মৌসুম শেষে ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ছেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। গুঞ্জন চলছে তার নতুন ঠিকানা হতে পারে মেজর লিগ সকার। অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারকে মেসির সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে খেলার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। গেল দুই দিন থেকে ডি ব্রুইনার সঙ্গে জোড়া হচ্ছে ইন্টার মায়ামির নাম।
ইএসপিএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডি ব্রুইনার ওপর ‘ডিসকভারি রাইটস’ রয়েছে ইন্টার মায়ামির হাতে। এমএলএস-এর নিয়ম অনুযায়ী এই তালিকাভুক্ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি আলোচনার ক্ষেত্রে যেই ক্লাবের হাতে থাকে ‘ডিসকভারি রাইটস’ তারাই পায় প্রাধান্য। সে হিসেবে ডি ব্রুইনা এমএলএসে খেলার সিদ্ধান্ত নিলে সবার আগে তার সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাবে মায়ামি।
আরও পড়ুন
২০ মাস পর ফিরলেন নাসির, বল হাতে নিলেন উইকেটও |
![]() |
অবশ্য এবারই প্রথম না গেল গ্রীষ্মেও ডি ব্রুইনার এমএলএসে যোগ দেওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ওই সময় তার সঙ্গে চুক্তি করতে চেয়েছিল সান দিয়েগো এফসি। তবে আর্থিক জটিলতায় তখন ক্লাবটির স্পোর্টিং ডিরেক্টর টাইলার হিপস এই দলবদল থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
অবশ্য মায়ামিও খুব সহজেই ডি ব্রুইনাকে চাইলেও দলে যুক্ত করতে পারবে না। মেসি, বুসকেটস, জর্দি আলবাদের মতো তারাকাদের দলে ভিড়িয়ে বেতন নিয়ে বিপাকে আছে তারা, তার মধ্যে ডি ব্রুইনার বিশাল বেতন জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার শঙ্কা আছে। যদিও বেশ কিছু গণমাধ্যম বলছে, সেই সমস্যা সমাধানে মায়ামি কর্তারা এরই মধ্যে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন। ক্লাব বিশ্বকাপের আগে দলের শক্তি বাড়াতে ডি ব্রুইনাকে দলে যুক্ত করার উপায়টা খুঁজে বের করার চেষ্টায় আছেন।
ডি ব্রুইনা ১০ বছরের ম্যানসিটি ক্যারিয়ারে ৬টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতেছেন। এছাড়া পাঁচটি কারাবাও কাপ, দুটি এফএ কাপ, দুটি কমিউনিটি শিল্ড এবং একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা আছে তার নামের পাশে।
আজ বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেই নামছেন বুমরাহ! |
![]() |
ম্যাচের আগে রিয়াল মাদ্রিদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে মিকেল আর্তেতা বলেছিলেন, সাহসী ফুটবল খেলবে তার দল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাগতিকদের আরেকটি কামব্যাক রুখে দিতে ম্যাচ জুড়ে ইতিবাচক ফুটবল উপহার দিল তার দল। আর বাঁচা-মরার ম্যাচে ছন্দহীন ফুটবল খেলল কার্লো আনচেলত্তির দল। লড়াই তো নয়ই, উল্টো বিশাল ব্যবধানে হেরেই তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের।
বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের ফিরতি লেগের ম্যাচে আর্সেনাল জিতেছে ২-১ গোলে। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জয়ের সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে আর্সেনাল।
গোলের জন্য মরিয়া রিয়াল দ্বিতীয় মিনিটেই শানায় প্রথম আক্রমণ। কিলিয়ান এমবাপের পাস থেকে বাম দিক থেকে বক্সে প্রবেশ করে শট নেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, যা চলে যায় পোষ্টের বাইরে।
অষ্টম মিনিটে ধাক্কা খায় রিয়াল। কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে মিকেল মেরিনোকে টেনে বক্সের ভেতর ফেলে দেন রাউল আসেন্সিও। ভিএআর চেকে পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। প্রথমে মার্টিন ওডেগার্ড এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার বাঁ পায়ের পানেনকা পেনাল্টি এক হাতে আটকে দিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন থিবো কোর্তোয়া।
খানিক বাদে দারুণ স্কিলের প্রদর্শনী দেখিয়ে গোলের ভালো একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন জুড বেলিংহাম। তবে বাঁ দিক থেকে তার বাড়ানো পাস নাগাল পাননি বক্সের ভেতর থাকা রদ্রিগো।
ঘড়ির কাটায় বিশ মিনিট পার হওয়ার পর ফের বেজে ওঠে পেনাল্টির বাঁশি। এবার সেটা যায় রিয়ালের পক্ষে। ডি বক্সের ভেতর এমবাপেকে ফাউল করেছিলেন ডেকলান রাইস, এই ভেবে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। সাথে হলুদ কার্ডও। আর্সেনালের খেলোয়াড়দের তুমুল প্রতিবাদের মুখে ভিএআর চেকে যান রেফারি। এরপর নিজেই স্ক্রিনে ফুটেজ দেখে সরে আসেন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত থেকে।
রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিলের আগে স্পট কিকের প্রস্তুতি সেরেও ফেলেছিলেন এমবাপে। সেই হতাশার কারণেই কিনা, ৩১তম মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে নেওয়া তার শট চলে পোষ্টের বেশ ওপর দিয়েই।
এরপর কিছুটা কমে যায় ম্যাচের গতি। তবে চল্লিশ মিনিটের পর টানা তিন কর্নার আদায় করে আর্সেনালের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করে রিয়াল। তবে দলটির আক্রমণের দুই প্রাণভোমরা এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস প্রথমার্ধের বাকি সময়ের পর এই অংশেও থাকেন নিস্প্রভ।
ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় সাত মিনিট, যেখানে কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ভালো একটা আক্রমণ করে আর্সেনাল। রাইসের পাস থেকে বক্সের বাঁদিক থেকে কঠিন এঙ্গেল থেকে বাঁ পায়ে জোরাল শট নেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, যা দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া।
লড়াই জমাতে রিয়ালের গোলের ভীষণ প্রয়োজন হলেও বিরতির আগেই দলটির আক্রমণের খেলোয়াড়রা দেখান বাজে পারফরম্যান্স। ফলে গোলের জন্য ছয়টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে চারটি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় আর্সেনাল।
রিয়ালের গোলের সামনের এই দুর্দশা চলমান থাকে বিরতির পরেও। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে সেভাবে প্রতিপক্ষকে চাপেই রাখতে পারেনি দলটি। ফলে অধিনায়ক লুকাস ভাজকেজ, ডেভিড আলাবা ও রদ্রিগোকে তুলে ফ্রান গার্সিয়া, এন্দ্রিক ও দানি সেবায়োসকে নামান আনচেলত্তি।
তবে তাতেও কাজের কাজ হয়নি আর। উল্টো ৬৪তম মিনিটে রিয়ালকে স্তব্ধ করে দেন প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস করা সাকা। বক্সের বাইরে থেকে মেরিনোর বাড়ানো থ্রু বল থেকে ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ে আর্সেনালকে বড় লিড এনে দেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
তবে সেই রাশ না কাটতেই বল এবার চলে যায় আর্সেনালের জালে। প্রতিপক্ষের সীমানায় চ্যালেঞ্জ করে বলের দখল পেয়ে কোনোমতে শরীরের ভারসাম্য ধরে রেখে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন ভিনিসিয়ুস।
তবে এরপরই সেই উদ্দীপনা ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। উল্টো ৭৫তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এমবাপে। একটা গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও বারবার আর্সেনালের জমাট ডিফেন্সের সামনে থেমে যায় রিয়ালের সব প্রচেষ্টা। তাতে হতাশা বাড়তে থাকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে, যারা সেজেছিল আরও একটা কামব্যাকের প্রত্যাশায়।
গোলের জন্য রিয়ালের প্রানান্তকর চেষ্টায় বারবার হাইলাইনে উঠে খেলছিল তারা। ফলে প্রায়ই ডিফেন্সে তৈরি হচ্ছিল শুন্যতার। গোলের দেখা না পাওয়া রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ঠুকে দেন মার্তিনেল্লি।
ইনজুরি টাইমে কাউন্টার এটাক থেকে দ্রুত বল পেয়ে মেরিনো বাঁদিকে বল দেন মার্তিনেল্লিকে। ফাঁকায় থাকার কারণে অনেকটা সময় নিয়ে প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান তিনি। আর সেটাই হতাশার গভীর চাদরে ঢেকে দেয় রিয়ালকে।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন ও ইন্তারের শেষ আটের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ অগ্রগামিতায় শেষ চারের টিকিট পেয়েছে ইন্তার।
প্রথমার্ধে বায়ার্ন মিউনিখকে ভালোই আটকে রেখেছিল ইন্টার মিলান। প্রথম ২৫ মিনিট বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েও কাজের কাজটা করতে পারেনি বুন্দেসলিগার দলটি। এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করে ইন্তারও।
৩৯তম মিনিটে লেওন গোয়ের্টজার ক্রস থেকে হ্যারি কেইনের নেওয়া হেড অল্পের জন্য থাকেন লক্ষ্যে। তবে বিরতির পরই লড়াইয়ে সমতা টানেন এই মৌসুমে ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।
৫২তম মিনিটে গোয়ের্টজার পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শট খুঁজে নেন ঠিকানা। প্রথম লেগে ২-১ গোলে হারা বায়ার্ন তাতে পেয়ে যায় লড়াইয়ের রসদ।
তবে পাঁচ মিনিট বাদে ফের ইন্তারকে এগিয়ে দেন লাউতারো মার্তিনেজ। কর্নার থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে গোলের দেখা পান আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা।
সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে বায়ার্নকে আরও নাজুক অবস্থায় ফেলে দেন বেঞ্জামিন পাভার্ড। হাকান কালহানোগলুর ক্রস থেকে ছয় গজের ভেতর থেকে নেওয়া হেডারে বল জালে পাঠান এই ফরাসি ডিফেন্ডার। দুই লেগ মিলিয়ে ইন্তার লিড পেয়ে যায় ৪-২ গোলের।
পরাজয়ের শঙ্কা মাথায় রেখে আক্রমণে ধার বাড়ায় বায়ার্ন। প্রতি-আক্রমণ থেকে কয়েকটি সুযোগ পায় ইন্তারও। তবে তাদের কাজটা কঠিন করে বায়ার্নের জন্য লড়াই জমিয়ে তোলার কাজটা করে দেন এরিক দায়ার। ৭৬তম মিনিটে সের্জিও জিনাব্রির ক্রস থেকে ছয় গজের ভেতর ঝাঁপিয়ে হেডারে বল জালে পাঠান এই ইংলিশ ফুটবলার।
বাকি সময়ে ইন্তার ব্যস্ত সময় পার করে রক্ষণ সামলাতেই। বায়ার্নের সামনে বেশ কয়েকটি সুযোগ ছিল সমতা টানার, তবে কাজের কাজটা আর করতে পারেননি কেউ। ফলে একরাশ হতাশা নিয়েই আসর থেকে বিদায় নিতে হয় কেইন-মুলারদের।
আর তাদের বেদনায় ভাসিয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুমে ইন্তার জায়গা করে নিল সেমিফাইনালে।
যেভাবে কোপা দেল রের সেমিফাইনালে ফাউল করে দেখেছিলেন লাল কার্ড, তাতে সম্ভাবনা জেগেছিল বড় নিষেধাজ্ঞার। তবে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে স্বস্তি দিয়ে সর্বনিম্ন সাজাই পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে।
স্পেনীয় ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, গত রোববার আলাভসের বিপক্ষে সরাসরি লাল কার্ড পাওয়া এমবাপে নিষিদ্ধ হয়েছেন এক ম্যাচের জন্য।
আরএফইএফ-এর ডিসিপ্লিনারি কমিটি বলেছে যে, এমবাপেকে তার ‘সহিংস আচরণের’ জন্য এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের ঘটনার জন্য এক থেকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যেতে পারে। ডিসিপ্লিনারি কমিটি শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে অল্প সাজাই বেছে নিয়েছেন রিয়াল তারকার জন্য।
ফলে এমবাপের আগামী ২৬ এপ্রিল বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনাল খেলায় কোনো সমস্যা রইল না। তিনি নিষেধাজ্ঞায় থাকবেন লা লিগায় আতলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচে।
চলতি সপ্তাহে আলাভাসের বিপক্ষে রিয়ালের ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে বিরতির আগে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার আন্তোনিও ব্লাঙ্কোতে রাফ ট্যাকল করে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেন এমবাপে। তবে পরে ভিএআর দেখে তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেন রেফারি।
গত গ্রীষ্মে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর থেকে এটাই এমবাপের প্রথম লাল কার্ড দেখার ঘটনা ছিল।
দলটার নাম রিয়াল মাদ্রিদ বলেই পরিস্থিতি যতোই নাজুক হোক না কেন, সবসময়ই আলোচনায় থাকে তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনার কথা। আর্সেনালের সাথে প্রথম লেগে বিশাল ব্যবধানে হারের পরও তাই জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে কার্লো আনচেলত্তির দলের কামব্যাকের কথা। বিষয়টি নিয়ে খুব ভালোভাবেই অবগত আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতাও। আর তাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে কোনো ছাড় দেবে না তার দল।
আর্সেনালের ম্যানেজার মিকেল আর্টেটা তার খেলোয়াড়দের বুধবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সাহসী হতে এবং নিজেকে বিশ্বাস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং স্প্যানিশ জায়ান্টদের প্রত্যাবর্তন অস্বীকার করেছেন।
শেষ আটের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়ালকে রীতিমতো চমক উপহার দেয় আর্সেনাল। ডেকলান রাইসের জোড়া গোল ও মিকেল মেরিনোর এক গোলে জেতে ৩-০ ব্যবধানে। ফলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগের আগে ভীষণ চাপে পড়ে গেছে এমবাপে-ভিনিসিয়ুসরা। তবে এই প্রতিযোগিতায় বারবার অবিশ্বাস্য সব ফিরে আসার গল্প রচনা করার কারণে অনেকেই হিসাবের বাইরে রাখছেন না রিয়ালকে।
সেটা আচ করতে পারছেন আর্তেতাও। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তাই সাবধান করে দিলেন দলকে।
“আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল, এই ম্যাচটা জিততে হবে ঠিক সেভাবেই, যেভাবে লন্ডনে আমরা জিতেছিলাম। রিয়াল মাদ্রিদ আমাদের যে জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে, আমরা সেখানে যেতে চাই না। আমি এটা (রিয়ালের ফিরে আসার সম্ভাবনা) বুঝতে পারি, কারণ এটি তাদের ইতিহাসের অংশ। তাদের এই ধরণের (কামব্যাক) পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার সেই অধিকার আছে।”
প্রথম লেগে আর্সেনাল ৩-০ গোলে জেতায় ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে হলেও রিয়ালকে কমপক্ষে তিন গোল করতেই হবে। কাজটা আরও কঠিন, কারণ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর এক ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল হজম করেনি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।
তবুও সাবধানী আর্তেতা।
“আমাদের জয়ের জন্য লড়াকু মানসিকতা দেখাতে হবে। সাহসী হতে হবে, প্রাধান্য দেখাতে হবে এবং দৃড়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। আর নিজেদের মাঝে এই বিশ্বাস থাকা দরকার যে, আমরা তাদের চেয়ে ভালো দল হতে পারি এবং ম্যাচটা জিততে পারি।”
দুই মৌসুম আগেও ক্লাবে ছিলেন লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপেরা। সেই পিএসজি দলে এখন বড় মাপের তারকা বলতে গেলে কেউই নেই। তবে আছে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, যার সুবাদে চলতি মৌসুমে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েই চলেছে দলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পা রেখে উচ্ছ্বসিত কোচ লুইস এনরিকে তাই বলেই দিলেন, পিএসজির স্কোয়াডই বিশ্ব সেরা।
ছয় রাউন্ড হাতে রেখে লিগ ওয়ানের শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলা পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের প্রথম লেগে জয় পেয়েছিল ৩-১ গোলে। তবে মঙ্গলবার ফিরতি লেগে তাদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা। তবে শেষ পর্যন্ত ইংলিশ ক্লাবটি ৩-২ গোলে জিতলেও সেমিফাইনালে চলে গেছে পিএসজিই (৫-৪ স্কোরলাইনে এগিয়ে)।
ম্যাচের পর এনরিকে অ্যামাজন প্রাইম টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশংসায় ভাসান পিএসজি স্কোয়াডকে।
“আমি মনে করি আমার হাতে এখন বিশ্বের সেরা স্কোয়াডটা রয়েছে। কেবল গোলরক্ষকই নয়, আপনি যখন পিএসজির মতো ক্লাবে থাকবেন, তখন আপনার কাছে অনেক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় থাকে।”
প্রথম লেগে উপভোগ্য ফুটবল খেলা পিএসজি দ্বিতীয় লেগে বেশ খেই হারায় ম্যাচ এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে। ৩-২ গোলে জেতা ভিলা অঘটনের জন্ম দিতে পারত, যদি না অবিশ্বাস্য কিছু সেভ না করতেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোনারুম্মা। ফলে পিএসজি চলে গেছে সেমিতে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ বা আর্সেনাল।
এই ম্যাচ হারলেও দুই লেগ মিলিয়ে নিজের দলকেই এগিয়ে রাখলেন এনরিকে।
“আমরা ভুলে যেতে পারি না যে এটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং আপনাকে মেনে নিতে হবে যে প্রতিপক্ষ দলেরও অনেক মান রয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাস্টন ভিলা অনেক লড়াই করেছে। আমি মনে করি দুটি ম্যাচের পর আমরাই জয়ের দাবিদার। আমি খুব খুশি, কারণ আমরা আমাদের সমর্থকদের আরও একবার সেমিফাইনালে খেলার স্বাদ দিতে পেরেছি।”
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে