১২ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৩৩ পিএম
হাতে আছে চার মাসেরও কম সময়। আইসিসির আর দশটা টুর্নামেন্ট হলে এমন সময়ে আয়োজক দেশ ব্যস্ত থাকে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে, সূচিও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বা হওয়ার পথে থাকে। ভেন্যুগুলোতে চলে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। তবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে হওয়ার এই সময়েও রয়েছে ব্যাপক অনিশ্চয়তা। ভারত কোনোভাবেই যাবে না প্রতিবেশী দেশে খেলতে, আর ছাড় দিতে নারাজ পাকিস্তানও। তাদের দাবি, হয় ভারতকে তাদের দেশে আসতে হবে বা রোহিত-কোহলিকে ছাড়াই আয়োজন হবে এবারের আসরের।
সবকিছু ঠিক থাকলে, গত সোমবার থেকে ১০০ দিনের কাউন্টডাউন শুরু হতো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫-এর। লাহোরে হত বিশাল আয়োজন। জানানো হতো টুর্নামেন্টের সূচি। কিন্তু তা আর হলো কই। এর পেছনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের অনড় অবস্থানও কম দায়ী নয়।
আরও পড়ুন
‘ভারত-পাকিস্তান আছে বলেই আইসিসি টিকে আছে’ |
![]() |
পাকিস্তানে হিয়ে খেলার ক্ষেত্রে গোড়ামি যে শুধু ভারতেরই নয়। পাকিস্তানও যেন পণ করেছে, একচুল ছাড় ভয় ভারত ক্রিকেট বোর্ডকে। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের হাইব্রিড মডেলকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তারা কিছুতেই মানবে না। গেল বছর এশিয়া কাপে ভারত ছাড়া বাকি দলগুলো খেলেছে পাকিস্তানের মাঠে। শুধু ভারতের জন্যে শ্রীলঙ্কাতেও বসাতে হয়েছিল ভেন্যু। তবে এবার পাকিস্তান তাতেও রাজী না।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আইসিসিকে ই-মেইলে জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানে খেলতে যেতে অপারগ। ভারত সরকার তাদের পাঠাবেন না। প্রস্তাব দিয়েছে হাইব্রিড মডেলে তাদের ম্যাচগুলো অন্য আরেকটি দেশের রাখার জন্য। সেটা আবার আইসিসি পাকিস্তানকে মেইল করে জানিয়েছে।
পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, ভারত যদি এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে না আসে, তবে মাইনাস ইন্ডিয়া বা বয়কট ইন্ডিয়া নীতিতে এগোতে পারে পাকিস্তান। অর্থাৎ, ভারতকে ছাড়াই টুর্নামেনট আয়োজনের কথা ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। গণমাধ্যমগুলো এমনও বলছে, ভারত পাকিস্তানে না খেলা অব্দি পাকিস্তানও কোন টুর্নামেন্টেই ভারতের সঙ্গে আর খেলবে না। পিসিবিও নাকি এগোচ্ছে এমন পরিকলল্পনার দিকেই।
আরও পড়ুন
রউফের ফাইফারে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান |
![]() |
ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতা তো নতুন কিছু না। তবে এরপরেও দুই দলের মধ্যে সফর ছিল প্রায় নিয়মিত। মাঝে শুধু ১৯৬২ থেকে ১৯৭৭ সাল দুবার যুদ্ধে জড়িয়ে আসা যাওয়া বন্ধ ছিল দুই দেশ। এর আগে-পরেও একাধিকবার সফর বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। তবে একুশ শতকে কোনো যুদ্ধ না লাগলেও এক যুগ ধরে ভারত-পাকিস্তান একে অপরের দেশে সফর করে না।
পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে সবশেষ ভারতে গেছে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। আর ভারতীয় দলের সর্বশেষ পাকিস্তান সফর ২০০৭ সালে। এর পরের বছরও ভারতের একটি দল পাকিস্তানে গেছে, তবে সেটা এশিয়া কাপের জন্য। এর পর থেকে চলছে লম্বা বিরতি। আর গত ৮ বছরে দুই ফরম্যাটের দুটি বিশ্বকাপ খেলতে দুইবার ভারতে গেছে পাকিস্তান।
গত বছর এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় দলের পাকিস্তানে যাওয়া না–যাওয়া নিয়ে যখন তুমুল আলোচনা, তখন জাভেদ মিয়াঁদাদের একটি মন্তব্য ভারতীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। মিয়াঁদাদ বলেছিলেন, “ভারত জানে পাকিস্তানের কাছে হারলে তাদের দেশের মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না। এমনকি নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত উধাও হয়ে যাবেন, ভারতের জনগণ তাঁকেও ছাড়বে না। এই ভয়ৈই ভারত আসে না। পাকিস্তানে যদি তারা খেলতে না আসে, তাহলে তারা জাহান্নামে যাক।”
পাকিস্তানে না যাওয়া নিয়ে বিসিসিআই সব সময়ই সরকারের অনুমোদন না থাকার কথা বলে। কিন্তু ভারত সরকারের কেউ কখনোই স্পষ্ট করে বলেন না ঠিক কী কারণে অনুমতি দেওয়া হয় না। আর এ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমে ভারতের ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একটা শব্দই নিয়মিত উচ্চারণ করে থাকেন—‘নিরাপত্তা’।
আরও পড়ুন
ভারতের অংশগ্রহণে পাকিস্তানেই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আশা পিসিবির |
![]() |
পাকিস্তানে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কিন্তু শঙ্কা কমবেশি সব দেশেরই থাকে। ২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলার ঘটনায় তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনেই চলে গিয়েছিল পাকিস্তানের ভেন্যু। এমনকি ২০১১ বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক হলেও পাকিস্তানে শেষ পর্যন্ত কোনো ম্যাচই হয়নি।
পাকিস্তানে ভারত ক্রিকেট দলের সফর বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে লাহোরের ঘটনা ছিল সবার জন্য ‘কমন ফ্যাক্টর’। লাহোর হামলার পরবর্তী ছয় বছর কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশই আর পাকিস্তানে সফর করেনি। তবে ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের মাধ্যমে আবার দরজা খোলার পর গত কয়েক বছরে প্রায সব দেশই পাকিস্তানে খেলতে গেছে। বাকি কেবল ভারতই।
এর পেছনে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর টানা চার দিন মুম্বাইয়ে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলার কারণটিও জড়িত। ওই হামলায় প্রায় পৌনে দুই শ মানুষ নিহত হয়। মুম্বাইয়ে সেই সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে সরাসরি দায়ী করে ভারত। এতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ঠেকে তলানিতে । সঙ্গে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলার ঘটনা মিলিয়ে ভারত, পাকিস্তানে ক্রিকেট দল পাঠানো বন্ধ করে দেয়।
২০১৫ সালের শেষে সম্ভাবনা দেখা দেয় পিসিবি আর বিসিসিআইয়ের মধ্যকার এক বৈঠকের আহবানে। বৈঠকের দিন ওয়াংখেড়েতে হানা দেন শিবসেনার কর্মীরা। প্রায় দুই শর মতো শিবসেনা বিসিসিআই প্রধান শশাঙ্ক মনোহরসহ অন্যদের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখলে পিসিবি-বিসিসিআই বৈঠক পণ্ড হয়ে যায়।
বিসিসিআইয়ের তখনকার সচিব অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা নিয়ে আলোচনা করতে পারি তিনটি শর্তে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা, ভারতীয় ক্রিকেটারদের স্বার্থ এবং ভারতীয় জনগণের অনুভূতিকে প্রাধান্য দিয়ে।”
তবে সেই শর্ত পূরণ হয়েছে নাকি হয়নি, আজ অব্দি তা নিয়ে কোনো পক্ষ থেকেই আসেনি পরিস্কার কোন বক্তব্য। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপ ঘিরে দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক পুনরায় চালু নিয়ে আবার ব্যাপক মাত্রায় আলোচনা তৈরি হয়েছিল। পাকিস্তান সব ভুলে কিন্তু বিশ্বকাপেও খেলেছে ভারতে গিয়ে। আবার ভারতের ইচ্ছেনুযায়ী হাইব্রিড মডেলও দিয়েছে এশিয়া কাপে। তবে পাকিস্তানে গিয়ে খেলার ব্যাপারে অতীতের অবস্থান পরিবর্তন এখন ও নিকট ভবিষ্যতেও হয়ত করবে না ভারত।
আর সেই কারণেই উঠছে প্রশ্ন, অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজক দেশ ও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও ক্ষমতাধর ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই - দুই পক্ষকে খুশি রেখে আইসিসি কী পারবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঠিক সময়ে আয়োজনে এগিয়ে যেতে? বাস্তবতা বলছে, খুব জটিল সময় অপেক্ষা করছে ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টের জন্য।
১০ জুলাই ২০২৫, ১১:০৯ পিএম
৯ জুলাই ২০২৫, ৯:১৬ পিএম
পাকিস্তানের আসছে বাংলাদেশ সফরের সম্প্রচার স্বত্ত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তার ইতি ঘটেছে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি সরাসরি দেখা যাবে দেশের প্রথম ও একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল টি স্পোর্টসের পর্দায়।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি‑টোয়েন্টি সিরিজটি মাঠে গড়াবে আর কদিন বাদেই। তবে কিছুদিন আগেও সিরিজটি বাংলাদেশে কীভাবে দেখা যাবে, তা নিয়ে ছিল অনিশ্চিয়তা। শেষ পর্যন্ত সবসময়ের মত এবারও টি স্পোর্টসেই দেখা যাবে বাংলাদেশের খেলা।
আরও পড়ুন
জয় দিয়েই আসর শুরু চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের |
![]() |
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে আগামী ২০ জুলাই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ হবে যথাক্রমে ২২ ও ২৪ জুলাই। সবগুলো ম্যাচই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৬টা থেকে।
এই সিরিজ দিয়ে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করবেন লিটন দাস। তিনি ও বাংলাদেশ দল এখন ব্যস্ত শ্রীলঙ্কা সফরে, টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে। প্রথম ম্যাচে অবশ্য হেরে গেছে সফরকারীরা। এই সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করবেন লিটন-মুস্তাফিজরা।
সৌম্য সরকারের চেষ্টা ছিল যেখানে তিনি শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরুটা করার। রানের খাতাটা চার মেরে খুলে সেটাই হয়তো জানান দিয়েছিলেন। আগের বার ফাইনালের মঞ্চে ৫৪ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস ছিল তাঁর। এবারের গ্লোবাল সুপার লিগের শুরুটাও জমকালো। টানা তিন ওভারেই তাঁর ব্যাট থেকে আসে বাউন্ডারি।
এক প্রান্তে সৌম্যের ব্যাট চললেও অপরপ্রান্তে সাইফ হাসান ধরে খেলছিলেন। শুরুটা দারুণ করলেও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচের গতি কমে আসে ধীরে ধীরে। পাওয়ারপ্লেতে ৪০ রান আসে সৌম্য-সাইফের ব্যাট থেকে। এর মাঝে ডেভিড উইজার বলে আউট হতে হতে সৌম্য সরকার বেঁচে যান রিভিউ নিয়ে।
গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের প্রথম ব্রেকথ্রু আসে ৮ম ওভারে সাইফের উইকেটের মাধ্যমে। ১৮ বল খেলে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১ চারে সমান ১৮ রান। এরপর আর মাত্র ১ ওভার টিকতে পারেন সৌম্য। ভালো শুরু করলেও সৌম্যের ইনিংস থামে ৩৬ বলে ৩৫ করে।
আরও পড়ুন
‘৪০০ রানের সুযোগ একবারই আসে, কিংবদন্তি হতে হলে রেকর্ড ভাঙতেই হবে’ |
![]() |
এর ঠিক পরের ওভারেই আগুনে মেজাজে ৪৬ বছর বয়সী ইমরান তাহির। পরপর দুই বলে ফেরান রংপুরের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা আফগান স্টার আজমাতুল্লাহ ওমারজাই ও ইয়াসির আলি রাব্বিকে। হ্যাট্রিক চান্স থাকলেও বেঁচে যান ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহান। ১০ ওভারে রংপুর তখন খেলছে প্রায় ১০০ স্ট্রাইকরেটে।
১০ বলে ১৮ করে নুরুল হাসান সোহান ফিরলে রংপুরের হাল ধরেন দুই বিদেশী কাইল মায়ার্স ও ইফতিখার আহমেদ। দলের সর্বোচ্চ রান ছিল এই জুটির। ৪৩ বলে ৭৬ রান আসে মায়ার্স ও ইফতিখারের ব্যাট থেকে। তবে তাঁদের এই ইনিংসে অনেকটা অবদান প্রতিপক্ষেরও। প্রচুর মিসফিল্ড ও ক্যাচ মিসের মহড়া ছিল গায়ানার। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৬২ রান তোলে রংপুর রাইডার্স।
জবাবে কাইল মায়ার্সের প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান নিয়ে শুরু করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও জনসন চার্লস। এরপর ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করলেও ৪র্থ ওভারে স্বদেশী আজমাতুল্লাহর বলে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গুরবাজ। গায়ানার ওপেনিং জুটি ভাঙে ২৯ রানে।
এরপর মঈন আলি ও জনসন মিলে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দুজনে মিলে ৮ ওভারে ৭০ পার করান দলের রান। চার্লস ২৮ বলে ৪০ ও মঈন করেন ১৮ বলে ২৭। এরপর পরপর দু ওভারে এই দুই ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে পাঠান হারমিত সিং ও তাবরাইজ শামসি।
আরও পড়ুন
৪ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছেন আর্চার |
![]() |
বোলারদের কল্যাণে ম্যাচ কখনও হেলেছে রংপুরের দিকে আবার কখনও অ্যামাজন নিয়ে গেছে তাঁদের ডেরায়। তবে হেটমায়ার আর রাদারফোর্ডের ক্যামিওতে শেষ ৬ ওভারে ৩৮ রান প্রয়োজন হয় স্বাগতিকদের। কিন্তু এই দুইজনকে আউট করে রংপুরকে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফেরান খালেদ আহমেদ।
এমনকি ম্যাচের ক্রুশাল সময়ে আরো দুই উইকেট নিয়ে ৪ উইকেট পূরণ করেন খালেদ। আর তাবরাইজ শামসি ও ওমাজাইয়ের শিকার ৩টি। সেই সঙ্গে গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে অসাধারণ নুরুল হাসান সোহান ছিলেন দুর্দান্ত। ৩ টি ক্যাচ ও ১টি স্টাম্পিং করে রংপুরকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন দারুণভাবে। ম্যাচ শেষ ওভারে গড়ালেও শেষমেশ গায়ানাকে অলআউট করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের শুরুটা হলো জয় দিয়েই।
ভেন্যু সেই পাল্লেকেলে। এবং যথারীতি হতাশার গল্প। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতাই সংক্রমিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে এখন দুইশ স্কোর হরহামেশায় হচ্ছে। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৪/৪ স্কোর মোটেও যথেষ্ট নয়, তা জেনে গেছে লিটনের দল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার ওপেনিং পার্টনারশিপের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে হেরে। উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের বড় জয় ছিল দুটি, ৬ উইকেটে। ২০১৭ সালে ১৫৬ রান তাড়া করে পাল্লেকেলেতে, ২০১৮ সালে ১৯৪ রান তাড়া করে মিরপুরে।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং রসায়নটা আদৌ কতোটা রপ্ত করতে পেরেছে বাংলাদেশ ব্যাটাররা, সেটাই প্রশ্ন। ১২০ টি বৈধ ডেলিভারি ফেস করতে এসে ৩৯টি ডট। তা না হয় মেনে নিলেন। কিন্তু পুরো ইনিংসের অবশিষ্ঠ ৮১ বলের মধ্যে ১২টি বাউন্ডারির পাশে ৪টি ছক্কা! চার-ছক্কার ধুন্দুমার ফরম্যাটের খেলায় এই সংখ্যাটা নেহায়েতই অসামঞ্জম্যপূর্ণ। ইনিংসের মাঝপথে একবার ২৭ বল, অন্যবার ২৮ বল বিরতি দিয়ে বাউন্ডারি মারতে পেরেছে। দৃষ্টিকটু এই পরিসংখ্যানটাও আনতে হচ্ছে সামনে।
ব্যবধানটা হয়েছে এখানেই। বাংলাদেশের চেয়ে একটি বেশি বল ডট (৪০টি) করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সমান ১২টি বাউন্ডারি ছিল তাদের ইনিংসে। তবে ৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয়ে সহায়ক হয়েছে জয়সুরিয়ার শিষ্যদের ছক্কার প্রদর্শনী। বাংলাদেশ যেখানে মারতে পেরেছে ইনিংসে ৪টি ছক্কা, সেখানে শ্রীলঙ্কা মেরেছে ১২টি ছক্কা!
১৩ মাস ৩ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে যে প্রতিপক্ষকে ২ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় করে দিয়েছে বাংলাদেশ, সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিরতি টি-২০তে বাংলাদেশ ব্যাটারদের ব্যাটিং ছিল বড্ড বেমানান। ওভারপ্রতি ৭.৭০ হারে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৪/৫।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম-পারভেজ ইমনের ব্যাট ঠিকই কথা বলেছে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ৫৪/১ স্কোরকে সন্তোষজনক মনে হয়েছে। তবে ইনিংসের মাঝের ৯ ওভারের (৭ম থেকে ১৫তম) ব্যাটিংটা হয়েছে ওয়ানডে মেজাজে। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে'র ওই ৫৪ বলে ৫৪'র বেশি রান ওঠেনি। হারাতে হয়েছে ওই সময়ে ৩ উইকেট। শেষ ৩০ বলকেও শ্লগে পরিণত করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওই ৩০ বলে অধিনায়ক মিরাজকে হারিয়ে বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে ৪৬ রান।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চামিকা করুণারত্নেকে মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে পারভেজ হোসেন ইমন দিয়েছিলেন বড় স্কোরেরর আভাস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বিনুরু ফার্নান্দোকে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কায় পাল্লেকেলে ভর্তি দর্শকদের হতভম্ব করেছেন তিনি। থিকসানাকে এক ওভারে ৩টি বাউন্ডারিতে এই ফরম্যাটের যথার্থ ব্যাটার হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তবে তুষারার লো ফুলটসে পার্টনার তানজিদ হাসান তামিম মিড উইকেটে ক্যাচ দিলে (১৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৬) পারভেজ ইমনের ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন হয়। ৩০ বলে ৪৬ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ থামার পর রানের গতি হয়ে পড়ে শ্লো। জেফরির বলে সুইপ করতে যেয়ে অধিনায়ক লিটন এলবিডাব্লুউতে কাটা পড়েন মাত্র ৬ রানে (১১ বল)। পরের ওভারে থিকসানাকে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা মারতে চেয়ে লং অনে দিয়েছেন ক্যাচ (২২ বলে ৫ চার, ১ ছক্কায় ৩৮)। হৃদয় জিততে পারেননি তাওহিদ। সানাকার গুড লেন্থ বল খেলতে যেয়ে উইকেটের পেছনে দিয়েছেন ক্যাচ (১৩ বলে ১০)।
১১ মাস পর টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফেরা অপরাজিত থেকেছেন নাঈম শেখ। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে রানের জন্য ধুঁকতে থাকা নাঈম শেখ জেফরিকে দর্শণীয় সুইপ শটে ছক্কা মেরে পেয়েছেন স্পন্দন। তবে স্লগে হাসেনি তার ব্যাট। ফলে ২৯ বলে ১ বাউন্ডারি, ১ ছক্কায় ৩২ রানের হার না মানা ইনিংসে তৃপ্ত হওয়ার কথা নয় তার।
এদিন মিরাজ শুরু করেছিলেন দারুণ। সানাকার পর পর দুটি শর্ট বলে হুক, পুল শটে বাউন্ডারি মেরে পেয়েছেন ছন্দ। ১৯তম ওভারে থিকসানাকে এক্সট্রা কভারর দিয়ে বাউন্ডারি মারতে যেয়ে ক্যাচ দিয়ে এসেছেন ফিরে (২৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৯)। শামীম পাটোয়ারী মাত্র ৫টি ডেলিভারি ফেস করতে পেরেছেন। ওই ৫টি ডেলিভারির মধ্যে থিকসানা এবং তুষারাকে মেরেছেন একটি করে ছক্কা। ৫ বলে ২৮০.০০ স্ট্রাইক রেটে ওই ১৪টি মূল্যবান রান না আসলে বাংলাদেশের স্কোর দেড়শ স্পর্শ করতো না।
বাংলাদেশের ইনিংসে সফল ছিলেন অফ স্পিনার থিকসানা (২/৩৭)। তবে মিডিয়াম পেসার সানাকা (১/২২) ছিলেন মিতব্যয়ী বোলার।
শ্রীলঙ্কাকে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশের পেস বোলারদের যে গর্জনের প্রত্যাশা ছিল, তা দেখেনি এদিন বাংলাদেশ সমর্থকরা। ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা সুখকর হয়নি পেস বোলার সাইফউদ্দিনের। ১ ওভারের প্র্র্রথম স্পেলে তার খরচা ১৪ রান। তাসকিন প্রথম ২ ওভারের স্পেলে খরচ করেছেন উইকেটহীন ৩৪ রান। দলের তৃতীয় পেসার তানজিম হাসান সাকিবও প্রথম স্পেলে খেয়েছেন মার (১-০-১৫-০)। তাদের অমিতব্যয়ী বোলিংয়ে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে শ্রীলঙ্কার স্কোর উঠেছে ৮৩/১।
জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্যটা সহজ করেছেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা-কুশল মেন্ডিজ। এই সফরের শুরু থেকে ইনফর্ম এই দুই লঙ্কান ওপেনার ২৮ বলে ৭৮ রান যোগ করে দলের বড় জয়ের পথ করেছেন প্রশস্ত। ফিফটি পেয়েছেন কুশল মেন্ডিজ। ১৮তম ওভারে সাইফউদ্দিনের বলে শর্ট এক্সট্রা কভারে শামীমের দারুণ ফ্লাইং ক্যাচে বন্দি হওয়ার আগে করেছেন ৫১ বলে ৫ চার, ৩ ছক্কায় ৭৩। তার এই ক্যাপ্টন নক-ই গড়ে দিয়েছে দু'দলের মধ্যে ব্যবধান।
ফিফটি পেতে পারতেন পাথুম নিশাঙ্কাও। মিরাজকে ওয়েলকাম ছক্কা মেরে, ওই ওভারের পথম তিন বলে ২ ছক্কায় সে আভাসই দিয়েছিলেন পাথুম। তবে মিরাজের সেই ওভারের চতুর্থ বলে একই শট নিতে যেয়ে দিয়ে এসেছেন লং অফে ক্যাচ (১৬ বলে ৫ চার, ৩ ছক্কায় ৪২)।
এই ম্যাচে লেগ স্পিনার রিশাদ করেছেন দারুণ বোলিং। কুশল পেরেরাকে (২৫ বলে ২৪) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করা রিশাদের বোলিং স্পেলটা (৪-০-২৪-১) ছিল দারুন। অফ স্পিনার মিরাজ প্রথম ওভারে মার খেয়ে (১৪ রান খরচ)ও পরের তিন ওভারে দারুণভাবে ফিরেছেন। শেষ ৩ ওভারে তার খরচা মাত্র ১০ রান। তবে তাসকিন এই ম্যাচে হতাশ করেছেন (৩-০-৪৩-০)।
জিম্বাবুয়ের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয়ে গেছে দুই দিন হয়েছে। তবে এখনও আলোচনা চলছে ভিয়ান মুল্ডারের এক সিদ্ধান্ত নিয়ে, যেখানে সুযোগ পেয়েও তিনি টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর নিজের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা অলরাউন্ডার এর পেছনে তুলে ধরেন রেকর্ডটির মালিক ব্রায়ান লারার প্রতি শ্রদ্ধার কথা, যা একেবারেই ভালো লাগেনি ক্রিস গেইলের। সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা বরং সমালোচনা করে বলেছেন, এমন সুযোগ মুল্ডার আর কখনই হয়ত পাবেন না।
চলতি সপ্তাহে জিম্বাবুয়ের সাথে ক্যারিয়ারের ২১তম টেস্ট খেলতে নামা মুল্ডার ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে প্রথম দিন শেষে ২৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। পরদিন হাশিম আমলাকে পেছনে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর নিজের করে নেন ট্রিপল সেঞ্চুরিতে। ৩৩৪ বলে ৪৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৬৭ রানে অপরাজিত থেকে ভালোভাবেই ছিলেন লারার করা ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙার পথে। তবে বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে ওই স্কোরেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন মুল্ডার, যা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ক্রিকেট বিশ্ব।
আরও পড়ুন
৪ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছেন আর্চার |
![]() |
টকস্পোর্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সরাসরি মুল্ডারের ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন গেইল।
“এমন একটা সুযোগ জীবনে একবারই আসে। সে সেটাই পেয়েছিল। সে হয়তো ঘাবড়ে গিয়েছিল, তাই ঠিক কী করা উচিত ওই অবস্থায়, সেটা বুঝতে পারেনি। আমি যদি ৪০০ রানের কাছাকাছি যেতে পারতাম, আমি রেকর্ড নিজের করেই মাঠ ছাড়তাম। আবার কবে ৪০০ রান করার সুযোগ পাবেন, সেটা কিন্তু আপনি জানেন না।”
সেই ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লারা করেন অপরাজিত ৪০০ রান, যা আজও রয়ে গেছে টেস্টের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। মুল্ডারের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই হতাশ ম্যাচের প্রেক্ষাপটের কারণে। মাত্র চলছিল দ্বিতীয় দিন, বিশাল লিড হয়ে গেছে। ফলে তিন দিন হাতে রেখে অনায়াসেই জয় ধরা দিত তিনি লারার রেকর্ডের পেছনে ছুটলেও।
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়া ইনিংসের পর ব্যাটিং-অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ মুল্ডারের |
![]() |
মুল্ডার অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই লারার রেকর্ডের প্রতি সম্মান জানিয়ে ৩৬৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছেন। গেইলের কাছে অবশ্য এটি যৌক্তিক নয়।
“আপনি যখন ৩৬৭ রানে অপরাজিত আছেন, তখন আপনাকে চেষ্টা করতেই হবে ৪০০ করার। আপনি যদি কিংবদন্তি হতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই রেকর্ডের পেছনে ছুটতে হবে।”
অনেকেই মনে করেন, প্রতিপক্ষ দুর্বল জিম্বাবুয়ে বলেই হয়ত মুল্ডার রেকর্ডটা নিজের দখলে নিতে চাননি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে একটি ট্রিপল সেঞ্চুরি করা গেইলের কাছে এটিও খোঁড়া যুক্তি।
“সে বড় ধরনের ভুল করেছে। এমন একটা সুযোগ কিন্তু বারবার আসে না। আপনি জানেন না যে, শেষ পর্যন্ত ৪০০ করতে পারতেন কিনা। কিন্তু ৩৬৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেওয়া… এটা একেবারে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আর টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ বড় কথা না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও কিন্তু আপনি এক রান করতে হিমশিম খেতে পারেন। এটা টেস্ট ক্রিকেট, এখানে সেঞ্চুরি, ডাবল, ট্রিপল সেঞ্চুরি বা ৪০০ রান - সবই সমান গুরুত্বপূর্ণ।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন আগেই। ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও ব্যস্ত সময় কাটালেও জোফরা আর্চার দীর্ঘ সময় ধরেই ছিলেন টেস্টের বাইরে। অবশেষে ফুরাচ্ছে সেই প্রতীক্ষা। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের একাদশে জায়গা মিলেছে গতিময় এই পেসারের।
লর্ডসে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টকে সামনে রেখে বুধবার আর্চারকে রেখে একাদশ ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এর মধ্য দিয়ে চার বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে তার।
২০১৯ সালে এই লর্ডসেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল আর্চারের, লম্বা বিরতির পর এই ফরম্যাটে ফিরছেন সেখানেই। আর তাকে জায়গা করে দিতে একাদশ থেকে সরে যেতে হয়েছে জশ টাংকে। দুই ম্যাচে সিরিজের সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নেওয়া এই পেসারকে ইংল্যান্ড বিশ্রাম দিয়েছে।
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়া ইনিংসের পর ব্যাটিং-অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ মুল্ডারের |
![]() |
আর্চার ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১৩ টেস্টে মাত্র ৩১.০৪ গড়ে নেন ৪২ উইকেট। ২০১৯ অ্যাশেজে তার ২০ উইকেট শিকার করেছিলেন মাত্র ২০.২৭ গড়ে। তবে টানা ম্যাচ খেলার কারণে পিঠে চোট পান ২০২১ সালে, যা তাকে একটা বড় সময়ের জন্যই ছিটকে দেয় টেস্ট ক্রিকেট থেকে।
এই গ্রীষ্মেও ইংল্যান্ড আর্চারকে খুব সতর্কভাবে ফিরিয়েছে। আঙুলের চোটের কারণে প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি, দ্বিতীয় টেস্টে ফিট থাকলেও না খেলিয়ে আরও এক সপ্তাহ বেশি অনুশীলন করানো হয়।
আর্চারের ফেরার ম্যাচে ইংল্যান্ড একাদসে আর পরিবর্তন নেই। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সমতা ১-১ ব্যবধানে।
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৮ দিন আগে