২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৩৬ পিএম
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে ৬ টা গোলও করে ফেলেছেন কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু এমবাপে আসার পর রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগ নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে বেশি। যেখানে ভিনিসিয়ুস আছেন, রদ্রিগো আছেন সেখানে এমবাপের আগমনে অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট হওয়ার শঙ্কাও আছে কারও কারও। কিন্তু সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন এমবাপে, মৌসুমের শুরুটাও তার হয়েছে দারুণ।
তবে গেল মৌসুমের তুলনায় এবার রিয়াল যে মাঠের ফুটবলে অগোছালো তা কোচ কার্লো আনচেলত্তিও এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন। টনি ক্রুসের অবসরের পর অবশ্য একটা শুন্যস্থান তৈরিই হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন আলোচনা সেই ফাঁকা জায়গাটা কিভাবে পুষিয়ে নেবে রিয়াল। আর সেটা মাথায় রেখেই দলের খেলার ধরনে পরিবর্তনের কথাই চিন্তা করছেন ইতিলিয়ান এই কোচ।
এমনিতে খুব একটা পরিবর্তনের পথে আনচেলত্তি হাঁটেন না। ফুটবলারদের স্বাধীনতা দিয়ে তাদের সেরাটা বের করে আনতে বেশ পটু আনচেলত্তি। তবে রিয়ালের বর্তমান অবস্থায় পরিবর্তন ছাড়া গতি দেখছেন অভিজ্ঞ এই কোচ। ফরাসি পত্রিকা লেকিপ দিচ্ছে সে ইঙ্গিত। তাদের মতে আক্রমণভাগে ধার বাড়াতে আর রক্ষণে ভারসম্য ফেরাতে দলের ফরমেশনে বদল আনতে চাইছেন আনচেলত্তি।
গত মৌসুমে দলকে ৪-৩-১-২ ফরমেশনেই বেশি খেলিয়েছিলেন আনচেলত্তি। তবে এই মৌসুমে এমবাপের আগমণে ৪-৩-৩ ফরমেশনের দিকেই ঝুঁকেছেন তিনি। যেখানে রক্ষণে এদার মিলেতাওয়ের সাথে জুটি বাঁধছেন আন্তোনিও রুডিগার। আর দুই উইংব্যাকে দেখা মিলছে দানি কার্ভাহাল ও মেন্দিকে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে জায়গাটা পাকা অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির, সাথে একপাশে ফেদেরিকো ভালভার্দে অন্যপাশে জুড বেলিংহাম। আর দুই উইংয়ে দুই ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র স্ট্রাইকারের ভূমিকায় এমবাপে।
আট ম্যাচ খেলে ফেললেও এই ফরমেশনে রিয়াল ফুটবলাররা খুব একটা ছন্দ খুঁজে পাননি। বিশেষ করে তিন ফরোয়ার্ডের রক্ষণে খুব একটা সাহায্য না করা দলকে ভোগাচ্ছে বেশ। যার জন্য এই মৌসুমে রিয়ালের রক্ষণে চাপটা বাড়ছে। অন্তত পরিসংখ্যান বলছে তাই। রিয়াল সোসোদিয়াদ লিগে রিয়ালের পোস্টে নিয়েছিল ১১ শট। পুঁচকে স্টুর্টগার্টও বারবারই রিয়ালের রক্ষণে ভীতি জাগিয়েছে। থিবো কোর্তোয়ার দারুণ কিছু সেইভ শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়েছে রিয়ালকে।
শেষ আট ম্যাচে রিয়াল হজম করেছে চার গোল। পরিসংখ্যান রিয়ালের পক্ষে কথা বললেও ম্যাচের চিত্র ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। কখনো কোর্তোয়ার অবিশ্বাস্য কিছু সেইভ কখনো পোস্টের সহয়তায় রিয়ালের জাল থেকেছে অক্ষত। এই পরিস্থিতি বদলাতে কোচিং প্যানেল আঁকছে নতুন ছক।
বেশ কিছু স্প্যানিশ ও ফরাসি গণমাধ্যমের খবর আনচেলত্তি ফিরতে চাচ্ছেন ৪-৪-২ ফরমেশনে। আক্রমণভাগে একজন কমিয়ে মিডফিল্ডে যুক্ত করতে চাচ্ছেন আরও একজন ফুটবলার। চোট কাটিয়ে কামাভিঙ্গা ফিরলে সেই দায়িত্বটা থাকবে তার কাঁধে। টনি ক্রুসের অনুপুস্থিতিতে রিয়ালের মিডফিল্ডে যে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে সেটা কাভার করার সাথে, রক্ষণে দলকে আরেকটু শক্তিশালী করতেই আনচেলত্তি এই সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছেন বলে জানাচ্ছে গণমাধ্যমগুলো।
এরই মধ্যে এস্পানিয়লের সাথে শেষ ম্যাচে রিয়ালের নতুন ফরমেশনের কিছুটা আঁচ পাওয়ে গেছে। ফরমেশন বলছে রিয়াল এদিন মাঠে নেমেছে ৪-৩-৩-এ। তবে ম্যাচ শুরু হতেই সেটা অনেকটাই ৪-২-২ শেইপেই রূপ নিয়েছে। যার ফলও রিয়াল পেয়েছে হাতেনাতে। এস্পানিয়লের সাথে এখন পর্যন্ত মৌসুমের সেরা ম্যাচটাই উপহার দিয়েছে আনচেলত্তির দল।
ডিপ মিডফিল্ডে ক্রুসের যেভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করতেন সেটায় বেশ খাবি খাচ্ছিল রিয়াল। তাই কামাভিঙ্গাকে কিছুটা ডিপ মিড রোলে খেলানোর পরিকল্পনাই করছেন আনচেলত্তি। সেক্ষেত্রে আক্রমণভাগে কপাল পুড়তে পারে রদ্রিগোর। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড তখন বেঞ্চ থেক বদলি হিসেবেই মাঠে নামতে পারেন। ভিনিসিয়ুস আর এমবাপেই সামলাবেন আক্রমণভাগের দায়িত্ব, তাতে গত মৌসুমের মতো বেলিংহাম আক্রমণভাগে আরও সক্রিয় হওয়ার সুযগটাও পাবেন। সেই সাথে রিয়ালের মিডফিল্ডের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করা ভালভার্দেও সুযোগ পাবেন আরও ওপরের দিকে খেলার।
তবে এক্ষেত্রে আছে বাধ্যবাধকতাও। চারজন মিডফিল্ডার মৌসুমজুড়ে খেলিয়ে যাওয়া কিংবা সবাইকে একসাথে দলে পাওয়াও দুষ্কর হয়ে যেতে পারে। সে কথা বিবেচনায় বড় ম্যাচগুলোতে এমন ফরমেশনে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি। লিগে পয়েন্ট টেবিলের নিচের সারির দলগুলো কিংবা কোপা দেল রের ম্যাচগুলোতে অদল বদল হতে পারে ফরমেশনে, সেই সাথে একাদশেও।
৩ নভেম্বর ২০২৪, ১:৩০ পিএম
২ নভেম্বর ২০২৪, ৮:৩০ পিএম
ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেওয়ার পর থেকে প্রায়ই মার্সেলোকে নিয়ে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমে খবর আসছিল ক্লাবে বিরুপ পরিস্থিতি তৈরির জন্য। সেসব কতোটা সত্য, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকলেও ক্লাবে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডারের শেষটা হয়েছে তিক্ততার মধ্য দিয়ে। কোচের সাথে বনিবনা না হওয়ার জেরে শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে মার্সেলোর চুক্তি।
গত শনিবারের গ্রেমিওর সাথে ম্যাচে ফ্লুমিনেন্স কোচ মেনেজেস বদলি হিসেবে নামাতে চেয়েছিলেন মার্সেলোকে। ঠিক তার আগে অভিজ্ঞ এই লেফট-ব্যাককে দিচ্ছিলেন কিছু ট্যাকটিকাল পরামর্শ। তবে তিনি সেটা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে এরপর মার্সেলোক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন কোচ এবং তাকে বেঞ্চে পাঠিয়ে সেই জায়গায় মাঠে নামান স্ট্রাইকার জন কেনেডিকে।
ম্যাচের পর ফ্লুমিনেন্স এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে মার্সেলোর চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আর সংবাদ সম্মেলনে মেনেজেস ঘটনার বিস্তারিত না বললেও তুলে ধরেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে মাঠে না নামানর কারণ। “আমি সেই মুহুর্তে মার্সেলোকে মাঠে নামাতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু তার কাছ থেকে আমি এমন কিছু শুনেছিলাম, যা আমার ভালো লাগেনি। তাই আমি আমার মন পরিবর্তন করেছি।”
ফুল-ব্যাক, যিনি স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালের সাথে তার 15 বছরের স্পেলে 25টি ট্রফি জিতেছিলেন, তখন একজন বিকল্প হিসাবে আসতে চলেছেন যখন মেনেজেস মার্সেলোর কিছু কথার প্রতিক্রিয়া জানান এবং তাকে বেঞ্চে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
পেশাদার ফুটবলে মার্সেলোর শুরুটা হয়েছিল ফ্লুমিনেন্সেই। ক্লাবটির বয়সভিত্তিক দলে খেলে ২০০৭ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়ার আগে কিছুদিন খেলেন সিনিয়র দলেও। স্প্যানিশ ক্লাবটিতে ১৫ বছরের অধ্যায়ে জেতেন ২৫টি শিরোপা। সেই অধ্যায় শেষে ২০২২ সালে নাম লেখান গ্রীক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে। সেখানে অল্প সময় খেলার পর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফেরেন ফ্লুমিনেন্সে। দুই মাস আগে তাকে সম্মান জানিয়ে ফ্লুমিনেন্সের অনুশীলন স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে মার্সেলোর নামে রাখা হয়।
অথচ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এবার বদলে গেল চিত্র। ভীষণ তিক্ততার মধ্য দিয়ে ভালোবাসার ক্লাব থেকে বিদায় নিতে হল খুবই বিব্রতকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। যদিও গত কয়েক মাসে খবর আসছিল যে, মার্সেলোর সাথে সতীর্থদেরও প্রায়ই সমস্যা বেধে যাচ্ছিল।
লেবাননের সঙ্গে ড্র আর ফিলিস্তিনের বিপক্ষে একেবারে শেষ মুহুর্তের গোলে পয়েন্ট খোয়ানোর ভুল এবার আর করতে চায় না বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে ম্যাচে লক্ষ্য একটাই, জিততেই হবে। মেয়েরা যেমন পেরেছে তেমনি ছেলেরাও চায় দেশের জন্য কিছু করতে। মালদ্বীপের সঙ্গে দুই প্রীতি ম্যাচ জিতে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেই সেটার শুরু করতে চায় তারা।
লেবানন-ফিলিস্তিনের সঙ্গে আশানুরূপ ফল পেলে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে তিন নম্বর পটে জায়গা মেলার সুযোগ হতো। তাতে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে তা না হলেও এখনও সেই পটে যাবার সুযোগ দেখছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
আর এই সুযোগটা কাবরেরা কাজে লাগাতে চান যথাযথভাবে। “দলের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে, আমরা আরেকটা সুযোগ পেয়েছি ওই পটে যাওয়ার। যদি আমরা কাঙিক্ষত ফল না পাই, তাহলে সেখানে যেতে পারব না। আমাদের বিশ্বাস, যেটা আমরা অর্জন করতে চাই, সেটা পারব। আমরা নিজেদের মাঠে খেলব, যেটা আমরা ভালোভাবে জানি। সব ম্যাচই অবশ্যই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং, তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্জনের আরেকটি সুযোগ আমাদের সামনে আছে“।
লক্ষ্য পূরণে গত শুক্রবার থেকেই ক্যাম্প শুরু করেছে দল। ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রাথমিক তালিকা থেকে ১৫ জন ফুটবলার আবাসিক ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে ফরোয়ার্ড আরমান ফয়সাল আকাশ ক্যাম্পে যোগ দেননি। তার পরিবর্তে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ জয়ী স্ট্রাইকার পিয়াস আহমেদ নোভা যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
ফুবলারদের নিয়ে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হয়েছে প্রস্ততিও। বাকি রয়েছেন বসুন্ধরা কিংস ক্লাবের হয়ে ভূটান খেলতে যাওয়া জাতীয় দলের কিছু প্লেয়ার। তারা ফিরলেই পরবর্তীতে করা হবে আরো ৬ থেকে ৭টি সেশন। তবে এবার ঘরোয়া লিগ শুরু না হওয়ায় প্রস্তুতিতে কিছুটা ঘাটতির শঙ্কা তো থেকেই যায়।
অবশ্য কোচ তাতে আশা হারাচ্ছেন না। “মৌসুম আরও আগে শুরু হলে অবশ্যই ভালো হত। যে দৃশ্যটা দেখছি, সেটা আমরা দেখতে চাইনি। আশা করেছিলাম, এই নভেম্বরের উইন্ডোতে ৫-৬টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলে কাজে লাগানো যাবে। প্রতিযোগিতা না থাকায় অনেক খেলোয়াড়কে সেভাবে তৈরি করা কঠিন হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই লম্বা সময় ধরে কোনো প্রতিযোগিতা না থাকা জাতীয় দলের জন্য ভালো হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করেছি মানিয়ে নেওয়ার, যাতে করে মালদ্বীপের বিপক্ষে ভালো ফল পাওয়া যায়“।
আগামী ১৩ ও ১৬ নভেম্বর মালদ্বীপের সঙ্গে দুই প্রীতি ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে এই কিংস অ্যারেনাতেই। সব না থাকা, আর না পাওয়াকে উতরে দল অপেক্ষায় ভালো কিছুর।
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে