর সেই কারণেই নিশ্চিত জেতে ব্যালন ডি’অর হাতছাড়া হওয়া বা বর্ণবাদের আক্রমণ তাকে আটকে রাখতে পারবে না। কারণ তিনি জানেন, লড়াইটা ফুটবলের চেয়েও অনেক বড় জন্য। যেখানে তার দিকে তাকিয়ে, তাকে দেখে স্বপ্ন বুনছে ব্রাজিলের আজকের শিশুরা…
বৃহস্পতিবার বিকেএসপিতে দ্বিতীয়বারের মত সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবলে দলের ৫জন বিকেএসপির খেলোয়াড়দের জন্য এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি জনাব তাবিথ আউয়াল।
চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে বিকেএসপির স্বপ্না রানী, আফইদা খন্দকার প্রান্তি, ঋতুপর্ণা চাকমা, শাহেদা আক্তার রিপা ও সাগরিকার হাতে সম্মাননা পুরস্কার হিসেবে ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তিনি। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মুনীরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন
জুলাই গণঅভ্যূত্থানে আহত ৭ বীরের উপস্থিতিতে অনুপ্রাণিত হলেন বিকেএসপি’র প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ |
এছাড়া এদিন বিকেএসপি কাপ নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর ফাইনালও অনুষ্ঠিত হয়। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় বিকেএসপি লাল দল। বিকেএসপি সবুজ দলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।
বিকেএসপি লাল দল খেলার প্রথমার্ধেই প্রধান্য বিস্তার করে খেলে ৩ গোলে এগিয়ে যায়। লাল দলের হয়ে ৩ টি গোল করেন নবীরণ খাতুন, তানজিলা আফরোজ হীরা ও মরিয়ম মান্নান।
খেলা শেষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি জনাব তাবিথ আউয়াল পুরস্কার প্রাপ্তদের মাঝে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ ট্রফি এবং মেডেল বিতরণ করেন। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মুনীরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন
সিরিজের মাঝে বিকেএসপি গিয়ে মুশতাকের লোকাল স্পিনারদের সাথে কাজ |
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিকেএসপি সবুজ দলের লিমা। টুর্নামেন্টে ১০ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা পুরস্কার পান বিকেএসপি লাল দলের সাগরিকা এবং সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হন বিকেএসপি সবুজ দলের সাগরিকা।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুটা ভালো না হলেও, শেষ ৪ ম্যাচের ৩টিতে জিতে ব্রাজিল উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের ৪ নম্বরে। লাতিন অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলের তলায় থাকা ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে পরের ম্যাচ ব্রাজিলের। দরিভাল জুনিয়রের দলে পরিবর্তন আসছে, সেটা ভিনিসিয়ুসের ফেরা আর রদ্রিগোর ইনজুরিতে থাকায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো।
ব্রাজিলের দায়িত্ব নেয়ার পর দরিভাল জুনিয়রের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিলো সঠিক কম্বিনেশনটা খুঁজে বের করা। অক্টোবর উইন্ডোতে পেরু ও চিলির বিপক্ষে টানা ২ জয়ে যেনো সেই কম্বিনেশন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কেটে গেছে ব্রাজিল কোচের। বিশেষ করে মিডফিল্ডে। গারসন ও ব্রুনো গুইমারেসে মন বসেছে দরিভালের। আন্দ্রে ও লুকাস পাকেতা থেকে এগিয়ে তারা। দরিভাল জানান-
“আন্দ্রে মাঠে যতক্ষণ থাকে ওর মধ্যে ভিন্নতা থাকে, পাকেতা নিজের সেরা সময়ে নেই, তবে ও আবার ফিরবে এটা জানি। গারসন ফ্ল্যামেঙ্গোতে যেভাবে খেলছে, সেরা।এই ম্যাচের জন্য মিডফিল্ডে কারা খেলবেন সেটা আগেই ঠিক করে ফেলেছিলাম।”
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস বনাম পুরো বিশ্ব, যে লড়াইটা ফুটবলের চেয়েও বড়… |
ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশ:
এদেরসন, অ্যাবনার, গ্যাব্রিয়েল, মার্কিনিয়োস, ভ্যানডারসন, গারসন, ব্রুনো গুইমারেস, সাভিনিয়ো, রাফিনিয়া, ভিনিসিয়ুস ও ইগোর হেসুস।
গারসন ও ব্রুনো গুইমারেসের সাথে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলবেন রাফিনিয়া। রদ্রিগোর ইনজুরিতে থাকায় ব্রাজিলের ’১০ নম্বর’ জার্সির নতুন প্রতিনিধি হচ্ছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা বার্সেলোনার এই ফুটবলার।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। পয়েন্ট টেবিলের ৮ নম্বরে থাকলেও, নিজেদের ঘরের মাঠে সবশেষ ২ ম্যাচে উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনাকে আটকে দিয়েছিলো স্বাগতিক ভেনেজুয়েলা।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস ব্যালন ডি’অর না জেতায় ফুটবলের ‘পরাজয়’ দেখছেন রিচার্লিসন |
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে