গেল কয়েক মাস স্বপ্নের মতোই কাটাচ্ছেন এন্দ্রিক। ব্রাজিলের হয়ে টানা দুই ম্যাচে গোলে করে বিশ্ব ফুটবলে নিজের আগমনী বার্তা দেওয়ার পর সম্প্রতি পেয়েছেন দেশটির বিখ্যাত ৯ নম্বর জার্সি। এত অল্প বয়সে এটা একজন খেলোয়াড়ের জন্য বিরাট সম্মানও। পাশাপাশি এটাও বলে দেয়, তার প্রতিভায় কতোটা আস্থা রয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। কিংবদন্তি জার্সি নম্বরে অভিষেকটা ঠিকই রাঙিয়েছেন এই তরুণ স্ট্রাইকার। শেষ সময়ের গোলের মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে হয়েছেন দলের জয়ের নায়ক।
রবিবার সকালের ম্যাচে এন্দ্রিক অবশ্য শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন না। দ্বিতীয়ার্ধে তাকে বদলি হিসেবে নামান দরিভাল জুনিয়র। ওই সময় ব্রাজিল এগিয়ে ছিল আন্দ্রেয়াস পেরেইরা ও গাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির গোলে। মাঠে নামার প্রথম মিনিটেই গোল করার খুব কাছাকাছিই ছিলেন ১৭ বছর বয়সী এন্দ্রিক।
আরও পড়ুন: কোপা আমেরিকা : কিংবদন্তিদের জার্সি নম্বর পেলেন এন্দ্রিক-রদ্রিগো
এরপর একে একে দুই গোল দিয়ে ব্রাজিলের হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে নেওয়ার মঞ্চ তৈরি করে মেক্সিকো। তবে মাঠে যে আছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় ভিনিসিয়ুস ও এন্দ্রিক। রিয়াল মাদ্রিদের এই দুই ফুটবলার মিলেই শেষ পর্যন্ত গড়ে দেন ব্যবধান। ইনজুরি টাইমের ষষ্ট মিনিটে বক্সের বাঁদিক থেকে ভিনিসিয়ুসের ক্রসে লাফিয়ে বল জালে পাঠান এন্দ্রিক। নিশ্চিত হয়ে যায় ব্রাজিলের নাটকীয় জয়।
এরপর বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে মেতে ওঠেন এন্দ্রিক। জার্সি খুলে গোল উদযাপন করেন। এরপর দাঁড়িয়ে তা উঁচিয়ে ধরেন। আর সেটা তিনি করবেনই বা না কেন। এটা যে ব্রাজিল দলের ৯ নম্বর জার্সি। যা কালে কালে শোভা পেয়েছে দেশটির বিখ্যাত সব খেলোয়াড়দের গায়ে। সেটা গায়ে জড়িয়ে প্রথম ম্যাচেই গোল তো বিশেষ কিছুই এন্দ্রিকের জন্য।
এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে গোলের দেখা পেলেন এন্দ্রিক। রিয়াল মাদ্রিদের এই ফুটবলার এর আগে গত মার্চে প্রীতি ম্যাচে জালের দেখা পান ইংল্যান্ড ও স্পেনের বিপক্ষেও। সব মিলিয়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হয়ে পাঁচ ম্যাচে এটি তার তৃতীয় গোল। ব্রাজিলের সিনিয়র দলে অভিষেক হয়েছিল গত বছর।
কোপা আমেরিকার শুরুর আগে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন এন্দ্রিকরা। আগামী বুধবার, প্রতিপক্ষ স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ২৪ জুন কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কোপা আমেরিকা অভিযান শুরু হবে সেলেসাওদের।
২১ জুন ২০২৫, ৩:৪৭ পিএম
২০ জুন ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই প্রতিভার জানান দিয়ে বিশ্ব ফুটবলের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। এরপর রিভার প্লেটের উদীয়মান মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনোর সামনে রাস্তা ছিল দুটি - আর্জেন্টিনায় থেকে নিজের বিকাশ অব্যাহত রাখা বা ইউরোপে পাড়ি জমানো। তিনি বেঁছে নিয়েছেন দ্বিতীয়টি, যোগ দিয়েছেন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। রিভার প্লেট কোচ মার্সেলো গায়ার্দোর আশঙ্কায়, একটু আগেভাগেই ঠিকানা বদল করেছেন মাস্তান্তুয়োনো।
চলতি মাসের শুরুতে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত রিয়ালে নাম লেখান মাস্তান্তুয়োনো। তিনি এখন অবশ্য আছেন রিভার প্লেটের সাথেই, খেলছেন ক্লাব বিশ্বকাপে। এই টুর্নামেন্টের পর যোগ দেবেন রিয়াল স্কোয়াডের সাথে। লাতিন আমেরিকার এই সময়ের অন্যতম সেরা এক এক প্রতিভাকে হারানো আর্জেন্টিনার ক্লাবটির জন্য হতে যাচ্ছে বড় এক শূন্যতাই।
আরও পড়ুন
চলছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের জয়রথ, ধরাশায়ী চেলসি |
![]() |
গত শুক্রবার ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গায়ার্দো বলেন, মাস্তান্তুয়োনো আরেকটি শাণিত হতে পারতেন তাদের সাথে থেকেই।
“আমাদের আগামী মৌসুমের পরিকল্পনায় মাস্তান্তুয়োনো ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তবে এখন আমাদের পরিকল্পনা নতুন করে সাজাতে হবে। কারণ, এমন কিছু খেলোয়াড় থাকে, যাদের শূন্যস্থান পূরণ করা কঠিন কাজ। তবে এটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা। আমরা এই খেলোয়াড়দের বিশ্ব মঞ্চের জন্যই তৈরি করি। সবকিছুই এখন আগেভাগে ঘটে যাচ্ছে। তরুণরা অল্প বয়সেই ক্লাব ছাড়ছে। এটা এখনকার নিয়মের মধ্যেই পড়ে।”
রিভার প্লেট কোচের হতাশা যৌক্তিকই। ১৮-তে পা দেওয়ার আগেই মাস্তান্তুয়োনো খেলোয়াড় হিসেবে যে পরিণতবোধ দেখাচ্ছেন, সেটা চোখে পড়ার মতোই। আর সেই কারণেই তাকে ধরে রাখাটা কঠিনই ছিল ক্লাবটির জন্য। কারণ, রিয়ালের বেশ আগে থেকে তার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজিও। শেষ পর্যন্ত রিয়াল লড়াইয়ের শামিল হওয়ার পর লাতিন আমেরিকান ক্লাবটির পক্ষে একটা ভালো ট্রান্সফার ফি নিয়ে মাস্তান্তুয়োনোকে ছেড়ে দেওয়াটাই ছিল একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন
রেকর্ড ফি তে লিভারপুলে ভার্টজ, জিততে চান সব শিরোপা |
![]() |
গায়ার্দো তাই আশাবাদী, ভবিষ্যতটা যেন রাঙাতে পারেন মাস্তান্তুয়োনো।
“আমি শুধু চাই সে (ক্লাব বিশ্বকাপে) নিজের স্বাভাবিকভাবে খেলাটা খেলুক। যাতে সে এই পুরো ঘটনার কথা ভুলে যেতে পারে। যদিও এটা খুবই কঠিন। আমি তার সাথে ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো আলোচনা করি না, শুধু চাই সে তার খেলায় মনোযোগ দিক।”
রিভার প্লেট ক্লাব বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে জাপানের উরাওয়া রেড ডায়মন্ডসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে। শনিবার পাসাডেনায় মনতের্রের বিপক্ষে দলটি খেলবে গ্রুপে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ। আগামী বুধবার এরপর মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রানার্সআপ ইন্তার মিলানের।
ফ্লোরিয়ান ভার্টজ লিভারপুলে যাচ্ছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। শুক্রবার রাতে সেটাও নিশ্চিত হয়ে গেছে। নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে জার্মান মিডফিল্ডার বলেছেন, সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতার দিকেই নজর তার।
লিভারপুল বলেছে, চুক্তি হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী। আর বিবিসির দাবি, ২০৩০ সাল পর্যন্ত অল রেডদের সঙ্গে চুক্তি সেরেছেন ভার্টজ। লেভারকুসেন থেকে তাকে দলে টানতে লিভারপুলকে খরচ করতে হয়েছে ১১৬ মিলিয়ন পাউন্ড। তাতে চেলসির এন্জো ফার্নান্দেসের ১০৭ মিলিয়ন পাউন্ডের রেকর্ড পেছনে ফেলে হয়ে গেছেন প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামি ফুটবলার।
নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে বেশ খুশি ভার্টজ।
“আমি নতুন এই যাত্রা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। প্রতি বছর আমি অনেক কিছু জিততে চাই। তবে সেক্ষেত্রে আমরা নিজের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করতে হবে।”
প্রতিভার বিচারে ভার্টজ বর্তমান তরুণদের মধ্যে বেশ এগিয়েই থাকবেন। গত মৌসুমে বুন্দেসলিগায় ৩১ ম্যাচে ১০ গোল ও ১৩ অ্যাসিস্ট করা এই তরুণ ফুটবলারকে দলে পেতে তাই আগ্রহী ছিল ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বেছে নিয়েছেন লিভারপুলকেই।
ভার্টজের দলগত অর্জনের মধ্যে রয়েছে মৌসুমের বুন্দেসলিগা জয়, ডিএফএল সুপারকাপ ও ডিএফবি পোকাল। আর ব্যক্তিগতভাবে জিতেছেন ২০২৩–২৪ ‘বুন্দেসলিগা প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ ও ২০২৪–২৫ ভিডিএফ ‘প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’'-এর খেতাব।
চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোই দেখাচ্ছে দাপট। প্রতিটি গ্রুপেই চলছে তাদের জয়জয়কার। জন্ম দিচ্ছে একের পর এক রুপকথার গল্প। পিএসজিকে হারিয়ে বোতাফোগো দিয়েছিল চমক, চেলসিকে উড়িয়ে দিয়ে সেই ধারায় যেন ধরে রাখলো ফ্ল্যামেঙ্গো। শনিবার ইংলিশ ক্লাবটিকে তারা হারিয়েছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে।
ফিলাডেলফিয়ার লিঙ্কন ফাইনান্সিয়াল ফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে অবশ্য শুরুতে লিড নিয়েছিল চেলসি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি ১৩ মিনিটে পেদ্রো নেতোর করা গোলে লিড নিয়ে প্রথমার্ধও শেষ করেছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধ পুরোটাই ছিল ফ্ল্যামেঙ্গো জাদু। ব্রুনো হেনরিকের গোলে সমতায় ফেরে সাও পাওলোর ক্লাবটা। এরপর দানিলো ও ওয়ালেস ইয়ানের গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
আরও পড়ুন
দুর্দান্ত জয়ের কৃতিত্ব পুরো দলকেই দিচ্ছেন অধিনায়ক মেসি |
![]() |
এই জয়ে দারুণ খুশি ফ্ল্যামেঙ্গো কোচ ফিলিপে লুইস।
“এটা আমার ও ক্লাবের জন্য বিশেষ একটি দিন। আমি খেলাটি নিয়ে খুব খুশি। ম্যাচের শুরু থেকেই আমরা বিশ্বাস করছিলাম যে আমাদের সুযোগ আছে। আমি খুব গর্বিত; কারণ, ওয়েসলির ভুলের পরও দল থেমে যায়নি। আমরা আগের মতোই খেলা চালিয়ে গেছি। আমার খুবই ভালো লাগছে।”
এই ম্যাচ শেষে ক্লাব বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফ্ল্যামেঙ্গো। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে চেলসি।
প্রথম ম্যাচে মিশরের আল আহলির সাথে ড্র করে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাডতে হয়েছিল। নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে পোর্তোকে হারিয়ে প্রথম কনকাকাফ ক্লাব হিসেবে ইন্টার মায়ামি ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। এতে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল করা অধিনায়ক লিওনেল মেসি মনে করেন, দলগত প্রচেষ্টায় এসেছে এই জয়।
বৃহস্পতিবার রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের দুইবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পোর্তোকে ২-১ গোলে হারায় মায়ামি। ১-১ সমতা থাকা অবস্থায় আটলান্টার মার্সেডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ৫৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার রদ্রিগো মোরা মেসিকে ফাউল করে ডি-বক্সের একটু বাইরে উপহার দেন ফ্রি-কিক। স্টেডিয়ামে ‘মেসি, মেসি’ ধ্বনির মধ্যেই ৮ আর্জেন্টাইন তারকার শট জাল খুঁজে নেয়।
মায়ামির জার্সিতে এটি মেসির ৫০তম গোল ছিল। ম্যাচ শেষে মেসি জয়ের কৃতিত্ব দেন পুরো দলকেই।
“পুরো দলের চেষ্টায় এই জয়টা এসেছে। শুধু রক্ষণ সামলানোই নয়, আমরা বলের দখলও নিয়ন্ত্রণ করেছি। আল আহলির বিপক্ষে ম্যাচের পর মনের মধ্যে একটা তিক্ততা ছিল। তবে এই জয় সেই হতাশা ভুলিয়ে দিয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জয়, আমরা এটা উদযাপন করব।”
প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় পোর্তো। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তেলাসকো সেগোভিয়া মায়ামিকে সমতায় ফেরান। এরপরেই মেসির জাদু। দুর্দান্ত এই এই জয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জন্য ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ম্যাচে ইতিবাচক ফলাফল মেসিদের নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
দল নিয়ে বেশ আশাবাদীই মেসি।
“দেখতেই পাচ্ছেন যে আমরা লড়াই করতে চাই। আজ আমরা একটা ভালো দলের বিপক্ষে খেলেছি। যদিও বিরতির আগে কিছু জায়গায় আমরা খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। যেহেতু তরুণ খেলোয়াড়দের অনেকেই এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলেছে, তারা একটু নার্ভাস ছিল। তবে তারা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।”
ক্লাব বিশ্বকাপের অন্যতম কঠিন গ্রুপ হলেও পিএসজিকে ধরা হচ্ছিল ফেভারিট হিসেবেই। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই বড় ধাক্কা খেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলটি। অঘটনের জন্ম দিয়ে তাদের হারিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগো। অবিশ্বাস্য এই পরাজয়ের পর পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেও প্রশংসা করেছেন প্রতিপক্ষকের।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রোজ বাউলে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইগর জেসুসের প্রথমার্ধের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন বোতাফোগো। এর মধ্য দিয়ে পিএসজি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৯ ম্যাচে পর প্রথমবার গোলহীন থেকে হারের স্বাদ পেয়েছে। গত মে মাসের শুরু থেকেই ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা অপরাজিত ছিল।
ম্যাচের পর এনরিকে বলেন, সেরা ফুটবল খেলতে পারেনি তার দল। “সব দলই আমাদের বিপক্ষে দ্বিগুণ উদ্দীপনা নিয়ে খেলে। আজ আমরা প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের সামনে সংগ্রাম করেছি। যদি ডিফেন্সের কথা বলেন, তাহলে বোতাফোগো এই টুর্নামেন্টে অন্যতম সেরা দল।”
৩৬তম মিনিটে জেসুসের দুর্দান্ত একক প্রচেষ্টায় গোলটি আসে, যা গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। আগের ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পিএসজি এই ম্যাচে গোলের জন্য ১৬টি শট নেয়, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে বোতাফোগো মাত্র ৪টি শট নিয়েই চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এই জয়ে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষেও উঠে গেছে ব্রাজিলের ক্লাবটি।
এমন জয়ের পর বোতাফোগো কোচ রেনাতো পাইভা জানান তার উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া। “আমি খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, একসাথে আক্রমণ করো, একসাথে ডিফেন্ড করো আর খেলাটা উপভোগ করো। ছেলেরা সেটাই করেছে। পিএসজিকে তাদের নিজস্ব কৌশলে ঘায়েল করাই ছিল আমাদের মূলমন্ত্র।”
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে