৭ অক্টোবর ২০২৪, ৭:৫১ পিএম
টুর্নামেন্টের বাকি নেই ছয় মাসও, তবে এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে হবে কিনা, তা নিয়ে রয়ে গেছে সংশয়। বিশেষ করে ভারত দেশটিতে গিয়ে এখনও খেলতে যেতে আপত্তি জানানোয় ভালো সম্ভাবনা আছে অন্য দেশে আসরটি সরিয়ে নেওয়ার। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি আত্মবিশ্বাসী সুরে বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে পাকিস্তানেই এবং সেখানে খেলতে আসবে ভারতও।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা। তিনটি ভেন্যু হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিকে। অন্যান্য দেশ কিছু না বললেও পাকিস্তান দেশটিতে না যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারত ২০০৮ সালের জুলাইয়ের পর থেকে তাদের জাতীয় দলকে পাকিস্তানে পাঠায়নি।
তবে সোমবার লাহোরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় নাকভি বলেন, দব দলকে নিয়ে যথাসময়েই শুরু হবে টুর্নামেন্ট। “ভারতীয় দলের পাকিস্তানে আসা উচিত। আমি তাদের এখানে আসাটা বাতিল বা স্থগিত করার সুযোগ দেখছি না এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সব দলকে নিয়েই আয়োজন করব। স্টেডিয়ামগুলোও নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত থাকবে।”
নাকভিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে দেখা করবেন কিনা, যিনি ১৫-১৬ অক্টোবর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন কাউন্সিল অফ হেডস অফ গভর্নমেন্ট কনক্লেভের জন্য পাকিস্তান সফর করবেন। তবে তার সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে ইতিবাচক কিছু বলেননি পিসিবি প্রধান। “তিনি আসছেন, কিন্তু আমার মনে হয় না তার সাথে বৈঠকের বিস্তারিত কিছু তৈরি করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বলেছিলেন যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য রোহিত-কোহলিদের পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে চূড়ান্ত কল ভারত সরকার গ্রহণ করবে। আর বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তারা চেষ্টা করবেন ভারতের ম্যাচগুলো অন্য দেশে খেলিয়ে একটা হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্টটা চালিয়ে নেওয়ার।
প্রায় এক যুগ ধরে ভারত ও পাকিস্তান কেবল একে অন্যের বিপক্ষে খেলছে কেবল আইসিসি ইভেন্ট ও এশিয়া কাপে। পাকিস্তানে যেতে ভারত আপত্তি জানালেও এই সময়ের মধ্যে দুইবার দেশটিতে গিয়ে খেলে এসেছে পাকিস্তান। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের মাটিতে হওয়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও অংশ নেয় পাকিস্তান। সবশেষ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সাক্ষাৎ হয়েছিল চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচে।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১৩ ঘণ্টা আগে
১৬ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে