৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩:০৩ পিএম
প্রথম ম্যাচে অল্প রান নিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। সেদিন বল হাতে দুর্দান্ত এক স্পেল করা হারিস রউফ আরও একবার জ্বলে উঠলেন। তার ফাইফারে লড়াই করার মত একটা স্কোরও গড়তে ব্যর্থ হল অজিরা। পেশাদার রান তাড়ায় পাকিস্তানকে বড় জয় এনে দিলেন ব্যাটাররা।
অ্যাডিলেডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তান জয় পেয়েছে ৯ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৬৩ রানে গুটিয়ে সফরকারীরা ম্যাচ শেষ করেছে মাত্র ২৬.৩ ওভারেই। তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা এখন ১-১।
আরও পড়ুন
হংকং সিক্সেসে’র ফাইনালে পাকিস্তান, হারলো অস্ট্রেলিয়া |
অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালোই ছিল। তিন বাউন্ডারিতে দুই ডিজিটে পা রাখার পরই অবশ্য খেই হারান জ্যাক-ফ্রেসার-ম্যাকগ্রাক। শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম শিকার ছিলেন তরুণ এই ডানহাতি ব্যাটার। আরেক ওপেনার ম্যাথু শর্টও ইতিবাচকভাবে ইনিংসের শুরু করলেও বড় করতে হন ব্যর্থ।
চারে নামা জস ইংলিস আগের ম্যাচে খেলেছিলেন দারুণ এক ইনিংস। এদিন অবশ্য হাসেনি তার ব্যাট। রউফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে করতে পারেন ১৮ রান। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারের ওপর ঝড় বইয়ে দেন রউফ। তার গতির সামনে হিমশিম খান অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা।
নিয়মিত বিরতিতে রউফ উইকেট নেওয়া চালিয়ে যান, ফলে অস্ট্রেলিয়া পায়নি বড় একটি জুটি। একপ্রান্তে স্টিভ স্মিথ কিছুটা লড়াই করেছিলেন, তবে মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে ইতি ঘটে তার ৩৫ রানের ইনিংসের। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩৫ ওভারেই শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের। ৮ ওভারে ২৯ রানে ৫ উইকেট নেন রউফ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
আগের ম্যাচে মাত্র ২০৩ রান নিয়েও দারুণ লড়াই জমিয়েছিল পাকিস্তান। তেমন কিছু করতে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল শুরুতে কিছু উইকেট। তবে ক্ল্যাসিক্যাল ও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের মিশ্রনে অজি বোলারদের দাঁড়াতেই দেননি দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও আবদুল্লাহ শফিক। জুটিতে শতরানের পাশাপাশি দুজনই দেখা পান ফিফটির। কামিন্স-স্টার্ক-জাম্পার মত বিশ্বসেরা বোলারদের পাড়ার বোলার বানিয়ে তারা রানও তোলেন দ্রুততার সাথে।
জুটিতে বেশি আগ্রাসী থাকা সাইম যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তাতে তার সেঞ্চুরি অনিবার্য বলেই মনে হচ্ছিল। তবে বিধিবাম। দলের জয় যখন নিশ্চিত, নেই রানের চাপ, সেই সময়ই ম্যাচের ধারার বিপরীতে আউট হয়ে যান ৮২ রানে। মাত্র ৭১ বলে ইনিংসটি সাজান ৫টি চার ও ৬ ছক্কায়।
বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন শফিকুল্লাহ (৬৯ বলে ৬৪*) ও বাবর আজম (২০ বলে ১৫*)।
৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:০৪ এম
৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:৩১ এম
নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে পান প্রথমবার টেস্ট অধিনায়কত্ব করার সুযোগ। ক্যারিবিয়ানের কঠিন কন্ডিশনে অনভিজ্ঞ দল নিয়ে প্রথম টেস্টে মেহেদি হাসান মিরাজের দল পারেনি লড়াই করতে। তবে দ্বিতীয় টেস্টে অবিশ্বাস্য এক কামব্যাকের কাব্য রচনা করে সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। কাপ্তান মিরাজ আশা, এই উন্নতির ধারাটা সামনেও বজায় রাখবেন তারা।
শান্ত সিরিজ মিস করার ব্যাটার হিসেবেও তার সার্ভিস মিস করেছে বাংলাদেশ। সাথে চোট পেয়ে ছিলেন না অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। ব্যাটিং লাইনআপটা তাই কিছুটা দুর্বলই ছিল। প্রথম টেস্টে সেটা প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে গুটিয়ে শঙ্কা জেগেছিল আরেকটি হারের। তবে নাহিদ রানা ও তাইজুলের ফাইফার ও জাকের আলির দুর্দান্ত এক ইনিংস বাংলাদেশকে এনে দেয় ১০১ রানের অবিশ্বাস্য এক জয়।
উচ্ছ্বাসে ভাসছেন তাই অধিনায়ক মিরাজ। ব্যাটে-বলে ভালো একটি সিরিজ পার করা বাংলাদেশ অধিনায়কের চাওয়া ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। “আমরা আসলেই ভালো খেলেছি এবং দিন দিন আরও উন্নতি করতে হবে। এই মুহূর্তে খুবই ভালো লাগছে। প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ছেলেরা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। বিশেষ করে (প্রথম ইনিংসে) নাহিদ রানা, তাসকিন ও দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল। আমাদের জন্য এটা একটা দুর্দান্ত মুহূর্ত। এটা প্রক্রিয়া ধরে রাখার ব্যাপার।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি বছর বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ জয়ে বড় অবদান ছিল বাংলাদেশের পেসারদের। এই সিরিজেও তারা ছিলেন সেরা ছন্দে। বাংলাদেশের হয়ে সিরিজ সেরা হওয়া তাসকিন প্রথম টেস্টে দল হারলেও নেন ৮ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে পান তিন উইকেট। আর এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথমবার ফাইফারের দেখা পান তরুণ গতিময় পেসার নাহিদ রানা।
সব মিলিয়ে পেস আক্রমণ নিয়ে রোমাঞ্চিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ দেখছেন মিরাজ। “এই পর্যায়ে আমাদের হাতে অনেক ফাস্ট বোলার আছে। নাহিদ, তাসকিন, হাসান ছাড়া আরও আছে তানজিম (হাসান সাকিব)।”
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, দেশের মাটিতে এক আর বিদেশে দুই পেসার নিয়েও খেলেছে বাংলাদেশ। তবে দিনবদলের মধ্যে থাকা পেস বিপ্লবে একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে এই চিত্র। দেশে তো বটেই, বিদেশেও এখন দলের মূল ভরসা হচ্ছেন পেসাররা। একের পর একে দারুণ সব পারফরম্যান্স উপহার দিয়েই চলেছেন তারা। সবশেষ পেসারদের সম্মিলিত অবদান সাহায্য করল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ে, যা অভিজ্ঞ তাসকিন আহমেদকে করে তুলছে ভীষণ আশাবাদ।
চলতি বছর পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে দেশটিকে টেস্টে ২-০ তে সিরিজ হারায় বাংলাদেশ, যাতে হাসান-তাসকিন-নাহিদরা নেতৃত্ব দেন সামনে থেকে। সেই ধারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হারলেও সেখানে উজ্জ্বল ছিলেন বাংলাদেশ পেসাররা। তাসকিন নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। আর দ্বিতীয় ম্যাচে সেই স্বাদ পান নাহিদ রানা। ১০১ রানের জয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলাম পাঁচ উইকেট পেলেও ভালো অবদান রেখেছেন তিন পেসারও।
বাংলাদেশের সিরিজ সেরা হওয়া তাসকিন বলেছেন, পেসারদের এই বিপ্লব আগামীতে এনে দেবে এমন আরও অনেক স্মরণীয় জয়। “সত্যিই ভীষণ খুশি আমরা। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি এবং আমরা যে প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করছি তার কারণে আমরা ভালো করছি। গত তিন বছরে আমাদের ফাস্ট বোলিং গ্রুপ ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। বিসিবিও ফাস্ট বোলারদের ভালো উইকেটে খেলানোর চেষ্টা করছে। আশা করি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও ভালো ভালো পেস বোলার পাব।”
এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে এক উইকেট পাওয়া তাসকিন দ্বিতীয় ইনিংসে পান দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দুই ইনিংস মিলে গতিময় পেসার নাহিদ রানা নিয়েছেন ৬ উইকেট। আর হাসান মাহমুদের শিকার ৪ উইকেট। সিরিজ সেরা হওয়া তাসকিন প্রথম টেস্ট নিয়েছিলেন ৮ উইকেট, যার মধ্যে ছিল ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার (৬৪ রানে ৬ উইকেট)।
চোটের কারণে দলে নেই দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তরুণ ও অনভিজ্ঞ একটি দল নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় টেস্ট ঘুরে দাঁড়িয়েছে সফরকারীরা। পেস ও আক্রমণে দুই ইনিংসেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে আদায় করে নিয়েছে অসাধারণ এক জয়। ফাইফার নেওয়া তাইজুল ইসলামের হুংকার, তাদের বোলিং ইউনিট এখন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে সব দলকেই।
ম্যাচে মোট ৬ উইকেট নেওয়া তাইজুল ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রেখে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সতীর্থদের বাড়তি প্রশংসাই করলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। “এই জয়টা আসল অপরিচিত কন্ডিশনে। দলের সবাই ভালো চেষ্টা করেছে এবং ছেলেরা জয়ের জন্য জানবাজি রেখে খেলেছে। এখন আমাদের যে পেস এবং স্পিন আক্রমণ রয়েছে, সেটা নিয়ে আমরা ভালো খেলছি। সবাই খুব ভালো ছন্দে আছে। তাই অবশ্যই আমরা যেকোনো ব্যাটিং আক্রমণকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম।”
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৬৪ রানে। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে গেছে ১০১ রানে। আর এর পেছনে বড় অবদান রেখেছেন প্রতিটি বোলার। গতির ঝড় তুলে প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানার ফাইফারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পেসার ও স্পিনারদের একই ম্যাচে জ্বলে ওঠার ঘটনা কমই দেখা গেছে অতীতে।
চা বিরতির আগে বাংলাদেশ ও জয়ের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন কেভাম হজ। অন্যপ্রান্তে যাওয়া-আসার মিছিলের মাঝে দারুণ এক ফিফটি করলেও শেষ সেশনে পারলেন না বেশিদূর যেতে। তার উইকেট সহ বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া তাইজুল ইসলাম পেলেন ফাইফারের। দ্বিতীয় ইনিংসে জাকের আলির অসাধারণ এক ফিফটির হাত ধরে পাওয়া ঐতিহাসিক এক জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজ ড্র করে ফেলল মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে গেছে ১৮৫ রানে। বাংলাদেশ পেয়েছে ১০১ রানের জয়। টেস্ট সিরিজ তাতে শেষ হল ১-১ সমতায়।
এর মধ্য দিয়ে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০০৯ সালে ক্যারিবিয়ানে টেস্ট জেতা বাংলাদেশ জিতেছিল সিরিজও। সেবার অধিনায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। এই সিরিজে তিনি ছাড়াও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ছাড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্টে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ।
স্যাবাইনা পার্কে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করা সবসময়ই কঠিন কাজ। টেস্টে এর আগে মাত্র দুইবার ২০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে এই মাঠে। চা বিরতির আগে চার উইকেট হারিয়ে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশা হয়ে টিকে ছিলেন হজ। তবে ফিফটির পরই তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের জয়ের পালে জোর হাওয়া দেন তাইজুল।
এরপর এক জাস্টিন গ্রিভস (২০) ছাড়া ব্যাটারদের কেউই পারেননি বাংলাদেশের পেস-স্পিনের উজ্জীবিত আক্রমণ সামলাতে। ২১ রানে শেষ চার উইকেট হারায় দলটি। ৫০ রানে পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার তৃতীয় ফাইফার। সমান দুটি করে উইকেট নেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
লা লিগায় দুরন্ত শুরুর পর শেষ তিন ম্যাচে ছিল একটা ছন্দপতন। দুই হারের পাশাপাশি এক ড্রয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে ব্যবধান কমে আসে এক পয়েন্টে। ছন্দহীন কাতালান ক্লাবটি নিজেদের ফিরে পেল মায়োর্কার বিপক্ষে। শুরুতে একটা গোল হজম করলেও দাপুটে পারফরম্যান্সে গোলের পর গোল করে দারুণ এক জয় তুলে নিল হান্সি ফ্লিকের দল।
লা লিগায় মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে মায়োর্কাকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা। গোল করেছেন ফেররাস তোরেস, রাফিনিয়া (২টি), ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও পাউ ভিক্তর।
এই জয়ে রিয়ালের সাথে লিড বাড়িয়ে নিয়েছে বার্সেলোনা। ১৬ ম্যাচে ফ্লিকের দলের পয়েন্ট ৩৭। দুই ম্যাচ কম খেলা শিরোপধারী রিয়ালের পয়েন্ট ৩৩।
বিরতির আগে কিছুক্ষণ বাদে প্রায় একতরফা ম্যাচে ৬১ শতাংশ পজেশন রাখা বার্সেলোনা গোলের জন্য মোট শট নিয়েছে ২০টি। লক্ষ্যে রাখে ৯টি। বিপরীতে রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত মায়োর্কার গোলটিই তাদের গোলের লক্ষ্যে একমাত্র শট।
কয়েক ম্যাচে বাদে এই ম্যাচ দিয়ে বার্সেলোনার শুরুর একাদশে ফেরেন লামিন ইয়ামাল। আর এই মৌসুমে তিনি শুরু খেলা ম্যাচে বার্সেলোনা হারেনি। এটাই বলে দেয় দলটিতে তার গুরুত্ব এবং এই ম্যাচে সেটা স্পষ্ট হয় আরও একবার।
বলার মত প্রথম আক্রমণেই গোলের দেখা পেয়ে যায় বার্সেলোনা। তবে ১২তম মিনিটের তোরেসের করা গোলে ভাগ্যের সহায়তাও ছিল কিছুটা। থ্রু-পাস থেক দানি ওলমো বল পেয়ে ক্রস বাড়ালে সেটা প্রতিহত হয় প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে, তবে বল ক্লিয়ার হয়নি ঠিকঠাক। বল চলে যায় তোরেসের কাছে, তার নেওয়া শটে তেমন জোর না থাকলেও গোলকিপারের দুই পায়ের ফাঁক হলে বল আশ্রয় নেয় জালে।
ইয়ামাল কয়েকবার গতিতে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কঠিন পরীক্ষাই নেন। তবে গোলের সামনে সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারছিলেন না। প্রথমার্ধের শেষের দিকে বার্সেলোনাকে থমকে দিয়ে সমতা টানে মায়োর্কা। বেদাত মুরিকি করেন গোলটি।
লিড নিতে বেশি সময় নেয়নি বার্সেলোনা। ৫৬তম ওলমোর পাস থেকে বল পেয়ে বক্সে প্রবেশ করা ইয়ামালকে ফাউল করে বসে পেনাল্টি হজম করে মায়োর্কা। স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল হয়নি চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রাফিনিয়া।
৭৪ মিনিটে ফের মায়োর্কার জালে বল। ইয়ামালের বুদ্ধিদীপ্ত পাস খুঁজে নেয় বক্সের ভেতর থাকা রাফিনিয়াকে, বাকিটা সারতে ভুল হয়নি ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের। লা লিগায় এই মৌসুমে এটি রাফিনিয়ার ১৬ ম্যাচে ১১তম গোল।
৭৯ ও ৮৪তম মিনিটে এরপর বার্সেলোনার বিশাল জয় নিশ্চিত করেন ডি ইয়ং ও ভিক্তর।
৭ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
৩৮ দিন আগে